করোনা সংকটে শিশুশ্রম বাড়ছে
হীরেন পণ্ডিত
আইএলও’র সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বের প্রায় ১৬ কোটি ৮০ লাখ শিশু নানাভাবে শ্রম বিক্রি করছে। এদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত প্রায় সাড়ে আট কোটি শিশু। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত ‘জাতীয় শিশু জরিপ ২০১৩’ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত আছে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার শিশু। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার শিশু।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে দেশের ১৩ লাখ শিশু। বর্তমানে এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। ২০০৬ সালের শিশু সনদে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের সার্বিক শ্রম এবং ১৮ বছরের কম বয়সি শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে কারখানায় ১৮ বছরের কম বয়সের শ্রমিক নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘শিশুশ্রম’ শব্দটার সঙ্গে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত এবং চোখের সামনে অহরহ দেখছি। শিশুশ্রমের আক্ষরিক অর্থ হলো ‘শিশুদের দ্বারা শ্রম’ বা শিশুদের মাধ্যমে যে শ্রম তাই শিশুশ্রম। এর সর্বজনগ্রাহ্য অর্থ হলো আর্থিক লেনদেনসহ অথবা আর্থিক লেনদেন বা খাবার দেয়া কিংবা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে শিশুদের কোনো কাজের জন্য নিয়োগ করা হলে তা শিশুশ্রমের আওতায় পড়ে। কিন্তু, শোষণমূলক বিবেচেনায় অনেক দেশই এই শিশুশ্রমকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
বর্তমান বিশ্বে ১৫ বছরের নিচে প্রায় এক-দশমাংশ শিশু বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পেশায় বা কাজে নিযুক্ত রয়েছে। এদের বেড়ে ওঠা আর বেঁচে থাকা দুই-ই হয় চরম দারিদ্র্য আর বঞ্চনার মধ্য দিয়ে, জীবনের শুরুই হয় নানা বঞ্চনা আর অবহেলা দিয়ে। উন্নত জীবনের জন্য শিক্ষাগ্রহণ ও দক্ষতা উন্নয়নের কোনো সুযোগ থেকে তারা থাকে নির্বাসিত এবং এগুলো তাদের জীবনে হয়তো স্বপ্ন হয়ে চোখের সামনে ভাসে।
বিষয়টা দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে আজ-অবধি শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন আইন, নানা উদ্যোগ আর আয়োজনের পরও শিশুশ্রম যেন বেড়েই চলছে। হাজার হাজার শিশু শ্রম দিচ্ছে বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, কলকারখানায়, ইটভাটা, গ্যারেজ, রিকশা, ওয়ার্কশপে। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা আর দারিদ্র্যের নির্মম কষাঘাতের জন্যই বেড়ে চলছে শিশুশ্রম।
জীবিকার তাগিদে জীবনের শুরুতেই কোমলমতি শিশুরা মুখোমুখি হচ্ছে কঠিন বাস্তবতার। অথচ যে বয়সে তাদের হাতে থাকার কথা বই-খাতা-কলম, সেই বয়সেই হাতে তুলে নেয় কঠোর পরিশ্রমের হাতিয়ার। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য বাড়ছে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা। পরিবারকে দু’মুঠো অন্ন আর অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে কোমলমতি শিশুদের যোগ দিতে হয় নানা ঝুঁকিপূর্ণ পেশায়।
শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য আইনের যথোপযুক্ত ব্যবহার করে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। অতিদরিদ্র গরিব পরিবারের সন্তানরা সর্বজনীন শিক্ষা বা বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই শিশুদের অভিভাবক অন্ন সংস্থানের তাগিদে তাদের সন্তানদের পাঠায় কাজ করতে। শিশুশ্রম সামাজিক শোষণের দীর্ঘস্থায়ী এক হাতিয়ার। সরকার ও ইউনিসেফসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংগঠন আপসহীনভাবে কাজ করছে শিশুশ্রম রোধ করার জন্য। তবুও রোধ করা যাচ্ছে না শিশুশ্রম, শিশু নির্যাতন, শোষণ ইত্যাদি।
ভবিষ্যৎ প্রবক্তাদের চোখে-মুখে যদি আমরা আলোর পরশ এনে দিতে চাই তাহলে সবার আগে তাদের উপযোগী পৃথিবী আমাদের গড়ে দিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বেড়ে উঠতে দিতে হবে অনুকূল এবং উপযুক্ত পরিবেশে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা সরকারের পক্ষে এককভাবে শিশুশ্রম সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। পেশাজীবী, নাগরিক সমাজ, নীতিনির্ধারক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসই পারে অবহেলিত শিশুদের অনুকূল এবং উপযুক্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আনতে।
আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল ইউনিসেফ এক নতুন প্রতিবেদনে বলেছে, কোভিড-১৯ সংকটের ফলে আরও লাখ লাখ শিশুকে শিশুশ্রমে ঠেলে দেয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যা গত ২০ বছরের অগ্রগতির পর প্রথম শিশুশ্রম বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘কোভিড-১৯ ও শিশু শ্রম: সংকটের সময়, পদক্ষেপের সময়’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০০০ সাল থেকে এপর্যন্ত শিশুশ্রম ৯ কোটি ৪০ লাখ কমেছে, কিন্তু এই অর্জন এখন ঝুঁকির মুখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরই মধ্যে শ্রমে থাকা শিশুদের হয়ত আরও বেশি কর্মঘণ্টা কাজ করতে হচ্ছে বা তাদের আরও খারাপ পরিবেশে কাজ করতে হতে পারে। তাদের মধ্যে আরও বেশি সংখ্যক শিশুকে হয়ত ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিযুক্ত হতে বাধ্য হতে হবে, যা তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকির কারণ হবে।
মহামারির কারণে পারিবারিক আয়ে বিপর্যয় নেমে আসার কারণে কোনো সহায়তা না পেয়ে অনেকেই শিশুশ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হবে। সংকটের সময়ে সামাজিক সুরক্ষা অপরিহার্য, যেহেতু তা সবচেয়ে বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়। শিশুশ্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রশমনে শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায়বিচার, শ্রমবাজার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও শ্রম অধিকার বিষয়ে সমন্বিতভাবে বৃহত্তর পরিসরে নীতিমালা প্রণয়ন বড় পরিবর্তন আনতে পারে। কোভিড-১৯ এর ফলে দারিদ্র্য বেড়ে গিয়ে শিশুশ্রম বাড়াবে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো সম্ভাব্য সকলভাবেই চেষ্টা করবে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কিছু দেশে দারিদ্র্য ১ শতাংশ বৃদ্ধিতে শিশুশ্রম কমপক্ষে দশমিক ৭ শতাংশ বাড়তে পারে।
সংকটের সময় অনেক পরিবারই টিকে থাকার কৌশল হিসেবে শিশুশ্রমকে আয়ের অন্যতম অবলম্বন হিসেবে এগিয়ে দেয়। দারিদ্র্য বৃদ্ধি, স্কুল বন্ধ ও সামাজিক সেবাপ্রাপ্তি কমতে থাকায় অধিক সংখ্যায় শিশুদের কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বকে নতুনভাবে দেখতে চাই বলে আমাদের নিশ্চিত করা দরকার যে, শিশু ও তাদের পরিবার ভবিষ্যতে একই ধরনের ধাক্কা সামলে নিতে বিকল্প পথ খুঁজে নিতে পারে। মানসম্পন্ন শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা সেবাসহ আরও ভালো অর্থনৈতিক সুযোগ ইতিবাচক এই পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে।
অর্থনৈতিক মন্দায় অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনৈতিক খাতে কর্মরত ও অভিবাসী শ্রমিকদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাতে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মী ও বেকারত্ব বৃদ্ধি, জীবনমানের নিম্নমুখী অবস্থা, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার ঘাটতিসহ অন্যান্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
চলমান মহামারির কারণে এই অর্জন যেন নস্যাৎ না হয় তা নিশ্চিত করতে অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আমাদের আরও বেশি সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সময়োচিত এই প্রতিবেদনটি কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ প্রভাবের ওপর আলো ফেলেছে এবং আইএলও, সরকার, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠনসমূহ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সামনে বর্তমান সংকট মোকাবিলার সর্বোত্তম পথ খুঁজে পেতে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছে।
সবচেয়ে অসহায় শিশুদের জীবন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যতের ওপর কোভিড-১৯ মহামারি বিশেষ নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্কুল বন্ধ ও পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় অনেক শিশুর জন্য শ্রমে যুক্ত হওয়া এবং বাণিজ্যিকভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা যত বেশি সময় স্কুলের বাইরে থাকে তাদের আবার স্কুলে ফেরার সম্ভাবনা ততটাই কমে যায়। আমাদের এখন শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষার ওপর অগ্রাধিকার দেয়া উচিত এবং মহামারির সময়জুড়েই তা অব্যাহত রাখা উচিত।
