প্রতিটি দেশের জাতীয় বাজেটে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দর্শনের প্রতিফলন ঘটে, এমনটিই বলা হয়। অর্থমন্ত্রী বাজেটের অগ্রাধিকার নিয়ে সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এটা অনেকটা রুটিন ওয়ার্ক। তবে বিশেষভাবে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা তাদের স্বার্থ সংরক্ষণে চেম্বারগুলোর মাধ্যমে সক্রিয় থাকে। এবারেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কৃষক ও শ্রমিক, যাদের অর্থনীতিতে বড় অবদান, বাংলাদেশে তাদের এভাবে মতামত প্রকাশের সুযোগ নেই। এ দুই শ্রেণির সংগঠন বড়ই দুর্বল, আন্দোলনও জোরদার নয়।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে ৩ জুন, করোনাকালের দ্বিতীয় বাজেট। গত বছর বাজেট পেশ হয়েছিল ৭ জুন। বাজেটের আকার রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট মিলিয়ে হবে ৬ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি, এ ধারণা দেয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তরফে।
বাংলাদেশে ধনবান এবং মন্ত্রী-এমপিরা হাঁচি-কাশি-সর্দি হলেই সিঙ্গাপুর-ব্যাঙ্কক চলে যায়- এটা নিয়ে এতদিন বিস্তর আলোচনা হয়েছে। রোগী নিয়ে যেতে ৪০-৫০ লাখ টাকা ব্যয় করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ভাড়া করা হয়েছে। কত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ!
কভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যেও কেউ কোনো কারণে বাধ্য হয়ে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে তাকে কয়েকটি দিন কোয়ারেনটিনে থাকতে হয়। ঢাকাতে এসেও অনেককে এমন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। কোয়ারেনটিন বাসায় হতে পারে। আইসোলেশন কেন্দ্র বা হাসপাতালে হতে পারে।
করোনার কারণে বাংলাদেশের ধনবান কিংবা অন্যভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছেন না, এ নিয়ে মজার আলোচনা চলছিল। কিন্তু দেখা গেল ধনবানদের মুশকিল আসানের ব্যবস্থা রয়েছেই। কয়েকটি পরিবারের চার্টার্ড ফ্লাইট আকাশে উড়েছে। টাকা কথা বলছে, বলবে- তার প্রমাণ বাংলাদেশে মিলেছে।
স্বাধীনতার পাঁচ-ছয় বছর পর বাংলাদেশের সকল ব্যাংকে খোঁজ পড়েছিল- এক কোটি টাকা ব্যাংকে জমা আছে, এমন অ্যাকাউন্ট কতটি রয়েছে। সর্বসাকুল্যে ২৪টি মিলেছিল। কোটিপতি বাড়ছে, এ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা। কারণ ১৯৭২ সালে নাকি এ রকম দুটি অ্যাকাউন্ট ছিল। তাও সম্ভবত সরকারি প্রকল্পের জমা রাখা টাকা।
২০০০ সালে ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিংয়ের তিন দশক’ বিষয়ে একটি গ্রন্থ লিখতে গিয়ে জানতে পারি ব্যাংকে এক কোটি টাকা জমা রয়েছে, এমন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৮ শ’ ছাড়িয়ে গেছে। গত দুই দশকে এ সংখ্যা বেড়ে ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ঋণপ্রাপ্তিতেও ধনবানদের অগ্রাধিকার। সেই ২০০০ সালেই জেনেছিলাম, সব ব্যাংক মিলে যত ঋণ দেয় তার অর্ধেকের বেশি পায় কোটিপতিদের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। এখন কোটিপতিদের কদর আরও বেশি। তারা যা বলবেন, অনেক ক্ষেত্রে সেটা শিরোধার্য।
স্বাধীনতা সংগ্রামের অঙ্গীকার ছিল, ব্যাংক-বীমা-পাট ও বস্ত্র শিল্প জাতীয়করণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু সে অঙ্গীকার পূরণ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসন জারি করে এ নীতি থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরে আসা হয়।
রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান একে একে চলে যায় ব্যক্তি খাতে। ব্যক্তি খাতে ব্যাংক-বীমা স্থাপিত হয়। হাল আমলের হিসাব, দেশের ব্যাংকগুলোতে যে ১৩ লাখ কোটির টাকার বেশি জমা আছে, তার ৭০ শতাংশের বেশি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে। এটাও জানা যে, এমন অনেক শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী রয়েছেন যারা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে দাপটে বিরাজমান, আবার তারাই শিল্প ও বাণিজ্যের বিভিন্ন চেম্বারের নেতা এবং একইসঙ্গে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক। চেম্বার নেতা হিসেবে তারা দাবি করেন, শিল্প-বাণিজ্য খাতে ঋণের সুদ কমাতে হবে।
