বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গমাতা বিশ্বের সংগ্রামী নারীদের সাহস ও অনুপ্রেরণা

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২১ ১৮:০১

বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন বেগম মুজিব। ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক অনুপ্রেরণাদাত্রী হয়ে থাকবেন। টুঙ্গীপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর নাম বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে সহযোগিতা করে গেছেন। প্রাণপ্রিয় স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মতো অনুসরণ করেছেন। আদর্শ বাস্তবায়নে জীবনে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লক্ষ থেকে সরে আসেননি।

জাতির পিতা কারাবন্দির সময়ে কিংবা যেকোনো সংকটকালে বঙ্গমাতা পালন করতেন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা। দলের কোনো নেতা না হয়েও তিনি ছিলেন প্রতিটি নেতাকর্মীর আশ্রয়স্থল। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে যখনই দল কোনো সিন্ধান্তহীনতায় পড়ত তখনই বঙ্গমাতার সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সিন্ধান্তে চাঙা হয়ে উঠত দল।

বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছিলেন বেগম মুজিব। ইতিহাসে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অন্যতম এক অনুপ্রেরণাদাত্রী হয়ে থাকবেন।

টুঙ্গীপাড়ার খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

১৯৪২ সালে তরুণ শেখ মুজিব ভর্তি হন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে। সেখানেই রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে। একজন বিবাহিত ব্যক্তির স্ত্রীর সহযোগিতা ছাড়া রাজনীতি করা খুবই দুরূহ ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে বেগম মুজিব কখনও বাধা হয়ে দাঁডাননি বরং সহায়ক শক্তি হয়ে সবসময়ই হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্বামী শেখ মুজিবের যখনই অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হতো তখনই তার কাছে সঞ্চিত অর্থ গোপনে পাঠিয়ে দিতেন। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু নিজেই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেছেন-

“রেণু খুব কষ্ট করত কিন্তু কিছুই বলতো না। নিজে কষ্ট করে আমার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করে রাখত। যাতে আমার কষ্ট না হয়।”

বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গণ্ডি বেশি দূর না হলেও ছিলেন অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী ও রাজনৈতিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকায় স্বামীসঙ্গ থেকে ছিলেন বঞ্চিত। এই সময়টাতে তিনি বই পড়ে কাটিয়েছেন। তার বইপড়ার প্রতি ছিল প্রচণ্ড নেশা। পরবর্তীকালে দেশের সংকটে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেটা প্রচুর বই পড়ারই ফসল।

’৫৪ সালের ১০ মার্চ, বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের সদস্য নির্বাচিত হলে বঙ্গমাতা টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঢাকায় এসে রজনী বোস লেনে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। ১৫ মে, বঙ্গবন্ধু কৃষি উন্নয়ন, বন ও সমবায়মন্ত্রী নিযুক্ত হলে সরকারি বাসভবনে উঠলেও পাকিস্তান সরকার পূর্ববাংলা মন্ত্রিসভা বাতিল করে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করলে খুব স্বল্প সময়ের নোটিশে সরকারি বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। সে কালে শেখ মুজিবের পরিবার জানলে কেউ বাসা ভাড়া দিতে সাহস করত না। ৫৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, বঙ্গবন্ধু শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও ভিলেজ এইড মন্ত্রী হন। মন্ত্রীর চেয়ে দলের সাংগঠনিক কাজকে প্রাধান্য দিয়ে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই নিয়ে বঙ্গমাতার কোনো অনুরাগ, অনুযোগ ছিল না। বরং হাসি মুখে স্বামীর পাশে থেকে সব সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে গেছেন।

পরিবারের বার বার বাসা বদলানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে বাড়ি করার সিন্ধান্ত নেন বঙ্গবন্ধু। নিজের কাছে সঞ্চিত কিছু টাকা, হাউজ বিল্ডিং থেকে ঋণ ও বাকিটা ধারদেনা করে ১৯৬১ সালে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বাড়িটি করেন। এই বাড়ি নির্মাণেও বঙ্গমাতার অনেক কষ্ট ও শ্রম জড়িয়ে রয়েছে। বাড়িটির প্রতিটি ইট, বালু, পাথরের সঙ্গে মিশে আছে বঙ্গমাতার স্নেহমাখা পরশ। সব কাজ তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতেন। খরচ বাঁচানোর জন্য নিজের হাতে পানি দেয়া, ইট ভেজানোসহ বহু শ্রম, যত্ন ও মমতা দিয়ে বত্রিশ নম্বরের বাড়িটি নির্মাণ করেন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর বাড়িতে ওঠেন বঙ্গবন্ধু পরিবার। এরপর এই বাড়িটিই হয়ে ওঠে বাঙালির আপন ঠিকানা। এ বাড়ি থেকেই পরিচালিত হতো দলীয় দিকনির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর কারাগারে থাকার সময় এই বাড়িতেই ছুটে আসতেন নেতাকর্মীরা। বেগম মুজিব নেতাকর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় নির্দেশনা এ বাড়ি থেকেই পৌঁছে দিতেন।

’৬৬-এর ৫ ফেব্রুয়ারি, বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করেন। ৮ মে, নারায়ণগঞ্জে ছয় দফার সমর্থনে জনসভা করে ঘরে ফেরার পর গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় ছয় দফা না আট দফা বিভ্রান্তিতে অনেক নেতাও আট দফার পক্ষে কথা বলেন। ছয় দফা থেকে একচুলও নড়া যাবে না- বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশ বাস্তবায়নে বঙ্গমাতা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। ছয় দফার সমর্থনে বোরকা পরে গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে নেতাকর্মীদের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা পৌঁছে দিতেন।

