বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহাকালজয়ী মহানায়কের জন্মদিন

  • মোনায়েম সরকার   
  • ১৭ মার্চ, ২০২২ ১১:৫৮

বঙ্গবন্ধুই আমাদের একমাত্র দিশারি। বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই আমরা সৎ হতে পারি, সচেতন হতে পারি, দক্ষ কর্মী ও দেশপ্রেমিক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারি। এ কথা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধু আমাদের মঙ্গলের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।

আজ ১৭ মার্চ, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন। বাংলার মানুষের প্রাণপ্রিয় নেতার জন্মদিনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে নানামুখী কর্মকাণ্ড গৃহীত হয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন যেমন গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনি সম্মানিত হচ্ছে উদীয়মান বাংলাদেশের গণমুখী কার্যক্রম। যে মহামানবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে পারত না, তাকে ঘিরে একটু অন্যরকম আনন্দ-উৎসব হবে- এটাই স্বাভাবিক।

বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা বৃদ্ধি পেলে বাঙালি জাতিও সম্মানিত হয়। কেননা বঙ্গবন্ধুর লড়াই-সংগ্রামের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির জীবনমান উন্নতকরণ। নিপীড়িত বাঙালির ত্রাতা হিসেবে- জননায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের আপসহীন নেতৃত্ব চিরদিন বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ পরিচয়। পঁচাত্তর-পরবর্তী দীর্ঘ একুশ বছর এই পরিচয়চিহ্ন মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নাম কোনোদিনই মুছে যাওয়ার নয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন ক্রমে সমগ্র বাঙালি জাতির জন্য আনন্দঘন উৎসবে পরিণত হচ্ছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মৌখিকভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার প্রস্তাব উত্থাপন করি। আমার প্রস্তাব ছিল ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী জন্মোৎসব পালন।

কিছুদিন পরে প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবের সঙ্গে তার নিজের কিছু পরিকল্পনা যুক্ত করে তিনি এটাকে ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেন। এর ফলে দুটো সুবিধা হয়েছে, একটি হলো- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন, অন্যটি হলো- স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন। এই দুটি বিষয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা থেকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছেন এবং যে সময় তিনি নির্ধারণ করেছেন (২০২০-২০২১) তা যথার্থই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ কে, কীভাবে গ্রহণ করেছেন জানি না, তবে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ২০১৮ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

আমরা একটু আগে থেকেই এই চিন্তা করেছিলাম বলে বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করতে পেরেছি। বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি ছোট্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠান হলেও এর কর্মকাণ্ড আজ আর ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। মুজিববর্ষ ঘিরে আমরা বিশটির মতো বই প্রকাশ করেছি, মৌলিক দুটি কালজয়ী গান নির্মাণ করেছি এবং দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন প্রচার-প্রসারের ক্ষেত্রে পোস্টার, লিফলেট প্রকাশ করেছি। শুধু বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনই নয়, এরকম আরও অসংখ্য প্রতিষ্ঠান মহাসমারোহে মুজিববর্ষ উদযাপন করেছে। আমরা চেয়েছিলাম, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে দেশে-বিদেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা গেঁথে দিতে, বর্তমান সরকার সে বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক বলেই মনে হয়েছে।

বিশ্ব এখনও করোনা মহামারির ভয়ংকর থাবা থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। করোনার কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের উৎসব কিছুটা ধীর গতিতে হয়েছে বটে, আশা করি এবার ১৭ মার্চের কর্মসূচি নিঃসন্দেহে বর্ণাঢ্য ও সফল হবে। শেখ মুজিব আজ শুধু আর বঙ্গবন্ধু নন, তিনি এখন বিশ্ববন্ধু। তার চিন্তাচেতনা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা পৃথিবীর মানুষকে চমকিত করেছে, তার মতো সাহসী ও আপসহীন নেতা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ কারণেই বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা যেমন UNO, UNESCO বঙ্গবন্ধুকে সম্মানিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে এসব আন্তর্জাতিক সংস্থা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ১২টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে। UNESCO বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তিপদকও ঘোষণা করেছে। UNESCO বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর নামে শান্তিপদক ঘোষণা করে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন- ‘বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত, শোষক আর শোষিত- আমি শোষিতের দলে।’ আমৃত্যু বঙ্গবন্ধু শোষিত মানুষের পক্ষেই লড়াই করে গেছেন। এ কারণেই তিনি বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিককে যুক্ত করে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন।

আজকের বিশ্বব্যবস্থায় ‘শোষিতের গণতন্ত্র’ই নিরন্ন মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে, বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই এ কথা ভেবেছিলেন। এ জন্যই তিনি ‘শোষিতের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলে বাংলা সত্যিকার অর্থেই সোনার বাংলা হয়ে উঠত। ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুকে সেই সুযোগ না দিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। এর ফলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ, মুখ থুবড়ে পড়ে বঙ্গবন্ধুর আজন্মলালিত স্বপ্ন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার প্রদর্শিত পথেই নিরলসভাবে হেঁটে চলেছেন। তিনি দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সম্মানের সঙ্গে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার উন্নয়নমূলক গণমুখী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে বাংলাদেশ সবদিক থেকেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নয় লাখ গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছেন।

বাংলার মানুষ না খেয়ে থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, তারা ভাত-কাপড়-বাসস্থান সব কিছুই পাবে- তাদের মুখে একদিন হাসি ফুটবে- এমন স্বপ্নই খেলা করত বঙ্গবন্ধুর চোখে। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে না পারলেও তার কন্যা বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজগুলো নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও ধীরে ধীরে সম্পন্ন করছেন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এ কথা বলাই যায়, লড়াকু বাঙালি জাতিকে আর ‘দাবায়ে’ রাখা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধুই আমাদের একমাত্র দিশারি। বঙ্গবন্ধুকে অনুসরণ করেই আমরা সৎ হতে পারি, সচেতন হতে পারি, দক্ষ কর্মী ও দেশপ্রেমিক হয়ে দেশকে গড়ে তুলতে পারি। এ কথা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ঐতিহ্য, বঙ্গবন্ধুই আমাদের ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধু আমাদের মঙ্গলের জন্য, দেশের কল্যাণের জন্যই জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু প্রদর্শিত পথে অগ্রসর হয়ে যদি আমরা এ দেশে শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, যদি এ দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারি তবেই বঙ্গবন্ধুর আত্মদান সার্থক হবে।

আর এ কার্যসাধনে বঙ্গবন্ধুর অমলিন স্মৃতিই হবে আমাদের পথপ্রদর্শক। আজ যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যাই, তার আদর্শকে বিস্মৃত হই তবে যে জাতি হিসেবেই আমাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন হয়ে পড়বে তাই নয়, পৃথিবীর জন্যও তা এক মহা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা সারা পৃথিবীর মানুষের জন্যই শিক্ষণীয় ও অনুকরণীয় বিষয়।

এতদিন আমাদের মুজিবপ্রেম ছিল অনেকটা লোকদেখানো বিষয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে তা মননে ঢুকতে শুরু করেছে। এটা শুভ লক্ষণ। আগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শাহাদাৎ দিবসে নেতাকর্মীরা মাইক বাজাত, তোরণ বানাত আর খিচুড়ি খেত, এখন এই প্রবণতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা, কুইজ ও নানামুখী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড। আজ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হয়েছে, প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়া চীন’। তার এবং স্বাধীনতার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে নানারকম ভাস্কর্য ও স্মৃতিসৌধ।

যেমন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাসটাওয়ার, শিখা চিরন্তন, শেখ মুজিবের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি। পঁচাত্তরে মুজিব সমাধির যে চেহারা ছিল আজ তা নেই। তার বাড়ির ভাঙা দরজাও আজ বদলে গেছে। এই ছবিগুলো আছে ‘হু কিলড মুজিব’ আর ‘বাংলাদেশের সমাজবিপ্লবে বঙ্গবন্ধুর দর্শন’ গ্রন্থে। ছবিগুলো সে সময় দিল্লিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত দিয়েই ‘হু কিলড মুজিব’ গ্রন্থের লেখক এ এল খতিব (আবদুল লতিফ খতিব)-এর হাতে পৌঁছেছিল। ছবিগুলো সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমারও কিছু ভূমিকা ছিল। কিন্তু আমাদের শুধু এখানেই তৃপ্তির ঢেকুর গিললে হবে না, আরও ব্যাপকভাবে কাজ করতে হবে। মুজিব হত্যাকাণ্ডের পর শেখ মুজিবের বিশ্বস্ত কর্মীরা কেউ মাথায় পাগড়ি বেঁধে ফেরিওয়ালা হয়ে পালিয়েছিল, কেউ স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ঘরের মধ্যে বসে থেকে।

আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের আদর্শ, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও সাংস্কৃতিক শুদ্ধতা নিয়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।

আজকের সভ্য মানুষ সম-অধিকারে বিশ্বাস রাখার পাশাপাশি চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ সুখী জীবন। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন পেলে, সার্বিক নিরাপত্তা পেলে ব্যক্তি-মানুষের আর কোনো আকাঙ্ক্ষা থাকে না। জোর করে কোনো কিছু চাপিয়ে দিয়ে প্রগতিকে রোধ করা যায় না। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব এগিয়ে যাবে, তবে নতুন বিশ্ব কোন্ পথে চলবে, নতুন দিনের সমাজতাত্ত্বিকদের সেই কথাটাই ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে আবেগকে প্রাধান্য না দিয়ে যুক্তিকেই মূল্য দিতে হবে। পৃথিবী অতীতে দুটি বিশ্বযুদ্ধ, সমাজতন্ত্র, ধনতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের রক্তাক্ত ইতিহাস প্রত্যক্ষ করেছে, ভবিষ্যতে সমাজতন্ত্রের কাল্পনিক কাব্যকথা শুনতে মানুষ রাজি নয়। পৃথিবীব্যাপী মানুষ আজ একটি (Humane world order) মানবিক বিশ্বব্যবস্থা ও আইনের শাসন কামনা করছে। বঙ্গবন্ধুঘোষিত শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেই গড়ে তোলা সম্ভব হবে আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধশালী, সুন্দর পৃথিবী।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাঙ্ক্ষিত মহামানব যখন ধরণীর বুকে পদার্পণ করেন, তখন দিকে দিকে রোমাঞ্চ সঞ্চারিত হয়, মর্ত্য-ধূলির ঘাসে ঘাসে জাগে প্রাণপ্রবাহ। বাংলার মহাকালজয়ী মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মমুহূর্তেও নতুন করে সেজেছিল বাংলার প্রাণ-প্রকৃতি। তার আবির্ভাবে নিপীড়িত বাংলা পীড়ন থেকে মুক্তি পায়, স্বাধীনতার আনন্দে উদ্ভাসিত হয় বাংলার উর্বর প্রান্তর। যে-মহামানবের আপসহীন সংগ্রাম ও দূরদর্শী নেতৃত্ব বিশ্বের বুকে নতুন পরিচয়ে বাঙালিকে পরিচিত করে, তার শুভ জন্মতিথিতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

লেখক: রাজনীতিবিদ, প্রাবন্ধিক। মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ।

এ বিভাগের আরো খবর