বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকরা ভীতসন্ত্রস্ত

  • ড. সেলিম মাহমুদ   
  • ২৩ অক্টোবর, ২০২২ ২২:০৪

বিএনপির এই অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষ আতংকিত। এ কারণে আজ যখন বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমেছে, তখন লঞ্চ মালিক, বাস মালিক, ট্রেনের চালক, মালবাহী ট্রাকের মালিক সবাই আতংকিত। সে জন্য তারা তাদের পরিবহন বন্ধ রাখছে।

বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন প্রতিহত করার নামে দেশে অসংখ্য মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। হাজার হাজার নারী-শিশু বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছিল। বিএনপি ট্রেনে আগুন দিয়েছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছে, আগুন দিয়েছে লঞ্চে, চলন্ত বাসে। আর সে আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। এমনকি রোগীবাহী এম্বুলেন্সেও আগুন দেয়া হয়েছে।

বিএনপির এই অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে পরিবহন মালিকসহ সাধারণ মানুষ আতংকিত। এ কারণে আজ যখন বিএনপি আন্দোলনের নামে আবার মাঠে নেমেছে, তখন লঞ্চ মালিক, বাস মালিক, ট্রেনের চালক, মালবাহী ট্রাকের মালিক সবাই আতংকিত। সে জন্য তারা তাদের পরিবহন বন্ধ রাখছে। বিএনপির সন্ত্রাসকে তারা তাদের পরিবহন ব্যবসার প্রধান অন্তরায় মনে করছে। অগ্নি সন্ত্রাসের জন্য মানুষ বিএনপিকে মানবতার শত্রু মনে করছে। বিএনপিকে তারা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছে না। বিএনপি আজ এক আতঙ্কের নাম।

পরিবহন ব্যবসায়ীরা বিএনপির আন্দোলনে চরম ভীতসন্ত্রস্ত। তারা জানে তাদের মালিকানাধীন পরিবহন হামলার শিকার হলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা পথে বসবে। তারা এও জানে, এই অগ্নি সন্ত্রাসে শুধু সম্পদ নয়, মানুষের জীবনও বিপন্ন হবে।

সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে। গণপরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই খাতে জড়িত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারী এবং তাদের পরিবার পথে বসবে। সার্বিকভাবে দেশের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তসহ সকলেই সংকটের সম্মুখীন হবে। বিএনপির সন্ত্রাসের আশঙ্কার কারণে পরিবহনের মালিক ও শ্রমিকরা তাদের পরিবহন রাস্তায় নামাতে ভয় পায়। তারা অনাকাঙ্খিত যে কোনো পরিস্থিতি এড়িয়ে দেশের পরিবহন খাতকে নিরাপদ রাখতে চান। পরিবহন মালিকরা বিএনপির আন্দোলনের সময় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে রক্ষাসহ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসে দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ এখনও শোনা যায়। অগ্নিদগ্ধ মানুষের কান্না আজও থামছে না। অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত মানুষের পরিবারের আর্তনাদ এখনো থামছে না। আমরা কি ভুলে গেছি সেই ভয়ংকর দিনগুলোর কথা? ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি যখন সারা দেশে পেট্রল বোমা, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানবতা তখন ডুকরে ডুকরে কেঁদেছিল। সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা কি আমরা ভুলে গেছি? অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে কাতড়ানো নারী শিশুর কথা, অগ্নিদগ্ধ মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রাণান্তকর চেষ্টার কথা কি আমরা ভুলে গেছি? এই অগ্নি সন্ত্রাসের সাক্ষী হয়ে আছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট। এটি আজ ইতিহাসের সাক্ষী।

লেখক: আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক

এ বিভাগের আরো খবর