বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আরেক শোকাবহ ২১ আগস্ট

  •    
  • ২১ আগস্ট, ২০২১ ১৭:৩৬

২১ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ড ছিল সরকারের শীর্ষ মহলের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে পরিচালিত আর্জেস গ্রেনেড হামলা। এটি মূলতই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। এমন ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৃথিবীর কোনো দেশে সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে পরিষ্কার বলেছিল যে, শেখ রাসেলসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার কাউকে জীবিত না রাখা। ১৫ আগস্ট তারা সেটাই করেছিল। তবে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা সেই সময় দেশের বাইরে থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতক গোষ্ঠী এবং ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত সরকার শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে ফিরে আসার সকল পথ রুদ্ধ করে রাখে।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তিনি সেই বছর ১৭ মে দেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে ফিরে আসেন। ফিরে আসার প্রথম দিন থেকেই তার জীবনের নিরাপত্তা ও থাকার অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা দ্বন্দ্ব ও বিরোধের পরিণতিতে নিহত হন। রাজনীতিতে পালাবদল ঘটে।

শেখ হাসিনা দলীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবন ঘটানো এবং দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারাসহ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। তবে ৭৫-এর ঘাতকদের একটি অংশ দেশের অভ্যন্তরে থেকে সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি, ষড়যন্ত্র ইত্যাদি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখে।

এই শক্তি মূলত ১৫ আগস্ট উদযাপনে বার বার বাধা দিচ্ছিল, ফ্রিডম পার্টি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ফ্রিডম পার্টি তথা ৭৫-এর ঘাতক গোষ্ঠী অনেকটাই প্রকাশ্যে আওয়ামীবিরোধী তৎপরতা, শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে তার বাসভবনসহ বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ সংঘটিত করে।

১৯৯৬ সালে সব বিরোধী দলের বর্জন করা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে একতরফা নির্বাচন সম্পন্ন করে। ফ্রিডম পার্টির নেতা কর্নেল আব্দুর রশিদকে বিরোধীদলীয় নেতা করা হয়। এর মাধ্যমে বিএনপির সঙ্গে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ঘাতকদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা স্পষ্ট হয়ে যায়।

এর আগে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে (১৯৯১-১৯৯৬) ৭৫ ঘাতকদের অনেককেই যেমন বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়, প্রশাসন ও রাজনীতিতেও প্রতিষ্ঠিত করা হয়। বিএনপিসহ ৭৫-এর ঘাতকদের ধারণা ছিল বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ কখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারবে না। কিন্তু ৯৬ সালে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর তাদের সেই ধারণা ভেঙে যায়। তখন তারা উগ্র ধর্মান্ধ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ গোষ্ঠীর সহযোগিতা নিয়ে শেখ হাসিনাকে কোটালিপাড়ায় হত্যার চেষ্টা করা হয়।

২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একের পর এক বোমা হামলা, নেতা কর্মীদের হত্যা, দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা ইত্যাদি সংঘটিত হতে থাকে। বোঝাই যাচ্ছিল ৭৫-এর ঘাতক এবং পরবর্তীকালের উগ্র, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী , স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তির সঙ্গে দলগতভাবে বিএনপি, সরকার ও প্রশাসনের একটি অংশ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হত্যা করার গোপন পরিকল্পনা একের পর এক বাস্তবায়ন করে যাচ্ছিল। সেই সময়ে দেশে এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে আওয়ামী লীগ পিছপা হচ্ছিল না। সরকারও আওয়ামী লীগকে মাঠে এবং রাজনীতিতে কোনোভাবেই সহ্য করছিল না।

এমনকি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত একটি জনসভায় বক্তৃতাকালে বলেছিলেন যে, শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী তো দূরেই থাক, বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারবে না। তার এই হুমকির অর্থ বোঝার জন্য খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও আওয়ামী লীগের ওপর হামলার প্রতিবাদস্বরূপ ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ একটি প্রতিবাদ সমাবেশ আহ্বান করে। সমাবেশ স্থল আওয়ামী লীগ অফিস থেকে বেশ দূরে নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে কোনো মঞ্চ তৈরি করতে দেয়নি, আওয়ামী লীগকে কেন্দ্রীয় অফিসের পাশে একটি ট্রাকে মঞ্চ সাজিয়ে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয়। এটি ছিল নেপথ্যের শক্তির কারো কারো নির্দেশনা।

আওয়ামী লীগ সেখানেই হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ট্রাকের ওপর মঞ্চ বানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে। দলীয়প্রধান এবং সংসদে বিরোধী নেতা শেখ হাসিনার বক্তৃতার শেষ শব্দ সমাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিকভাবে ১১টি আর্জেস বোমা ট্রাকটি লক্ষ্য করে নিকটস্থ ভবনগুলো থেকে নিক্ষেপ করা হয়।

ঘটনার আকস্মিকতায় সকলেই হতবিহবল এবং মাটিতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন। চারদিকে আর্তচিৎকার, একের পর এক বোমার মুহুর্মুহু আওয়াজে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সৌভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মানবব্যূহের কারণে বেঁচে যান। তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নেয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে পেছন থেকে গুলি করা হয়। এতে তার দেহরক্ষী মাহবুব প্রাণ হারালেও শেখ হাসিনাকে গাড়িতে তুলে দিতে তিনি সক্ষম হন। দ্রুত গাড়ি স্থান থেকে ত্যাগ করলেও পেছন থেকে আরও কিছু গুলি গাড়িতে এসে লেগেছিল।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সেদিন ইতিহাসের আরেক নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ঘটনাস্থলেই ১২ জন প্রাণ হারান, হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ১২ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং গুরতর আহত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমান দুইদিন পর মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় ৪ শতাধিক নেতাকর্মী আহত ও স্প্লিন্টার বিদ্ধ হন। যাদের কেউ কেউ স্প্লিনটারের যন্ত্রণায় পরে মৃত্যুবরণ করেন।