১৯৬৮ সালে বঙ্গবন্ধুসহ পঁয়ত্রিশ বাঙালি সশস্ত্র বাহিনী পদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র্রদ্রোহের অভিযোগ এনে মামলা করে পাকিস্তান সরকার। যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হিসেবে পরিচিত। এ মামলায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হলে সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তান সরকার বেগম মুজিবকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এমনকি গ্রেপ্তারেরও হুমকি দেয়। কিন্তু অবিচল বেগম মুজিব সব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলনকে বেগবান করতে একদিকে নির্দেশনা অন্যদিকে আইনি মোবাবিলার জন্য অর্থসংগ্রহে নেমে পড়েন। মামলা পরিচালনার জন্য লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী স্যার টমাস উইলিয়ামকে। একপর্যায়ে আইয়ুব সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়ে আরেকটি কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়ান বেগম মুজিব।

লাহোরে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য শেখ মুজিবকে প্যারোলে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিম পাকিস্তান সরকার। কিন্তু প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বেঁকে বসেন বেগম মুজিব। তিনি জোরালো আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘কোনো প্যারোল নয়, নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।’

বেগম মুজিব বুঝতে পেরেছিলেন পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে পাকিস্তান সরকার শেখ মুজিবকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। এমনকি বেগম মুজিব কারাগারে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, তিনি যেন প্যারোলে মুক্তি নিয়ে লাহোর বৈঠকে না যান। এ-ও বলেন, শেখ মুজিবের ব্যাপারে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ। পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে। বঙ্গমাতার পরামর্শেই বঙ্গবন্ধুও প্যারোলে মুক্তিতে অসম্মতি জানান। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই সেদিন প্যারোলের পক্ষে ছিলেন।

শেখ মুজিবসহ রাজবন্দিদের মুক্তির আন্দোলন দেশজুড়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সরকার পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে তিনি মুক্তি দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দিয়ে বরণ করে নেয় বাঙালি জাতি। শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের সঠিক ও সময়োচিত সিন্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পথ বদলে দিয়েছিল। রাজনৈতিক দূরদর্শী বেগম মুজিব যদি সেদিন এই সিন্ধান্ত না নিতেন তাহলে কখনও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হতো না, বাংলাদেশও হয়তো স্বাধীনতার স্বাদ পেত না।

৭ মার্চের ভাষণ, যে ভাষণের ফলে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র হয়েছিল, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল। সেই ভাষণের প্রেক্ষাপটেও ছিল বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণা। একদিকে নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার প্রচণ্ড চাপ অন্যদিকে শাসক গোষ্ঠী থেকে হুঁশিয়ারি স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হলে পুরো রেসকোর্স ময়দানে রক্তবন্যা বয়ে যাবে। এমন সময় বঙ্গমাতার অনুপ্রেরণায় বঙ্গবন্ধুকে ঐতিহাসিক ভাষণ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। বঙ্গমাতার বড় কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেদিনের স্মৃতিচারণ করে একটি বক্তব্যে বলেছেন-

“জনসভায় যাওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে আব্বা কাপড় পড়ে তৈরি হবেন, মা আব্বাকে নিয়ে ঘরে এলেন। দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে আব্বাকে বললেন ১৫ মিনিট চুপচাপ শুয়ে থাকো। আমি আব্বার মাথার কাছে বসে মাথা টিপে দিচ্ছিলাম। মা বেতের মোড়াটা টেনে আব্বার কাছে বসলেন।

যেকোনো বড় সভায় বা গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাওয়ার আগে আমার মা আব্বাকে কিছুক্ষণ একদম নিরিবিলি রাখতেন। মা আব্বাকে বললেন, সমগ্র দেশের মানুষ তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। তোমার মনে যে কথা আসে তুমি তাই বলবে। অনেকে অনেক কথা বলতে বলেছে। তোমার কথার উপর সামনের অগণিত মানুষের ভাগ্য জড়িত।”

বঙ্গমাতার এই কথাই টনিক হিসেবে কাজ করে। রাজনীতির কবি মঞ্চে উঠে শুনিয়েছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায় অমর কবিতা খানি, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বাকিটা তো ইতিহাস। এই ভাষণই হয়ে উঠলো স্বাধীনতার ঘোষণা। আজ এই ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যেরও অংশ।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিতা নারী যখন সমাজের বঞ্চনার শিকার হতে থাকে তখন তাদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসেন বঙ্গমাতা। নিজ উদ্যোগে অসংখ্য বীরাঙ্গনাদের বিয়ে দেন। বঙ্গমাতা বীরাঙ্গনাদের উদ্দেশে বলেন-

“আমি তোমাদের মা। তোমাদের জন্য জাতি আজ গর্বিত। তোমাদের লজ্জা কিংবা গ্লানিবোধের কোনো কারণ নেই।”

কেননা তোমরা প্রমাণ করেছ যে, বাংলাদেশ বিনির্মাণে কেবলমাত্র পুরুষরাই নয়, নারীরাও সমান অংশীদার।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অবিছিন্ন সত্তা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে বঙ্গমাতা ঘাতকদের কাছে নিজে একবারও বাঁচার জন্য আকুতি জানাননি। বরং ঘাতকদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা আমাকে এখানেই মেরে ফেল।” তিনি সারা জীবনের মতো মরণেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হয়ে রইলেন।

বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। আর সেটা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয়, একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর জীবনসঙ্গী হিসেবেই নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী এমনকি পরামর্শক হিসেবেও আজীবন ছায়াসঙ্গী ছিলেন। তিনি ছিলেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম অগ্রদূত। বাংলার এই মহীয়সী নারী ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। আজ বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।

লেখক: সদস্য,সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা।

এ বিভাগের আরো খবর