আগস্ট যেন বাংলাদেশের জন্য এক চরম বিপর্যয়ের মাস। সেই যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নৃশংস ঘটনা, তারপর একে একে ভয়াল বিপর্যয় নিয়েই এসেছে আগস্ট। মুক্তিযুদ্ধবিজয়ী এই রাষ্ট্রকে পেছনের দিকে ঠেলেছে আগস্ট। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে প্রগতিশীল বাংলাদেশ যে অন্ধকার পথে ধাবিত হয়েছিল, সেই বাংলাদেশকে অন্ধকার থেকে পরিপূর্ণ আলোতে আর কখনও আনা যায়নি। যায়নি বলেই সামরিক শাসন, মৌলবাদ- জঙ্গিবাদ তথা ধর্মান্ধতার সন্ত্রাস থেকে আজও মুক্ত হয়নি মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার রক্তফসল এই দেশ।
পৃথিবীর বহু দেশে যুগে যুগে সরকারপ্রধান তথা রাষ্ট্রপ্রধান নিহত হয়েছেন ঘাতকের হাতে কিংবা অভ্যুত্থানে, কিন্তু তাতে কোনো রাষ্ট্রেরই মৌলিক দর্শন পরিবর্তিত হয়ে যায়নি, তাতে শুধু আমূল পরিবর্তন ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
যে ধর্মান্ধতা, সামরিকতন্ত্র আর মৌলবাদের বিরুদ্ধে, শাসন- শোষণের বিরুদ্ধে ২৩ বছর লড়াই করে বঙ্গবন্ধু তার জনগণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং লাখ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজতান্ত্রিক দর্শনের কৃষক-শ্রমিকের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই রাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে একেবারেই বিপরীত পথে যাত্রা করে!
পতাকা আর নামটি ছাড়া পঁচাত্তরের পরের বাংলাদেশ যেন পাকিস্তানেরই আরেক সংস্করণে পরিণত হয়! বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর বাংলাদেশকে তার হারানো মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় পথে ফেরানোর চেষ্টা আবার শুরু হয়। সে চেষ্টা সাফল্যের মুখ দেখে ১৯৯৬ সালের জুনে, আওয়ামী লীগের সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে।
দীর্ঘ ২১ বছর পরে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল চিন্তার পথ ধরে বাংলাদেশ পরিচালিত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলতেই থাকে। সেই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই বার বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। গত ৪০ বছরে প্রায় ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এই হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নেরই চূড়ান্ত অপচেষ্টা হয়েছিল ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট।
সেদিন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি এবং জঙ্গিদের সম্মিলিত প্রয়াসে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা আর্জেস গ্রেনেড দিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।
বঙ্গবন্ধুতনয়া তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সকল শীর্ষনেতাসহ একই সঙ্গে হত্যার সেই ভয়ংকর অভিযান পরিচালিত হয়েছিল সেদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক সন্ত্রাসবিরোধী আলোচনা সভায়।
এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সালের জুন পর্যন্ত যে সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করেছে, তারা সবাই পাকিস্তানি মডেলে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। পাকিস্তানের মতো এ দেশেও ধর্মীয় মৌলবাদ এবং সামরিকতন্ত্র ক্রমাগত বিকশিত হয়েছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সব অঙ্গনে ক্ষমতায়িত হয়েছে এই দর্শন। ফলে সব সময়ই তারা সহযোগী শক্তি হিসেবে সশস্ত্র জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদী শক্তিকে ব্যবহার করেছে।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সশস্ত্র ভূমিকা পালনকারী পাকিস্তান বাহিনীর অনুচর এই ধর্মীয় রাজনীতির ধারকেরা ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির চেয়েও বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিল।
মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি ও জামায়াতের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর ব্যাপক উত্থান ঘটে। হরকাতুল জিহাদ, জামায়াতুল মুজাহিদিনসহ জঙ্গি সংগঠনগুলোর প্রবল উত্থানে বাংলাদেশ যেন আরেক আফগানিস্তানে পরিণত হয়ে যাচ্ছিল! পাশাপাশি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ঢাকাতেই তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যাপক অপতৎপরতা শুরু করে। তৎকালীন সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে।
একুশে আগস্টে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে একসঙ্গে হত্যার জন্য ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা জঙ্গি-মৌলবাদী এবং পাকিস্তানপন্থিদের সম্মিলিত উত্থানের চূড়ান্ত রূপ। সেই ভয়ংকর হামলার পূর্বাপর ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে যারা হত্যা-ক্যুর রাজনীতি এদেশে শুরু করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে, তাদের অনুসারীরাই একুশে আগস্ট ‘অলআউট’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে।
ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪জন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছিলেন এবং প্রায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেনেডে আহত হন! যারা বেঁচে আছেন, অনেকেই শরীরে স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা বহন করে চলেছেন!
