হাতি বিশালদেহী বন্যপ্রাণি। বনেই সে বেশি সুন্দর। কিন্তু মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে হাতিকে পোষ মানিয়ে পাহাড় থেকে গাছ নামানোসহ কঠিন সব কাজ করানো হচ্ছে।
কিছু মানুষ হাতিকে চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহার করছে। মাহুত দোকান, ফুটপাত, রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জোর করে টাকা আদায় করছে এ প্রাণিটি দিয়ে। গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা আদায় করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গলের বাজার ও রাস্তায় এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
সম্প্রতি কমলগঞ্জের পাত্রখলা বাজার ও চা বাগান এলাকায় হাতি দিয়ে টাকা তুলতে দেখা গেল।
সেখানে দোকানে দোকানে গিয়ে হাতিকে দিয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে এক প্রকার জোর করে টাকা নেয়া হচ্ছিল।
স্থানীয়রা জানালেন, হাতিটির মালিক উপজেলার ইসলামপুরের এক ব্যক্তি। মাহুত সুযোগ বুঝে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে টাকা তুলে বাড়তি আয় করেন। হাতি পুষতে হলে বনবিভাগের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু অনেকেরই সেই অনুমতি নেই।
দোকান মালিক আব্দুস সাদেক, মিলন পাল, মাহবুব আলম জানান, হাতি শুঁড় উঁচিয়ে দিচ্ছে, ৫ টাকা দিলে নিচ্ছে না। কমপক্ষে ১০ টাকা দিতে হচ্ছে। অনেকে নিজের ইচ্ছায় টাকা দিচ্ছে। কেউ টাকা দিতে না চাইলে হাতি শুঁড় উঁচু করে ও বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ভয় দেখাচ্ছে।
Caption
হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সংবাদকর্মী তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, ‘নিউজের জন্য আমি ছবি তুলতে গেলে মাহুত হাতি দিয়ে তাড়া করান। তাই সামনে থেকে ছবি তুলতে পারিনি।’
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, কেউ অভিযোগ করেনি। মূলত হাতি পোষার অনুমতি দেয় বনবিভাগ। এটি বনবিভাগের কাজ। তবে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া যায়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হাতি দিয়ে কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাণি দিয়ে টাকা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।