সময় এখন প্রযুক্তির দখলে। প্রযুক্তি এখন মৌলিক চাহিদাপূরণে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমরা এখন কোনো না কোনোভাবে প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। আগামীর সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্ম সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে বেড়ে উঠে জাতির সম্পদে পরিণত হবে এমনটাই প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন তার মধ্যে দক্ষতা উন্নয়ন, তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমাদের এই স্বাধীনতা তখনই সার্থক হবে যখন আমাদের মায়েরা পরনে কাপড় পাবে, কৃষক-শ্রমিক পেট ভরে খাবার পাবে এবং তরুণরা কাজ পাবে। বঙ্গবন্ধু তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, তরুণদের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে প্রায় ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে, যারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শক্তিশালী হাতিয়ার। তরুণদের যে মেধা এবং প্রযুক্তির শক্তি এটাকে একত্রিত করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তরুণ প্রজন্মের গর্ব প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের কর্মপ্রচেষ্টায় সারা দেশে শিশু-কিশোর, তরুণদের জন্য স্কুল পর্যায়ে আট হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার ল্যাব স্থাপন করা হবে। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটির ২০১৭ সালের রিপোর্টে ৬ লাখ তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইনে কাজ করছে, যেটা সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয়। ই-কমার্সে পাঁচ হাজার কোটি টাকার লেনদেন, এক হাজার সাইট, দশ হাজার ফেসবুক প্লাটফর্ম, রাইড শেয়ারিং করে দুই লাখ লোক উপার্জন করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে এ সেক্টরে গত ১১ বছরে দশ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত হয়েছে। এছাড়াও সাড়ে ছয় লাখভ ফ্রি-ল্যান্সার তিন শ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করেছে। চলতি ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ লোকসহ মোট ২০ লাখ কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে নিশ্চিত করা হবে।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে প্রথম সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য বেতবুনিয়াতে স্থাপন করেন আর্থ স্টেশন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার প্রযুক্তিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে সহজলভ্য করতে বাংলাদেশে ল্যাপটপ আমদানির ওপর প্রথম সম্পূর্ণভাবে শুল্কমুক্ত করে কম্পিউটার বিপ্লব সাধন করেন। ১৯৯৮ সালে মোবাইলের মনোপলি ভেঙে দিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেন। লাখ টাকার মোবাইল ফোনকে সাধ্যের ভেতর, ১০ টাকার কলরেট ১ টাকার মধ্যে নিয়ে আসে তৎকালীন সরকার। কিন্তু ২০০১-০৬ এ ধারা ব্যাহত হয়। ১৯৯২ সালে বিএনপি সরকার তার অদূরদর্শিতা এবং অজ্ঞতার কারণে সাবমেরিন কেবলে যুক্ত না হয়ে দেশকে প্রায় ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে শেখ হাসিনা নেদারল্যান্ডের সরকারের সঙ্গে অর্ধেকমূল্যে ১০ হাজার কম্পিউটার ক্রয়ের চুক্তি বাতিল করে দেয়। অজুহাত ছিল কম্পিউটার কোম্পানিটির নাম শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার কন্যা নেদারল্যান্ডের জাতীয় ফুল টিউলিপের নামে। এতে করে সেদিন থেমে গিয়েছিল সম্ভাবনাময় তারুণ্য। ১৯৯২ সালে খালেদা সরকারকে বুঝানো হয়েছিল ইন্টারনেটে যুক্ত হলে নাকি বাংলাদেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে। সেই চুক্তি বাতিল হওয়ায় নেদারল্যান্ডের কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করায় কম্পিউটার দূরের কথা উলটো ৩২ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
১০ বছরের ব্যবধানে প্রায় ৬০% সেবা অনলাইনে দেয়া হচ্ছে। ২০২১ সাল নাগাদ ৯০% সেবা অনলাইনে হবে। আইটি সেক্টরে ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে এবং রপ্তানি পণ্যের ওপর ১০% প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ঢাকা মানে বাংলাদেশ নয়। বাইরে হাজার হাজার গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের উন্নয়ন হলেই বাংলাদেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বাংলাদেশ একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশ। এ দেশের মানুষ যেমন অসচেতন তেমনি কর্মবিমুখ। কর্মের সুযোগও যথাযথ ছিল না। তবে শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন শিক্ষায় স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে। দেশে এখন ঘরে ঘরে শিক্ষিত যুবক। তবে এখনও কারিগরি এবং কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি তেমন আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বগুণে দেশ আজ এগিয়েছে। দেশে ১০০ ইপিজেডের লক্ষ্যমাত্রার কাজ চলমান। এসব ইপিজেডের কাজ সম্পূর্ণ হলে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ হলে আশা করি তেমন উল্লেখযোগ্য শিক্ষিত বেকার পাওয়া যাবে না। এর পরেও চাকরির পিছনে শিক্ষিত বেকার যুবকেরা না ছুটে তারা যেন নিজস্ব উদ্যোগে কর্মমুখী হতে পারে সেজন্য সরকার থেকে বার বার অনুপ্রেরণা দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একজন শিক্ষার্থীকে যেন তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত না থাকতে হয় এবং ছাত্রাবস্থায় যেন সে তার প্রয়োজনমতো কিছু একটা করতে পারে সে জন্য ফ্রিল্যান্সিংয়ে দেয়া হচ্ছে অধিকতর গুরুত্ব।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে রাজনৈতিক কর্মীসহ শিক্ষানবিশদের জন্য অধিকতর সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতেও হতে পারে সহায়ক যেটা আমাদের জন্য একুশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। সামগ্রিক প্রচেষ্টাই পারে অতিরিক্ত জনসংখ্যা অভিশাপে পরিণত না হয়ে সম্পদে পরিণত করতে।
বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই প্রতিটা ক্ষেত্রের মতো রাজনীতি অধিকতর প্রযুক্তিনির্ভর। সরকার প্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন শাখা চালু করলেও একটা শ্রেণি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ফায়দা নেয়া থেকে শুরু করে নানাবিধ অপরাধ করে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখন বেশিরভাগই প্রযুক্তিনির্ভর।