একুশে আগস্টের কুশীলব এবং যারা নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন, সেই অপরাধীদের সকলেরই মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেছে এই মামলার বিচারের মধ্য দিয়ে। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডসহ নানা মেয়াদের শাস্তি প্রদান করেছে আদালত। যদিও সেই রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। উচ্চ আদালতে আপিলসহ দুটি মামলাই এখনও চূড়ান্ত বিচারের অপেক্ষায়।
একুশে আগস্টের ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এই প্রথম দেখল একটি দেশে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনায় প্রকাশ্য দিবালোকে কী নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য হামলা হতে পারে, যেখানে এত মানুষ হতাহত! শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থলের ব্যবহৃত-অব্যবহৃত গ্রেনেডসহ সমস্ত আলামত ঘটনার পর পরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়েই নষ্ট করে ফেলা হয়।
একজন সাধারণ নাগরিক, সুদূর নোয়াখালীর প্রত্যন্ত গ্রামের জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে গল্প ফাঁদা হয়েছিল এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা সাজিয়ে! হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পূর্ণ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার জন্য। এর সবকিছুই করা হয় সামরিক-বেসামরিক একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে। যতই বিস্ময়কর হোক, এটাই ছিল বাস্তবতা। বিচার বিভাগীয় তদন্তের নামে এক সদস্যের জয়নাল আবেদিন কমিটি যে প্রহসনের তদন্ত করেছিলেন, তা এখন গণমাধ্যমে কলঙ্কিত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
জজ মিয়াকে দিয়ে যে আষাঢ়ে গল্প তৈরি করা হয়েছিল, তা দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লে শেষ পর্যন্ত ২০০৮ সালে জজ মিয়াকে বাদ দিয়ে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজমিয়া।
পরবর্তীকালে তদন্তে বেরিয়ে আসে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জন্য তৈরি এসব গ্রেনেড এবং টাকার উৎস ছিল পাকিস্তান। হরকাতুল জিহাদের একসময়ের আমির এবং চারদলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকেই গ্রেনেড নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল জঙ্গিরা।
এর সঙ্গে একাধিক মন্ত্রী, এমপি এবং হাওয়া ভবনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। হরকাতুল জিহাদনেতা মুফতি হান্নানের আদালতের দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সেই হামলার পূর্বাপর সব ঘটনা শুনলে যে কেউ চমকে উঠবেন! যা এখন ইউটিউবসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাওয়া যায়।
১৫ আগস্ট ৭৫ থেকে ২১ আগস্ট ২০০৪ একই সূত্রে গাঁথা, সেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতিই অব্যাহত। দেশ থেকে যদি এই বিধ্বংসী রাজনীতির অবসান হতো, তাহলে সম্ভাবনা থাকত একটি আদর্শ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের। বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতকেরা মনে করেছিল যে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের রাজনীতি চিরতরে শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা কল্পনাও করতে পারিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার দুই কন্যা বিদেশ থেকে এই বাংলায় কোনোদিন ফিরে আসতে পারবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের দৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে দেশব্যাপী অবস্থান মূলত আওয়ামী লীগকে আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি রচনা করে দিয়েছে। এর কৃতিত্ব অনেকখানি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। কারণ তিনি আওয়ামী লীগের ঐক্যের একমাত্র প্রতীক।
