বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২৫ সেপ্টেম্বর: জাতিসংঘে বাংলা ও বাঙালির গৌরব

  • আহমেদ রিয়াজ   
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:১৫

বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় তখন কেবল তিনি একটু একটু করে ঠাঁই নিতে শুরু করেছেন। তিনি তখন রাষ্ট্রপ্রধান তো পরের কথা, মন্ত্রীও ছিলেন না। ছিলেন না দাপুটে জাঁদরেল কেউকেটা। কিন্তু বাংলা ছিল তাঁর হৃদয়জুড়ে। আর সে কারণেই যখন তিনি বাংলাদেশের শীর্ষনেতা হলেন, বাঙালির জাতির পিতা হয়ে যোগ দিলেন জাতিসংঘের অধিবেশনে, তখনও তার হৃদয়জুড়ে ছিল কেবল বাংলা। বাংলা ভাষাকে তিনি জাতিসংঘের মাধ্যমে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিলেন বিশ্বদরবারে।

১৯৪৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগরে এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ওই অনুষ্ঠানে গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানের পরদিন নৌকায় করে আশুগঞ্জ রওনা দিয়েছিলেন তারা। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন-

“... নদীতে বসে আব্বাসউদ্দিন সাহেবের ভাটিয়ালি গান তাঁর নিজের গলায় না শুনলে জীবনের একটা দিক অপূর্ণ থেকে যেত। তিনি যখন আস্তে আস্তে গাইতেছিলেন তখন মনে হচ্ছিল, নদীর ঢেউগুলিও যেন তাঁর গান শুনছে।... তিনি আমাকে বলেছিলেন, “মুজিব, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলা রাষ্ট্রভাষা না হলে বাংলার কৃষ্টি, সভ্যতা সব শেষ হয়ে যাবে। আজ যে গানকে তুমি ভালবাস, এর মাধুর্য ও মর্যাদাও নষ্ট হয়ে যাবে। যা কিছু হোক, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতেই হবে।” আমি কথা দিয়েছিলাম এবং কথা রাখতে চেষ্টা করেছিলাম।” (অসমাপ্ত আত্মজীবনী)

বঙ্গবন্ধু এমন মানুষ, যিনি কথা রাখেন। বাঙালিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র দেয়ার কথা রেখেছিলেন। তেমনি আব্বাসউদ্দিনকে দেয়া কথাও রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করেছিলেন গর্বিত মস্তকে। আজ সেই ঐতিহাসিক দিন।

আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাই এখন পর্যন্ত দুনিয়ার একমাত্র ভাষা, যে ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে প্রাণও দিয়েছে বাঙালি। এটা বাঙালি হিসেবে আমাদের গর্ব। কিন্তু এই গর্বের স্তম্ভটাকে যে আরও উঁচুতে তুলে ধরার বেলায় আর বাঙালিদের পাওয়া যায় না। রক্তের বিনিময়ে বাঙালি ভাষা ও দেশ অর্জন করেছে ঠিকই, কিন্তু সেখানেই তৃপ্তির ঢেকুরও তুলেছে।

বিশ্বদরবারে বাঙালিদের অনেক অর্জন আছে। রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাময় নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তিও। এ যাবৎ তিন বাঙালি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিকে অমর্ত্য সেন এবং ২০০৬ সালে শান্তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রথম নোবেল বিজয়ী বাঙালি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল পুরস্কার আনার জন্য সুইডেনে যাননি।

পরের দুই বাঙালি নোবেল পুরস্কার আনার জন্য সুইডেন গিয়েছিলেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করার সময় বক্তৃতাও করেছেন। এই দুই বাঙালি যে ‘নোবেল স্পিচ’ দিয়েছিলেন, তাতে তাদের পরিচয়টা কোথায়? তারা কোন ভাষার মানুষ? তাদের বক্তৃতার ভাষায় তাদের আত্মপরিচয় ছিল না। অমর্ত্য সেন পুরো বক্তৃতাটাই করেছেন ইংরেজিতে। আর মুহাম্মদ ইউনূস তার নোবেল বক্তৃতার ৩৫ মিনিটের মধ্যে মাত্র দেড় মিনিট মানে নব্বই সেকেন্ডের জন্য বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলা ভাষাকে ‘দয়া’ করেছিলেন!

