বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইতিহাসবিদরা আগামীতে যা লিখবেন

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৩:৩৪

এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতানেত্রীরা নিজেদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিদিন সহস্র মিথ্যাচার করেন আর একে একে গণস্বার্থবিরোধী কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থেকে কীভাবে দেশের মানুষকে প্রতারিত করতেন ইতিহাস গ্রন্থে এর এক মহাভারত রচিত হবে। ইতিহাসবিদ মূল্যায়ন করবেন এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারিত দলীয় আদর্শ ছিল চরম ভাওতাবাজি। একই বৃত্তে ঘোরা এরা সব আমড়া গাছের লাটিম।

গত কদিন হেফাজতে ইসলাম নামে একটি মৌলবাদী দলের নেতাদের হুংকারের পর অনুসারী মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে বাংলাদেশের নানা জায়গায় যে তাণ্ডব চালাল তা দেখে আশংকা হচ্ছে এদের হাতে সত্যিই বোধ হয় ইসলাম বিপন্ন। ইসলাম রক্ষার জন্য প্রকৃত ইসলামি আদর্শ ধারণ করা রক্ষাকারী প্রয়োজন। মানবতাবিরোধী এই দলটি ইসলামি আদর্শের অপব্যাখ্যা করে অতীতেও অনেক নৈরাজ্য করেছে। আওয়াী লীগ সরকার রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ করতে গিয়ে এদের ঘাড়ে তুলেছে। অনেক আপসরফা করেছে। এখন সাপের ছোবল হজম করতে হচ্ছে।

আগামীর ইতিহাসবিদরা যখন তথ্যসূত্র অবলম্বন করে লিখবেন একুশ শতকে বিশ্ব যখন এগিয়ে গেছে অনেকটা দূর তখন এদেশে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একদল লেবাসি মুসলমান নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য নিজ ছাত্রদের মাঠে নামিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। পুলিশকে বাধ্য করছে গুলি ছুড়তে। সরল ছাত্রদের রক্তকে পুঁজি করে নিজেদের সুবিধার ফসল ঘরে তুলতে চাইছে।

ইতিহাসের ছাত্র বলেই হয়ত একটি ভয়ংকর আশঙ্কা আমাকে কেবল তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। দুই প্রজন্ম পরে যখন এই সময়ের ইতিহাস লিখবেন আগামীর ইতিহাসবিদ- তখন রাজনীতির কলঙ্কগাথা কতটা কালিমালিপ্ত করবে ইতিহাসের পাতাকে! ইতিহাস তো কল্পকথা নয় অথবা রাজনৈতিক দলের ল্যারেটরিতে মিথ্যাচারের আরকে তৈরি গল্পকথাও নয়। দুই প্রজন্ম পর ইতিহাসের নায়ক বা খলনায়ক-নায়িকাদের অনেকেই তখন নশ্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে স্বর্গ-নরক গুলজার করবেন। এসময় দলতন্ত্রের আবেগ আর মতলববাজির ঊর্ধ্বে থেকে ইতিহাস লেখার বিজ্ঞানমনস্ক পদ্ধতি মেনে একুশ শতকের বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে বসবেন প্রায় পঞ্চাশ বছর পরের ইতিহাসবিদ। তার কাছে থাকবে আকরসূত্র আর দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য উপাদান। ইতিহাসবিদের কলমে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এক কলঙ্কিত ইতিহাস বেরিয়ে আসবে।

এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতানেত্রীরা নিজেদের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষার জন্য প্রতিদিন সহস্র মিথ্যাচার করেন আর একে একে গণস্বার্থবিরোধী কর্মযজ্ঞে লিপ্ত থেকে কীভাবে দেশের মানুষকে প্রতারিত করতেন ইতিহাস গ্রন্থে এর এক মহাভারত রচিত হবে। ইতিহাসবিদ মূল্যায়ন করবেন এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রচারিত দলীয় আদর্শ ছিল চরম ভাওতাবাজি। একই বৃত্তে ঘোরা এরা সব আমড়া গাছের লাটিম। ক্ষমতার সুধারসের মোহে সকলেই চক্ষুলজ্জাহীন প্রগলভ। দলীয় পারিবারিক আর ব্যক্তিস্বার্থে প্রতিদিন একপক্ষ জনগণের কলজে খুবলে নেয় আর অন্যপক্ষ গুর্দা টানাটানি করে। আবার পরক্ষণেই জনগণের নাম ভাঙিয়ে বাণিজ্য করে বক্তৃতার মঞ্চে, মিডিয়ার ক্যামেরায়। দীর্ঘদিন নষ্ট রাজনীতির বলয়বন্দি থাকায় সংগ্রামী ঐতিহ্যের ভেতর থেকে বেড়ে ওঠা এদেশের মানুষদের একটি বড় অংশকেই নির্জীব করে ফেলেছে কলঙ্কিত রাজনীতির নিপুণ কারিগররা। অসহায় মানুষ ছটফট করে কিন্তু যূথবদ্ধ প্রতিবাদ করতে পারে না।

মুক্ত গবেষণার ফলাফল থেকে ইতিহাসবিদ ঠিকই লিখবেন ক্ষমতার রাজনীতি আঁকড়ে থাকা অসৎ মানুষগুলো নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য দেশের মানুষের বড় অংশকে ত্রিধা-বিভক্ত করেছিল। এক অংশ বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঐতিহ্যের যাত্রী হয়েও আদর্শচ্যুত রাজনীতিকদের ঈন্দ্রজালে আটকে পড়ে মোহাবিষ্ট হয়ে যান।

অন্যদল ভুঁইফোড় কপট রাজনীতিকদের ফাঁদে পা দিয়ে বুঝে না বুঝে হয়ে যান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী। আর ছোট্ট অংশটি ধর্মবণিকদের ছলনা ও অন্ধ আবেগে বিভ্রান্ত হয়ে নিজেদের বিবেকের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। দেশের এই ত্রিধারা মানুষকে এতটা দলান্ধ করে ফেলেছিল যে, দল-সমর্থকরা বিবেক তাড়িত না হয়ে স্বার্থপর নেতানেত্রীদের ইচ্ছে পূরণের হাতিয়ারে পরিণত হয়ে যান।

অথচ বাংলাদেশের এই বিভ্রান্ত মানুষের পূর্বসূরিরা যথা সময়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে পেরেছিলেন। তারা খ্রিস্টপূর্ব যুগে রুখে দিয়েছিলেন বিদেশি আর্যশক্তির অনুপ্রবেশ। পালযুগে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেন রাজাদের অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে বহিরাগত মুসলমান শক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। মুসলমান সুলতানরা মুগ্ধ হয়েছিলেন এদেশবাসীর অমিত তেজ আর সৃজনশীলতায়। এদেশের সম্পদ তাদের নির্লোভ আকর্ষণ করেছিল। তাই কর্মভূমিকায় তারা বাঙালি হতে পেরেছিলেন। দিল্লির সিংহাসনে বসা স্বদেশী মুসলমান শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাঙালিদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন সুলতানরা। আবার এই বাঙালিই মোগল আধিপত্যবাদ ঠেকাতে একাট্টা হয়ে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।

ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির গড়া প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল ঐতিহ্য। পাকিস্তান আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া বাঙালি শাসকদের অন্যায় শাসনের সামনে দাঁড়িয়ে মুহূর্তে প্রতিবাদী হতে দ্বিধা করেননি।

ভাষা আন্দোলন সক্রিয় করতে গড়ে উঠেছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন। সাংস্কৃতিক কর্মী আর ছাত্ররা নির্লোভ দেশপ্রেমিক বিপ্লবী হিসেবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। পরবর্তী অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মী ও ছাত্ররা নির্লোভ দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে দেশবাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়ান।

