বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অমিত শাহর জন্য উপহার!

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২১ ১২:৪৫

অমিত শাহ খোঁজ নিলে আরও জানতে পারবেন, ভারতের বিপুলসংখ্যক লোক বৈধ-অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করে এবং বাংলাদেশ হলো ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের চতুর্থ বড় উৎস। এই পরিসংখ্যানগুলো কি ‘বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে ভারতে চলে যায়’ অমিত শাহর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে?

একটু পুরোনো হলেও অর্জনটি অনেক বড়। করোনা হট্টগোলে অর্জনটি নিয়ে আলোচনা প্রায় হয়ইনি। অবশ্য বাংলাদেশ এখন অগ্রগতির যে ধারায় আছে, তাতে এসব অর্জন আর আমাদের উল্লসিত করে না। যেকোনো অর্জনকে আমরা প্রাপ্তি বলেই মানি। এটাকে আমি বলি অর্জনক্লান্তি। একসময় আমরা ক্রিকেটে কেনিয়াকে হারালেও মধ্যরাতে মিছিল বের করতাম। আর এখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের পরও ফেসবুকে ‘অভিনন্দন’ লিখেই দায়িত্ব শেষ মনে করি।

৫০ বছরে বাংলাদেশ অভাবিত উন্নয়ন করেছে। তাই অর্থনৈতিক নানা সূচকের লাফ আমাদের তত আন্দোলিত করে না। এবারের অর্জনটি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ কিন্তু গতবছরই তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে এরকমই পূর্বাভাস দিয়েছিল।

আইএমএফ বলেছিল, এ বছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। আইএমএফ’এর এই পূর্বাভাস নিয়ে তখন বাংলাদেশে না হলেও ভারতে বেশ শোরগোল হয়েছিল। ‘পুচকে’ বাংলাদেশ অর্থনীতির এত বড় সূচকে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে, এতে ভারতের অনেকের আঁতে ঘা লেগেছিল। অনেকেই মানতে পারছিল না। ভারত মানতে পারুক আর না পারুক বাংলাদেশ তো আর তাদের জন্য বসে থাকবে না।

আইএমএফ’এর পূর্বাভাস পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই সত্যি হয়েছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার। আর ভারতের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯৪৭ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের চেয়ে ২৮০ মার্কিন ডলার কম। টাকার অঙ্কে ভারতের একজন নাগরিকের চেয়ে বাংলাদেশের একজন নাগরিক বছরে ২৩ হাজার ৮০০ টাকা বেশি আয় করেন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর এই রিপোর্টটি আমি বাঁধাই করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে উপহার দিতে চাই। আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে জাননি, এই অমিত শাহ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষ খেতে পায় না বলে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। অমিত শাহ তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সীমান্ত এলাকায় নিচুতলায় পৌঁছায়নি। পিছিয়ে পড়া যে কোনো দেশে উন্নয়ন হতে শুরু করলে সেটা প্রথম কেন্দ্রে হয়। আর এর সুফল প্রথমে বড়লোকদের কাছে পৌঁছায়, গরিবদের কাছে নয়।

এখন বাংলাদেশে সেই প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গরিব মানুষ এখনও খেতে পাচ্ছে না। সে কারণেই অনুপ্রবেশ চলছে।’ ৭ বছর ধরে ভারত এক অশুভ শক্তির খপ্পরে পড়েছে। গুজরাটের কসাই হিসেবে পরিচিত নরেন্দ্র মোদি ভারতের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করে ধর্মকে পুঁজি করে দেশশাসন করছেন। নরেন্দ্র মোদির হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হলেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর অন্তত কথাবার্তায় কিছুটা হলেও সংযত তিনি। কিন্তু মোদি যা বলতে চান তার সবকিছু বলান সব অপকর্মে তার দোসর অমিত শাহকে দিয়ে। নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া অমিত শাহ শুধু সাম্প্রদায়িকই নন, কট্টর বাংলাদেশবিদ্বেষীও। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনেও সাম্প্রদায়িকতার পাশাপাশি অমিত শাহর প্রধান অস্ত্র ছিল বাংলাদেশবিরোধিতা।

নির্বাচনি প্রচারণার সময় অমিত শাহ বলেছিলেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে জিতলে বাংলাদেশ থেকে একটি পাখিও সীমান্ত অতিক্রম করতে পারবে না। ভাগ্যিস বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। নইলে অমিত শাহ বাংলাদেশকে নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা চালিয়েই যেতেন। এর আগে আসামে-ত্রিপুরায় নাগরিকপঞ্জি করে বাঙালি মুসলমানদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার পরিকল্পনাটাও এই অমিত শাহরই। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই বলে একটা কথা আছে না।