সুতরাং তাকে হত্যার চেষ্টা অতীতে হয়েছে, এখনও হচ্ছে, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিনই হবে। কথায় বলে: রাখে আল্লাহ মারে কে! বাংলাদেশের রাজনীতি যদি বদল না হয়, জামায়াত কোনোদিন বদলাবে না, কিন্তু বিএনপি বদলাতে পারত, সে সুযোগ ছিল তাদের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণহীন সমাজ গড়ার মহত্তম আদর্শের রাজনীতিতে যদি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারত, তা হলে অনেক ইস্যুতে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে এদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বাংলাদেশে যারা বিএনপিপন্থি রাজনীতি করেন তাদের অন্তরে সেই শুভবুদ্ধির উদয় এখনও হয়নি। তার সে কারণেই তারা অন্ধকারের রাজনীতি তথা মৌলবাদীদের সঙ্গে নিয়ে চলার রাজনীতিতেই বিশ্বাসী।
প্রগতিবিরোধী ধর্মান্ধ তালেবান, আল-কায়েদার অনুসারীরা এখনও এদেশের স্লোগান দিয়ে চলেছে সেই শক্তির বলেই। বিদেশি নাগরিক হত্যা, হলি আর্টিজান হামলার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের হত্যা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খ্রিস্টান ধর্মযাজক, হিন্দু পুরোহিতের মতো একেকটি স্পর্শকাতর হত্যাকাণ্ড ঘটে যায় একটাই লক্ষ্য সামনে রেখে, আওয়ামী লীগের সরকার উৎখাত করা, শেখ হাসিনাকে নিশ্চিহ্ন করা
আধুনিক পোশাকে যারা স্বাধীনতাবিরোধীদের আদর্শের রাজনীতি করেন, শুধু এই রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষদের কারণে বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে চায় পাকিস্তানসহ বিভিন্ন শক্তি ও তাদের অনুচররা। বাংলাদেশে আল কায়দা আছে এই অপপ্রচার চালিয়ে, ষড়যন্ত্র করা হয় বিদেশি হস্তক্ষেপের।
এরকম ভয়ংকর বাস্তবতায়ই চলছে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত জাতীয় রাজনীত। যে কারণে প্রগতিবিরোধী ধর্মান্ধতার অনুসারীরা এদেশের রাষ্টীয় আদর্শের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে চলেছে ১৯৭৫ সাল থেকে। বিএনপি একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল! কই একবারও তো তাদের দলীয়প্রধানকে হত্যার কোনো চেষ্টা হয়নি! অথচ যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তখনই বোমা-গ্রেনেড হামলা, নানামুখী সন্ত্রাস আর দলকে নেতৃত্বশূন্য করতে হত্যাচেষ্টা।
রাজনীতিতে এরকম শত্রু হয়ে দাঁড়ায় যে বিরোধী প্রতিপক্ষ সেই প্রতিপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আর যা-ই হোক গণতন্ত্রের পথে চলা যায় না। বাংলাদেশ এখনও সেই অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়ছে, যে অন্ধকার অবসিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যে কারণে গণতান্ত্রিক সমঝোতাপূর্ণ একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা স্বাধীনতার ৫০ বছরেও প্রতিষ্ঠিত হলো না এদেশে। কারণ সেই পথে একাত্তরের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িকতাদুষ্ট চিরশত্রুর দর্শনগত কাঁটা বিছানো।
আজ হোক, কাল হোক, একদিন না একদিন বাংলাদেশকে সেই কণ্টকমুক্ত হতে হবেই। তা না হলে লাখো শহিদের রক্তের স্মৃতিস্নাত বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার এই অভিযান অব্যাহত রাখা যাবে না।
লেখক: কবি ও সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক পরিচালক (বার্তা) বিটিভি।