ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষা শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছে অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নামের স্থানীয় একটি সংগঠন।
শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে আয়োজিত এক সভায় শনিবার সকালে এই দাবি তোলেন সংগঠনটির সদস্যরা।
মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত হয় ‘ভাষা আন্দোলন ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা।
শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাঠাগারের আহবায়ক আব্দুন নূর বলেন, ‘তৎকালীন পাকিস্তান গণপরিষদে উর্দু এবং ইংরেজির পাশাপাশি বাংলাকে গণপরিষদের কার্যবিবরণীর ভাষার মর্যাদা দানের প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
‘ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম সোপান। সে জন্যই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তাকে পরিবারের সদস্যদেরসহ নৃশংসভাবে শহিদ হতে হয়েছিল।’
নূর বলেন, এই ভাষা শহিদকে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য জাতীয়ভাবে তেমন কিছুই করা হয়নি। তাই শহিদ ধীরেন্দ্রনাথের নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয়ভাবে শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের দাবি জানান তিনি ও সভার অন্যান্য বক্তারা।
সেইসঙ্গে বাংলা ভাষাকে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম করাসহ প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন, বাংলা ভাষার বিকৃতি রোধ, দেশের বিভিন্ন আদিবাসীদের মাতৃভাষা সংরক্ষণ এবং অন্তত প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদান নিশ্চিত করারও দাবি জানান তারা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা জাসদের সভাপতি আখতার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছিরসহ অনেকে।