বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশ্চিমবঙ্গে উৎকণ্ঠার অবসান তবে নিরুদ্বিগ্ন নয়

  • রণেশ মৈত্র   
  • ১০ মে, ২০২১ ১০:১৬

অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী বিপুলসংখ্যক নির্দলীয় ভোটারও তৃণমূলকেই বেছে নেন। অপরদিকে হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সমর্থক সবাই একযোগে ভোট দিয়েছেন বিজেপির অনুকূলে। এই দুইয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষীণকণ্ঠ মোর্চা কারও ভাবনাতেই স্থান করে নিতে পারেনি বলেই তাদের এই বিপর্যয়।

পশ্চিম বাংলার রাজ্য নির্বাচন সমাপ্তির পর পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের উৎকণ্ঠার অবসান হলো। উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ‘বঙ্গজয়ের’ লক্ষ্যে দিল্লির সার্বিক সামর্থ্যকে ব্যবহার করেও পরাজিত হওয়ায়। দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, কঠিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের এবারের নির্বাচন ঘিরে। বিজেপির বঙ্গজয়ের স্বপ্ন যদি সফল হয়- এমন দুশ্চিন্তার কারণেই সৃষ্টি হয় ওই উদ্বেগ- কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর যখন দেখা গেল ২৯২টি আসনের মধ্যে ২১৪টিতেই বিজয়ী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস আর পরাজিত হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি।

স্মরণ করা যেতে পারে, মার্চ-এপ্রিল ধরে দফায় দফায় এবং পৃথকভাবে হেলিকপ্টারে উড়ে পশ্চিম বাংলার জেলাগুলোতে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রতি দফায় তিনি ৪-৫টি বিশাল জনসভা করে যাবার ২-১ দিন পরই এসেছেন মোদি সরকারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনিও দফায় দফায় একইভাবে বিশেষ হেলিকপ্টারে এসে ৫-৭ টি জেলার নানা জায়গায় বেশ কয়েকটি জনসভা করে দিল্লি ফিরে যেতে না যেতেই দিল্লি থেকে পাড়ি জমিয়েছেন বিজেপির সভাপতি নাড্ডা। তিনিও অনুরূপ সংখ্যায় জনসভায় ভাষণ দিয়ে ফিরে যেতে না যেতেই আবার চলে আসতেন নরেন্দ্র মোদি। একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে বারবার। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সরকারি দলের সভাপতিকে কোনো দিনই অতীতের পশ্চিমবাংলা কেন-ভারতের অতগুলো রাজ্যে কোনোটির নির্বাচনেই এসে এমন ধরনের নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে দেখা যায়নি।

নেতাদের বক্তৃতায় বিজেপি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, তারা এবার পশ্চিম বাংলার নির্বাচনে কমপক্ষে ২০০ আসনে জিতবেনই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটাতে নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং যখন জনসভায় ‘দিদি ও দিদি’ বলে উল্লেখ করে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে পরোয়া করেননি তখন ভারতের রাজনীতিতে যে সংস্কৃতির নমুনা তিনি তুলে ধরেছেন, তা কখনই একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে উচ্চারিত হওয়া প্রত্যাশা ছিল না, বরং তা ভারতের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রচলিত সংস্কৃতির পরিপন্থি।

একই সঙ্গে বিজেপি একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় বিধায়ককে তাদের নিজ দল পরিত্যাগ করিয়ে বিজেপিতে টেনে নিয়ে অনৈতিকভাবে এক ক্ষতিকর রাজনীতি চালু করে। কথিত আছে, অনেক টাকার বিনিময়ে এবং মন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়েও কাউকে কাউকে দল ত্যাগ করানো হয়েছে। নির্বাচনি ফলাফলে দেখা গেল, জনগণ এগুলো ভালোভাবে দেখেনি।

