আবেগ আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য। যেকোনো প্রবল আবেগে আমরা ভেসে যাই। এই আবেগ আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি এবং সবচেয়ে বড় দুর্বলতাও। আমি নিজেও একজন হৃদয়চালিত প্রবল আবেগপ্রবণ মানুষ। আমরা দেশ, ধর্ম, রাজনীতি, খেলা ও খেলোয়াড় নিয়ে প্রবল আবেগে ভাসি। সমস্যা হলো, আবেগের মেঘ আমাদের বিবেককে ঢেকে দেয়, যুক্তিকে পরাজিত করে, বিবেচনাকে অন্ধ করে দেয়। যাকে পছন্দ করি, তার কোনো ভুল আমাদের চোখে পড়ে না। যাকে অপছন্দ করি, তার কোনো গুণ খুঁজে পাই না। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-দল, শতভাগ ভালো বা শতভাগ মন্দ হতেই পারে না। সবারই দোষ-গুণ, ভালো-মন্দ আছে। ফুটবল বিশ্বকাপের সময় আমরা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় বিভক্ত হয়ে যাই। ব্রাজিল সমর্থকদের চোখে মেসি কোনো খেলোয়াড়ই না, আবার আর্জেন্টিনার সমর্থকদের চোখে নেইমার নিছক একজন অভিনেতা। অথচ দুজনই গ্রেট ফুটবলার। আবেগে অন্ধ হয়ে যাওয়ার এমন হাজারটা উদাহরণ আছে। আবেগের প্রসঙ্গটি এসেছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে চলমান বিতর্ক ঘিরে।
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি সাকিব আল হাসান। একটা স্লোগান খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল- ‘বাংলাদেশের জান, সাকিব আল হাসান’। স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল, কারণ বিষয়টা সত্যি। সাকিব সত্যি সত্যিই আমাদের জান। সাকিব বাংলাদেশের মানমর্যাদা অনেক উঁচুতে তুলে নিয়েছেন। অনেকেই সাকিবকে দিয়ে বাংলাদেশকে চেনে। একজন ব্যক্তি অনেক সময় তার প্রতিভায় সবকিছু ছাড়িয়ে যেতে পারেন। সাকিব তেমনই একজন সর্বপ্লাবি প্রতিভা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যত ক্রিকেটার খেলেছেন, তাদের মধ্যে সবার সেরা সাকিব। আসলে সবার সেরা বললে, একটু কম বলা হবে। সাকিব সবাইকে ছাড়িয়ে এক নাম্বার। তার ধারেকাছেও কেউ নেই। আর এটা জানেন বলেই গড়পড়তা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে টিম ফটোসেশনেও তার অনীহা। যত প্রতিভাবান আর যত বড় পারফরমারই হোন না কেন, সাকিবও একজন মানুষ এবং তিনিও ভুল করতে পারেন। সমস্যাটা এখানেই, সাকিবের ক্রিকেটটাই শুধু সঠিক আর বাকি সব ভুলে ভরা। তিনি একের পর এক ভুল করেন এবং সেটা যে ভুল সেটা মনেই করেন না। তার চেয়ে বড় কথা হলো, সাকিব অনুরাগীদের চোখেও তার ভুলগুলোকে ফুল মনে হয়। ক্যামেরার সামনে তিনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। পরে যুক্তি দেন, ক্যামেরা যে ছিল এটা তিনি জানতেন না। কিন্তু একজন সভ্য মানুষ তো ক্যামেরা দিয়ে তার আচরণ ঠিক করবে না। এমনকি বদ্ধঘরেও কেউ এমন অঙ্গভঙ্গি করে না।
