বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জয়ের জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা অভিনন্দন

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১৭:৪৯

সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেকে মায়ের রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় হয়ে ওঠার পর দূর থেকে মায়ের রাজনৈতিক সাফল্যের পেছনে সন্তান হিসেবে সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখতেন। কিন্তু তিনি কখনই নিজেকে মায়ের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে পারে এমন কোনো কাজে জড়িত হওয়া থেকে দূরে থাকছেন।

১৯৭০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের রাজনীতি ছিল সাধারণ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ। এই উত্তেজনাকর সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। তার ছিল না বিশ্রাম নেয়ার সময়। তারপরও পরিবারের সদস্যদের তিনি প্রতিদিনই ঘুমাবার আগে একনজর দেখে নিতেন, আদর করে দিতেন। বড়কন্যা শেখ হাসিনা প্রায়ই ধানমন্ডির বাড়িতে থাকতেন। সেই সময়ে জানতে পারেন ৭১-এর মাঝামাঝি তার কন্যা মা হতে যাচ্ছেন, তিনি নানা হতে যাচ্ছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি তার ছিল গভীর আগ্রহ।

তিনি এবং তার সহধর্মিনী মেয়ের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় সামান্যতম ত্রুটি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেন। ৭১ সালের শুরুতেই রাজনীতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে উঠল। মার্চে স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকে। সেই স্বাধীনতার পথ যে মসৃণ হবে না, সেটি তিনি তখন ভালো করেই জানতেন। তাই তিনি একদিন শেখ হাসিনাকে বললেন, অনাগত ভবিষ্যৎ সন্তানটি যদি হয় ছেলে তাহলে তার নাম হবে জয়। এরপর ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা শুরু, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার আগে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩২ নম্বর থেকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বন্দি করে রাখা হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্র পালিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে সীমান্তে পাড়ি জমান। বন্দি অবস্থায় ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলেতুন্নেছা মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও শিশু শেখ রাসেল। সেখানেই শেখ হাসিনা অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় থাকতে বাধ্য হন। অবশ্য বন্দি অবস্থায়ও থেকে তারা মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবর রাখতেন ও পেতেন। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে জুলাইয়ের ২৭ তারিখ শেখ হাসিনা একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। বন্দি পরিবারের সদস্যদের মুখে শত উৎকণ্ঠার মধ্যেও নবাগত এই শিশুর আগমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এবং আনন্দ ফিরে আসে। নাম তার ছিল পূর্বনির্ধারিত। যেন ২৬ মার্চ থেকে সূচিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের বার্তা নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল এই শিশুটি। ওর নাম থেকেই বঙ্গবন্ধু জানিয়ে দিয়ে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের জয় অবশ্যম্ভাবী।

স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নেতারা এমনই দূরদর্শী হন। বঙ্গবন্ধু যখন এই নামটির কথা উচ্চারণ করেছিলেন তখন দেশে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলবে এবং সেই স্বাধীনতার জয় আসবেই এমনটি তার দিব্যদর্শন ছিল। শিশুটিকে তাই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জয়ের প্রতীক হিসেবে নাম নির্ধারণ করে দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে আসতে পারবেন কি না তা নিশ্চিত ছিলেন না। তবে তার নাতির নাম জয় রেখে সবাইকে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন দেশটি স্বাধীন হবে, মুক্তিযুদ্ধের জয় ঘটবেই। বঙ্গবন্ধুর এমন স্বপ্নের বাস্তবায়ন ১৬ ডিসেম্বর ঘটেছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয়েছে। ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে এসে তিনি সাড়ে সাত কোটি মানুষের সঙ্গে আবেগঘনভাবে মিলিত হলেন। বাসায় ফিরে পরিবারের সদস্যদের সান্নিধ্য দিলেন, নিজের রেখে যাওয়া জয় নামের নাতিকেও কোলে তুলে নিলেন।

শিশু জয়ের পুরো নাম রাখা হলো সজীব ওয়াজেদ জয়। পিতা তার বিশিষ্ট পরমাণুবিজ্ঞানী এমএ ওয়াজেদ মিয়া। আণবিক কমিশনে বিজ্ঞান গবেষণায় তিনি কর্মরত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়িতে শেখ রাসেলও ছিলেন তখন একজন শিশু। তার বড় আপুর সঙ্গে যেমন ছিল নিবিড় সম্পর্ক তেমনি ভাগ্নে জয়ের সঙ্গে তার কাটত বেশ ভালো সময়। একসময় তার খেলার সাথিও হয়ে উঠলেন শিশু জয়।

