বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের স্মৃতিবহ দিন ১৬ জুলাই। ২০০৭ সালের এই দিন ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন থেকে তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছিল সামরিক বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে তোলা বিতর্কিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তথা যৌথ বাহিনী। সেদিন সারা দেশ তো বটেই, সারা দুনিয়া বিস্মিত হয়েছিল শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারে। কারণ গ্রেপ্তার তো হওয়ার কথা চারদলীয় জোটের প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন তথা সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। রাজনৈতিক সংকট তো তিনিই সৃষ্টি করেছিলেন দলীয় আইনজীবীকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে বহাল রেখে, দলীয় রাষ্ট্রপতিকে একই সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও প্রধান বানিয়ে! যা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকেই! দুর্নীতির জন্য গ্রেপ্তার করলে সদ্য ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়া খালেদা জিয়াকেই করার কথা।
চারদলীয় জোট সরকার এবং তাদের ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র ‘হাওয়া ভবন’ যে দুর্নীতির তাণ্ডব চালিয়ে গেছে, তাতে সামরিক বাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে গড়ে তোলা তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো ধরপাকড় করবে বিএনপি নেতাদেরই। সেটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু বিস্ময়কর হলেও আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা এবং তার দলের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা গ্রেপ্তার হন সেই বিতর্কিত সরকারের রোষানলে পড়ে। গণমাধ্যমসহ সর্বস্তরে বিস্ময় সৃষ্টি করে ফখরুদ্দীন-মইন উ আহমেদ সরকারের ওই আচরণ। সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও প্রায় আড়াই মাস পরে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেশকে বিরাজনৈতিকীকরণের উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন সেনাপ্রধান এবং তার দোসরদের। রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার জন্য তারা নানা পথ খুঁজেছে। তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতির বাইরে রাখা। যে কারণে সেনাশাসক গোষ্ঠী রাজনৈতিক দলও গঠন করাতে চেয়েছে তাদের পছন্দের লোকদের দিয়ে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি দুই দলের নেতাদের সংযুক্ত করারও চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগকে ভেঙে ফেলতে চেয়েছে। কোনো কোনো নেতা সেই ফাঁদে পা-ও দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ভাঙা যায়নি। ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতা ভোগ শেষে অতঃপর নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আবার।
২০০৯ সাল থেকে পরপর তিনটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গত এক যুগ দেশ পরিচালনা করছে। বাংলাদেশকে আমূল বদলে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। দেশ-বিদেশে প্রবল চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই করেও উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছেন, দ্রুত গতিতে কমিয়ে এনেছেন দারিদ্র্যের হার। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা, নারীর ব্যাপক ক্ষমতায়ন ইত্যাদি সূচকে উন্নয়নে অগ্রগতি সাধন করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে অর্জন করেছেন বিভিন্ন স্বীকৃতি, সম্মাননা, পুরস্কার। সমুদ্র বিজয়ে দেশের সীমা সম্প্রসারণ এবং মহাশূন্যে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ গর্বিত দেশ। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার গৌরব স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী প্রাক্কালে অর্জিত হলো।
এত সব সাফল্যের পরেও কেন আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিরুদ্ধবাদীদের এত তীব্র আগ্রাসী মনোভাব? এর কারণ খুঁজতে গেলে ১৯৭৫-এর পূর্বাপর ইতিহাসের দিকেও তাকাতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যে উল্টো পথে যাত্রা করেছিল, ২১ বছর পর সেই অন্ধকার থেকে লাখ লাখ শহিদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশকে তার আপন পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনাই। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে তার নিজস্ব পথে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চিহ্নিত মৌলবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা। পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা নির্দেশিত পথে যাদের রাজনীতি, তাদের চোখের বালি হবেন শেখ হাসিনা, তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। ফলে তাকে হত্যাচেষ্টাসহ নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলমান ছিল এবং এখনও জারি আছে।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। প্রতিবারই তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গি চক্রের সহায়তায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের একসঙ্গে হত্যার নীলনকশাও দেশবাসীকে প্রত্যক্ষ করতে হলো।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধুতনয়াকে গ্রেপ্তারের ঘটনাও অতীত-বিচ্ছিন্ন নয়। শেখ হাসিনার সাফল্যে বাংলাদেশ লাভবান হলেও লাভ নেই তাদের, যারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত সেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের। এই সত্য ১৯৭৫-এর পর থেকে বারবার লক্ষ করা গেছে। এর কারণ ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে পাকিস্তানি ধর্মান্ধতা আর সাম্প্রদায়িকতা-দুষ্ট সামরিক ষড়যন্ত্রের এক একটি ঘটনা। অবিকল পাকিস্তানি সামরিক দুঃশাসকদের ক্ষমতালিপ্সার প্রতিচ্ছবি যেন!
