বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনা-ম্যাজিকে বদলে গেছে দেশের অর্থনীতি

  • তাপস হালদার   
  • ১৭ জুন, ২০২১ ১৫:১১

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন ৪২তম রপ্তানিকারক ও ৩০তম আমদানিকারক দেশ। অগ্রসরমাণ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, ওপরে আছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে এসে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছিলেন, ‘শুধু বলার জন্য নয়, দারিদ্র্য বিমোচনে সত্যিই আজ বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল।

কিছুদিন আগে বিদেশি এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, তোমাদের দেশে এত উন্নয়ন হচ্ছে টাকা পাও কোথায়? পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু, মেট্রোরেলসহ অনেক কিছুই তো হচ্ছে, যেটা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরাও দেখতে পাই। তোমাদের উন্নয়নের ম্যাজিক কী? বন্ধুটির প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলাম, আমাদের ম্যাজিকের নাম শেখ হাসিনা।

হ্যাঁ, শেখ হাসিনা-ম্যাজিকেই গত এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসসহ বেশ কিছু সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্ব নেতৃত্বকে চমকে দিয়েছে।

বিপুল খাদ্য ঘাটতির দেশটি আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতাই শুধু অর্জন করেনি, সাহায্যনির্ভর দেশটি খাদ্য রপ্তানি করার পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সরকারের সময়োপযোগী কৃষিনীতির কারণে বাংলার কৃষকরা খাদ্যপণ্য উৎপাদনে জাদু দেখিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিতকে মজবুত করছে প্রধানত তিনটি খাত। কৃষি, তৈরি পোশাকশিল্প ও প্রবাসী ভাইদের পাঠানো রেমিট্যান্স। একসময়ের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেছিল, ‘সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যাটি অত্যন্ত জটিল হবে’।

অপরদিকে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট অর্থনীতিবিদ অ্যাডওয়ার্ড অস্টিন রবিনসন ১৯৭৩ সালে ‘ইকোনমিক প্রসপ্রেক্টাস অব বাংলাদেশ’ নামে একটি গবেষণাগ্রন্থে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় মাত্র ৭০ ডলার। এই মাথাপিছু আয়ের বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে গরিব ১০টি দেশের একটি। ভালো মানের মাথাপিছু আয় ধরা হয় ৯০০ ডলার। সেটা অর্জন করতে বাংলাদেশ যদি ২ শতাংশ হারে মাথাপিছু আয় বাড়ায়, তাহলে লাগবে ১২৫ বছর, আর ৩ শতাংশ হারে আয় বাড়লে লেগে যাবে ৯০ বছর।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করে বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, যখনই আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়েছে, তখনই বাংলাদেশের অগ্রগতির গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আর দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিগত ১২ বছরের ধারাবাহিক নেতৃত্বের কারণে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।

অর্থনীতির এই অর্জনের সরকারের নীতিনির্ধারণী ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষির আধুনিকায়ন করা, নতুন বীজ উদ্ভাবন, স্বল্পমূল্যে সার ও বীজ বিতরণ, সব কৃষিপণ্যের ভ্যাট প্রত্যাহার করাসহ প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা কৃষি খাতে ভর্তুকি দেয় সরকার। যার কারণে কৃষি ক্ষেত্রে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।

অথচ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া তো দূরের কথা, সারের দাবিতে ১৮ কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল। ধান উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে শাকসবজি, মাছ ও ফলফলাদি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মেট্রিক টন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, বাংলাদেশ সবজি, ধান ও আলু উৎপাদনে বিশ্বে যথাক্রমে ৩য়, ৪র্থ ও ৭ম। এ ছাড়াও মাছ, আম, পেয়ারা উৎপাদনে ৪র্থ, ৭ম ও ৮ম স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষির অবদান প্রায় ১৬.৬।

শিল্পকে বিকশিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরই বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে বিশেষ নজর দেয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ সময় ২০০৬ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৩ হাজার ৩৭৮ মেগাওয়াট, উৎপাদন কেন্দ্র ছিল ৪২টি। বর্তমান সরকারের এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, উৎপাদন কেন্দ্র বেড়ে হয়েছে ১৪০টি।