নাগরিকপঞ্জি প্রসঙ্গ এলেই নরেন্দ্র মোদি বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর দোসর অমিত শাহ সমানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েই যাচ্ছেন। এমনিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এখন দারুণ উচ্চতায়। কিন্তু এই সম্পর্কের সবচেয়ে বড় অস্বস্তির নাম হলেন অমিত শাহ।

অমিত শাহ যদি সত্যি কথা বলতেন, তাহলে আমাদের খারাপ লাগলেও মুখ বুজে সইতে হতো। কিন্তু সমস্যা হলো, অমিত শাহ যা বলেন, তা ডাহা মিথ্যা। সাম্প্রদায়িক উস্কানি আর বাংলাদেশ বিদ্বেষ ছাড়া তার বক্তব্যে কোনো সারবত্তা নেই। ’৪৭ সালে দেশভাগের সময় তখনকার পাকিস্তান আর ভারত এই দু্ই দেশের মধ্যে আসা-যাওয়া চলেছে। হিন্দুদের অনেকে পাকিস্তান ছেড়ে ভারত চলে গেছেন, আবার ভারত থেকে মুসলমানদের অনেকে তখনকার পূর্ব পাকিস্তান তথা পাকিস্তানে চলে এসেছেন। ৬৫ সালের যুদ্ধের পরও এই আাসা-যাওয়া চলেছে।

একাত্তর সালেও হয়তো অল্পকিছু মানুষ ভারতে থেকে গিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার কিছু মানুষ ভারতে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মুসলমানরা খেতে না পেয়ে ভারতে চলে যাচ্ছে, অমিত শাহর এই ধারণা কেন হলো কে জানে।সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পারসিদের নাগরিকত্ব দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আর বাঙালি মুসলমান মানেই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া, এমনটা ধরে নিয়ে হয়রানি করছে।

ভারতের মতো একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ অবিশ্বাস্য। হিন্দুদের কেউ কেউ বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে ভারতে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা ভারতে গিয়ে থেকে গেছে, এটা এখন পাগলেও বিশ্বাস করবে না। পানির ধর্ম যেমন নিচের দিকে যাওয়া, অভিবাসনের ধর্ম তেমন গরিব দেশ থেকে উন্নত দেশে যাওয়া।

বাংলাদেশের মানুষও ভাগ্য বদলাতে অভিবাসী হয়। তবে তাদের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি বা ইউরোপের কোনো দেশ। আর বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করতে বিশ্বের অনেক দেশেই যায়, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভাগ্য বদলাতে বা খেতে না পেয়ে ভারত যায়- পরিসংখ্যান দিয়েও তা কাউকে বিশ্বাস করাতে পারবেন না, বাস্তবতাও তা নয়। যে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে ২৩ হাজার ৮০০ টাকা কম, সে দেশে মানুষ কেন যাবে?

এটা ঠিক স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারতে যায়। কেউ আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে, কেউ ব্যবসার কাজে, কেউ চিকিৎসার জন্য, কেউ তীর্থ করতে, কেউ স্রেফ বেড়াতে। এরা সবাই যায় বৈধভাবে, সেখানে গিয়ে তারা অর্থ ব্যয় করেন। একটু খোঁজ নিলে অমিত শাহ জানতে পারবেন, বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এই মানুষগুলো ভারতের অর্থনীতির বড় সাপোর্ট। নিউমার্কেটসহ কলকাতার অনেক শপিং মল গড়েই উঠেছে বাংলাদেশি ক্রেতাদের কথা ভেবে।

বাংলাদেশিরা না গেলে ভারতের অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের অনেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। কিন্তু এবারের করোনা দেখিয়ে দিয়ে গেছে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা কতটা নাজুক। অমিত শাহ খোঁজ নিলে আরও জানতে পারবেন, ভারতের বিপুলসংখ্যক লোক বৈধ-অবৈধভাবে বাংলাদেশে কাজ করে এবং বাংলাদেশ হলো ভারতের রেমিট্যান্স আয়ের চতুর্থ বড় উৎস। এই পরিসংখ্যানগুলো কি ‘বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে ভারতে চলে যায়’ অমিত শাহর এই বক্তব্যকে সমর্থন করে?

মানছি চোরাচালান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি বড় সমস্যা। পৃথিবীর সব দেশের সীমান্তেই এই সমস্যা আছে। আর এই চোরাচালানের অভিযোগে অমিত শাহর বাহিনী সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে বাংলাদেশিদের হত্যা করে। কিন্তু চোরাচালান তো একতরফাভাবে হয় না। বাংলাদেশের প্রান্তে পাঁচজন চোরাচালানে জড়িত থাকলে ভারতেরও পাঁচজন তাতে জড়িত থাকতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তো ভারতে গিয়ে চুরি করে গরু নিয়ে আসে না। ভারতের কেউ না কেউ চোরাচালানের পণ্য সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে আসে। তারপর সেটা বাংলাদেশি কারো হাতে তুলে দেয়। এবার বলুন, বিএসএফ বা বিজিবির গুলিতে কজন ভারতীয় চোরাচালানি মারা গেছে?