সাকিব যখন একজন দর্শককে পেটায়, তখন তার অন্ধ অনুরাগীরা পালটা যুক্তি দেন, আপনার স্ত্রীকে কেউ বিরক্ত করলে আপনি কী করতেন? আরে ভাই সাকিব যদি ইশারা করতেন, পুলিশ সেই দর্শকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিত। কিছুতেই সাকিবের মতো একজন স্পোর্টস আইকন আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। সাকিব দিনের পর দিন একজন জুয়াড়ির সঙ্গে কথা বলেছেন, লেনদেনের প্রসঙ্গ আসাতে বসতে চেয়েছেন। আইসিসির দীর্ঘ অনুসন্ধানে সাকিব দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সাকিব দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে মাত্র এক বছরের সাজা পেয়েছেন। তিনি যখন বুঝতে পারলেন শাস্তি আসছে, তখন তিনি নানা দাবিদাওয়া নিয়ে বিসিবির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে গেলেন। নিজের দল ভারী করতে চাইলেন। আন্দোলনের দুই দিন পরই যখন আইসিসির শাস্তির ঘোষণা এলো সাকিবের অন্ধ অনুরাগীরা বলতে লাগলেন, বিসিবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন বলেই বিসিবি আইসিসিকে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ করিয়েছে। পুরো ব্যাপারটাই আইওয়াশ। সাকিব নিজে যে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন, সেটাও তার অন্ধ অনুরাগীরা মানতে রাজি নন। আইসিসিকে দিয়ে সাকিবকে শাস্তি দেয়ানোটা যে অসম্ভবই নয়, অবাস্তবও সেটা বোঝার মতো বিবেচনাও অনেকের নেই। অন্ধ অনুসরণ তাদের সব বিবেচনাবোধকে আড়াল করে দিয়েছে। অথচ অন্য দেশ হলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার দায়ে আইসিসির শাস্তির সঙ্গে আরও কিছু শাস্তি যোগ করত। সাকিব বলেই বিসিবি সেটা করার কথা কল্পনাও করেনি। উলটো এই নিষেধাজ্ঞায় যে তাদের কোনো হাত নেই, সেই ব্যাখ্যা দিতে দিতেই ক্লান্ত বিসিবি। সাকিব অনুরাগীদের অভিযোগ, বিসিবি বিপদের সময় সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি। বিসিবি যে বাড়তি কোনো সাজা যোগ করেনি, এটাই সাকিবের পাশে দাঁড়ানো। যে অপরাধে আশরাফুলের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল, সেই একই অপরাধ করেও সাকিব হয়ে গেলেন ধোয়া তুলসীপাতা। আবেগ আসলেই কোনো যুক্তি মানে না।
যখন আপনি অনেক মানুষের প্রিয় হবেন, তখন আপনার প্রতিটি আচরণ উদাহরণ হয়ে যাবে। এখন তরুণ প্রজন্মের যারা সাকিবের মতো হতে চান, তারা কিন্তু মনে করতে পারে কাউকে পেটানো, খোলা গ্যালারিতে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ- এসব কোনো অপরাধ নয়। সাকিব যা করতে পারে, তা তারাও করতে পারবে। সাকিবের মধ্যে ক্রিকেট থাকলেও, ক্রিকেটীয় মূল্যবোধ নেই বললেই চলে। টাকা পেলে সাকিব ‘পূজা উদ্বোধন’ করতে করোনার মধ্যেও কলকাতা চলে যেতে পারেন। আবার মৌলবাদীদের হুমকির মুখে মাফও চাইতে পারেন। কিন্তু একজন আইকনের কাছ থেকে আমরা শুধু মাঠের খেলা নয়, মাঠের বাইরেও উচ্চ নৈতিকতা এবং দৃঢ়তা আশা করব। সেখানেই সাকিবের বড় ঘাটতি। সাকিব কখনোই অনুসরণীয় চরিত্র হয়ে উঠতে পারেননি।
আগের ঘটনা যা-ই হোক, বাংলাদেশের হয়ে না খেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে ছুটি নিয়েছেন; আমার ধারণা ছিল সাকিকের এই অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্ত তার অনুরাগীদের আবেগের পর্দা তুলে নেবে। কিন্তু হায়, সাকিবের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেয়ার লোকেরও অভাব নেই। আমি আবেগপ্রবণ, কিন্তু অন্ধ নই।