১৯৪৭ সালের আগস্টে এক দিনের ব্যবধানে ভারত এবং পাকিস্তান স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও চরিত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর। ভারতে স্বাধীনতার ৭৩ বছরে আজ পর্যন্ত একবারও সামরিক শাসন জারি হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানে এই দীর্ঘ সময়ের অধিকাংশ গেছে সামরিক বুটের তলায়, যাদের রাজনীতির প্রধান সুর ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা, নারীবিদ্বেষ এবং মৌলবাদী চিন্তাচেতনার লালন।
১৯৪৮ সালে জিন্নাহর মৃত্যুর পর থেকেই হত্যা-ক্যু আর সামরিক ষড়যন্ত্রের রাজনীতি! দ্বিতীয় সরকারপ্রধান লিয়াকত আলী খান তো প্রকাশ্য দিবালোকে জনসভায় গুলি খেয়েই মারা গেলেন!। একটি দশকও গেল না। জেনারেল ইস্কান্দার মির্জার ক্ষমতা দখল। বছর না যেতেই তাকে হটিয়ে ক্ষমতার দখল নিলেন স্বঘোষিত ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান। ফলে আজ পর্যন্ত পাকিস্তানের জনগণের ভাগ্য খোলেনি; ক্ষমতার সবটুকুই ভোগ করেছে সামরিক-বেসামরিক আমলা আর ধর্মান্ধ রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের দিকে তাকালে আমরা ১৯৭৫-এর আগস্ট থেকে কী দেখি! সেই পাকিস্তানেরই চিত্র। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন, তখনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক-বেসামরিক চক্রান্তে হত্যা এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল। বঙ্গবন্ধু যে ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতি সংবিধানে নিষিদ্ধ করেছিলেন, বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক শোষণহীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সংবিধানে যার নিশ্চয়তা ছিল, সেই সংবিধান পাল্টে দিয়ে জেনারেল জিয়া শুধু ধর্মের রাজনীতিই ফিরিয়ে আনলেন না, ফিরিয়ে আনলেন পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িকতা আর সামরিক শাসনকবলিত রাজনীতিও। এক কথায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই মুছে ফেললেন সংবিধান থেকে। আবার সামরিক ক্ষমতালিপ্সারই বলি হলেন জিয়া নিজেও। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রামে নিহত হলেন এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে।
ক্ষমতা দখল করলেন আরেক সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ। রাজনীতির চরিত্রই বদলে দিলেন এই দুই জেনারেল। জিয়া নিহত হওয়ার পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হলেও পরিকল্পিতভাবেই কিছুদিন পর তাকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতার মঞ্চে আবির্ভূত হলেন নেপথ্য নায়ক এরশাদ। তিনিও জিয়ার মতোই পাকিস্তানি সামরিক ও সাম্প্রদায়িক দর্শনের রাজনীতি করেই ক্ষমতা ভোগ করলেন। তিনি বাড়তি যোগ করলেন রাষ্ট্রধর্ম, যা রাষ্ট্রের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে সাংবিধানিকভাবে হত্যা করল। যার বিষফল সশস্ত্র জঙ্গিবাদ আর মৌলবাদীদের বিষাক্ত ছোবল।
বাংলাদেশের রাজনীতির এই উত্থান-পতন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির যে ক্রম-উত্থান, এর মধ্যেই নিহিত আছে আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুতনয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিরন্তর চক্রান্ত আর বিদ্বেষপ্রসূত নৃশংসতার স্বরূপ।
রাজনীতির পিচ্ছিল পথ চলতে চলতে দুঃখ-দহনে পোড়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ এমন অভিজ্ঞতায় পরিপক্ব, যে তাকে বিভ্রান্ত করা সহজ হবে না। তার প্রতি চরম বিদ্বেষ কাদের? সবাই তাদের চেনেন। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কান্ডারি হয়ে চরম দুঃসময়ে হাল না ধরলে আওয়ামী লীগ কয়েক টুকরো হয়ে যেত। দেশ শাসন করত পাকিস্তানি মৌলবাদীদের অনুসারীরা। জাতির পিতার খুনিদের বিচার হতো না। একাত্তরের ঘাতক মানবতাবিরোধী অপরাধী আলবদর রাজাকার আলশামস বাহিনীর পরিচালক জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বিচার হতো না; সামরিক শাসকরা পর্যায়ক্রমে পাকিস্তানের মতো দেশটাকে ভাগাভাগি করে খেতে পারত। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র কলঙ্ক নিয়ে দেশ আজ ভিক্ষা করত দাতাদের দুয়ারে।
শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন বলেই মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবের ভিত্তিভূমি পেয়েছে। শেখ হাসিনার শক্তি আছে বলেই মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের মর্যাদা নিয়ে সগৌরবে বাঁচেন।
তিনি ক্ষমতায় না থাকলে একাত্তরের মানবতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা বিচারের মুখোমুখি হতো না। জাতির পিতার হত্যাকারীরা ফাঁসির দড়িতে ঝুলতো না। ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে, বাংলাদেশকে যারা আফগানিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে, নিজেদের যারা তালেবান হওয়ার স্বপ্নে উজ্জীবিত রাখে এখনও, তারা সবাই, আধুনিক পোশাকের হোক আর তালেবানি পোশাকেরই হোক, দক্ষিণপন্থিদের সবারই কমন শত্রু ওই একজনই, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, কুৎসা, অপপ্রচার চালানো হয়েছে, হচ্ছে এবং চলতেই থাকবে। তাই প্রগতির পতাকাবাহী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও হয়তো থাকবে।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশের রাজনীতি প্রবলভাবে দুই ধারায় বিভক্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের অনুসারী, ধর্মান্ধ, দক্ষিণপন্থি দর্শনে বিশ্বাসীরা; অপরদিকে অসাম্প্রদায়িক (অথচ ধর্মানুরাগী), মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, প্রগতিশীল আদর্শের অনুসারী আওয়ামী লীগ। এই বাস্তবতায় এখনও জাতির সামনে প্রখর সূর্যের মতো আলোর উৎস ওই একজনই, শেখ হাসিনা। তার অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। জয়তু শেখ হাসিনা!
লেখক: কবি-সাংবাদিক, সাবেক পরিচালক (বার্তা) বিটিভি।