বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাধীনতার দলের নতুন চ্যালেঞ্জ

  •    
  • ২৩ জুন, ২০২১ ১৯:২৮

আওয়ামী লীগ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার দলটির জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ। আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে- সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধ। যে দলটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দলে নানা কৌশলে সাম্প্রদায়িক শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে, এমন অভিযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দলটি ২০২১ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পালন করছে। দলটি টানা ১২ বছরের বেশি ক্ষমতায়। পর পর তিনটি সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। জাতীয় সংসদ, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ- জনপ্রতিনিধিদের প্রতিটি সংস্থায় দলটির নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব।

সংগত কারণেই এ দলের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কোনো সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতা কিংবা ঠিকভাবে কোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে অন্যের ওপর দায় চাপানোর সুযোগ তাদের নেই।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পূর্ববাংলার বঞ্চনা এবং বিশেষ করে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উপেক্ষার পটভূমিতে আওয়ামী লীগের জন্ম। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট করাচি-লাহোরকে কেন্দ্র করে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠিত হয়, তার শাসকরা পূর্ববাংলা বা পূর্ব পাকিস্তানকে (বর্তমান বাংলাদেশ ভূখণ্ড) উপনিবেশ হিসেবেই গণ্য করতে শুরু করে।

তারা নতুন উদ্যমে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে এবং এটাকেই মুশকিল আসানের দাওয়াই হিসেবে গণ্য করতে থাকে। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর উর্দুতে ডাকটিকিট প্রকাশ ও সরকারি চাকরিতে আবেদন করার যোগ্যতা হিসেবে উর্দু জানা বাধ্যতামূলক করার অপচেষ্টা শুরু হলে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি কর্মচারীরা ধর্মঘট করে বসবে, এটা তারা ভাবতে পারেনি।

এ ঘটনার তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই কলকাতাকেন্দ্রিক রাজনীতির পাঠ ঘুচিয়ে অচেনা শহর ঢাকায় চলে আসা তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।

বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র চাই- এ স্থির লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু নির্ধারণ করেন সেই পঞ্চাশের দশকেই। খ্যাতিমান রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সনজীদা খাতুন আমাকে (এ নিবন্ধের লেখক অজয় দাশগুপ্ত) বলেছেন, ১৯৫৬ সালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু তাকে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি..’ গাওয়ার অনুরোধ করেন। ওই অনুষ্ঠানে পশ্চিম পাকিস্তানের অনেক রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্টজনেরা এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের মনে যে ‘সোনার বাংলা’ সেটা ওদের প্রতিটি সুযোগে জানিয়ে দিতে হবে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ, প্রধান সংগঠক। ৩৩ বছর বয়সেই দলের পূর্ব পাকিস্তান কমিটির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু বাংলার তিন প্রবাদপ্রতিম রাজনীতিবিদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর কাছে তিনি অপরিহার্য সহকর্মী হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তার বিকল্প নেই কারো কাছে।

পঞ্চাশের দশকে শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকায় বসবাস করতেন। কিংবা ছুটে যেতেন বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দলের কাজে। এ দশকের প্রায় অর্ধেকটা কেটেছে কারাগারে। বন্দিজীবন কতদিন, সে তথ্য রয়েছে ১৯৫৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, ১৯৪৯ সালের ২৯ এপ্রিল তিনি গ্রেপ্তার হন এবং একই বছরের ১৭ জুন মুক্তি পান (প্রকৃতপক্ষে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১৯ এপ্রিল এবং মুক্তি পান ২৬ জুন)। এরপর গ্রেপ্তার হন ১৯ জুলাই, ১৯৪৯ (প্রকৃতপক্ষে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ১৯৪৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর) এবং মুক্তি পান ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর গ্রেপ্তার হন ১৯৫৪ সালের ১৬ মে এবং মুক্তি পান একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিকশাসন জারির পর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১৪ মাস পর ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখ মুক্তি পান।

এর বাইরেও ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে হরতাল পালন করার সময় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কয়েকদিনের জন্য বন্দি ছিলেন। অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রথম ১২ বছরের মধ্যে ৪ বছরের বেশি সময় তিনি ছিলেন কারাগারে। ষাটের দশকেও বার বার তাকে কারাগারে কাটাতে হয়। সবচেয়ে দীর্ঘ কারাবাস ছিল ১৯৬৬ সালের ৮ মে থেকে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের বড় অংশ কেটেছে ক্যান্টনমেন্টে। এর পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে রাখা হয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে।

কারাগারের বাইরে থাকার সময় বঙ্গবন্ধু ঢাকাকে কেন্দ্র করে দলের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। পাশাপাশি নিয়মিত জেলা-মহকুমা সফর করেছেন। দলের দুই প্রবীণ ও জননন্দিত নেতার সঙ্গে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সব বিষয়ে তিনি একমত ছিলেন, সেটা বলার উপায় নেই। কখনও কখনও দ্বিমত প্রকাশ্য হয়েছে। কিন্তু দুজনের কাছেই তিনি সমান প্রিয়।

দুজনেই নানা কাজে তার ওপর পূর্ণ আস্থা ও ভরসা রাখেন। আবার মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যেও বিভিন্ন ইস্যুতে মতপার্থক্য ছিল বিস্তর। সে বিরোধ নিষ্পত্তিতেও তিনি সাহায্য করেছেন।

বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দীকে রাজনৈতিক গুরু মানতেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের শুরুতেই রয়েছে- ‘কারাগারের ছোট্ট কোঠায় বসে বসে জানালা দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে চেয়ে ভাবছি, সোহরাওয়ার্দী সাহেবের কথা। কেমন করে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হল। কেমন করে তাঁর সান্নিধ্য আমি পেয়েছিলাম। কিভাবে তিনি আমাকে কাজ করতে শিখিয়েছিলেন এবং কেমন করে তাঁর স্নেহে আমি পেয়েছিলাম।’

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ গঠনের পর অক্টোবর মাসে মওলানা ভাসানী শেখ মুজিবুর রহমানকে পশ্চিম পাকিস্তান পাঠান সোহরাওয়ার্দীকে এ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে সম্মত হওয়ার জন্য। ২৯ বছর বয়স তার। যেতে হয়েছে গোপন পথে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিধ্বস্ত ভারতের ওপর দিয়ে। সেখানের মিশন সম্পন্ন করে পূর্ব পাকিস্তানে ফেরত আসার পর টানা দুই বছরের বেশি কারাগারে, মুক্তি পান ১৯৫২ সালের একুশের ফেব্রুয়ারির সফল আন্দোলনের পর।

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সামনে রেখে আওয়ামী লীগ দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিল বলেই আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খানের নিষ্ঠুর সামরিক শাসনামলে এ দলটিই ছিল প্রধান ও বলা যায় একক প্রতিপক্ষ। কিন্তু এই প্রতিপক্ষ যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও সৃজনশীল নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বর্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার জন্য জনগণকে প্রস্তুত করে তুলবে, সেটা তারা ভাবতে পারেননি।

স্বাধীনতার জন্য বাঙালিরা এবং তাদের দল আওয়ামী লীগ কতটা প্রস্তুত হয়ে উঠেছিল সেটা প্রথম স্পষ্ট হয় ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে। নিষ্ঠুর সামরিক শাসনের কবলে এ ভূখণ্ড। বাঙালিদের দমন করার জন্য বেলুচিস্তানের কসাই লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রতিদিন জারি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ডের হুমকি দিয়ে সামরিক ফরমান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ৬৭৭ নম্বর বাসভবনকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয়েছে বিকল্প প্রশাসন। ইয়াহিয়া খান-টিক্কা খানের হুকুম নয়, জনগণ পালন করেছে ৩২ নম্বরের নির্দেশ।

মহাত্মা গান্ধী শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। কিন্তু বিকল্প প্রশাসন চালু করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু একসঙ্গে দুটি কাজই করেছেন। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় বিভিন্ন মহল- সব কিছু চলেছে বঙ্গবন্ধুর কথায়। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই আমাদের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা চূড়ান্ত রূপ নিয়েছিল। ২৫ মার্চ নিষ্ঠুর গণহত্যার তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন ও শপথ গ্রহণ করে। স্বল্প সময়ে এ সরকার লাখ লাখ তরুণকে মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান ও অস্ত্রসজ্জিত করে।

এই বাহিনী নাস্তানাবুদ করতে থাকে ‘অপরাজেয়-দুর্ধর্ষ’ দাবিদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে। একইসঙ্গে এ সরকার ভারতে আশ্রয় নেয়া এক কোটি শরণার্থীর আশ্রয়-খাদ্য-চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারকে সর্বোতভাবে সহায়তা করে।

সরকার গঠনের দেড় মাস যেতে না যেতেই বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব শিল্পী-কলাকুশলী দিয়ে চালু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করে পরিকল্পনা সেল।

মুক্তিযুদ্ধকালে কূটনৈতিক অভিযান পরিচালনাতেও বাংলাদেশ সরকার ছিল সফল। গেরিলা যুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে নাকাল করার একপর্যায়ে ভারতের সঙ্গে মিলিতভাবে গঠিত হয় মিত্র বাহিনী, যাদের প্রবল আক্রমণে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের সহযোগীরা ১৬ ডিসেম্বর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক ছিল, সন্দেহ নেই। ২০২০ সালে পূরণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আওয়ামী লীগ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার দলটির জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও চ্যালেঞ্জ রয়েছে- সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান রোধ। যে দলটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দলে নানা কৌশলে সাম্প্রদায়িক শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে, এমন অভিযোগ রয়েছে। দলের নানা পর্যায়ের নেতৃত্বের একটি অংশ ক্ষমতা ‘উপভোগ’ করায় যতটা তৎপর, বাংলাদেশের মৌল চেতনা ধ্বংসে সক্রিয় সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি ততটাই যেন আপসকামী।

আরেকটি চ্যালেঞ্জ ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য। সম্পদ বাড়ছে দেশে এবং এর পেছনে আওয়ামী লীগের বিপুল অবদান। কিন্তু একইসঙ্গে একটি মহলের হাতে জমা হচ্ছে অঢেল সম্পদ। কী করে এই বৈষম্য কমিয়ে আনা যাবে, সে চাপ বাড়ছে দলের নেতৃত্বের ওপর।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে সরকার ও আওয়ামী লীগের সামনে আরও একটি ইস্যু- প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এমনকি দলের নানা পর্যায়ের নেতৃত্বে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের আরও বেশি দায়িত্ব প্রদান। টেকসই উন্নয়নের জন্য এটা অপরিহার্য শর্ত।

নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। কোনো স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশ এভাবে বিশ্বব্যাংক বা পশ্চিমা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেনি। করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা করছেন নিপুণ দক্ষতায়। বিদ্যুৎ সংকটের অবসান ঘটেছে। খাদ্যে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামেও বিস্তৃত।

এ ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ উন্নত দেশের সারিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে হলে সম্পদ সৃষ্টির প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে। উদ্যোক্তাদের দিতে হবে নানা সুবিধা। একইসঙ্গে বৈষম্য কমিয়ে আনার প্রতিও দিতে হবে সর্বোচ্চ মনোযোগ। আমাদের স্বাধীনতার মর্মচেতনাই ছিল সোনার বাংলা নির্মাণ ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো।

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।

এ বিভাগের আরো খবর