বসন্ত বাতাসে বন্দরনগরীর নীরবতা ভেঙেছে কোকিলের কুহুতান। শীতের জড়তা ভেঙে গাছে গাছে সজীব পত্র-পল্লব, শাখায়-শাখায় পাখির কিচিরমিচির জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনী। যেন ফাগুনের আগুন লেগেছে বন-বনান্তে। যা ধরা দিয়েছে নগরেও।
এবার ভালোবাসার দিন ও পহেলা ফাল্গুন একই দিনে হওয়ায় এই উৎসব বেড়েছে সমানুপাতিকে। নগরবাসী কাছে পহেলা বৈশাখের মতো বসন্তের প্রথম দিনেও এসেছে নতুনের আবাহনে।
মহামারীর ভেতর কিছুটা সংক্ষিপ্ত পরিসরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বসন্তের প্রথমদিন ‘বসন্ত উৎসব’ আয়োজন করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম। বাংলার শেকড়ের গান, নাচ, আবৃত্তিতে মুখর ছিল উৎসব প্রাঙ্গন আমবাগানের শেখ রাসেল উদ্যান। করোনার কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এই উৎসবের মধ্য দিয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেল।
সকালে বোধনের সহসভাপতি সুবর্ণা চৌধুরীর একক আবৃত্তি ও বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের শিশুশিল্পীদের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর পর্যায়ক্রমে মঞ্চে ওঠেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন কান্তা দে, কেশব জিপসী, শ্রেয়সী রায়, সুতপা চৌধুরী মুমু, মাহবুবুর রহমান সাগর, ইমন শীল প্রমুখ।
নৃত্য পরিবেশন করে স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, মাধুরী ডান্স অ্যাকাডেমি, নৃত্যরূপ ও সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠের শিল্পীরা। বিকেল সাড়ে তিনটায় বসন্ত বরণ শোভাযাত্রা বের করা হয়। পাশাপাশি নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানান, নগর পুলিশের উপকমিশনার বিজয় বসাক, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, নাট্যকার সুচরিত দাশ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে অভ্যুদয়, সুরপঞ্চম, ছন্দানন্দ সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীরা।
এছাড়া সিআরবি শিরীষতলায়ও বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে প্রমা আবৃত্তি সংগঠন। সকালে আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসানের আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আয়োজন।
এর বাইরে বসন্ত উৎসবের আয়োজন ছিল নগরীর শিল্পকলা একাডেমীতেও।