‘এই কয়দিন দইর্রা যে শীথ পরছে হ্যাতে মোরা কাহিল অইয়া পরছি। হেইয়ার মধ্যে পুলিশ ছাড়ে যে মোগো কোম্বল দিবে এত দুরে আইয়া হ্যা মোরা চিন্তাও করিনাই। কি কোম্বল বাবা-এ্যাতো বড় ব্যাডারা পড়ে। হেইয়া মোগো দেছে। দোয়া হরি ছাড়েরে আল্লাহ যেন ভাল রাহে’-এভাবেই মনের অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন শীতবস্ত্র নিতে আসা পটুয়াখালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মান্তা সম্প্রদায়ের সালেজা বেগম।
মঙ্গলবার পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজে ১০০টি পরিবারের চারশতাধিক মান্তা জনগোষ্ঠীর মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছে পুলিশ। ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর সার্বিক পরিচালনায় এ শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
দুপুর ১২ টার দিকে উত্তরণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক কে, এম মাহফুজুর রহমান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান এ শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাপাড়া সদর সার্কেল আহম্মেদ আলী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গলাচিপা সদর ফারুক হোসেন, রাঙ্গাবালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান ও চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
২০১৪ সালে ঢাকা জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার ও বর্তমান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান সাভারের পিছিয়ে পড়া বেদে জনগোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি মানবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গিয়ে আবিষ্কার করেন এ বেদে জনগোষ্ঠী।
বেদে জনগোষ্ঠীকে অচ্ছুত ও গ্লানিময় জীবন থেকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে ডিআইজি হাবিবুর রহমান নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ এর মধ্যে বংশী নদীর তীরে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, মাদরাসা, এতিম খানা, গার্মেন্স কবর স্থান নির্মাণ করেন।