বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিরস্মরণীয় মুজিবনগর সরকার

  • মোহাম্মদ শাহজাহান    
  • ১৭ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:৩৮

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী মুজিবনগর সরকার ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান শুরু থেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের ষড়যন্ত্র বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু মুজিবনগর সরকার পাকিস্তানের সকল অপপ্রচারের জবাব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে।

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭১-এর এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে অনেক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের উপস্থিতিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে।

কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে নেতৃবৃন্দ দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ এক শ’ যানবাহনে তারা ১৭ এপ্রিল সকাল ১১টায় মেহেরপুর মহকুমার আম্রকাননে পৌঁছেন। টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

নতুন সরকার ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কুষ্টিয়ার নির্বাচিত এমএনএ ও এমপিএরা সভার আয়োজন করেন। তখন মেহেরপুর মুক্ত এলাকা ছিল। মেহেরপুরের এমপিএ ডা. আসাবুল হক, এসডিও তৌফিক এলাহী চৌধুরী, ঝিনাইদহের এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আহমেদ পিএসপি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেজর আবু ওসমান চৌধুরী অনুষ্ঠান আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ইউসুফ আলী এমএনএ উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান। শপথ অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি বিদেশি সাংবাদিক ও ফটো সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ পিএসপি। শপথ অনুষ্ঠানের পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান সেনাপতি ভাষণ দেন। এভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সংসদের নেতৃত্বে একটি সাংবাধানিক সরকার পৃথিবীর ইতিহাসে আত্মপ্রকাশ করে।

নতুন সরকার বাংলাদেশের রাজধানীর নামকরণ করে মুজিবনগর। মুজিবনগর সরকার গঠনের ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতা সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে। বিশ্ববাসী বিশেষ করে ভারত, রাশিয়া ও প্রবাসী বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করে সাত কোটি বাঙালিকে বিজয়ের পথে নিয়ে যায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মুজিবনগর সরকার গঠন এক ঐতিহাসিক ঘটনা।

প্রায় ১৫০ এমএনএ এবং দু’শ’র বেশি এমপিএ মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকারের প্রতি সমর্থন প্রদান করেন।

১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং যেসব নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সরকার গঠন করা হয়-

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- রাষ্ট্রপতি। সৈয়দ নজরুল ইসলাম - উপরাষ্ট্রপতি, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি। তাজউদ্দিন আহমদ- প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, সংস্থাপনমন্ত্রী। ক্যাপ্টেন মনসুর আলী- অর্থমন্ত্রী। খন্দকার মোশতাক আহমেদ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এএইচএম কামরুজ্জামান- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কর্নেল এমএজি ওসমানী-প্রধান সেনাপতি।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ওই অনুষ্ঠান সমগ্র বাংলাদেশের নারী জাতির প্রতিনিধিত্ব করেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর স্ত্রী বেগম নাজিয়া ওসমান ও তাদের দুই শিশু কন্যা চম্পা ও কলি। অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্থানীয় গ্রামবাসী থেকে কিছু চেয়ার-টেবিল এনে খোলা মাঠের এক কোণে গাছতলায় সাজিয়ে সভামঞ্চের রূপ দেয়া হয়। বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে তুমুল করতালির মধ্যে নেতৃবৃন্দ মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন।

১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। আর ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ -এ মেহেরপুরের আরেক আম্রকানন আত্মপ্রকাশ করলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার।

অনুষ্ঠানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এক আবেগঘনও প্রাণস্পর্শী ভাষণে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কালজয়ী নেতৃত্বই আজ এখানে একটি নতুন দেশের জন্ম নিল। বিশ্ব মানচিত্রে আজ যে নতুন রাষ্ট্রের সূচনা হলো, তা চিরদিন থাকবে। আমাদের রাষ্ট্রপতি জননন্দিত নেতা, ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের মূর্ত প্রতীক শেখ মুজিব বাংলার মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক মুক্তি ও অধিকারের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি আজ শত্রুর কারাগারে বন্দি। তার নেতৃত্বে আমাদের সংগ্রাম জয়ী হবেই।

শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তার গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি ব্যাখ্যা করে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকৃতি দান এবং এর সাহায্য-সহযোগিতা, এগিয়ে যাওয়ার জন্যে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের প্রতি আহবান জানান।

প্রত্যয়দৃপ্ত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন যুদ্ধে লিপ্ত। পাকিস্তানের উপনিবেশবাদী নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণ অর্জন ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন চিফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এটি রচনা করেন মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে প্রধানমন্ত্রীর ছায়ামন্ত্রী প্রখ্যাত আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে দক্ষতা, প্রজ্ঞা ও যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বলা হয় যে, নির্বাচনে বিজয়ী দলের নেতা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।

সত্তরের নির্বাচনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগের কাছে সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করলে স্বাধীনতা ঘোষণার কোনো প্রয়োজন দেখা দিত না। পাকিস্তানি সেনা বাহিনী জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। জনগণের রায়ের মর্যাদা দানের জন্যই শেখ মুজিব ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং স্বাধীনতা ঘোষণার এখতিয়ার একমাত্র তারই ছিল। সেই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রটি হচ্ছে :

“১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল, যেহেতু এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল;

যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন;

যেহেতু আহূত এই অধিবেশন স্বেচ্ছাচার এবং বেআইনিভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন;

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করেন;

যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান;

যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং এখনও বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে;

যেহেতু পাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্যা এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব করে তুলেছে;

যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকরি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে;

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন, সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারষ্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে

বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি এবং এর দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করছি;

এতদ্বারা আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন;

রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন;

তার কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে;

বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।

বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, কোনো কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আমরা অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ ও নিযুক্ত করলাম।”

স্বাক্ষর

(এম, ইউসুফ আলী)

বাংলাদেশ গণ পরিষদের পক্ষ থেকে।

৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী মুজিবনগর সরকার ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তান শুরু থেকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং ভারতের ষড়যন্ত্র বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। কিন্তু মুজিবনগর সরকার পাকিস্তানের সকল অপপ্রচারের জবাব দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্রুট, প্রশিক্ষণ, অস্ত্রের ব্যবস্থা, রসদ, শরনার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় এ সবকিছু অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করেছে ওই সরকার। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে মাত্র ৯ মাসেই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে মুজিবনগর সরকার।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ভারত, রাশিয়াসহ সাহায্য-সহযোগিতা দানকারী সকল সরকারের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

লেখক: মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক-কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর