বাংলাদেশ এমনিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ তার ওপর অসচেতন মানুষের পরিবেশ বিমুখ কার্যকলাপে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর পরিবেশ বিপর্যয়ে কারণগুলির মধ্যে পলিথিন তৈরি ও ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে জনগণের অসচেতনতায় সর্বত্র পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ভয়াবহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে সারা বাংলাদেশে। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে একটু বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটের অচল অবস্থা হয়। প্রবল বন্যার পানির মতো থৈ থৈ করে । বৃষ্টি হলে প্রথমে রাস্তায় ভেসে ওঠে ছোট-বড় অসংখ্য অসংখ্য শত সহস্র পলিথিন। যেন পলিথিনের প্রতিযোগিতা চলছে শহরের প্রতিটি রাস্তা রাস্তায়। বৃষ্টির পর প্রতিটি ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে দিলেও পানি দ্রুত অপসারণ, নিষ্কাষণ হয় না। ফলে চাকচিক্য শহরে বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায় মুহূর্তে । ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলা শহরের চিত্র।
কিন্তু বর্তমানে কেউ আর হাট বাজারে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য কাপড়ের ব্যাগ পাটের তৈরি ব্যাগ বা বাসের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করে না। হাট বাজার, বড় বড় শপিংমল দোকান কাঁচা বাজারসহ যেখানেই যাবেন কিছু কিনতে গেলেই পলিথিনের ব্যাগ ধরিয়ে দিচ্ছে। একটি ডিম কিনলেও পলিথিন, পাঁচ টাকার কাঁচামরিচ কিনলেও পলিথিন, এমনকি রাস্তায় বিভিন্ন ফেরিওয়ালার কাছে দুই টাকার আচার কিনলেও সে ধরিয়ে দিচ্ছে অতি সস্তার পলিথিন। এই পলিথিন ব্যাগ অতি সস্তা বলে কেউ সংরক্ষণ এবং পরবর্তীতে আর ব্যবহার করছে না। কেননা তিনি যতবার দোকানে, মার্কেটে কাঁচাবাজারে যাবে এমন পলিথিন বিনামূল্যে আবার পাবেন। তাই নিত্যদিন পাওয়া ভালো মন্দ পলিথিন বজ্র হিসাবে ময়লা আবর্জনায় ফেলে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- একচেটিয়া এতো শত শত ব্যবহৃত অব্যবহৃত অপচনযোগ্য পলিথিন কোথায়।
আগের দিনে মানুষ হাট বাজার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার জন্য পাটের ব্যাগ কাপড়ের ব্যাগ বা বাঁশের তৈরি ঝুড়ি খালোই ব্যবহার করতে এবং এবং ব্যবহার শেষে তা সংরক্ষণ করে বার সেই ব্যাগ এবং বাঁশের ঝুড়ি ব্যবহার করত যা ছিল মাটিতে পচনযোগ্য কিন্তু বর্তমানে কেউ আর হাট বাজার করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার জন্য কাপড়ের ব্যাগ পাটের তৈরি ব্যাগ বা বাসের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করে না হাট বাজার বড় বড় শপিংমল, দোকান, কাঁচাবাজারসহ যেখানেই যাবেন কিছু কিনতে গেলেই পলিথিনের ব্যাগ ধরিয়ে দিচ্ছে। একটি ডিম কিনলেও পলিথিন, ৫ টাকার কাঁচামরিচ কিনলেও পলিথিন, এমনকি রাস্তায় বিভিন্ন ফেরিওয়ালার কাছে দুই টাকার আচার কিনলেও সেও ধরিয়ে দিচ্ছে অতি সস্তার পলিথিন। এই পলিথিন ব্যাগ অতি সস্তা বলে কেউ সংরক্ষণ করছে না এবং পরবর্তীতে এই পলিথিন আর ব্যবহার করছে না। কেননা তিনি যতবার দোকানে যাবেন মার্কেটে যাবেন কাঁচাবাজারে যাবে -এমন পলিথিন বিনামূল্যে আবার পাবে। ফলে লক্ষ্য লক্ষ্য সহস্র পলিথিন বজ্র হিসাবে ময়লা আবর্জনায় ফেলে দিচ্ছে। অর্থাৎ ফেরিওয়ালা কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে মাছ মাংস, ফলের দোকান, ছোট বড় মার্কেট, শপিংমল সকল ক্ষেত্রে একচেটিয়া পলিথিনের ব্যবহার হচ্ছে যা সহজে পচনযোগ্য নয় ।
এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে পলিথিন উৎপাদনের কল কারখানা, প্রতিষ্ঠান, পলিথিন তৈরি উপর পূর্বের ন্যায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ম জারির প্রতি দৃষ্টিপাত এবং পলিথিন ব্যবহার কমানোর বিকল্প পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগ তৈরি ও ব্যবহারে নিয়ম জারি করতে হবে। পক্ষান্তরে প্রশাসন সরকারের পাশাপাশি প্রচুর জনসচেতনতা কার্যক্রম, সভা-সেমিনার, মানববন্ধন ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে সকল শ্রেণির জনগণকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
সর্বোপরি জনগণ যদি সচেতন হয় একান্ত প্রয়োজন ছাড়া পলিথিন ব্যবহার না করে, অন্যকেও যদি যত্রতত্র পলিথিন ব্যবহারে অনুৎসাহিত ও বিকল্প ব্যাগ ব্যবহার উদ্বুদ্ধ করে তাহলে পলিথিন এর ব্যবহার আশানুরূপভাবে কমবে। আর ব্যবহার কমলে উৎপাদনও কমে যাবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপই পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহার কমানোর অধিক ফলপ্রসূ হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
লেখক: কবি ও উদ্যোক্তা।