এটা ঠিক মাথাপিছু গড় আয় বা গড় জিডিপিতে ভারতকে টপকে যাওয়া মানেই কিন্তু ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া নয়। ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় অর্থনীতির দেশ। ভারতের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে ১০ গুণ বড়। মোট জিডিপির দিক থেকে বিশ্বের প্রথম ৫টি দেশের একটি ভারত। মাথাপিছু আয়ে ভারতের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ তাদের বিপুল জনসংখ্যা, যা বৃদ্ধির হার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

আরেকটা বিষয় বাংলাদেশকে মাথায় রাখতে হবে, যেকোনো উন্নত দেশের প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেয়া কঠিন। কারণ তারা তাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করেই উন্নত হয়েছে। এখন এগোনোটা একটু কঠিনই হবে। বরং সঠিক পরিকল্পনা ও স্থিতিশীলতা থাকলে উদীয়মান দেশের পক্ষে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন সহজ। তবে ভারতকেও মানতে হবে বাংলাদেশ তার সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে গেলে ভারতের কোনো ক্ষতি নেই। আমরা যে এত বছর ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ছিলাম, তাতে কি আমাদের কোনো ক্ষতি হয়েছিল?

বাংলাদেশের অগ্রগতি তো ভারতের কিছুতে ভাগ বসিয়ে বা ভারতকে বঞ্চিত করে হয়নি। যে দেশকে এক সময় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে তাচ্ছিল্য করেছে বিশ্ব, সে দেশ যখন বাঘা বাঘা অর্থনীতির দেশকে পেছনে ফেলে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যায়; তখন কারো কারো আঁতে ঘা লাগতেই পারে। তবে ভারতের বিষয়টি আলাদা। ভারত আমাদের বৃহত্তম প্রতিবেশী। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সহযোগিতার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু ভারতকে মাথায় রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে যতই সাহায্য করুক, বাংলাদেশ এখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সম্পর্ক হতে হবে মর্যাদার ভিত্তিতে, পারস্পরিক স্বার্থে। তবে মর্যাদা পেতে হলে সক্ষমতা অর্জন করতে হয়। গরিব প্রতিবেশী বা স্বজনকে কেউ পাত্তা দেয় না। গরিব প্রতিবেশী যখন ধীরে ধীরে সক্ষম হয়ে ওঠে, তখন সুপ্রতিবেশীর খুশিই হওয়ার কথা, হওয়া উচিত।

আর পারস্পরিক স্বার্থটাও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সুসম্পর্ক যেমন দরকার; তেমনি সেটা যেন একতরফা না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে। ভারত অনেক বড়, কিন্তু ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অবশ্যই পারস্পরিক। স্বার্থটা যদি শুধু বাংলাদেশে হয়, তাহলে সম্পর্কটাও একতরফা হবে। ভারতের স্থিতিশীলতার জন্যও বাংলাদেশকে লাগবে।

অমিত শাহর মাথায় যদি গেঁথে থাকে, বাংলাদেশ ছোট, বাংলাদেশ গরিব, বাংলাদেশকে আমরা স্বাধীনতা এনে দিয়েছি। প্লিজ, ঝেড়ে ফেলুন। আমরা এখন সমানে সমান। আসুন আমরা হাতে হাত ধরে এগিয়ে যাই। অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না নেমে সুস্থ প্রতিযোগিতা করি।

অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দুটি বন্ধু রাষ্ট্র পাশাপাশি থাকলে দুই দেশের জন্যই ভালো। বিপদে এক দেশ আরেক দেশের পাশে দাঁড়াবে। কেউ কারো মুখাপেক্ষী থাকবে না। ভারত বাংলাদেশের বৃহৎ প্রতিবেশী। বন্ধু বদলানো যায়, কিন্তু প্রতিবেশী বদলানো যায় না। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে একটু উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দুই দেশের স্বার্থেই দরকার।

দীর্ঘ পরীক্ষা, নানা অবিশ্বাস পেছনে ফেলে দুই দেশের সম্পর্ক এখন স্থিতিশীল। অমিত শাহর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং মনের ভেতরে পোষণ করা বাংলাদেশ-বিদ্বেষ সেই সম্পর্কে আস্থার সংকট তৈরি করবে। সেটা যেন না হয়, সে জন্য দুই দেশের শুভবুদ্ধির মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক

এ বিভাগের আরো খবর