প্রযুক্তির ওপর ভর করে অপপ্রচার, অপরাজনীতি এখন খুবই সরব। এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে একজন নাগরিক হিসেবে লড়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাজনৈতিক কর্মীদের দায়িত্ব আরও বেশি। তাই একজন নাগরিক যখন প্রযুক্তির ভালো জ্ঞান রাখবেন তখন তিনি রাজনীতি করেন আর না করেন সারা জীবন দেশের মানুষের জন্য একজন সুনাগরিক হিসেবে সেবা দিয়ে যেতে পারবেন। অপরাজনীতিকে মোকাবিলা করতে পারবেন।
শেখ হাসিনা সরকার ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে যুবকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন, অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন।
যুবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা ডিগ্রি নিয়েই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কীভাবে কিছু করা যায়, নিজে কাজ করবো আরও দশজনকে চাকরি দেব, নিজে উদ্যোক্তা হবো- এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে। আমার মধ্যে যে শক্তিটা আছে। সেই শক্তিটা আমি কাজে লাগাব- এই চিন্তাটা আমাদের যুবকদের মাথায় যেন থাকে।
কাজেই সেভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যাক এবং দেশকে এগিয়ে নেবে সেটাই চাই। এই বয়সটাই হচ্ছে কাজের বয়স, চিন্তার বয়স, মেধা বিকাশের বয়স।
শেখ হাসিনা তরুণদের উদ্দেশে আরও বলেছেন, আজকে যারা যুবক আগামী দিনে তারাই দেশের কর্ণধার হবে। আজকে যে শিশুটা জন্ম নিল, তার ভবিষ্যৎটা যেন উন্নত হয়, সেই বিষয়টা চিন্তা করেই আমাদের এই সমস্ত পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে স্বীকৃতির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তাদের দেয়া হবে সার্টিফিকেট। তারা যে একটা কাজ করছে এবং কাজ করে তারা যে অর্থ উপার্জন করছে, এটাও একটা কাজ।
ফ্রিল্যান্সারদের একটা অসুবিধা আছে। যেহেতু এখানে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে না, সার্টিফিকেট নেই। স্বীকৃতি নেই। অনেক সময় অনেকে জিজ্ঞেস করে আপনি কী করেন, যদি বলে ফ্রিল্যান্সার, অনেকেই তা বুঝতে পারে না ব্যাপারটা কী। কেউ হয়তো এটার স্বীকৃতিও দেয় না।
এমনও অভিযোগ আছে যে, বিয়ের বাজারে ফ্রিল্যান্সার শুনে বলে সেটা আবার কী? এখানে আমি মেয়ে দেব কেন? একটা সমস্যায় পড়তে হয়। কারো হয়ত নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং করেছে, ছেলেমেয়ে আছে। স্কুলে ভর্তি করতে নিয়ে গেছে, ভর্তি করবে না স্কুল। ভালো স্কুল। কেন? আপনি কী ইনকাম করেন তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। হয়তো দুই লাখ-তিন লাখ টাকা আয় করছে। কিন্তু তার কোনো স্বীকৃতি নেই, তার ছেলে-মেয়েকে ভর্তি করতে চায় না।
আগামী ১০ বছরের মধ্যে দেশের একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হবে বলে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যেও বর্তমানে ২৮ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে খুব জোরেশোরে। এর মধ্যে আটটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কিছু ইউনিটে উৎপাদন শুরু করে দেশের রপ্তানি আয়ে সুবাতাসও দিচ্ছে।
সরকারের আশা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘিরে বাড়তি ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি আয় সম্ভব। বিশেষ এই অঞ্চলের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে ভারত, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, জাপান, হংকং, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ। এ পর্যন্ত তিনটি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট এক হাজার ৭৮৫ কোটি মার্কিন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় লাখ কোটি টাকারও বেশি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ফেনীর সোনাগাজী, চট্টগ্রামের মীরসরাই ও সীতাকুণ্ড ঘিরে ৩১ হাজার একর জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর’। এটি হবে দেশের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানকার শিল্প কারখানায় বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ শিল্পনগরী হবে লাখো মানুষের কাজের ঠিকানা।
ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উৎপাদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এছাড়াও ৩৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণাধীন। মীরসরাইয়ে ভারতের জন্য জমি রাখা হয়েছে এক হাজার একরের মতো। বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ প্রস্তাব ১ হাজার ২৩৯ কোটি ডলার। এতে জমি নিয়েছে ৬৯ প্রতিষ্ঠান। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি নিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ২৪৮ কোটি ডলার।
অপরদিকে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি নিয়ে নিয়েছে ৬টি প্রতিষ্ঠান। তাদের মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব ১৩১ কোটি ডলার। শুধু ভারত নয় চীন ও জাপানের জন্যও করা হয়েছে আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজারে। দুই ধাপে সেখানে জমি দাঁড়াবে এক হাজার একরের মতো। আর চীন চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৮৩ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।
সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ এক শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৯৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল অনুমোদন পেয়েছে। করোনার মধ্যেও বর্তমানে ২৮ অঞ্চলের কাজ চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে ১৩টি সরকারি খাতের, বেসরকারি খাতের ১৫টি। ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর শুধু ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানই সৃষ্টি হবে না, বছরে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যও রপ্তানি হবে। যা আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত দেশ হতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
লেখক: ছাত্রনেতা