বিজেপির করোনা প্রতিরোধে অস্বাভাবিক উদাসীনতা সমগ্র ভারতের মানুষকে কম-বেশি বিজেপিবিরোধী করে তুলতে অথবা বিজেপির ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিতেও সহায়ক হয়েছে। লক্ষণীয় নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হলো যখন সমগ্র ভারতে করোনা ভাইরাস কোটি কোটি ভারতবাসীকে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এনে দাঁড় করিয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার যৌক্তিক এবং বিজ্ঞানসম্মত পরামর্শকে উপেক্ষা করে নির্বাচনি শিডিউল অক্ষুণ্ন রাখতে একদিকে বিজেপির সরকার, অপরদিকে নির্বাচন কমিশন উভয়েই গণবিরোধী ভূমিকা পালন করে। অংশগ্রহণকারী কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালে নির্বাচন কমিশন তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেয়াতে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারাভিযান চালাতে যে বিশাল জনসমাবেশ প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চালানো হয়, তা কেন্দ্র করে করোনা সর্বত্র ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়েও বিশেষজ্ঞদের অভিমত উড়িয়ে দেয়া, মানুষ যৌক্তিক বলে মনে না করে বিজেপিবিরোধী মনোভাবই তীব্রতর করে তোলে। সমাবেশগুলোতে অংশগ্রহণকারী নেতা-কর্মী ও হাজার হাজার শ্রোতার বড় অংশকে মাস্ক পরতে বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য আবেদনটুকুও জানানো হয়নি।

নির্বাচন কমিশন ৮টি ধাপে এক মাস ধরে ভোট গ্রহণের আয়োজন করে। পশ্চিমবাংলা ভারতের অন্যতম ক্ষুদ্র রাজ্য, ভোটারসংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম। ফলে আট ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন দল সমালোচনা করে অতীতের মতো এক দিন বা দুই দিনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যুক্তিসংগত দাবি জানালে কমিশন তা-ও অগ্রাহ্য করে। নির্বাচনি ময়দানের অভিজ্ঞতায় দেখা গেল, আট ধাপে নির্বাচন বিজেপির স্বার্থের অনুকূল হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের, প্রধানমন্ত্রীসহ। এর ফলে রাজ্যবাপী দিনের পর দিন ব্যাপক প্রচার অভিযান পরিচালনার পক্ষে সহায়ক হয়েছে এই আট ধাপে নির্বাচনের আয়োজন।

এভাবে ব্যাপক নির্বাচনি অভিযান অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ফলে তা বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে, অন্য দলগুলোর ক্ষেত্রে তা প্রতিকূল পরিস্থিতির তৈরি করেছে।

নির্বাচন সম্পন্ন হলো। কিন্তু সবার নজর যে কেন্দ্রের দিকে নিবদ্ধ ছিল সেটি হলো নন্দীগ্রাম। ওই কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রটি নিয়ে এক অশোভন নাটকীয়তা দফায় দফায় দেখিয়ে একবার জেতা, একবার হারা এভাবে বহু সময় কাটিয়ে জানানো হলো মমতা হাজার তিনেক ভোটে জিতেছেন। পরক্ষণেই ওই ঘোষণা স্থগিত করে জানানো হলো মমতা তার প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সরাসরি সমর্থনের কারণে শুভেন্দু একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী নিঃসন্দেহে কিন্তু তা এমন নয় যে, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিতে পারেন। ফলে কারচুপির সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ে।

যা হোক, মমতার জনপ্রিয়তা সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে কত ব্যাপক, নির্বাচনি ফলাফলে তা সুস্পষ্টভাবে জানা গেল। তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে ২১৪টি আসনে জিতেছে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাদেই), সেখানে বিজেপির অর্জন ৭৬।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ফলাফলে একদিকে যেমন খুশি অপরদিকে ব্যক্তিগতভাবে তার পরাজয়কেও মানতে নারাজ। এ ব্যাপারে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এতে তার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে সাংবিধানিক কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিধানসভার যেকোনো আসন থেকে জিতে আসতে হবে এ-ই যা!

বাম কংগ্রেস আইএসএফ মোর্চার ব্যর্থতা পশ্চিমবঙ্গের এই নির্বাচনে মর্মান্তিক পরাজয় ঘটেছে মোর্চার। এই তিন দলের মধ্যে বামফ্রন্টের দলগুলো এবং জাতীয় কংগ্রেস অত্যন্ত প্রাচীন এবং সুপরিচিত সর্বভারতীয় দল হওয়া সত্ত্বেও এমন পরাজয় কল্পনাতীত। বুথফেরত সমীক্ষাগুলোতেও মোর্চা ১৫ থেকে ২০টি আসন পাবে বলে অনুমান করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল প্রাচীন দুটি দল পেয়েছে প্রত্যেকে শূন্য আসন এবং নতুন দল আইএসএফ একটি মাত্র আসনে জয়লাভ করেছে।

বাম-কংগ্রেসের এমন পরাজয় কেন? সর্বভারতীয় দল এবং দীর্ঘদিন সারা ভারত (কংগ্রেস) এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারে আসীন এবং বহু সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হওয়া সত্ত্বেও এমন পরাজয় কোনো হিসেবেই মেলে না। তবু সাদাচোখে এই পরাজয়ের যে যে কারণ স্পষ্ট হয়েছে তাতে প্রথমত, এই দুই দলই বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে সমশত্রু হিসেবে গণ্য করে সেই মত প্রচার করায় তারা গণবিচ্ছিন্ন, জনতার আস্থা হারিয়েছেন বলে মনে করি। দেখা গেল হিন্দুত্ববাদী বিজেপির বিরুদ্ধে কঠোরভাবে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ও তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিণতি দাঁড়িয়েছে যখন মোর্চা বিজেপির বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে বিজেপি অনুগামীরা তাদের তৃণমূল সমর্থক বলে মনে করেছে। আবার যখন তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেছে, তখন তৃণমূল অনুগামীরা তাদের বিজেপি-সমর্থক বলে মনে করেছে। জনগণ কিন্তু দেখেছে বিজেপির সাম্প্রদায়িকনীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সাম্প্রদায়িকতাই যে জনগণের সর্বাধিক বড় শত্রু-পশ্চিমবঙ্গবাসী তা ভালোই জানেন। সম্প্রদায়গতভাবে যদি ভাবি ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বিজেপির কঠোর সমালোচক হওয়ার কারণে একযোগে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের অনুমান। অপরদিকে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী বিপুলসংখ্যক নির্দলীয় ভোটার ও তৃণমূলকেই বেছে নেন। অপরদিকে হিন্দুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার সমর্থক সবাই একযোগে ভোট দিয়েছেন বিজেপির অনুকূলে। এই দুইয়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষীণকণ্ঠ মোর্চা কারও ভাবনাতেই স্থান করে নিতে পারেনি বলেই তাদের এই বিপর্যয়।

বস্তুত, আজ গভীরভাবে ভাবা দরকার- বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে প্রধান শত্রু কে? সেই প্রধান শত্রুকে পরাজিত করতে সব শক্তি সম্মিলিতভাবে রাস্তায় দাঁড়ানোই সম্ভবত ছিল সঠিক নীতি- যা চিহ্নিত করতে বাম ও কংগ্রেস সক্ষম হয়নি। ফলে যে বিপর্যয় ঘটল এর ফলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই গেল।

প্রয়োজন ছিল ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল বিরোধী দলের পশ্চিম বাংলার এই নির্বাচনের বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে রাজ্য বিধানসভায় বৃহত্তম বিরোধী শক্তি হিসেবে মোর্চার আত্মপ্রকাশ। প্রয়োজন ছিল এ কারণে যে, তা হলেই সরকারের নানা দুর্বলতার বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে বা সাম্প্রদায়িকতার পক্ষে সোচ্চার একটি রাজনৈতিক শক্তি এবং বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস আইএসএফ মোর্চাই হতে পারত তেমন একটি শক্তি।

প্রতিমুহূর্তে মনে রাখতে হবে, সাম্প্রদায়িক শক্তির মারাত্মক উত্থান ঘটেছে পশ্চিম বাংলায়-যার প্রমাণ তাদের ৭৬ আসনে অর্জিত বিজয়। বিরোধী দল হিসেবে সরকারের ওপর প্রভাব খাটানোর মতো যথেষ্ট শক্তি তারা অর্জন করেছে। এই স্থানে প্রয়োজন ছিল মোর্চার। তা না হওয়াতে সৃষ্টি হলো এক শূন্যতার, যা ওই প্রতিক্রিয়াশীল উগ্রধর্মান্ধ শক্তির ক্রমাগত উত্থানে সহায়ক হবে।

তাই সব প্রগতিশীল শক্তি যদি হিন্দুত্ববাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলনে নেমে তাদের জনবিচ্ছিন্ন করতে পারে তবেই মঙ্গল। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রধান শত্রু না ভেবে আংশিক মিত্র ভেবে ইস্যুভিত্তিক সহযোগিতার নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন, পশ্চিম বাংলার বাম-কংগ্রেস মহল বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত

এ বিভাগের আরো খবর