বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেখ হাসিনার সাফল্যে নতুন মাত্রা : সবার জন্য টিকা

  • মিতি সানজানা   
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৪০

সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে অনেক নেতিবাচক অপপ্রচার করা হয়েছিল। এমনটিও বলা হয়েছিল যে ভিভিআইপিরা এই টিকা গ্রহণ না করে সাধারণদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুসন্ধান চালাবে। কিন্তু সেই অপপ্রচারকে ভুল প্রমাণিত করে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ অসংখ্য বিশিষ্ট নাগরিক স্বেচ্ছায় এই টিকা গ্রহণ করছেন। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব পার করে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।

সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘ এক বছর ধরে লড়াই করছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। ইউরোপ-আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলো পর্যন্ত জীবন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার লড়াইয়ে দিশাহারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কানাডাসহ গোটা ইউরোপ ঠেকাতে পারছে না মৃত্যুর মিছিল। বিশ্বের উন্নত কিছু দেশে ডিসেম্বরে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও অনেক দেশ এখনো টিকার সরবরাহ পায়নি। বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন এখনো করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং যেসব দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে সেখানেও এখন পর্যন্ত সম্মুখসারির যোদ্ধারা টিকা পাননি। জনসাধারণ এমনকি সিনিয়র সিটিজেনরাও এখন অপেক্ষমাণ টিকা পাবার আশায়।

সারা বিশ্ব যখন টিকার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য হিমশিম খাচ্ছে, তখন করোনা প্রতিরোধের লড়াইয়ে সফলতার দিক থেকে প্রথম থেকেই সম্মুখ সারিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের গণটিকা কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসে রচিত হলো নতুন মাইলফলক। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে বিশ্বের ৫৪তম দেশ হিসেবে প্রয়োগ করছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ভ্যাকসিন গ্রহণকৃতদের তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং টিকাজনিত মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি এবং সকলে ভালো আছেন।

সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশে অনেক নেতিবাচক অপপ্রচার করা হয়েছিল। এমনটিও বলা হয়েছিল যে ভিভিআইপিরা এই টিকা গ্রহণ না করে সাধারণের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুসন্ধান চালাবে। কিন্তু সেই অপপ্রচারকে ভুল প্রমাণিত করে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ অসংখ্য বিশিষ্ট নাগরিক স্বেচ্ছায় এই টিকা গ্রহণ করছেন। সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব পার করে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সবাই এই টিকার অপেক্ষায় ছিলেন। সব ধরনের বাধা, ভয়ভীতি, শঙ্কা ও পাহাড়সমান গুজব পেছনে ফেলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী লড়াইয়ে ৫৪তম দেশ হিসেবে টিকার যাত্রায় নাম লিখাল বাংলাদেশ।

টিকার মূল্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অপপ্রচার- এসব পরিস্থিতি সামলে নির্ধারিত সময়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা ছিল সরকারের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এসব পেরিয়ে টিকা প্রদান করার সক্ষমতা অর্জন নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন।

বিনা মূল্যে আজ সবাই এই টিকা পাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যে বেসরকারি হাসপাতালে বাণিজ্যিকভাবে টিকা বিক্রির প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিনেশনের জন্য অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে গ্লোবাল অ্যালায়েন্সখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন অ্যান্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন ২০১৯ সালে।

প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় অত্যন্ত চমৎকার ব্যবস্থাপনায় টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গর্বিত। উন্নত দেশের নাগরিকরা এমনকি সম্মুখযোদ্ধারাও টিকা পাচ্ছেন না অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় বিনা মূল্যে পৌঁছে দিল করোনার টিকা।

ভ্যাকসিন বিতরণের প্রশ্নে সারা পৃথিবীর মানুষের মনে যখন একটাই প্রশ্ন- আমার টিকা হবে তো? আমি কখন টিকা পাব? সেই সময়ে বাংলাদেশ বিনা মূল্যে গণটিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরল বিশ্বের দরবারে। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য টিকা নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

লেখক : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আইসিএলডিসির সহকারী পরিচালক

এ বিভাগের আরো খবর