বাংলাদেশে মীর জাফর নামটি ষড়যন্ত্রকারী ও হঠকারী আচরণের প্রতীক হিসেবে অনেক সময় ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সত্য হলো এই যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে মীর জাফরের থেকেও বড় বিশ্বাসঘাতক ছিলেন খন্দকার মোশতাক। বাংলাদেশ জন্মের আগে থেকেই মুজিবনগর সরকারে থেকে তার ষড়যন্ত্রের শুরু যা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বলে মনে করা হলেও তার থেকেও বড় ষড়যন্ত্র ছিল তার। বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে না দিতে চাওয়া এই ব্যক্তির নাম এখনও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম থাকলেও মূলত পাকিস্তান কনফেডারেশন তৈরির দালালি করতেই রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন তিনি।
১৯১৯ সালে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির দশপাড়া গ্রামে জন্ম মোশতাক আহমদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনকারী এই ঘাতকের শুরুর জীবন সম্পর্কে একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা বর্ণনা ছাড়া আর তেমন কিছু জানা যায় না। বঙ্গবন্ধুর কাছাকাছি থাকতেন সর্বদা। মুসলিম লীগের ছাত্র শাখার নেতৃত্ব পালন করেন।
পরে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগ দেন। এ সময় উদীয়মান তরুণ এবং ক্যারিশমেটিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নজরে আসেন মোশতাক। তখন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ছিল তার পদচারণা। অবশ্য বরাবরই ডানপন্থী হিসেবে তার সমালোচনা ছিল।
মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বানচাল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করেন খন্দকার মোশতাক। এ সময় খন্দকার মোশতাক কাউকে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরের ব্যবস্থা শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিল, মার্কিনীদের এই বার্তা দেয়া যে, পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আপসের বিনিময়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর জীবন রক্ষা করতে প্রস্তুত তারা। বিষয়টি তাজউদ্দীন আহমেদ জানতে পারলে সফর স্থগিতের নির্দেশ দেন। মোশতাককে নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। তখন অলিখিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় কাজ করতেন আব্দুস সামাদ আজাদ। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে মোশতাকের যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ ছিল।
কলকাতার মার্কিন কনস্যুলেট থেকে একটি গোপন তারবার্তা পাঠানো হয় ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট। বার্তায় বলা হয়, দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তার (পলিটিক্যাল অফিসার) সঙ্গে আলোচনায় আওয়ামী লীগ সাংসদ জানিয়েছেন তাদের নেতৃবৃন্দ পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য উদগ্রীব এবং পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার দাবিতে ছাড় দিতে প্রস্তুত। আর আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র পরাশক্তি যারা এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম।
এই বার্তা অবশ্য আওয়ামী লীগের ছিল না, বরং তা ছিল খন্দকার মোশতাকের। এখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন ছিল মূলত তৎকালীন মুজিবনগর সরকারকে চাপের মধ্যে ফেলে সমঝোতায় বসানো। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হয়। জানুয়ারিতে পাকিস্তানের জেল থেকে বঙ্গবন্ধু যখন মুক্ত হন, এ সময় ভুট্টো মুজিবকে বলেন, যা হয়েছে হয়েছে; আমরা মুসলমান, আমরা ভাই ভাই; আপনি দেশে যেয়ে পাকিস্তান কনফেডারেশন করার ঘোষণা দেন।
অবশ্য ভুট্টোর এই কথায় একটুও বিচলিত না হয়ে সরাসরি নাকচ করে দেন মুজিব। অথচ তখনও তিনি জানতেন না বাংলাদেশের অবস্থা কী। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি আচরণ। ফলে ভুট্টোর পাকিস্তান কনফেডারেশন তৈরির আশা ভণ্ডুল হয়। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে আর কোনোভাবেই পাকিস্তান কনফেডারেশন হওয়া সম্ভব নয়। আর সে কারণেই শুরু হয় তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র।