আবার একই ব্যক্তিবর্গ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বসে ব্যাংক ঋণের সুদহার কমাতে পারেন না। সংবাদপত্রের মালিকরা পত্রিকা প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে কাগজ-কালির আমদানির ওপর সাবসিডি দাবি করেন। এক সময়ের ৮ পৃষ্ঠার পত্রিকা ৩২-৩৬ পৃষ্ঠায় নিয়েছে কিন্তু মালিকরাই। তারপরও আমজনতার ট্যাক্সের পয়সায় ভর্তুকি দিতে হবে সরকারের বাজেট থেকে।
এক সময় দেখা গেল, ব্যাংকের মালিকরা নিজ নিজ ব্যাংক থেকে বিস্তর ঋণ নিচ্ছে। এর কুফল হিসেবে খেলাপি ঋণের বোঝা বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম করে দেয়, পরিচালনা পর্ষদের কেউ নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে না। দুষ্টবুদ্ধি উদ্ভাবনে দেরি হয় না- ‘আমি তোমার ব্যাংক থেকে ঋণ নেব, তুমি আমার ব্যাংক থেকে।’ পারস্পরিক পিঠ চুলকানিতে কিছু ঝামেলা হওয়ার কারণে ধনীদের কিল-ঘুষির খবর গণমাধ্যমে এসেছে।
একশ’ কোটি টাকার জামানত রেখে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা অনেকে ধনবান পরিবারের জন্য সোনার ডিমপাড়া হাঁস। এ ধরনের ঋণের সুবিধা যারা ভোগ করে, তারা করোনাকালে একটা নয়, ১০০টা বিমান চার্টার করে ‘নিরাপদ দেশে’ যেতেই পারেন। টাকা তো আর পকেট থেকে যায় না। এ জন্য আছে ‘গৌরী সেন’।
করোনার শিক্ষা দাবি করে, সরকারি অর্থ বরাদ্দে যুগ যুগ ধরে চলে আসা মনোভাব কিছুটা হলেও পালটানো উচিত। গৌরী সেন আগের মতো কেবল ধনবানদের স্বার্থ দেখবেন না। স্বাস্থ্য-কৃষি, শিক্ষা খাতের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়।
গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের কৃতিত্ব সরকার দাবি করতেই পারে। পাশাপাশি বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতও বিকশিত হয়েছে। কিন্তু যখন ক্যানসার, কিডনি, হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা এ ধরনের জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে তখন দরিদ্র শুধু নয়, মধ্যবিত্ত পরিবারও অসহায়।
বেসরকারি খাতের অন্তত ২০টির মতো প্রতিষ্ঠান দাবি করে- তারা বিশ্বমানের হাসপাতাল তৈরি করেছে বাংলাদেশে। সরকারি খাতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান কেবল একটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু করোনাকালে দেখা গেল, কতই না অহসায় তারা!
একটি তথ্য জানার আগ্রহ- বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালের কত জন সিনিয়র চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালের মালিকানার সঙ্গে জড়িত। অনেক খ্যাতিমান চিকিৎসক একাই বড় ক্লিনিকের মালিক। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসনের সঙ্গেও সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের সম্পর্ক কতটা, সেটা জানতেও আগ্রহ স্বাভাবিক।
প্রায় একবাক্যে আমরা জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলছি। গত বছরও বলেছি। কিন্তু ব্যাংক-বড় শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং একদল সিনিয়র চিকিৎসকের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে যে স্বাস্থ্যখাত গড়ে তোলা হয়েছে তাতে পরিবর্তন না এনে নতুন যুগের উপযোগী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে না।
অর্থমন্ত্রী হয়ত বরাদ্দ বাড়াবেন, কিন্তু শেষ বিচারে তা ভোগে লাগবে বড় বড় প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ও ক্লিনিকের মালিকদের। ঠিকাদাররাও মুখিয়ে আছেন- বড় বাজেটের কাজ বাগিয়ে নিতে হবে।
গৌরী সেনের টাকার ভাগের কিন্তু অনেক দাবিদার। শিক্ষার প্রসার ঘটেছে ব্যাপকভাবে, সন্দেহ নেই। এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া যায়নি করোনার কারণে। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা অটোপাস পেয়েছে। আর ১৭ লাখ ছাত্রছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে, ভাবা যায়।
শতাধিক দেশের কোনোটিতেই তো এত লোক লোক বসবাস করে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল ও প্রকৌশল শিক্ষার প্রতিষ্ঠান শতাধিক।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও বাড়ছে। কিন্তু উচ্চতর এসব প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কেন গুরুত্ব পাচ্ছে না? এখন থেকে কি সরকারের মনোভাবে পরিবর্তন ঘটবে? পাস করে চাকরির নিশ্চয়তা নেই। উচ্চশিক্ষিত বেকার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনতে যেসব নীতি ও কৌশল দরকার, বাজেটে তা থাকবে কি?