যদিও ইদানিং ‘মডিফাই বাঙালি’রা তাদের সন্তানদের ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করান, নিজেরা ইংরেজিতে কথা বলেন। যেন ইংরেজিতে কথা বলাটাই ‘স্ট্যাটাস’ রক্ষা করার একমাত্র উপায়। নিজেকে জাহির করার জন্যও তারা অনর্গল ইংরেজিতে বকরবকর করতে থাকেন।

প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ইংরেজি ‘টক’ করে তারা কাকে হেয় করেন? তাদের জাতিভাই আরেক বাঙালিকে? নাকি নিজের ভাষাকে? আসলে তারা নিজেকেই হেয় করেন। নিজের জাতিভাইকে হেয় করা মানে তো নিজেকেই হেয় করা। আর নিজের ভাষাকে হেয় করা মানে... সবসময় সবটা বুঝিয়ে বলা লাগে না।

যাহোক। দুনিয়ায় সম্ভবত একমাত্র জাতি আমরাই, যারা মাতৃভাষায় কথা বলতে গেলে হীনম্মন্যতায় ভুগি। নিজেদের কখনও ‘রাজা’ ভাবতে পারি না। সবসময় অদৃশ্য একটা দাসত্বের শিকল পরে থাকি। সেটা ভাষারই হোক বা সংস্কৃতিরই হোক। নিজেকে ‘রাজা’ ভাবতে পারে কজন? বিশেষ করে জাতিসংঘের মতো দুনিয়ার সর্ববৃহৎ আর্ন্তজাতিক সংগঠনের আর্ন্তজাতিক অনুষ্ঠানে ‘রাজা’ হিসেবেই বাঙালি জাতির প্রতিনিধিত্ব করেছেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় বক্তৃতা দিয়ে বাংলাকে দিয়েছেন অপরিসীম মর্যাদা। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা ছয়টি। এর মধ্যে বাংলা নেই। সেদিন সাধারণ অধিবেশনের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করেছিলেন ইংরেজিতে বক্তৃতা করার জন্য। বঙ্গবন্ধু বিনয়ের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘মাননীয় সভাপতি, আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় বক্তৃতা করতে চাই।’

বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে অধিবেশনের সভাপতি তাকে বাংলায় বক্তব্য দেয়ার অনুমতি দেন। অথচ অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বাংলায় বঙ্গবন্ধুর দেয়া এই ভাষণের মাত্র আটদিন আগে ১৯৭৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ১৩৬তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের অর্ন্তভুক্ত হয় বাংলাদেশ। তার ওপর ইংরেজিতে ভাষণ দেয়ার জন্য তার ওপর চাপও ছিল। কিন্তু তিনি যে বাঙালি জাতির পিতা। তিনি কোনো চাপের কাছে কখনও মাথা নোয়াননি। ভাষার বেলায় আপস করবেন কেন?

হয়ত অনেকে বলতে পারেন, তিনি তো বাঙালির একছত্র নেতা। স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী। বাঙালি হৃদয়েও তার নিরঙ্কুশ সমর্থন। তিনি বাংলায় ভাষণ দেয়ার দুঃসাহস দেখাতেই পারেন। এ আর এমন কী! তাহলে একটু পিছনের দিকে যাওয়া যাক। যাওয়া যাক আরও বাইশ বছর আগে।

১৯৫২ সালে চীনের রাজধানী পিকিঙে (বর্তমানে বেইজিং) শান্তি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই শান্তি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাঁইত্রিশ দেশের তিনশ আটাত্তর প্রতিনিধি। স্বাভাবিকভাবে শেখ মুজিব তখন পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু জানিয়েছেন-

“... পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও অনেকেই বক্তৃতা করলেন। পূর্ব পাকিস্তান থেকে আতাউর রহমান খান ও আমি বক্তৃতা করলাম। আমি বাংলায় বক্তৃতা করলাম। আতাউর রহমান সাহেব ইংরেজি করে দিলেন। ইংরেজি থেকে চীনা, রুশ ও স্পেনিশ ভাষায় প্রতিনিধিরা শুনবেন। কেন বাংলায় বক্তৃতা করব না? ভারত থেকে মনোজ বসু বাংলায় বক্তৃতা করেছেন। পূর্ব বাংলার ছাত্ররা জীবন দিয়েছে মাতৃভাষার জন্য। বাংলা পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু লোকের ভাষা। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে জানে না এমন শিক্ষিত লোক চীন কেন দুনিয়ায় অন্যান্য দেশেও আমি খুব কম দেখেছি। আমি ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারি। তবু আমার মাতৃভাষায় বলা কর্তব্য। আমার বক্তৃতার পর মনোজ বসু ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “ভাই মুজিব, আজ আমরা দুই দেশের লোক, কিন্তু আমাদের ভাষাকে ভাগ করতে কেউ পারে নাই। আর পারবেও না। তোমরা বাংলা ভাষাকে জাতীয় মর্যাদা দিতে যে ত্যাগ স্বীকার করেছ, আমরা বাংলা ভাষাভাষী ভারতবর্ষের লোকেরাও তার জন্য গর্ব অনুভব করি।”

‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইতে বঙ্গবন্ধু বিষয়টাকে আরেকটু খোলাসা করেছেন।

“... আমি বক্তৃতা করলাম বাংলা ভাষায়, আর ভারত থেকে বক্তৃতা করলেন মনোজ বসু বাংলা ভাষায়।

বাংলা আমার মাতৃভাষা। মাতৃভাষায় বক্তৃতা করাই উচিত। কারণ পূর্ব বাংলার ভাষা-আন্দোলনের কথা দুনিয়ার সকল দেশের লোকই কিছু কিছু জানে। মানিক ভাই, আতাউর রহমান খান ও ইলিয়াস বক্তৃতাটা ঠিক করে দিয়েছিল। দুনিয়ার সকল দেশের লোকই যার যার মাতৃভাষায় বক্তৃতা করে। শুধু আমরাই ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করে নিজেদের গর্বিত মনে করি।

... অনেকেই আমাদের জিজ্ঞাসা করলো, ভারত থেকে একজন বাংলায় বক্তৃতা করলেন, আর পাকিস্তান থেকেও একজন বক্তৃতা করলেন, ব্যাপার কী! আমি বললাম, বাংলাদেশ ভাগ হয়ে একভাগ ভারত আর একভাগ পাকিস্তানে পড়েছে। বাংলা ভাষা যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষা এ অনেকেই জানে। ঠাকুর দুনিয়ায় ‘ট্যাগোর’ নামে পরিচিত। যথেষ্ট সম্মান দুনিয়ার লোক তাঁকে করে। আমি বললাম, পাকিস্তানের শতকরা ৫৫ জন লোক এই ভাষায় কথা বলে। এবং দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ ভাষার অন্যতম ভাষা বাংলা। আমি দেখেছি ম্যাডাম সান ইয়াৎ-সেন খুব ভালো ইংরেজি জানেন, কিন্তু তিনি বক্তৃতা করলেন চীনা ভাষায়। একটা ইংরেজি অক্ষরও তিনি ব্যবহার করেন নাই।