অমন একটি পটভূমি টেনে এবারে ইতিহাসবিদ লিখবেন একুশ শতকের বাংলাদেশের স্বার্থপর রাজনীতিকরা সাফল্যের সঙ্গে বিপ্লবী বাঙালির মুক্তচিন্তার সুকুমারবৃত্তিকে নানা ধরনের লাভ লোভের মোহ আর প্রতিহিংসার জীবাণু ছড়িয়ে হত্যা করেছিল। একারণে বিপ্লবী বাঙালির উত্তরসূরিরা দেশপ্রেমের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ থেকে ছিটকে পড়তে থাকে। এদেশের সাংস্কৃতিক কর্মী আর উজ্জ্বল ঐতিহ্য নির্মাণকারী ছাত্রদের লোভী ও অমানবিক করে তোলে। তারা অবিভাজ্য বাঙালির মুক্তি নিয়ে আর ভাবতে চায় না। সুবিধাবাদী স্বার্থপর রাজনৈতিক গুরুদের নির্দেশনায় কেউ হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদী স্লোগানের তল্পিবাহক, কেউ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আবার কেউ সাম্প্রদায়িক শক্তির সিপাহসালার।

আগামীর ইতিহাসবিদ লিখবেন এদেশের দেশপ্রেমহীন স্বার্থপর রাজনীতিকরা নিজদলীয় স্বার্থ রক্ষায় দেশের আইন ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছিলেন। যে দল যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তারাই আইনের শাসনের শিরোশ্চ্ছেদ করেছে। আর সবই করেছে নিলর্জ্জভাবে জনগণের নাম ভাঙিয়ে। ইতিহাসবিদ বলবেন এতটাই নোংরা হয়ে গিয়েছিল এদেশের রাজনীতি যে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের জন্য যার যার দলের মরহুম নেতাদের অপব্যবহারে লাঞ্ছিত করতেও দ্বিধা করত না। তিনি লিখবেন রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিবেশের সুযোগে বা ঘূর্ণাবর্ত তৈরি করে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর থেকে জন্ম নেয় বিএনপি নামের একটি দল।

নিজেদের আদর্শ আর উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়িত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মৌলবাদী দলকে দোসর বানিয়ে নেয়। রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নিজদলের জন্মদাতাকে ইতিহাস বিকৃতির হাতিয়ার বানায়। দলীয় সভানেত্রী অবলীলায় অসংকোচে অমানবিক রুচির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নিজ জন্ম তারিখে রূপান্তর করতে দ্বিধা করেননি। দুই প্রজন্ম পরের পাঠক যাতে বিস্ময়ের ঘোরে ইতিহাসবিদের কথাকে অবিশ্বাস না করেন, তাই প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপনে ইতিহাসবিদের কোনো সংকট হবে না।

একুশ শতকের শেষপর্বের মানুষকে বিস্মিত করে ইতিহাসবিদ বলবেন এই দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্রের কথা বলে মানুষকে প্রতারণা করেছে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বানিয়েছে। বানিয়েছে লাখ লাখ ভুয়া ভোটার। বিএনপি নেত্রী দলটিকে পারিবারিক দলে পরিণত করেছেন। আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট পাওয়ার জন্য নানা ঘাটের পানি খাওয়া নেতারা নেত্রীর কৃপালাভের জন্য অতিশয় বিশ্বস্ত তালবেলেম হয়ে গিয়েছিলেন। নেত্রীর ইচ্ছেকে তথাস্তু বলে দল ও ক্ষমতার মসনদে গদিনসিন করার জন্য দলের নেত্রীর প্রায় নাবালক পুত্রকে সকলের ঘাড় ডিঙিয়ে বড় নেতা বানিয়ে দিলেন। এই নতুন নেতার নেতৃত্বে একদা হাওয়া ভবন নামে একটি দুর্নীতির প্রতীকী ভবন তৈরি হয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের মুখে মুখে এই ভবনের কথা চাউর হয়ে যায় দেশ থেকে দেশান্তরে। নেত্রীর কনিষ্ঠ পুত্রও রাতারাতি প্রকাণ্ড বণিক হয়ে যান। ক্ষমতার সুবাতাস গায়ে মেখে হয়ে যান শত কোটি টাকার মালিক। স্বয়ং প্রধাননেত্রী নিজেও অবস্থার ফেরে পরে লাখ লাখ কালো টাকা পুঁটলি থেকে বের করতে বাধ্য হন। এরপর ইতিহাসবিদ পাঠককে বিস্মিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রামাণ্যভাবেই বলবেন, এদেশের শিক্ষিত মানুষ- বুদ্ধিজীবীর একাংশও দলীয় তকমা এঁটে বিবেকবর্জিত হয়ে যেতেন নেত্রীর কৃপা লাভের জন্য। দলীয় সাংবাদিক, দলীয় শিক্ষক, দলীয় আইনজীবী অন্যায়কে অন্যায় বলতে ভুলে যেতেন। ক্ষুদ্রস্বার্থে পঙ্কে ডুবতেও কোনো দ্বিধা হতো না তাদের। প্রতিদিন গণতন্ত্রকে পদতলে মাড়িয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণদুর্ভোগ বাড়াতেন।

ইতিহাসবিদ লিখবেন আওয়ামী লীগ নামের দলটি ছিল বিএনপির সাক্ষাৎ প্রতিপক্ষ। এই দলটির গৌরবের দীর্ঘ ঐতিহ্য ছিল। পাকিস্তান শাসনামলে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রধান ভূমিকা রেখেছিল দলটি। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় গণ্ডি ছেড়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই মহান নেতা এবং জাতীয় চারনেতা নিহত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের শূন্যতা যেন আর পূর্ণ হলো না। তাই বঙ্গবন্ধুর মতো ক্ষণজন্মা নেতা লাঞ্ছিত হতে থাকলেন তার রেখে যাওয়া দলের অপরিণামদর্শী নেতৃত্বের হাতে।

এক অসম প্রতিযোগিতায় বিএনপির জিয়াউর রহমানের পাশে এনে বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করার পথ তৈরি করে দিলেন। যে নেতার নাম বিশ্বময়, বাঙালির হৃদয়ে- তার এখানে ওখানে নামকরণ করার প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর বিশালতাকে খাট করে দিলেন। গণতন্ত্রের কথা বললেও গণমানুষের অধিকার এই দলের কাছেও প্রাধান্য পেল না। দলতন্ত্রের ঘেরাটোপেই আটকে রইলো। দুই মেরুর রাজনীতি থেকে বেড়ে উঠলেও আত্মবিশ্বাস ও দূরদর্শিতার অভাবে দুই দলই অভিন্ন বৃত্তে ঘুরপাক খেতে লাগল। বৃত্তের কাছাকাছি থাকায় দুই দলই সম্ভবত নিজেদের চিনতে পেরেছিল। তাই উভয়েই পরস্পরকে অবিশ্বাস করতে লাগলো।

এসব রাজনৈতিক মালিন্য ইতিহাস ধারণ করে পূর্ব-পুরুষদের গড়া উজ্জ্বল ঐতিহ্য অন্ধকার চাদরে ঢেকে ফেলবে। তবে আমরা আশা করব অতঃপর ইতিহাসবিদ আরও দুটো পৃষ্ঠা সংযোজন করবেন। লিখবেন-

‘একদিন অন্ধকার কাটে বাংলাদেশের। অসৎ রাজনীতিকদের ঈন্দ্রজাল ভেদ করে বেরিয়ে আসে মানুষ। ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী সকলের মোহমুক্তি ঘটে। দলীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবাদ করেন। গণতন্ত্র রক্ষায় তারা ঐক্যবদ্ধ হন। অন্যায়কারী ও দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বর্জন করেন। গণজোয়ারে নষ্ট রাজনীতির অচলায়তন ভেঙে পড়ে। রাজনীতিকদের এবার বোধোদয় ঘটে। দেশপ্রেমের নতুন শক্তিতে আলোকিত পথে হাঁটার জন্য পা বাড়ান।’…

লেখক: অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এ বিভাগের আরো খবর