বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃক্ষের প্রতি আমরা কতটা কৃতজ্ঞ?

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:১২

আমরা প্রতিদিন এক অবিশ্বাস্য পরিমাণে অক্সিজেন নিয়ে থাকি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শেয়ারকেয়ারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে নিশ্বাসের মাধ্যমে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সাত থেকে ৮ লিটার বাতাস নেন। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় আনুমানিক ১১ হাজার লিটার বায়ু সেবন করে থাকে একজন মানুষ। কোনো ধরনের খাবার ছাড়া বেঁচে থাকা যায় অন্তত ২১ দিন; পানি ছাড়া ৩ দিন আর বাতাস ছাড়া বেঁচে থাকা যায় মাত্র ৩ মিনিট।

বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমরা প্রকৃতি থেকে বিনা মূল্যেই পেয়ে থাকি। এ অক্সিজেনের একমাত্র উৎস হলো গাছপালা ও জলজ উদ্ভিদ শ্যাওলা।

বাতাস ছাড়া একজন মানুষ সর্বোচ্চ তিন মিনিট টিকে থাকতে পারে। মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে বাতাসের অতি প্রয়োজনীয় অংশ অক্সিজেনের ঘাটতি পাঁচ মিনিট স্থায়ী হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো দ্রুত মারা যেতে শুরু করে। এ সময় মানুষ অচেতন হয়ে পড়ে এবং তার চোখের তারারন্ধ্র (পিউপিল) আলোর সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।

একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১১ হাজার লিটার বাতাস নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে, যা সে প্রকৃতি বিশেষত গাছগাছালি থেকে বিনা মূল্যেই পেয়ে থাকে। কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই পৃথিবীর ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন অধিবাসীর প্রত্যেকে এই অক্সিজেন প্রতিনিয়ত গ্রহণ করছে।

প্রকৃতির ওপর আমাদের এমন নির্ভরতা নিয়ে ভাবার সময় হয়তো এ কর্মব্যস্তময় জীবনে হয়ে ওঠে না।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের বেঁচে থাকার মূল জ্বালানি অক্সিজেন আমরা ফুসফুসের মাধ্যমে নিয়ে থাকি।

আমরা প্রতিদিন এক অবিশ্বাস্য পরিমাণে অক্সিজেন নিয়ে থাকি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শেয়ারকেয়ারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে নিশ্বাসের মাধ্যমে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ সাত থেকে ৮ লিটার বাতাস নেন। সে হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় আনুমানিক ১১ হাজার লিটার বায়ু সেবন করে থাকে একজন মানুষ। এর মধ্য থেকে ফুসফুস কেবল ৫ শতাংশ বিশুদ্ধ অক্সিজেন ছেঁকে নেয় এবং হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের মাধ্যমে তা রক্তে মিশে যায়। এই হিসাবে একজনের প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ৫৫০ লিটার বিশুদ্ধ অক্সিজেন।

অক্সিজেনের তুলনায় অন্য দুটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান পানি ও খাবার আমরা অনেক কম পরিমাণে গ্রহণ করে থাকি।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, সারা দিনে একজন মানুষ গড়ে সর্বোচ্চ দুই থেকে আড়াই কিলোগ্রাম খাবার খেয়ে থাকে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ৬ থেকে ৮ গ্লাস বা ১ দশমিক ৯ লিটার পানি পান করা উচিত।

অতি প্রয়োজনীয় এমন তিনটি উপাদানের কোনোটি ছাড়া মানুষ কত সময় বেঁচে থাকতে পারে এ নিয়ে একাধিক সারভাইবাল এক্সপার্ট (প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার লড়াইয়ে অভিজ্ঞ) ব্যক্তির বরাত দিয়ে ইনডিপেন্ডেন্ট ইউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের খাবার ছাড়া বেঁচে থাকা যায় অন্তত ২১ দিন; পানি ছাড়া ৩ দিন আর বাতাস ছাড়া বেঁচে থাকা যায় মাত্র ৩ মিনিট।

সারভাইবাল এক্সপার্ট এমন ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে এই বিখ্যাত ‘রুলস অফ থ্রি’ মেনে চলেন।

সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দিতে মহাত্মা গান্ধী সর্বোচ্চ ২১ দিন টানা উপবাস ছিলেন। তবে বেঁচে থাকতে সবচেয়ে জরুরি যে অক্সিজেন তা তিনি প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করেছিলেন। যে অক্সিজেন গ্রহণ করা থেকে রোজাদার ব্যক্তি ও একাদশী ব্রত পালনকারীদেরও বিরত থাকা সম্ভব নয়।

অক্সিজেনের বিকল্প নেই

গোটা পৃথিবীতে মানুষের জন্যে লাখো ধরনের বিকল্প খাবার রয়েছে। পানীয় জলের বিকল্পও রয়েছে অগণিত। একই সঙ্গে পানি ও খাবারের বিকল্প হতে পারে হাজারো ধরনের সুস্বাদু ও রসালো ফল, যা খেয়ে কিছু মানুষ কাটিয়ে দিতে পারে সারা জীবনও।

পৃথিবীতে কেউ কি আছেন যিনি জীবনরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের বিকল্প খুঁজে বের করতে পেরেছেন?

পৃথিবী ও মহাশূন্যে সব জায়গাতেই বেঁচে থাকতে হলে প্রত্যেক মানুষ, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ ও জলজ প্রাণীকেও কোনো না কোনোভাবে অক্সিজেনের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

একজন মানুষের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে কয়টি গাছ প্রয়োজন

পৃথিবীতে অক্সিজেন উৎপন্ন করে বিভিন্ন ধরনের গাছ ও জলজ উদ্ভিদ। কোনো গবেষণাগার, প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞানী এখন পর্যন্ত অক্সিজেন তৈরি করতে পারেনি। বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা বাতাস থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে চিকিৎসায় ব্যবহার করতে শিখেছি।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, একটি বড় গাছ সর্বোচ্চ চারজন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

বিবিসির সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, একজন মানুষ বছরে ৯ দশমিক ৫ টন বাতাস শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে। বছরে অন্তত ৭ থেকে ৮টি গাছ এ পরিমাণ অক্সিজেন বাতাসে ছাড়তে পারে।

অন্যদিকে উদ্ভিদবিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্যান্থমফরেস্ট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ অন্তত ১৮ জন মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে।

অন্যদিকে আরবর ডে ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, একটি গাছ দূষিত বাতাস থেকে বছরে ৪৮ পাউন্ড কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়।

অক্সিজেনের মূল্য কত?

জ্ঞান-বিজ্ঞানের আদর্শিক বিষয়কে পাশ কাটিয়ে মানবজাতির হাতে এসেছে পারমাণবিক বোমা, গণবিধ্বংসী অস্ত্র। তবে এখনও মানুষ তার নিজের বেঁচে থাকার জন্যে সবচেয়ে জরুরি অক্সিজেন তৈরি করতে পারে নাই। একমাত্র গাছপালা সেই অক্সিজেন মানুষসহ পৃথিবীর সব প্রাণীর জন্যে নিরন্তর উৎপাদন করে যাচ্ছে। তবে প্রযুক্তির মাধ্যমে গত শতকে বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা করে সিলিন্ডারজাত করতে পেরেছি আমরা।

যেহেতু অক্সিজেন প্রাকৃতিক সম্পদ তাই এর সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব।

কোনোরূপ মূল্য পরিশোধ ছাড়াই তা আমরা গ্রহণ করে যাচ্ছি। মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত এভাবেই আমরা তা গ্রহণ করে যাব।

অন্যদিকে ডুবুরি, পর্বতারোহী ও মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসায় অক্সিজেনের সিলিন্ডার বাণিজ্যিকভাবে বেচাকেনা হয়।

মুক্ত বাতাস থেকে শুধু প্রক্রিয়াজাতকরণের যুক্তিতে ভোক্তার কাছ থেকে উচ্চ মূল্যে অক্সিজেনভর্তি সিলিন্ডার বেচতে এতটুকুও কুণ্ঠিত হয় না আমাদেরই মুনাফালোভী ব্যবসায়ী স্বজনেরা।

প্রকৃতির সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘গ্রিন দিল্লি’র বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন মানুষ প্রতিদিন ৫৫০ লিটার ‘পিউর’ অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। সিলিন্ডারজাত করলে এই পরিমাণ অক্সিজেনের বাজারমূল্য প্রায় ১৩ লাখ রুপি। ২ দশমিক ৭৫ লিটার অক্সিজেন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি সিলিন্ডারের মূল্য ৬ হাজার ৫০০ রুপি। এই হিসাবে ৫৫০ লিটার অক্সিজেনের জন্যে প্রয়োজন হবে ২০০টি সিলিন্ডার।

অন্যদিকে একজন রোগী ২৪ ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারে এমন একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের আন্তর্জাতিক বাজারে আনুমানিক মূল্য ৮০০ ডলার (৬৬ হাজার টাকা)।

বাংলাদেশে ‘অক্সিজেন ঢাকা’ নামে একটি কোম্পানি এমন একটি সিলিন্ডার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ২৬ হাজার ৫০০ টাকায়।

মানবজাতির জন্য সুসংবাদ

ধরিত্রীর প্রতিটি বাসিন্দার বেঁচে থাকার জন্যে অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের উৎপাদক গাছের সংখ্যা রয়েছে পর্যাপ্ত।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন বাসিন্দার জন্যে গাছ রয়েছে ৩ ট্রিলিয়নের বেশি। গবেষণা দলের প্রধান থমাস ক্রোথার সুসংবাদ দিয়েছেন প্রতি বাসিন্দার জন্যে গড়ে গাছ রয়েছে ৪২০টি।

তবে মানবজাতিকে বাঁচিয়ে রাখার সব কৃতিত্ব কেবল গাছকে দিলে বঞ্চিত হবে সামুদ্রিক শেওলা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ। ইকোলজি টুডে নামে এক সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালোকসংশ্লেষন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের ৭৫ শতাংশই উৎপাদন করে সামুদ্রিক শৈবাল ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদ।

বৈষম্য নয় সমতা

স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেরই আলাদা খাবার ও পানীয়র তালিকা থাকতে পারে। ঋতু ও স্থানভেদে পছন্দের এই তালিকা লম্বা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে কোনো এক তপ্ত দুপুরে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে দেখেছি ৬০ টাকা দরে কেনা লাঞ্চবক্সের খাবার তৃপ্তি করে খাচ্ছিলেন। এর পরই পাশের একটি পাঁচতারকা হোটেলে গিয়ে দেখতে পেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধু তার দুইজন ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গে লাঞ্চ করছেন। সেখানে দুপুরে খেতে জনপ্রতি সর্বনিম্ন খরচ পড়ে ৬০ ডলার (৫ হাজার টাকা)।

রাজধানীর আদাবর এলাকায় ছয় তলা বাড়ির মালিক তার তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বিলাসবহুল একটি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে তার বাড়িতে মাসিক আট হাজার টাকা বেতনে দারোয়ান হিসেবে যথেষ্ট সুখ-সাচ্ছন্দ্যে রয়েছেন এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। তিনি মশারি টাঙিয়ে সিঁড়ির তলায় একটি পুরোনো চৌকিতে শুয়ে রাত কাটিয়ে দেন।

বিশ্বের সেরা ধনী, হলিউড-বলিউড তারকা ও বিভিন্ন দেশের যুবরাজ-রাজকন্যাদের বিলাসী জীবনের সঙ্গে যদি আমরা আফ্রিকার দেশ ডি আর কঙ্গো, সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার একজন নাগরিকের জীবনমানের তুলনা করি তাহলে বিশ্বব্যাপী সমতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে যারা নিরন্তর সংগ্রাম করছেন তারা হয়তো নিরাশই হবেন।

একই ধরণীতে একই সময়ে একজন বাসিন্দা তার প্রতিদিনকার ভোগ-বিলাসে কয়েক মিলিয়ন ডলার অপচয় করছেন। আবার অনেকে দুই ডলারের কম পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।

কিন্তু জীবনরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণে সেই অসীম অসমতা দেখা যায় কী?

সেই বাড়িওয়ালা ও তার দারোয়ান, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই বন্ধুটি ও কারওয়ানবাজারের সেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কোনো এক যুবরাজ ও তার ব্যক্তিগত উড়োজাহাজের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী, এরা সবাই নিঃশ্বাস দেয়ার ক্ষেত্রে ১১ হাজার লিটার বাতাসই প্রকৃতি থেকে টেনে নিচ্ছেন। এখানে কোনো অসমতা দেখা যায় না। তবে ফুসফুসের আকারভেদে অক্সিজেন নেয়ার পরিমাণে সামান্য পার্থক্য হয়ে থাকে।

চায়নিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের অ্যানেস্থেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ফুসফুসে বাতাস ধারণক্ষমতা থাকে গড়ে ৬ লিটার। তবে উচ্চমাত্রায় খাদ্য পরিপাক করার কারণে কিশোর-কিশোরীদের ফুসফুসের এ ক্ষমতা হয় দ্বিগুণ।

বনখেকো ওসমান গনি, জসীম ইকবালদের কাছে এসব কথা কেবল অবান্তর প্যাঁচাল ছাড়া কিছুই না। তাই তো অক্সিজেন সরবরাহ করে যে গাছ তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে সেই পরম বন্ধুকে নির্দ্বিধায় কেটে গড়েছেন অস্থায়ী প্রাসাদ আর বস্তায় ভরে রেখেছেন কোটি কোটি টাকার নোট।

বনখেকোদের এমন নির্বুদ্ধিতা একসময় নিষ্ঠুরতার সব সীমাকেও ছাড়িয়ে যায়। নিজের প্রাসাদের সৌন্দর্য বাড়ানোর নেশায় পোক্ত কাঠের সন্ধানে তিনি বন থেকে বেছে নেন সবচেয়ে দীর্ঘজীবী সেগুন গাছটিকে। এরপর করাত কলে (স’মিল) নিয়ে পরম বন্ধুটিকে চিড়ে তক্তা করে বানিয়ে নেন বাহারি আসবাব (ফার্নিচার)।

গাছের সঙ্গে বৃক্ষপ্রেমিক কাজী হাসান, শাহজাহান বিশ্বাস, আনোয়ার হোসেন সোহাগদের আজন্ম সখ্য আমার এসব যুক্তির ঊর্ধ্বে।

লেখক: সাংবাদিক

এ বিভাগের আরো খবর