শেরপুরের শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রিস্টান পাড়ায় বন বিভাগ আদিবাসীদের ফসল কেটে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন।
গারো ছাত্র সংগঠন শ্রীবরদী উপজেলা শাখা সোমবার দুপুরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এ কর্মসূচি পালন করে।
পরে তারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি লিংকন দিপ্রা বলেন, ‘দেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় হয়, ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প হয়, কিন্তু আমরা আদিবাসীরা যুগযুগ ধরে পাহাড়ে জঙ্গলে বসত করে আসছি, আমাদের স্থায়ী আবাসন হয় না।
‘আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলের কোনো নিরাপত্তা নেই। দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়, ফসল কেটে নেয়। আমরা নিরাপত্তাহীন।’
বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের অন্যতম নেত্রী কেয়া নকরেক শ্রীবরদীর ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি গারো পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ বন বিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে অপসারণের দাবি জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন কেন্দ্রীয় জীবন মারাক ও কাঞ্চন মারাক।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী শাখার নেতৃবৃন্দসহ আদিবাসী নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
গত ১২ আগস্ট বালিজুরি রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পাঁচ আদিবাসীর চাষ করা ফলজ সবজি বাগান কেটে ফেলে।
এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বন বিভাগের জমিতে জোর করে তারা ফলজ ও সবজি বাগান করায় তা কেটে ফেলা হয়েছে। বাগান ধ্বংস করে তারা অবৈধভাবে চাষাবাদ শুরু করেছিল। শুধু আদিবাসীদের নয়, পাহাড়ি ও স্থানীয়দের অবৈধ সবজি বাগানেও উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে।’