আমি যেমন সাকিবের প্রবল অনুরাগী, তেমনি আশরাফুলের প্রবল অনুরাগী ছিলাম। কিন্তু আবেগ আমাকে কখনও অন্ধ করে দেয়নি। আশরাফুল নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমি তার পক্ষে যুক্তি দিইনি। বরং অভিমান করে এক বছর ক্রিকেট খেলা দেখিনি। সাকিবের আইপিএল খেলার পক্ষে তার অনুরাগীদের যুক্তিগুলো হলো, একজন পেশাদার ক্রিকেটার যেখানে টাকা বেশি সেখানেই খেলবে। সাকিব আইপিএল খেলছে নিজের যোগ্যতায়। কোথায় খেলবে, সেটা বেছে নেয়ার স্বাধীনতা তার আছে। ক্রিকেটের সাথে দেশপ্রেম মেলানো ঠিক নয়। সাকিব তো বোর্ড থেকে ছুটি নিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেটকে আবেগ থেকে দূরে রাখতে হবে। বিসিবি কত সাকিবকে বানায়নি বা সাকিবের বিকল্পও কাউকে বানায়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি নিজেও একজন প্রবল সাকিব অনুরাগী; কিন্তু অন্ধ নই। আমি মনে করি, সাকিবের অন্ধ অনুরাগীরাই তার বারবার ভুল করার জন্য দায়ী। দিনের পর দিন সব ভুলের পক্ষে যুক্তি দিয়ে দিয়ে এই আপনারাই সাকিবকে দানব বানিয়েছেন। আপনাদের জন্যই বোর্ড সাকিবকে ন্যায্য কথাটাও বলতে পারে না।
সাকিব ছুটি নিয়ে আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন, এটা ঠিক। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘সি’ টিমের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার পর সবার যখন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জান দিয়ে লড়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার কথা, তখন দলের সেরা খেলোয়াড় ছুটি চাইছেন; এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কিছু হতে পারে না। সারা দেশের মানুষ অনুসরণ না করুক, অন্তত দলের জুনিয়ররা যাতে অনুসরণ করতে পারে, তেমন দৃষ্টান্ত তো সিনিয়রদের কাছে আশা করাই যেতে পারে। সাকিব কীভাবে ছুটি পেয়েছেন, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ খেলতে না চাইলে বোর্ড কাউকে জোর করবে না। চাইলে মুস্তাফিজও ছুটি পাবেন। কিন্তু সাকিব বাংলাদেশের হয়ে না খেলে আইপিএল খেলতে ছুটি নিলেও মুস্তাফিজের মতো জুনিয়র খেলোয়াড়ও জানিয়েছেন, দলে সুযোগ পেলে তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন, আইপিএল নয়। সাকিব কি মুস্তাফিজের কাছে কিছু শিখবেন? অর্থটাকেই যারা সবকিছু ভাবছেন, তারা বলুন তো টাকাটা মুস্তাফিজের বেশি দরকার না সাকিবের?
এটা ঠিক সাকিব ছুটি নিয়েই আইপিএল খেলতে যাচ্ছেন। কিন্তু সাকিবের ছুটি প্রসঙ্গে অসহায়ত্ব ছিল আকরাম খানের কণ্ঠে। নাজমুল হাসান পাপনও তার হতাশা, ক্ষোভ, রাগ, অভিমান, অসহায়ত্ব গোপন করেননি। পাপন বলেছেন, ‘আমরা চাই যারা খেলাটাকে ভালোবাসে তারাই খেলুক। জোর করে আমি খেলাতে চাই না। সাকিব তো আরও তিন বছর আগেই টেস্টে খেলতে চায়নি। ওতো এমনিতেই টেস্টের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। তখন তো ওকে টেস্ট অধিনায়ক করে দেওয়া হলো। জোর করে তো চেষ্টা করলাম। কিন্তু আসলে জোর করে খেলানোর মানে হয় না। আমার মনে হয় তাতে করে আমরা ভবিষ্যতে আগাতে পারবো না। আমরা যখন জানবো এই কজন প্লেয়ার টেস্ট খেলতে চায় না, তখন তো তাদের বিকল্প নিয়ে চিন্তা করতে পারবো। হয়তো সময় লাগবে, লাগুক। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য আমাদেরই ভালো হবে।’ পাপনের কণ্ঠে ক্ষোভ, ‘ওরা সবাই (সিনিয়র) যদি লিখে দেয় আমরা কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই না, আমি এখনই রাজি। তবে আমাকে অবশ্যই জানতে হবে। ট্যুরের আগে যেয়ে বললে হবে না। হঠাৎ করে সিরিজের আগে আওয়াজ শুনি একটা, এগুলো চাচ্ছি না। খেলতে না চাইলে আগেই বলতে হবে, সিরিজের আগে না। ওরা না খেললে আমাদের সময় লাগবে, আমি একটা বছর সময় চাই। একবছর পরে কাউকে লাগবেও না, কোনো অসুবিধা নেই।’ লুকাননি হতাশাও, ‘সাকিবের সিদ্ধান্তে যে হতাশ হয়েছি, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। এর আগেও এমন হয়েছে। কেউ যদি খেলতে না চায়, তাহলে সে খেলবে না। আমরা চাই নিজেদের সিদ্ধান্ত ওরা নিজেরা নিক।’ সাকিব প্রতিভাবান। কিন্তু সে প্রতিভা তো বিকশিত হয়েছে বাংলাদেশে খেলে, বোর্ডের পরিচর্যায়। সাকিব তো হঠাৎ আকাশ থেকে নাজিল হননি। এ ব্যাপারে পাপনের বক্তব্য হলো, ‘দেখেন একজন খেলোয়াড়ের পেছনে আমাদের বিনিয়োগ তো কম নয়। সবকিছু মিলিয়ে একজন খেলোয়াড়ের পেছনে যা ব্যয় হয়, তা তো আগে কল্পনা করাও যেত না। এই জায়গাতে এই রকম দুটি টেস্ট ম্যাচ হারের পরও সাকিব কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা আমার চিন্তায়ও আসে না। আমার ধারণা ছিল সবাই পরের টেস্টটা জয়ের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকবে। সেই জায়গা থেকে যদি কেউ বলে আমি টেস্ট খেলবো না, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলব। তাহলে আসলে আমাদের করার কিছুই থাকে না। আজকে যেসব খেলোয়াড় তারকা হয়েছেন, প্রথম ৬-৭ বছরে তাদের গড় কত ছিল। খেলতে খেলতেই তো তারা আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। যখন তাদের সার্ভিস আমাদের পাওয়ার কথা, তখন তারা দলের কথা চিন্তা করছে না। সেটা তো অবশ্যই হতাশাজনক।’
সাকিবের এই অন্যায় আবদার মেনে নিলেও বোর্ড এখন চুক্তিতে কিছু বিষয় স্পষ্ট করতে চাইছে, ‘আমরা ওদের (জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের) সঙ্গে একটা চুক্তি তৈরি করব। নতুন এই চুক্তিতে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত হবে। পরিষ্কারভাবে লেখা থাকবে, কে-কোন ফরম্যাট খেলতে চায়, তাদের বলতে হবে। তাদের যদি ওই সময়ে অন্য কোনো খেলা থাকে, এটাও জানাতে হবে। তখন এই চুক্তিতে যারা সই করবে, তাদের তো আমরা তখন যেতে দেব না।'
এক সাকিবের জন্য বোর্ডকে এখন নিজেদের বদলে ফেলতে হচ্ছে।
আরও অনেকের মতো সাকিব আমারও অনেক প্রিয়। আগেই বলেছি, সাকিব ভালো খেলেন বলে আমার প্রিয় নন, তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলেন বলেই তার জন্য আমাদের জান কোরবান। ড্যাশিং ভিভ রিচার্ডস, স্টাইলিস্ট ব্রায়ান লারা, ডিসিপ্লিনড শচিন টেন্ডুলকারও কিন্তু আমার প্রিয়। কিন্তু কেউই সাকিবের মতো প্রিয় নন। সাকিবকে আমি জান দিয়ে ভালোবাসি, কারণ সাকিব ভালো খেললে, বাংলাদেশ ভালো খেলে। সাকিবকে ভালোবাসার সঙ্গে আমার দেশের প্রতি আবেগটাও জুড়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে হারলেও আছি, জিতলেও। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিব যতই ভালো খেলুক, আমার কিচ্ছু যায় আসে না। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান আমার জান। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাকিব আল হাসানের জন্য আমার কোনো ভালোবাসা নেই।
লেখক: সাংবাদিক, কলাম লেখক