বলা হয় মুজিব কোট এবং পাঞ্জাবি পরে রাজনীতি করাটা পছন্দ ছিল না খন্দকার মোশতাকের। বরাবরই আচকান টুপি পরে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে তিনি আস্থাশীল ছিলেন। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পর তিনি এই আচকান টুপি পরে ঘোরাফেরা শুরু করেন। শপথও নিয়েছিলেন এই আচকান টুপি পরে।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে জেলে বন্দি এবং মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ- এই ঘটনাগুলো ছিল বেশ পরিকল্পিত। এই পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন খন্দকার মোশতাক। আর সে কারণেই বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের ১৭ সদস্যসহ হত্যার পর যখন বাংলাদেশ বেতারকেন্দ্রে তিনি যান, তখন তিন বাহিনীর প্রধান খুব সহজে তার অনুগত হয়ে যায়। কেননা এই তিন বাহিনীর প্রধান কীভাবে অনুগত হয়ে খন্দকার মোশতাককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেনে নেবেন সেই হিসেব আগেই করা ছিলো মূল পরিকল্পনাকারীদের। ইসলামি ঝান্ডা উড়ানো এবং আচকান টুপির দৌড়াত্ম্যেই ক্ষান্ত হননি মোশতাক। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত সবচাইতে স্মৃতি বিজড়িত ‘বাংলাদেশ বেতার’-এর নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তানের আদলে ‘রেডিও বাংলাদেশ’ রাখেন।
সেই সঙ্গে ‘জয় বাংলা’র পরিবর্তে পাকিস্তান জিন্দাবাদের আদলে নতুন স্লোগান দেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’। যেই ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘোষণা দেন, “জাতির সামনে ‘অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছেন’। ‘আরব ভাইদের ন্যায়সঙ্গত’ সংগ্রামে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি, সর্বপ্রকার কলুষ থেকে দেশকে রক্ষা করার সুযোগ এসেছে।” অর্থাৎ কখনই বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা তার উদ্দেশ্য ছিল না।
বরং অখণ্ড পাকিস্তান রক্ষাই ছিল তার লক্ষ্য। আর সেই পাকিস্তান কনফেডারেশন তৈরিতে খন্দকার মোশারফ, তার সহযোগী মাহাবুবুল আলম চাষী ও তাহের উদ্দিন ঠাকুর ১৯৭১ সালে ব্যর্থ হলেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মাধ্যমে আবারও সুযোগ তৈরি করেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিপরীত স্রোতে গিয়ে তারা পাকিস্তানপন্থি পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিচর্চা শুরু করেন দেশে।
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে ঘাতক ডালিম বেতারে ঘোষণা দেয় যে, এখন থেকে বাংলাদেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হবে।’ কিন্তু সন্ধ্যায় খন্দকার মোশতাক অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি তার ভাষণে শুধু ‘জয় বাংলার’ পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ দিয়ে শেষ করেন। যেটি ছিল মূলত পাকিস্তানের স্লোগান।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর (১৯ আগস্ট) ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী সমর সেন মোশতাকের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থান জানান। সেই সাক্ষাতের সময় উপস্থিত মোশতাক আহমদের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কোলকাতার ‘দ্য স্টেটসম্যান ‘সম্পাদক মানস ঘোষ লিখেছেন, ‘সমর সেন ১৯ আগস্ট বঙ্গভবনে যান। এসময় একখণ্ড কাগজ হাতে সমর সেনকে সরাসরি খন্দকার মোশতাকের কাছে দেখা যায়। মোশতাক দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ভারতীয় হাইকমিশনার সমর সেন তার কূটনৈতিক নোট পড়ে শোনান। এই নোট শোনার পর খন্দকার মোশতাক বিমর্ষ মুখে ধপ করে চেয়ারে বসে পড়েন।’
এই কূটনৈতিক নোটে লেখা ছিল : “যদি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং কোনো দেশের সঙ্গে ‘কনফেডারেশন’ করা হয়, তাহলে ভারতের কাছে থাকা বৈধ চুক্তির আওতায় ভারতের সেনাবাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।” মূলত এ কারণেই মোশতাকের দ্বিতীয়বার কনফেডারেশনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এদিকে সরাসরি কনফেডারেশন ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানের সঙ্গে একটি উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন মোশতাক এবং বাংলাদেশকেও সেই ভাবধারায় চালিত করেন।
২৬ আগস্ট রয়টার্স প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টোর নিকট প্রেরিত এক বার্তায় বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমদ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে স্বীয় ইচ্ছা সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করিয়াছেন।’ পরদিন ২৭ আগস্ট খবরটি বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় ছাপা হয়।