এই সমাবেশে নিক্ষিপ্ত বোমাসমূহ ছিল আর্জেস। যা পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ব্যবহার করত। অবিস্ফোরিত একটি আর্জেস বোমা ঘটনাস্থলেই ছিল। আরেকটি বোমা ঢাকার জেলখানায় পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব আলামত হিসেবে সংরক্ষণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করে দেয়। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক বোমা আক্রমণ। এর লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ট্রাকের ওপর অবস্থানকারী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকেও একসঙ্গে হত্যা করা।

সবচাইতে দুঃখজনক হলো- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন কারো পাশে দাঁড়ায়নি, আহত কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। ঢাকা মেডিক্যাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে দায়িত্বরত বিএনপি ও জামায়াতসমর্থিত ডাক্তাররা মুহূর্তের মধ্যেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তারা এসব আহত রোগীর পাশে দাঁড়াননি। তাদের মানসিকতায় আওয়ামীবিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া এটিকে অন্য কোনো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

অপরদিকে থানাতেও কোনো মামলা নেয়া হচ্ছিল না। তবে কয়েকজন থানা পর্যায়ের নেতাকে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্ট থাকার স্বীকারোক্তি আদায়েরও চেষ্টা করা হয়। ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই বোমা হামলার নিন্দা করে কোনো বিবৃতি দেননি, সংসদের অধিবেশনেও কোনো আলোচনা উত্থাপন করতে দেয়া হয়নি।

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এটিকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে বলা হয় যে, বিরোধীদলীয় নেত্রী তার ভ্যানিটি ব্যাগে এসব বোমা বহন করে সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। বোমা হামলার ঘটনার তদন্তের জন্য ২২ আগস্ট বিচারপতি মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। তিনি তার প্রতিবেদনে প্রতিবেশী দেশের বড় কোনো শক্তি এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে যে অভিমত প্রকাশ করেন তা সবাইকে বিস্মিত করেছে। জোট সরকার ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অত্যন্ত হাস্যকরভাবে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজায়।

জজ মিয়া সেই সময় গুলিস্তান সিনেমা হলের পাশে পোস্টার ও ক্যাসেট-বিক্রেতা ছিলেন। তাকে মূল আসামি সাজিয়ে এত বড় হত্যাকাণ্ডের যে প্রচার দেয়া হচ্ছিল সেটিও ছিল একবারেই বালখিল্য। জোট সরকার পুরো ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য গণমাধ্যমে অবিরত মিথ্যাচার, অযৌক্তিক এবং আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। এমনকি বিদেশ থেকে আগত তদন্তকারীদেরও সরকার তদন্তে কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি। নিজেরাও কোনো ধরনের সুষ্ঠু তদন্তের উদ্যোগ নেয়নি। কোনো মামলাও সেভাবে হতে দেখা যায়নি। জোট সরকারের গোটা শাসনামলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।

১-১১-এর সামরিকসমর্থিত সরকার ২১ আগস্টের ঘটনার একটি তদন্ত সম্পন্ন করে যে চার্জশিট সম্পন্ন করে, তাতে মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এরপর ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার গঠিত হওয়ার পর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সরকারের আবেদন আদালত মঞ্জুর করলে নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে সেই সময়ের বিভিন্ন সংস্থা সরকারের গুরত্বপূর্ণ মন্ত্রী, ব্যক্তি এবং জঙ্গিবাদী নানা গোষ্ঠীর সমন্বয়ে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, আর্জেস গ্রেনেড পাকিস্তান থেকে আনা, প্রশিক্ষণ দেয়া, আর্জেস নিক্ষেপের ক্ষেত্র তৈরি করা, পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যা যা করণীয় প্রয়োজন তার সবকিছুই উন্মোচিত হয়ে যায়।

নতুন করে মামলা সেভাবেই আদালতে অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে দেয়া চার্জশিটের শুনানি চলতে থাকে। ঘটনার ১৪ বছর ১ মাস ২০ দিন পর অবশেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করা হয়। এতে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মৃত্যুদণ্ড ও কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম প্রমুখ। এছাড়া বিএনপি নেতা তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়।

২১ আগস্টের এই হত্যাকাণ্ড ছিল সরকারের শীর্ষ মহলের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ নজরদারিতে সন্ত্রাসীদের অংশগ্রহণে পরিচালিত আর্জেস গ্রেনেড হামলা। এটি মূলতই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছিল। এমন ষড়যন্ত্র রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পৃথিবীর কোনো দেশে সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না। কিন্তু ২০০৪ সালে বাংলাদেশে সরকারি পরিকল্পনা মোতাবেকই সেটি সংঘটিত হয়েছিল। এটিই ছিল ৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডকে পূর্ণতা দান করা। সেটি ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু ঘাতকরা থেমে নেই।

লেখক: গবেষক-অধ্যাপক।

এ বিভাগের আরো খবর