বঙ্গবন্ধু খুব ভালোবাসতেন পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে। সেকারণে তার পুত্র-কন্যা, জামাতা, নাতি-নাতনীরা ৩২ নম্বর ছেড়ে খুব বেশি বাইরে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করত না। বঙ্গবন্ধু সবাইকে আদর-স্নেহ, ভালোবাসার পরশ দিয়ে আলিঙ্গন করতেন। তাতেই সবাই মুগ্ধ হতো, ভুলতে পারত না বঙ্গবন্ধুর আদর ও সোহাগ। কিন্তু শেখ হাসিনা জামাতা ওয়াজেদ মিয়াকে সপরিবারে দেশে বা দেশের বাইরে থাকার জন্য যেতে হতো।

ড. ওয়াজেদ মিয়া জার্মানিতে গবেষণায় রত থাকার সময় শেখ হাসিনাকে পুত্র জয় ও কন্যা পুতুলকে নিয়ে যেতে হয়েছিল। সেই সময় রাসেলেরও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছোট ছেলে রাসেলকে প্রতিদিনই একনজর দেখার মনোভাব পোষণ করতেন।

সেকারণে শেখ রাসেলের যাওয়া হয়নি। তবে শেখ রেহানা বড় বোনের সফরসঙ্গী হলেন। এর অল্প কদিন পরেই ঘটে গেল মানব ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাকাণ্ড। ১৫ আগস্টের সেই হত্যাকাণ্ডে ৩২ নম্বরে থাকা বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্যকেও বাঁচতে দেয়া হয়নি। যদি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, জয় ও পুতুল বিদেশে না থেকে ৩২ নম্বরেই অবস্থান করতেন তাহলে তাদের সকলেরই জীবন অন্যদের মতো কেড়ে নেয়া হতো এতে কোনো সন্দেহ নেই। শেখ রাসেল যদি ‘বড় বুবুর’ সঙ্গে সফরসঙ্গী হতে পারতেন তাহলে তাকে ওই নির্মম শিকারে পড়তে হতো না।

জার্মানিতে থাকার কারণে ড. ওয়াজেদ মিয়া, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রাণে বেঁচে গেলেন। কিন্তু দেশে ফেরা তাদের পক্ষে সেই সময়ে সম্ভব হলো না। জার্মানি থেকে তারা লন্ডন, লন্ডন থেকে ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতায় দিল্লিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার একটি চাকরির সুবাদে তাদের থাকার ব্যবস্থা হলো। জয় ও পুতুলের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে সেখানে। জয় নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করে চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করেন সেখানকার দ্যা ইউনিভার্সিটি ওফ ট্যাক্সাস এট আর্লিংটনে । পরে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সজীব ওয়াজেদ জয় পিতামাতার অনুগত ছেলে হিসেবে শিক্ষাজীবনকে বিশেষভাবে গুরত্ব দিয়েছিলেন। তার বোন সায়মা ওয়াজেদ পুতুলও লেখাপড়া, গবেষণা, সমাজ সচেতনতা এবং দেশপ্রেমকে সমানভাবে গুরত্ব দিয়েছেন। দুজনই নানা-নানি, বাবা-মা এবং উভয় পরিবারের বিশিষ্টতাকে গভীরভাবে ধারণ করেছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় নিজেকে মায়ের রাজনৈতিক জীবনে সক্রিয় হয়ে ওঠার পর দূর থেকে মায়ের রাজনৈতিক সাফল্যের পেছনে সন্তান হিসেবে সার্বক্ষণিক দৃষ্টি রাখতেন। কিন্তু তিনি কখনই নিজেকে মায়ের অবস্থানকে বিতর্কিত করতে পারে এমন কোনো কাজে জড়িত হওয়া থেকে দূরে থাকছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরকে একেবারে শৈশবে যেমন দেখেছেন, পরবর্তী সময়ে এই বাড়ির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার প্রতিহিংসা, নির্মমতা এবং ৭৫-এর নিষ্ঠুরতার সকল ঘটনাই জানতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা হলেও এদেশে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এবং নানা অপশক্তি বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া রাজনৈতিক দল এবং নিবেদিতপ্রাণ নেতাদের বিরুদ্ধেও গোপনে ও প্রকাশ্যে নানা ষড়যন্ত্র করে চলছে। তার মা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে চরম বৈরী পরিবেশে রাজনীতি ও দেশ পরিচালনার সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সুতরাং সজীব ওয়াজেদ জয় খুব ভালো করেই জানেন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী রাজনীতির ভয়ানক প্রতিহিংসা চরিতার্থকারীদের অবস্থান কতটা বিস্তৃত, নির্মম ও নিষ্ঠুর হতে পারে সেটি সম্পর্কে। তার মাকে হত্যা করার জন্য ১৯ বার ষড়যন্ত্রকারীরা আঘাত হেনেছিল। কোটালিপাড়ার বোমা পুঁতে রাখা আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিষয়টি সকলেরই জানার ও বোঝার বিষয়। এই দুই ষড়যন্ত্রের হাত থেকে শেখ হাসিনা দৈবক্রমেই বেঁচে গেছেন। তাকে প্রতিনিয়ত ঘাতকের বুলেট তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার হাল ধরেছেন। তিনিও পিতার মতোই যেকোনো মূল্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা তথা মিশন-ভিশন বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর অনেকেই ভেবেছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে ফিরে মায়ের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হবেন। কেউ কেউ মনে এমনটি চাইতেনও। কিন্তু শেখ হাসিনা যথার্থই বুঝতে পেরেছিলেন যে জয়কে রাজনীতিতে আসতে হলে বাংলাদেশের রাজনীতির নাড়ি-নক্ষত্র বুঝেই আসতে হবে। এজন্য তার অনেক প্রস্তুতির প্রয়োজন।

তাছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় সরাসরি পদ-পদবি গ্রহণ না করেও অপশক্তির নানা কুৎসা ও অপপ্রচারে যেভাবে ক্লিষ্ট হয়েছিলেন সেটি শেখ হাসিনা ভুলে যাননি। এখনও শেখ কামালের নামে যত অপপ্রচার ঘুরে বেড়াচ্ছে তা বিস্ময়কর বললেও কম বলা হবে। অথচ শেখ কামাল আপাদমস্তক একজন রাজনীতি সচেতন, সংগীত, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকচর্চায় নিবেদিতপ্রাণ উদ্যোক্তা ছিলেন। তার অবদানগুলোকে মুছে দেয়ার জন্য এই সমাজে বহু অপশক্তি এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা দিন বদলের সনদের রূপকল্প দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জাতির সম্মুখে হাজির করেছিলেন। তাতে তিনি এমন কিছু ধারণা যুক্ত করেছিলেন যা অনেকের কাছেই ছিল অজানা।

এসব অজানা পরিকল্পনার কম্পিউটার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়ের যে বিশেষ কিছু পরামর্শ থাকতে পারে সেটি কেউ কেউ অনুমান করছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি যে একটি নতুন ধারণা, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সেটি সজীব ওয়াজেদ জয় হয়ত নেপথ্যে থেকে সরকারকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন। ২০১৯ সালেও তাকে একই পদে অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার পরামর্শে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে কতটা অগ্রগতি লাভ করেছে সেটি এর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কাছ থেকেই আমরা জানতে পারি। দেশে তথ্য প্রযুক্তিতে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তন গত একযুগে ঘটে চলেছে তার পেছনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অভিজ্ঞতা, চিন্তাভাবনা, কর্মপরিকল্পনা কাজে লাগছে এটি সকলেই বুঝতে পারছেন।

এরপরও দেশের একটি মহল সজীব ওয়াজেদ জয়ের চরিত্রহনন এবং তাকে নিয়ে নানা ধরনের দুর্নীতির কেচ্ছাকাহিনি তথাকথিত সোশ্যাল মিডিয়ায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রচার করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তি প্রাণান্তর চেষ্টা করে চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার অগাধ সম্পদ জমা হচ্ছে এমন অপপ্রচারও এদেশে অনেকেই করার চেষ্টা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ অর্থ সঞ্চয় করে কেউ আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেশিদিন চলতে পারে না। সুতরাং সেই অপপ্রচারও ধোপে টেকেনি। কেউ কেউ সজীব ওয়াজেদ জয়কে এখনই রাজনীতিতে এনে সুবিধা নেয়ার পাঁয়তারা করেও সফল হয়নি।

বাংলাদেশের পূর্ববর্তী জামায়াত-বিএনপি সময়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হাওয়া ভবন নামে একটি অবৈধ ক্ষমতাচর্চার কেন্দ্র চালু করার পরিণতি বিএনপির জন্য সুখকর হয়নি। সজীব ওয়াজেদ জয় সেপথে রাজনীতির হাল ধরার মানুষ হয়ে উঠেছেন বলে মনে করার কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা তার পরিবারের নিকট সদস্যদের এখনও এমন কোনো কাজে যুক্ত হতে দেননি যা তাদের মর্যাদার সঙ্গে সংতিপূর্ণ হবে না বা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের প্রতি মানুষের আস্থা হারানোর ন্যূনতম সুযোগ করে দেবে। শেখ হাসিনা, শেখ রেহানার সন্তানরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যথার্থ উত্তরাধিকার হয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব গ্রহণ করলে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই শেখ হাসিনা-উত্তর বাংলাদেশের নেতৃত্বকে খুঁজে পাবে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০ বছর অভিজ্ঞতা ও অবদান রাখায় সমৃদ্ধ হয়েছে। ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলতর হবে এটিই আমাদের কামনা।

লেখক: গবেষক-অধ্যাপক

এ বিভাগের আরো খবর