চীনে অনেক লোকের সাথে আমার আলাপ হয়েছে, অনেকেই ইংরেজি জানেন, কিন্তু ইংরেজিতে কথা বলবেন না। দোভাষীর মাধ্যমে কথা বলবেন। আমরা নানকিং বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে যাই। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ইংরেজি জানেন, কিন্তু আমাদের অভ্যর্থনা করলেন চীনা ভাষায়। দোভাষী আমাদের বুঝাইয়া দিলো। দেখলাম তিনি মাঝে মাঝে এবং আস্তে আস্তে তাকে ঠিক করে দিচ্ছেন যেখানে ইংরেজি ভুল হচ্ছে। একেই বলে জাতীয়তাবোধ। একেই বলে দেশের ও মাতৃভাষার উপরে দরদ।”

(সূত্র: আমার দেখা নয়াচীন- শেখ মুজিবুর রহমান। পৃষ্ঠা ৪৩-৪৪)

মাতৃভাষার প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদের কথা কে না জানে! বাংলাকে মাতৃভাষা করার আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন সেই ১৯৪৮ সালেই। জেলও খেটেছিলেন। তখন তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। তারপর ১৯৫২ সালে যখন চীনের শান্তি সম্মেলনে গিয়ে বাংলায় বক্তৃতা করলেন, তখনও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও প্রভাব এত বিশাল ছিল না। বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠায় তখন কেবল তিনি একটু একটু করে ঠাঁই নিতে শুরু করেছেন। তিনি তখন রাষ্ট্রপ্রধান তো পরের কথা, মন্ত্রীও ছিলেন না। ছিলেন না দাপুটে জাঁদরেল কেউকেটা। কিন্তু বাংলা ছিল তাঁর হৃদয়জুড়ে। আর সে কারণেই যখন তিনি বাংলাদেশের শীর্ষনেতা হলেন, বাঙালির জাতির পিতা হয়ে যোগ দিলেন জাতিসংঘের অধিবেশনে, তখনও তার হৃদয়জুড়ে ছিল কেবল বাংলা।

বাংলা ভাষাকে তিনি জাতিসংঘের মাধ্যমে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিলেন বিশ্বদরবারে। এ যোগ্যতা সত্যিকারের ‘রাজা’র পক্ষেই সম্ভব। নইলে তার পরে বাংলাদেশের আরও অনেক শীর্ষনেতাও তো জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন। তারা তো কেউ বাংলায় ভাষণ দেননি! নিজভাষা নিয়ে ওইসব রাষ্ট্রনায়করা নিজেরাই যখন হীনম্মন্যতায় ভুগছিলেন, কিংবা তাদের কাছে মাতৃভাষার চেয়ে ইংরেজি ভাষা প্রাধান্য পেয়েছিল, সেই তারা জাতিকে যে কেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটা এই বাংলাভাষা বিমুখতা থেকেই বোঝা যায়।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলা ভাষার যে গৌরব প্রতিষ্ঠা করেন, সে গৌরব অব্যাহত রেখে চলেছেন তারই সুযোগ্য উত্তরসূরি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বরাবরের মতো বিগত কয়েকবছর ধরে জাতিসংঘের বিভিন্ন অধিবেশনে বাংলাতেই ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। মাতৃভাষার এমন অধিকার প্রতিষ্ঠা করায় বাঙালি হিসেবে তাদের প্রতি আজীবনের কৃতজ্ঞতা।

জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় দেয়া ভাষণের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে যুক্তরাজ্যের নিউইয়র্ক রাজ্যে প্রতিবছর ২৫ সেপ্টেম্বর পালিত হয় ‘বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে’ বা ‘বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস’ হিসেবে। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি স্টেট সিনেট অধিবেশনে বিলটি পাস হয় ও স্টেট ক্যালেন্ডারে দিবসটি অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র:

অসমাপ্ত আত্মজীবনী- শেখ মুজিবুর রহমান

আমার দেখা নয়াচীন- শেখ মুজিবুর রহমান

dhakatribune.com/bangladesh/2021/09/17/bangladeshi-immigrant-day-to-be-observed-in-new-york-on-september-25

লেখক: শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক

এ বিভাগের আরো খবর