ছয়-সাত বছর আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজটে বরাদ্দ তুলনামূলক কম- এ তথ্য তিনি অনেক কেটে বের করেছেন।
পরের বাজেটে পরিবর্তন ঘটবেই, সে আশ্বাস তিনি দেন তুমূল করতালির মধ্যে। ওই বক্তব্য প্রদানের আগে তিনি অন্তত পাঁচটি বাজেট দিয়েছিলেন। কোন খাতে কত বরাদ্দ দেয়া হবে, সে সিদ্ধান্তের প্রধান ক্ষমতাও ছিল তার। আর বক্তব্যের পরের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত আদৌ বিশেষ গুরুত্ব পায়নি, সেটা ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকের মতো আমারও জানা।
কৃষির কথাও বলা যেতে পারে। করোনার ধাক্কা সামলাতে পেরেছে বাংলাদেশের কৃষি খাত, এটা বলা অযৌক্তিক নয়। করোনার মধ্যেও পর পর দুই মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষকদের একটি অংশ উদ্বৃত্ত ধান বাজারে বিক্রি করে। এর একটি অংশ সরকার কেনে। আরেকটি অংশ ধান-চালের ব্যবসায়ীরা কেনে। সরকার প্রতি বছর ধান-চালের সংগ্রহমূল্য ঘোষণা করে। ব্যবস্থাটা এমন হতে পারত যে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে চালকল মালিকদের কাছে ভাঙিয়ে সিএসডি গোডাউনে মজুদ করবে। আর চালকল মালিকরা পাবে ধান ভাঙানোর চার্জ। এর ফলে অনেক লোকের হাতে অর্থ যেত।
তারা ত্রাণের লাইনে ভিড় জমাত না। রিলিফ চাইত না। বরং শিল্প পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি করত। কৃষি খাতে সরকার হয়ত বরাদ্দ বাড়াবে। কিন্তু মূল নীতিতে পরিবর্তন না আনলে করোনা-উত্তর যুগের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
খাদ্য ও কয়েক ধরনের কৃষি পণ্য রপ্তানি করে আমরা প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারি। আমাদের এটা জানা যে, শিল্প ও বাণিজ্যের মতো উচ্চহারে কৃষিতে রিটার্ন আসে না। বছরে হাজার মণ ধান তোলেন যে ধনী কৃষক, তার দুই-তিন লাখ টাকা লাভ তোলা কঠিন। অথচ এই ধান কিনেই চালকল মালিকরা অঢেল অর্থের মালিক হয়ে যান।
করোনা-উত্তর সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক লাখ ২০ হাজার কোটি টকার ওপর প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এ অর্থ বিতরণ শুরু হয়েছে। কিছু উদ্বেগের কথাও জেনেছি। অনেক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ- ঋণ নিয়ে কিছু গ্রাহক লাপাত্তা হয়ে যাবে। তারা যথাযথ বন্ধকি সম্পত্তি রাখবে না। ১০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ২০ কোটি টাকার সিকিউরিটি দেবে। কোনো ব্যাংক অফিসার তা দিতে অস্বীকার করলে আটকে রেখে খোঁড়া করে ফেলার হুমকি দেয়া হবে।
নসিব খারাপ হলে কেবল খোঁড়া নয়, জানও যেতে পারে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর দাবি, তারা যে ঋণ দেবে সে ঋণ যদি গ্রহীতাদের একটি অংশ ফেরত না দেয়, তা পূরণ করে দেবে সরকার। বেশ মজার বিষয়, তাই না? ঋণ নিয়ে ব্যবসা করবে ব্যক্তি। কিন্তু ঋণ ফেরত না এলে তা পুষিয়ে দেবে সরকার।
অর্থমন্ত্রীর জন্য কাজটি কঠিন, সন্দেহ নেই। যেকোনো অর্থমন্ত্রীকেই সমাজের নানা অংশের চাহিদা-প্রত্যাশার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। কিন্তু সকলে তো অর্থমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাতে পারে না। একবার অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া আমাকে বলেছিলেন, শিল্প ও বণিক সমিতির বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন তার কাছে যে সুবিধা চাইছে, তা মেটাতে হলে কয়েক বছরের রাজস্ব আয় দিয়েও হবে না। তারা সরকারকে ট্যাক্স দিতে চায় না। ফাঁকি দেয় বিস্তর।
করোনার বিপর্যয়ের কারণে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর সামনে দাবিনামা আরও অনেক বড় হয়েই আছে। এর সঙ্গে আছে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বিপুল চাহিদা। স্বাস্থ্য খাতের কথা না-ইবা বললাম। আরও অনেক খাত সরকারের কাছ থেকে ভতুর্কি পেতে আগ্রহী। সড়ক ও নৌ পরিবহন ব্যবসায়ীরা ভর্তুকি চান। বিমান খাত ভর্তুকি চায়। পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা ভর্তুকি চান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তুকি চায়। হোটেল মালিকরা ভর্তুকি চায়। পোশাক শিল্প থেকে শুরু করে আরও অনেক প্রভাবশালী গোষ্ঠী আছে, যারা মনে করে সরকারের ভাণ্ডার থেকে অর্থ কেবল তাদেরই প্রাপ্য। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মালিকরা মনে করেন তারা বিপর্যস্ত। এনজিও থেকে যারা ঋণ নেয়, তারাও কূলকিনারা পায় না। অর্থমন্ত্রী কী করবেন?
লেখক: মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।