বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তানের কাশ্মীর বধ, নাকি উগ্রবাদের জন্ম

  • ফারাজী আজমল হোসেন   
  • ৩ আগস্ট, ২০২১ ১০:০৭

সম্প্রতি ইমরান খান বলেছেন, ‘তালিবানরা জঙ্গি নয়, সাধারণ নাগরিক’। তার এই মন্তব্যের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। পাকিস্তানের একমাত্র বন্ধু চীন আফগানিস্তানে তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। চীনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ইস্যু নিয়ে জঙ্গিদের শান্ত রাখতে দেশটি তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। এই তালেবান গোষ্ঠী জঙ্গিদের কারণে পাকিস্তানেও বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইমরান খান তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। এর মূল কারণ চীন।

জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি কিছুতেই ভুলতে পারছে না পাকিস্তান। বিগত ৭৩ বছর ধরে কাশ্মীর ইস্যুতে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো এবং উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কাশ্মীরে লেলিয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কিছু ক্ষেত্রে জম্মু-কাশ্মীরে জীবিত উদ্ধার হওয়া জঙ্গিরা তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তানের নামও নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কাশ্মীরে যেকোনো অস্থিরতার জন্য ভারতকে দায়ী করে আসছে দেশটি।

স্বাধীন কাশ্মীর রাষ্ট্রে যুদ্ধবহর নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রথম এই অঞ্চলের স্বাধীনতা হরণ করে পাকিস্তান। এরপর তারা তাদের দখল করা কাশ্মীর অঞ্চলের নাম দেয় ‘আজাদ কাশ্মীর’ অর্থাৎ স্বাধীন কাশ্মীর। কিন্তু পাকিস্তানের দখল করা সেই আজাদ কাশ্মীরের মানুষ আজ স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করছে। তাদের ন্যূনতম অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত ঝরাচ্ছে। গত একমাসে আজাদ কাশ্মীরে বিভিন্ন আন্দোলনে তিনজনের বেশি তরুণের নিহতের খবর পাওয়া গেছে। কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, বরং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চালিয়েছে এই হত্যাকাণ্ড। এই অঞ্চলের মানুষের ন্যূনতম অধিকার এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পাকিস্তান।

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সংবিধানে বিশেষ ধারা ‘৩৭০’ বিলোপ করা হয়। এরপর থেকে এই অঞ্চলের উন্নয়নে মনোযোগ দেয় ভারত। কিন্তু এই ৫ আগস্টকে ঘিরে অপপ্রচারের বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে ওই দিনকে ‘নিপীড়ন দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্যে জনমত গঠনে বিশ্বব্যাপী পাকিস্তানের বিদেশি মিশনগুলোতে এক বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছে তারা। আধুনিক ডিজিটাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে বলা হয়েছে সেখানে। দিনটি সফলভাবে পালন করতে ‘ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন রেড ফর কাশ্মীর’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে তোলা হয়েছে। রেড ফর কাশ্মীর-এর পেছনে মূলত কাজ করছে ‘স্ট্যান্ড উইথ কাশ্মীর’ নামে একটি সংগঠন।

১৯৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে পাকিস্তান হামলা চালানোর আগে এই ইস্যুতে ভুয়া তথ্য প্রচারের জন্য সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়। এই সংগঠন উগ্র ওয়াহাবি মতবাদ প্রচারে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ থেকে ব্যাপক অর্থ সহায়তা পেয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

কথিত নিপীড়ন দিবস পালনের জন্য বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় মিশনগুলোর সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সেসব প্রচার করে ভাইরাল করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এ জন্যে একাধিক টুইটার অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ ও একটি নতুন ই-মেইলও খুলেছে সংগঠনটি। ৫ আগস্টে ভারতবিরোধী ওই প্রচারের জন্যে ইংরেজি এবং রোমান ভাষায় অন্তত ২০টি স্লোগান পাকিস্তানি বিদেশি মিশনে পাঠিয়েছে সংস্থাগুলো। এরমধ্যে রয়েছে ‘যম-ই-ইস্তেহসাল’, সংগ্রামী কাশ্মীরীদের সঙ্গে একাত্মতা দেখানোর দিন', 'কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ পাকিস্তানের সঙ্গে ও ‘কাশ্মীর হচ্ছে পাকিস্তানের ঘাড়ের শিরা’-এমন বেশ কিছু স্লোগান।

লন্ডনে ৫ আগস্টের কর্মসূচি সফল করতে কূটনৈতিক লাগেজে করে পাকিস্তানি বিদেশি মিশনে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের চিরকুট, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

গত ২৬ জুলাই পাকিস্তানের স্থানীয় নির্বাচনের পর দিন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকার শারদা এলাকায় ‘পয়েন্ট-জিরো’ রেঞ্জে আধাসামরিক বাহিনীর গুলিতে এক যুবক নিহত হয়। এ সময় পুলিশ জওয়ানসহ ২৫ জনেরও বেশি আহত হয়। এর আগে গত ২১ জুন টরেন্টো থেকে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে এসে হত্যার শিকার হন গোলাম আব্বাস নামে এক যুবক। তিনি ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (জম্মু ও কাশ্মীর)-এ মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে আন্ত-বিশ্বাস ও সম্প্রীতি প্রচারে কাজ করতেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য গত জুন মাসে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অর্থ জোগানের ওপর নজরদারি চালানো সংগঠন ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) আবারও দেশটিকে ধূসর তালিকাতে রেখেছে।

গত ২৫ জুন প্যারিসে অবস্থিত সংস্থাটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত জঙ্গি হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহারের মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেয়ার ফলে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের জুনে সন্ত্রাসে আর্থিক মদদ দেয়া ও আর্থিক দুর্নীতি রোধে যে ২৭টি শর্ত পাকিস্তানকে পূরণ করতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যা পাকিস্তান পূরণ করতে পারেনি।

লক্ষণীয় বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক খবরগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পাকিস্তানের কূটনীতিকরা শুধু সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গেই লিপ্ত নন বরং তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা ও সন্ত্রাসবাদী মনোভাবও প্রবল।

২০১৫ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ফারিনা আশরাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়। একই বছর ঢাকায় জাল নোট ব্যবহারের দায়ে আটক করা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের সহকারী ভিসা কর্মকর্তা মাজহার খানকে। এছাড়া কলম্বোর পাকিস্তান হাইকমিশনের ভাইস চ্যান্সেলর আমির জুবায়ের সিদ্দিকী সন্দেহভাজন জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ২০২০ সালে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের দুই কূটনীতিককে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০১ সালে নেপালের কাঠমন্ডুতে পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রথম সচিব মোহাম্মদ আরশাদ সিমাকে ১৬ কেজি আরডিএক্সসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া ২০১৪ সালে কলম্বোতে পাক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা কর্নেল শাহরিয়ার বাটকে হাইকমিশনের কার্যক্রমে নিয়মিত নজর রাখার অভিযোগে তাকে ওই দেশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পর্যালোচনা করলে আরও দেখা যায়, বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের দূতাবাসগুলোকে যেসব কূটনীতিকরা নিযুক্ত রয়েছেন তাদের বেশিরভাগই এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

২০১৮ সালের মে থেকে ওয়াশিংটনের কিছু জায়গায় পাকিস্তানি কূটনীতিকদের আনাগোনা বন্ধ ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে পাকিস্তানের বর্তমান প্রতিনিধি মুনির আকরামের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তার স্ত্রী। ২০১৪ দেশটির আরও দুই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে যুক্তরাজ্যে। এদিকে গত বছরের মে মাসে মানবপাচারের অভিযোগে জিম্বাবুয়ের হারারেতে গ্রেপ্তার হন পাকিস্তানি কূটনীতিক ওয়াকাস আহমেদ।

সম্প্রতি ইমরান খান বলেছেন, ‘তালিবানরা জঙ্গি নয়, সাধারণ নাগরিক’। তার এই মন্তব্যের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। পাকিস্তানের একমাত্র বন্ধু চীন আফগানিস্তানে তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। চীনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ইস্যু নিয়ে জঙ্গিদের শান্ত রাখতে দেশটি তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। এই তালেবান গোষ্ঠী জঙ্গিদের কারণে পাকিস্তানেও বেশ কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু তারপরও ইমরান খান তালেবানদের সমর্থন দিচ্ছে। এর মূল কারণ চীন।

পাকিস্তানের করিডর ব্যবহার করে তালেবানরা যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাতে পাকিস্তানের সরকার এবং ইসলামি মৌলবাদী শক্তিগুলোর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এমনকি তালেবানদের উগ্রবাদী আচরণকে সমর্থন জুগিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে যাচ্ছে পাকিস্তানের বিভিন্ন মৌলবাদী গোষ্ঠী। আফগানিস্তানকে তালেবানদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে ২০০১ ও সমসাময়িক সময়ে যেভাবে এশিয়া অঞ্চলে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসের রাজনীতির চর্চা করা হয়েছে তা আবারও পুনঃস্থাপন করতে চাচ্ছে পাকিস্তান, চীন ও তালেবান গোষ্ঠী।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা ও ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং পাকিস্তানের দখল করা কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। আর এই দাবিকে প্রতিহত করতে সামরিক বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী এবং জঙ্গিদের ব্যবহার করছে পাকিস্তান। নিজদেশে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে না পারা দেশটি আলোচনা করছে ভারতের কাশ্মীর নিয়ে!

গত দুবছরে কাশ্মীরের মানুষ পেয়েছেন নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা। তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। পর্যটন ও হর্টিকালচার (বাগান পালন) নির্ভর উন্নয়নে মিলছে সহযোগিতা। কর্মসংস্থান ও আয় বাড়াতে এ দুটি ক্ষেত্রকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত সরকার। আপেল, আখরোট, চেরি, নাশপাতি এবং ফুল চাষে সরকারি সহায়তায় স্থানীয়রা তাদের রোজগার তিন চার গুণ বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন। উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি হিমঘর নির্মাণ প্রক্রিয়াকরণ, উড়োজাহাজে ফসল দেশের অন্যত্র পরিবহনের সুবিধাও পাচ্ছে চাষীরা। ফলে উৎপাদিত পণ্যের বাজার পেতেও সুবিধা হচ্ছে তাদের।

তৃণমূল স্তরে মানুষের চাহিদা মেটাতে জেলা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তহবিল সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন। কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের দ্রুত রেল যোগাযোগ স্থাপনে সরকার ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। কোভিড মোকাবিলায় জম্মু ও শ্রীনগরে গড়ে উঠেছে দুটি ৫০০ শয্যার হাসপাতাল। কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা এইমস-এর মতো হাসপাতাল, ৭টি মেডিক্যাল কলেজ, একটি ক্যানসার হাসপাতাল, একটি হাড় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি শিশু হাসপাতাল হচ্ছে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ ছাড়াও মেট্রো রেল চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়নে গড়ে উঠছে আইটি হাব। গত সাত দশকের তুলনায় মাত্র দুবছরেই ব্যাপক উন্নয়নের স্বাদ পাচ্ছে কাশ্মীর।

জম্মু ও কাশ্মীরে উন্নয়নের পাশাপাশি দীর্ঘ বঞ্চনারও অবসান ঘটেছে। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের নাগরিকদের মতো সমান অধিকার ভোগ করছে সেখানকার মানুষ। নয় শতাধিক আইনি সুবিধা দেশের বাকি অংশের মতোই কাশ্মীরের মানুষও এখন ভোগ করছেন। তফশিলভুক্ত জাতি ও উপজাতি, অন্যান্য পিছিয়ে পরা সম্প্রদায়ের মানুষ, শিশু, সংখ্যালঘু, বনবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন পাচ্ছেন সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার অধিকার জম্মু ও কাশ্মীরেও প্রতিষ্ঠিত। কাশ্মীরি নারীরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের বিয়ে করলে তাদের স্বামী বা সন্তানরাও উপত্যকার স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা পাচ্ছে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে শরণার্থী হয়ে আসা মানুষগুলোকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর মিলেছে নাগরিকত্ব।

৩৭০ ধারা বিলোপের পর ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের মানসিক দূরত্ব আরও কমেছে। কাশ্মীরি বা মুসলিমদের কাছেও বড় হয়ে উঠেছে ভারতীয় পরিচিতি। তারা সব ক্ষেত্রে এখন নিজেদের অধিকার অর্জন করেছে। স্বাধীন নাগরিক হিসেবে সেখানে ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পক্ষান্তরে কতটা স্বাধীনতা উপভোগ করছে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর সাধারণ মানুষ?

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর