বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৈশাখী শক্তিতে বিষণ্ন সময়

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১০:০৭

স্বাধীন বাংলাদেশে এসে আমরা হাঁফ ছেড়েছিলাম এই ভেবে যে, অন্তত বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার মাঠ থেকে অপচ্ছায়া অপসৃত হলো। কয়েক বছর ভালোই কেটেছিল। জমজমাট হচ্ছিল পয়লা বৈশাখ উদযাপন। যুক্ত হয় মঙ্গলশোভাযাত্রার চমৎকার অনুষঙ্গ। বাঙালির এই সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য বিশ্বস্বীকৃতি পায়। কিন্তু সুবিধালোভী ধর্মান্ধরা চুপ করে বসে রইল না। বাঙালির সাংস্কৃতিক শক্তিকে দুর্বল করে দেয়ার নানা পাঁয়তারা করতে থাকে। জঙ্গি হামলা হলো রমনার বটমূলে- যশারে উদীচীর অনুষ্ঠানে। রক্ত ঝরল। কিন্তু অপশক্তির কাছে নতজানু হলো না বাঙালি। পরের বছর থেকে নববর্ষ পালনের তেজ আরও ব্যাপকতা পেল।

প্রাচীন বাংলার কালপরিসর থেকে অদ্যাবধি বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলাভাষা নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এগিয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানা কৌশলেই আঘাত এসেছে। এটি অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অংশ। উদ্দেশ্য প্রায় অভিন্ন। উজ্জ্বল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক বাংলা।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে আত্মচৈতন্যে ফিরে আসে। স্বাজাত্যবোধে উদ্দীপ্ত হয়। অমন সতেজ জাতিকে বিভ্রান্ত করে কোনো পক্ষের লোভী উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই যুগ যুগ ধরে আগ্রাসী শক্তি বাঙালি প্রজন্মকে ঐতিহ্য ভোলাতে চেয়েছে।

ঐতিহ্যের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রধান বাহন ভাষা। এ কারণে বাংলা ভাষার ওপর আঘাত এসেছে বার বার। এখনও তা অব্যাহত আছে। আজ বাঙালির নববর্ষের প্রাক্কালে খুব প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিয়েছে এই ভাবনাগুলো পর্যালোচনা করা। যুগ যুগ ধরে বাঙালি পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে এলেও অধুনা একই ষড়যন্ত্রের অংশীদার কয়েক বছর ধরে ধর্মান্ধগোষ্ঠী নববর্ষ পালনের বিরোধিতা করে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি ছড়িয়ে অন্ধকার আহবান করছে।

গত বছর এবং এবার এমন এক বিষণ্ন সময়ে আমরা পয়লা বৈশাখ উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন একটি অতি ক্ষুদ্র ভাইরাস বিশ্বকে কাঁপাচ্ছে- কাঁদাচ্ছে। বাংলাদেশও এর বিষাক্ত ছোবলের বাইরে নয়। গতবারের মতো এবারও বৈশাখি আয়োজনে আমরা মাতোয়ারা হতে পারব না। তবে ঘরে আবদ্ধ থেকে আমরা যুদ্ধ করব ভাইরাসের সঙ্গে। হৃদয়ে ধারণ করে উদযাপন করব বৈশাখ। বাঙালির সাংস্কৃতিক শক্তিকে অনুভব করব। এভাবে বৈশাখি শক্তি সকল অমানিশা কাটিয়ে নতুন সকাল নিয়ে আসবে।

প্রচীন বাংলায় পাল শাসনামলে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যদের হতে বাংলা সাহিত্যের ভ্রুণশিশু চর্যাপদের জন্ম ও বিকাশ ঘটেছিল। আমাদের ইতিহাসচর্চার সীমাবদ্ধতা অনেক ক্ষেত্রে ইতিহাস ও ঐতিহ্যচর্চার ধারাবাহিকতা অনুধাবন করতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। যতদূর মনে পড়ে গত বৈশাখের আগে কোনো এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে উপস্থাপক পাল রাজাদের অবাঙালি বলেছিলেন।

মিডিয়াতে কোনো সিদ্ধান্তমূলক জরুরি কথা বলতে হয় দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। কারণ একই সঙ্গে মিডিয়ায় প্রচারিত বক্তব্য অসংখ্য দর্শককে তথ্যসমৃদ্ধ করতে পারে আবার ভ্রান্তির মধ্যেও ফেলে দিতে পারে। এক্ষেত্রেও তাই। আমরা মনে করি বাঙালি সংস্কৃতির ক্রম বিকাশ বুঝতে হলে পাল শাসকদের পরিচয় স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এক সময় তথ্যসূত্রের সংকটের কারণে পালদের অবাঙালি বহিরাগত মনে করা হতো।

পরে পাল রাজা রামপালের জীবনী লিখতে গিয়ে সংস্কৃত কবি সন্ধ্যাকর নন্দী তাঁর ‘রাম চরিতম’ গ্রন্থে প্রতিষ্ঠাতার পরিচয় প্রসঙ্গে লিখেছেন ‘গোপাল জনকভূ বরেন্দ্র’। অর্থাৎ গোপালের পিতৃভূমি বরেন্দ্র। বরেন্দ্রে বাড়ি হলে তারা তো বাঙালিই বটেন।

অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল পাল রাজাদের। তাই বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে কোনো বাধা ছিল না এই পর্বে। এ সময়ে গড়া ভাস্কর্য-বিশেষ করে পোড়ামাটির অলঙ্করণ শিল্পে এর যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। চর্যাপদ চর্চার মধ্যদিয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য অনেকদূর এগোতে পারতো যদি এগারো শতকের মাঝামাঝি পালদের পতন ঘটিয়ে দক্ষিণ ভারতের ব্রাহ্মণ সেন বংশীয় রাজারা বাংলার ক্ষমতা দখল না করত।

বাঙালির স্বাজাত্যবোধ ও লড়াকু ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা ছিল সেনদের। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের বাস্তবতা সেন রাজাদেরই ভীত করে তুলেছিল। ভেবেছিল ঐতিহ্যের প্রণোদনায় সপ্রতিভ বাঙালি হয়তো তাদের মেনে নেবে না, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই কারণে বাঙালিকে স্তব্ধ করার পরিকল্পনা নেয় সেন রাজারা।

সমাজকে চতুর্বর্ণে বিভাজন করে ঐতিহ্যে সচেতন বড় সংখ্যক বাঙালিকে শূদ্র অভিধায় কোণঠাসা করে ফেলতে চায়। বাঙালি প্রজন্ম যাতে ঐতিহ্যের কাছে ফিরে শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে তাই নানা অনুশাসন দিয়ে বাংলা ভাষাচর্চা নিষিদ্ধ করে দেয়। শিক্ষার অধিকার বঞ্চিত করে শূদ্র বাঙালিকে।

তেরো শতকের শুরুতে তুর্কি মুসলমানদের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশের পথে বড় রকমের অন্তরায় তৈরি হতো তা বলাইবাহুল্য। বাঙালির সৌভাগ্য বহিরাগত অবাঙালি মুসলিম শাসকরা মধ্যযুগের প্রায় ছয়শ’ বছর পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাঙালির ঐতিহ্য চেতনাকে দৃঢ় করেছিল। বাঙালির সৌভাগ্য ঔপনিবেশিক শাসকরা তাদের শাসন-দর্শনের কারণে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেনি।

বাংলাভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর দ্বিতীয়বার বড় আঘাত আসে পাকিস্তানি শাসনামলের শুরুতে। সেন শাসকদের মতো অভিন্ন মানসিকতা ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর। বাঙালির ওপর শোষণ প্রক্রিয়া চালানোর পরিকল্পনার পথে হাঁটতে গিয়ে প্রথমেই অনুভব করেছিল বাঙালির উজ্জ্বল ঐতিহ্যের শক্তি। ঐতিহ্যের ব্যাখা এবং স্বরূপ ছড়িয়ে আছে সাহিত্য ও ইতিহাসে। সাহিত্যের বাহন ভাষা। তাই বাঙালি প্রজন্মকে ঐতিহ্য বিচ্ছিন্ন করার জন্য পাকিস্তানি শাসকচক্র হামলে পড়ে বাংলাভাষার ওপর। এই ষড়যন্ত্রকে বাঙালি তরুণ রুখে দিয়েছিল রক্তমূল্যে। অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা স্বীকৃতি আদায় করে নেয়। তারপরও কি বাঙালি-সংস্কৃতি বিনাশী চিন্তা করেনি পাকিস্তানি শাসকচক্র?

প্রেসিডেন্ট আইউব খান নানা উপায়ে চেষ্টা করেছেন। ভাষা আন্দোলনের পরও বলার চেষ্টা করেছেন বাংলা হিন্দুর ভাষা আর উর্দু মুসলমানের ভাষা। বাঙালি সংস্কৃতিচর্চা মর্যাদা পায়নি পাকিস্তানি শাসকদের কাছে। বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে টার্গেট করেন আইউব খান।

জাতীয় প্রচার মাধ্যমে রবীন্দ্র সংগীত প্রায় নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এই ষড়যন্ত্র দৃষ্টি এড়ায়নি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের। প্রতিবাদে তারা ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’। ছায়ানট সিদ্ধান্ত নেয় প্রতি নববর্ষ পালনের সূচনা হবে রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে। নির্ধারিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ...’। প্রথমে বলধা গার্ডেনে পরে রমনার বটমূলে চলতে থাকে বাংলা নববর্ষের প্রভাতী উদ্বোধন। এটিই হচ্ছে বাঙালির মেধাবি প্রতিবাদ।

তবুও কি বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের পথ মসৃণ রয়েছে। আইউব খান এ দেশে মৌলবাদী ‘রুহানী পুত্র’দের রেখে গেছেন। তারা কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে চাইছে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের পথে। কারণ এসব মৌলবাদী দলের নেতারা জানেন বদ্ধবুদ্ধিতে আটকে রাখা তাদের অন্ধ অনুসারী তরুণদের নতুন দৃষ্টি দিতে পারে বাঙালি সংস্কৃতির পরিচর্যা। এই আলোকে ঠেকাতে হবে।

স্বাধীন বাংলাদেশে এসে আমরা হাঁফ ছেড়েছিলাম এই ভেবে যে, অন্তত বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার মাঠ থেকে অপচ্ছায়া অপসৃত হলো। কয়েক বছর ভালোই কেটেছিল। জমজমাট হচ্ছিল পয়লা বৈশাখ উদযাপন। যুক্ত হয় মঙ্গলশোভাযাত্রার চমৎকার অনুষঙ্গ। বাঙালির এই সাংস্কৃতিক সৌন্দর্য বিশ্বস্বীকৃতি পায়। কিন্তু সুবিধালোভী ধর্মান্ধরা চুপ করে বসে রইল না। বাঙালির সাংস্কৃতিক শক্তিকে দুর্বল করে দেয়ার নানা পাঁয়তারা করতে থাকে। জঙ্গি হামলা হলো রমনার বটমূলে- যশারে উদীচির অনুষ্ঠানে। রক্ত ঝরলো। কিন্তু অপশক্তির কাছে নতজানু হলো না বাঙালি। পরের বছর থেকে নববর্ষ পালনের তেজ আরও ব্যাপকতা পেল। ছড়িয়ে পড়ল দেশজুড়ে।

এখনও বৈশাখ এলে কোনো কোনো মহল ধর্মান্ধ চিন্তা থেকে বিষবাষ্প ছড়াতে চায়। বাঙালির দীর্ঘদিনের লোকজ উৎসবের সৌন্দর্যকে ধর্মের নামে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে চায় সরলমতি বাঙালি মুসলমানকে। কিন্তু খুব সুবিধা যে তারা করতে পারবে না, তা বাঙালির দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য বলে দেয়। ঐতিহাসিকভাবেই বঙালি-সংস্কৃতি বিনাশী কোনো প্রচেষ্টা কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তবে এদের হীন প্রচেষ্টা বার বার ব্যর্থ করে দিচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির ঐশ্বর্য। এমন ঐতিহ্য যে জাতি বহন করে আধিপত্যবাদীরা তাদের দেখে ভীত হবেই। কিন্তু ভয় হয় তখনই কোনো অসর্তকতায় আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক গরিমাকে না হারিয়ে ফেলি।

বছর তিনেক আগে বৈশাখি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো এক বিভাগের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসমাপনী উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কাজ ঐতিহ্য অনুসন্ধান করা। এই বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার উচ্চ ধারণা রয়েছে। ওরা শিক্ষা গবেষণায় বেশ এগিয়ে আছে। কিন্তু কষ্ট পেলাম ওদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে। পুরো আয়োজনে বিপন্ন হলো বাঙালি সংস্কৃতি। সারাক্ষণই হিন্দি নাচ গানের উৎকট উপস্থাপনা। কান ঝালাপালা করা আধুনিক মিউজিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক রুচির সঙ্গে যা যায় না। অনুষ্ঠানটির আয়োজনে শিক্ষার্থীরা যে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু যেন পথভ্রান্তিতে পেয়ে বসেছে ওদের। দীর্ঘ অনুষ্ঠানে একটি আবৃত্তি নেই। একটি রবীন্দ্রসংগীত বা ধ্রুপদী গান নেই। ভরতনাট্যম, মনিপুরী বা লোকজ নাচ অনুপস্থিত। বিভাগটির একাডেমিক চেতনার প্রতিফলন আয়োজনে দেখা গেল না।

এতে হয়তো অনেকেই দোষের কিছু খুঁজে পাবেন না। কিন্তু আমার আশঙ্কা অন্য জায়গায়। এর পেছনে কি সুদূরপ্রসারী কোনো মন্দ পরিকল্পনা কাজ করছে? বাঙালিকে হীনবল করার জন্য তার আবহমানকালের সংস্কৃতিকে আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রজন্মের কাছ থেকে! যেমন করে সেন রাজারা করেছিলেন, পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইউব খান করেছিলেন! এখন মৌলবাদী শক্তিগুলো করতে চাচ্ছে। কীসের মোহে তবে এই লড়াকু তারুণ্য তার উর্বর সাংস্কৃতিক সৌন্দর্যকে নির্বাসন দিতে চাইছে?

এই ঘোর থেকে আমাদের বের হতে হবে। আমরা শঙ্কিত নই। বৈশাখ প্রতিবছর যে তেজ নিয়ে বাঙালি জীবনে ফিরে আসে এরই তীব্রে স্রোতে ভাসিয়ে নেবে প্রজন্মের বিভ্রান্তি আর বৈকল্য। দীর্ঘ উজ্জ্বল সংস্কৃতিচর্চা করা বাঙালির ঐতিহ্যিক শক্তি থেকেই তারুণ্য পথ খুঁজে পাবে। শুধু মনে রাখতে হবে যে ঐতিহ্যের শক্তিতে শক্তিমান একটি জাতিকে হীনবল করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্রীরা প্রথম আঘাত হানে তার সংস্কৃতির মেরুদণ্ডে।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিভাগের আরো খবর