সুবিধাভোগী জনসংখ্যা ২০০৫-০৬ সালের ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। দেশ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ ছিল ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে বেড়ে সরবরাহ ২ হাজার ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। নতুন শিল্প-উদ্যোক্তাদের শুরু থেকে ১৫ বছরের জন্য কর মওকুফ, শিল্প স্থাপন এবং ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী ও কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কর মওকুফ করার ফলে নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠছে।

গ্রাম থেকে উপজেলা হয়ে জেলা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগের নেটওয়ার্কে নিয়ে আসা হয়েছে। সড়ক, সেতু, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্টসহ অসংখ্য স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে বিভাগীয় শহরগুলো ও ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গাসহ ৪৫৩ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক চার বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করা হয়েছে, আবার কোথাও কাজ চলমান রয়েছে। যার কারণে শহর আর গ্রামের দূরত্ব কমে গেছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়ে, দারিদ্র্য কমে এসেছে। ২০০৬ সালে অতি দারিদ্রের হার ছিল ৪০ শতাংশ। যা বর্তমানে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হতদরিদ্রের হার ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশে ২০০৯ সালে ৫ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। ২০১৮ সালের তথ্যমতে, চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে আছে দেড় কোটির কিছু বেশি মানুষ। এই সময়ে জন্মহার কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ১৬ শতাংশে। ২০০৬ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগ ছিল ৪৫ দশমিক ৬ কোটি ডলার। বর্তমানে ৩ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ১০ ডলার। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৬০ মার্কিন ডলার। একযুগে যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা। অবাক করার বিষয় হলো, করোনা মহামারির সময়ও বিগত বছর থেকে ৯ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তান থেকে দ্বিগুণ এবং অতিসম্প্রতি ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। ভারত থেকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২৮০ ডলার বেশি। অর্থাৎ বাংলাদেশের একজন নাগরিক ভারতের একজন নাগরিক থেকে ২৩ হাজার ৭৫৩ টাকা বেশি আয় করেন। অথচ ২০০৭ সালেও ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের দ্বিগুণ।

বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাস্থ্য, খাদ্য ও অর্থনীতি— এই তিন খাতে বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি নেমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আমাদের খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।

স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ পড়লেও খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে তৃতীয় এবং এশিয়ার মধ্যে প্রথম অবস্থানে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর থেকে এতদিন পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে অবস্থান করেছিল বাংলাদেশ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ।

এর ফলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষিত হবে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের তিনটি শর্ত ছিল- মাথাপিছু আয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলারে রাখা, মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট ও অর্থনীতির ভঙ্গুরতা সূচকে ৩২ বা নিচে আনা। এই তিনটি সূচক দিয়ে একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে কি না- সেই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়।

যেকোনো দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় পরপর তিন বছর। ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ তিনটি শর্তই পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য বেশ কিছু খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার। এর মধ্যে পোশাক খাতের বিশ্বব্যাপী বাজার সৃষ্টি করা, জাহাজ নির্মাণ, ওষুধ ও ওষুধের উপাদান, তথ্যপ্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল ও যানবাহন তৈরি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি ও কৃষিপণ্য আধুনিকীকরণসহ ৩২ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে সরকার।

রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং দারিদ্র্যের হার আরও কমে আসবে।

বাংলাদেশের বিস্ময়কর অর্থনৈতিক উত্থান এখন সারা বিশ্বে স্বীকৃত। প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘ইকোনমিস্ট’-এর ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান নবম। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

বিখ্যাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ‘গোল্ডম্যান স্যাকস’ ১১টি উদীয়মান দেশের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম ও ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবল’-২০২১ রিপোর্ট অনুসারে ২০৩৫ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান হবে ২৫তম।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ এখন ৪২তম রপ্তানিকারক ও ৩০তম আমদানিকারক দেশ। অগ্রসরমাণ অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, ওপরে আছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখতে এসে ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছিলেন, ‘শুধু বলার জন্য নয়, দারিদ্র্য বিমোচনে সত্যিই আজ বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল।

শেখ হাসিনার মতো সৎ-সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বিশ্বের বুকে রোল মডেল হতে পেরেছে বাংলাদেশ। দক্ষতা, যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিকল্প কেবল শেখ হাসিনাই। বিগত এক যুগ রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে নিয়ে গেছেন মর্যাদাশীল একটি অবস্থানে। বঙ্গবন্ধুকন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন নিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।

লেখক: সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ ও সাবেক ছাত্রনেতা।

এ বিভাগের আরো খবর