মহামারির এই সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাওয়ার প্রমাণ ধারাবাহিকভাবে আসছে। বিশ্বের ১৩০টির বেশি দেশে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি যখন পুনরায় ক্লাস শুরু হবে তখন অনেক বাবা-মায়ের হয়ত তাদের সন্তানকে স্কুলে দেয়ার সক্ষমতা থাকবে না। এর ফলে আরও অনেক শিশু বঞ্চনামূলক ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে যোগ দিতে বাধ্য হতে পারে। লিঙ্গ বৈষম্য আরও তীব্র হতে পারে। বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের কৃষি ও গৃহকর্মে বঞ্চনার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
শিশুশ্রম বৃদ্ধির ঝুঁকি মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অধিকতর সমন্বিত সামাজিক সুরক্ষা, দরিদ্র পরিবারের জন্য সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ, বড়দের মানসম্মত কাজের সুযোগ বৃদ্ধি, স্কুলের বেতন বাতিলসহ শিশুদের স্কুলে ফেরা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, শ্রম পরিদর্শন ও আইন প্রয়োগে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়গুলোও রয়েছে।
ঢাকায় ১৯৪ শ্রমজীবী শিশুর ওপর পরিচালিত জরিপে অংশ নেয়া শিশুদের ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ জানিয়েছে, এই মহামারি শুরু হবার পর থেকে কাজ হারিয়েছে; মহামারিকালে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা ক্রেতা না থাকায় তাদের পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। আয় রোজগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পেশা পরিবর্তন করেছে ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ শিশু। এদের মধ্যে অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়েছে, যা ঢাকা শহরে দৃশ্যমান।
এই মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর আগে নগরে শিশুদের ৫৭ দশমিক ২ ভাগের মাসিক আয় ছিল ১-৩ হাজার টাকা। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে সে সংখ্যাটি ৪৭ দশমিক ৭ ভাগে নেমে এসেছে। আবার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ যারা ৩-৪ হাজার টাকা মাসে আয় করত তা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশে। শতকরা ৩০ দশমিক ৯ ভাগ শিশু বলেছে তাদের আয়ের ওপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল।
জরিপে অংশ নেয়া শ্রমজীবী শিশুদের ২২ দশমিক ৮ ভাগ জানিয়েছে, তারা কাজে যাবার সময় মাস্ক ব্যবহার করে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে ৭৮ দশমিক ৯ ভাগ শিশু বলেছে, তারা কাজ থেকে ফিরে এসে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করে। জরিপে অংশ নেয়া ৩২ শতাংশ শিশু বলেছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পরে তারা কোনো সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি।
বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শ্রম আইন প্রণয়ন করেছে, যা ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়। শ্রম আইনে ১৪ বছরের নিচে শিশুশ্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শ্রম আইনে বলা হয়েছে, ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ নয় এমন কাজ করতে পারবে। ৩৮টি সেক্টরকে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কোনো শিশু শ্রমিক না থাকার কথা দাবি করলেও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শিশুদের শ্রম থেকে ফেরানোকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
করোনার কারণে সার্বিকভাবে শিশুরা ভিন্ন-ভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রথমত, নিম্ন ও দরিদ্র পরিবারের শিশুরা স্কুল থেকে ঝরে পড়বে।
দ্বিতীয়ত, পরিবারে কমে যাওয়া আয়ের জোগান দিতে গিয়ে অনেক শিশুই শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে এবং সস্তায় শ্রম বিক্রি করবে, এমনকি অনেকে ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়বে।
তৃতীয়ত, অনেক মেয়ে শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হবে।
চতুর্থত, স্কুল বন্ধ থাকায় ঘরের মধ্যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হবে।
সার্বিক বিবেচনায় শ্রম, ভিক্ষাবৃত্তি, বাল্যবিবাহের কারণে শিশুরা শিক্ষার মূল স্রোতধারা থেকে চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এসব শিশু বড় অংশ শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়তে পারে।
এসব কারণে শিক্ষার অগ্রগতির সূচকে আমাদের দেশ পিছিয়ে পড়তে পারে, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিলম্বিত হবে এবং শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নানাভাবে ব্যাহত হতে পারে।
লেখক: প্রাবন্ধিক