যেই কারণে মোশতাককে ক্ষমতায় বসানো তা আর বাস্তবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই এটা পাকিস্তানও বুঝতে পারে। আর সে কারণেই তার পরবর্তী ইতিহাসটা মূলত খুনের রাজনীতির ইতিহাস। যার শেষ হাসিটা হাসেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তবে এক্ষেত্রে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। বাংলাদেশের মানুষের মনে দীর্ঘ সময় ধরে গেঁথে দেয়া একটি প্রবাদ হলো- ‘ভারত বাংলাদেশে আক্রমণ করে দখল করে নেবে।’ এই কথাটি সরাসরি প্রথম বলেন জিয়াউর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট (শনিবার) সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে ডাকা এক জরুরি সভায় তিনি এই কথাটি বলেন। বঙ্গবন্ধুকে পরিবারের সদস্যসহ হত্যার দায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়, বরং খুনিদের শাস্তি দেয়ার জন্য সেনাপ্রধানের অনুমতি চান সেখানে উপস্থিত কর্নেল শাফায়াত জামিল এবং তার এই কথাকে সমর্থন জানান ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশারফসহ আরও বেশ কয়েকজন। কিন্তু এ সময় এ কথার কোনো উত্তর দেননি তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ।
বরং শাফায়াত জামিলের এই প্রস্তাবের বিপরীতে উপ-সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বলেন, ‘লুক সাফায়েত, ইট ইজ নট এ ম্যাটার অব সেন্টিমেন্ট। এটা এখন জাতীয় সমস্যা। তুমি যদি আর্টিলারি আর আরমড সৈন্যদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ কর, দেন দেয়ার উইল বি সিভিল ওয়্যার অ্যান্ড ইন্ডিয়ান আর্মি উইল কাম অ্যান্ড উই উইল লুজ আওয়ার সভেরেনটি অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্স।’
পরবর্তী সময়ে খন্দকার মোশতাকের হাত ঘুরে যখন জিয়াউর রহমান লোক দেখানো ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেন তখন আরও স্পষ্ট হয়ে যায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কেন এত নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। এ সময় শুধু তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন না, বরং সেনা বাহিনী যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু না করে ফেলে সে বিষয়ে সদা সতর্ক দৃষ্টি ছিল তার।
বরং ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল সময়টাকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে তার সকল প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমনের জন্য। কিছুদিন পর পর সামরিক ক্যু এবং এরপর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সেন সদস্যদের ফাঁসিতে ঝোলানে নিয়ে পরবর্তীকালে সবচাইতে বেশি সমালোচনা হয়েছে মেজর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে। তার আরেকটি বড় সমালোচনা ছিল জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতির ব্যবস্থা করে দেয়া। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাকের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৩ মাস শাসনের পেছনেও ছিল এই সামরিক কর্মকর্তার অবদান। স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানধারার রাজনীতিতে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রেও সবচাইতে বড় অবদান ছিল এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। মজার বিষয় হলো, খন্দকার মোশতাক মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের সঙ্গে আঁতাতের চেষ্টা করেছেন।
অপরদিকে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুবার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিজ বাহিনীকে ‘উইথ ড্র’ করেছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে এই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে আরও অনেক গবেষণা প্রয়োজন। এখনও তাদের অনেক তথ্য জানে না এই দেশের মানুষ। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ধ্বংস করা হয়েছে যেই ইতিহাস তা খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। সেই সঙ্গে বাতিল করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা ব্যক্তিদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক।