বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সোশ্যাল মিডিয়ায় কি নজরদারি ছিল না?

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১২

গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট বন্ধ করলে যে গুজবের ডালপালা আরও বিস্তৃত হয়, সে উদাহরণও রয়েছে। আবার যখনই কোথাও তথ্যশূন্যতা বিরাজ করে, সেখানেই গুজবের ডালপালা মেলে। অর্থাৎ যখন তথ্য গোপন করা হয়, সেই গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে এমন সব অপতথ্য ছড়িয়ে পড়ে, যা ওই তথ্যটি প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তি যতটা ক্ষুণ্ন হতো, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি করবে সরকার’; ১৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এরকম একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তা হলো, এতদিন কি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার নজরদারি করেনি বা এখন করছে না?

প্রশ্নটা এ কারণে যে, গত বছরের জুনেই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় চাকরি হারিয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। শুধু তাই নয়, মামলাটি করেছিল খোদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো একটি বিতর্কিত আইনে কী করে মামলা করতে পারে, সেই প্রশ্নটিও তখন নানা ফোরামে উচ্চারিত হয়েছে। তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং ওই শিক্ষককে জেল খাটতে হয়েছে। চাকরিও গেছে। একই কারণে ওই সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।

এসব ঘটনায় এটি স্পষ্ট যে, সরকার বা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও লোকজন সারাক্ষণই সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি করছেন এবং কারও কোনো বক্তব্য বা মতামত অপছন্দ হলে কিংবা চ্যালেঞ্জিং মনে হলে তার বিরুদ্ধে হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, নয়তো মানহানির মামলা হচ্ছে।

ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় স্পষ্টত উল্লেখ রয়েছে কিসে মানহানি হবে আর কিসে হবে না। কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে, কেউ মানহানি হয়েছে দাবি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে দিচ্ছেন। এর কারণ, ৪৯৯ ধারার চেয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি অনেক বেশি কঠোর এবং এটি এমনই জাদুকরি যে, মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার এবং গ্রেপ্তার হলে জামিন নেই।

ইন্টারনেটে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা ফেসবুকে কারও কোনো বক্তব্য পছন্দ না হলেই যেকোনো নাগরিক যে কারও বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারেন। অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি ধরা না পড়লেও এই আইনে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।

অনেক সময় মামলা না হলেও নানাভাবে হয়রানির সংবাদও পাওয়া যায়। এর একটি বড় তরিকা হচ্ছে, সম্মিলিত বা ঐক্যবদ্ধভাবে ওই ব্যক্তিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনুসারী এমনকি দেশবিরোধী বলে ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া বা চিহ্নিত করার চেষ্টা।

অস্বীকার করার উপায় নেই, দেশে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের এই অসহিষ্ণুতা, বিরোধী বা ভিন্নমতের প্রতি অশ্রদ্ধাও বেড়েছে। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রমণের বড় হাতিয়ার হিসেবে। সেই সঙ্গে কে কতটা ক্ষমতার কাছাকাছি আছেন— সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি দেখানো বা জানানোর প্রবণতাও বেড়েছে। কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার প্রতিযোগিতাও লক্ষণীয়। বিশেষ করে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে।

বুধবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মন্ত্রিপরিষদের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কমিটির সভায় দেশে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে নজরদারি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। কিন্তু আইনের আওতায় থাকা দরকার। অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে জাতীয়ভাবে সমাজ বিভ্রান্তিতে পড়ে। মানবতাবিরোধী, সমাজবিরোধী বক্তব্য নিয়ন্ত্রণ হওয়া জরুরি।’

সরকার ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াকে বাংলাদেশে অফিস খোলা বা অন্তত একজন প্রতিনিধি নিয়োগের অনুরোধ করবে বলেও জানান মন্ত্রী, যাতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে কোনো অভিযোগ উঠলে সরকার তাদের জানাতে পারে এবং তারা ব্যবস্থা নিতে পারে।

রূঢ় বাস্তবতা হলো, ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়িয়েছে, মানুষের তথ্য জানার সুযোগ যেমন সম্প্রসারিত করেছে, তেমনি তথ্যের ভিড়ে অনেক অপতথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে। মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব যে কত ভয়ংকর হতে পারে, তা গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই স্পষ্ট হবে।

ইন্টারনেটের সুযোগ নিয়ে এমন অনেক তথাকথিত সংবাদ পোর্টাল তৈরি হয়েছে যাদের ন্যূনতম কোনো পেশাদারত্ব নেই; এমনকি কোনটি সংবাদ এবং কোনটি গুজব— সেই ধারণা নেই। ফলে এসব সংবাদ পোর্টাল সংবাদের নামে প্রতিনিয়তই মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সুতরাং, সরকার যদি এসব নিয়ন্ত্রণের কথা বলে, সেটি নিশ্চয়ই সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের অর্থ যদি হয় নাগরিকের বাকস্বাধীনতার নিয়ন্ত্রণ—সেটি সমর্থনযোগ্য নয়।

নিয়ন্ত্রণের অর্থ যদি হয় গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের চাপে রাখা; ক্ষমতাবানদের পছন্দের বাইরে কোনো সংবাদ ও বিশ্লেষণ প্রকাশ এবং প্রচার করতে না দেয়া— সেটিও সমর্থনযোগ্য নয়।

সবশেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারির বিষয়টি সামনে এসেছে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার’স মেন’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র প্রচারের পরে, যেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সেনাপ্রধান ও তার পরিবারকে জড়িয়ে অনেক অভিযোগ করা হয়েছে।

এরই মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের ঘটনা ঘটেছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরানের মতো আরও অনেক দেশেই সোশ্যাল মিডিয়া এমনকি পুরো ইন্টারনেটও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এমনকি সাময়িক সময়ের জন্য ফেসবুকও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মুশকিল হলো, গুজব ও অপপ্রচার বন্ধে সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট বন্ধ করলে যে গুজবের ডালপালা আরও বিস্তৃত হয়, সে উদাহরণও রয়েছে। আবার যখনই কোথাও তথ্যশূন্যতা বিরাজ করে, সেখানেই গুজবের ডালপালা মেলে। অর্থাৎ যখন তথ্য গোপন করা হয়, সেই গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে এমন সব অপতথ্য ছড়িয়ে পড়ে, যা ওই তথ্যটি প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্টদের ভাবমূর্তি যতটা ক্ষুণ্ন হতো, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ—যা-ই বলা হোক না কেন, বিষয়টি নেতিবাচক। এ-জাতীয় শব্দের প্রায়োগিক অর্থই হলো আপনার, মানে আপনি যদি কোনো না কোনোভাবে ক্ষমতাকাঠামোর ভেতরে থাকেন, সেটি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক— তাহলে আপনার বিপক্ষে যায় কিংবা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে অথবা আপনার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের শঙ্কা থাকে, তাহলে সে জাতীয় কথা অন্য কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখতে পারবে না। যাতে কেউ এসব লিখতে না পারেন, সেজন্যই আপনি নিয়ন্ত্রণ আরোপ বা নজরদারি করতে চান— যেখানে আপনি ব্যবহার করেন রাষ্ট্রীয় আইন ও বাহিনী।

তাহলে কি সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ যা খুশি তা-ই লিখবে? এ প্রশ্নের উত্তর হলো, না। কেননা, বাকস্বাধীনতার মানে যেমন যা খুশি বলা নয়; বাকস্বাধীনতার মানে যেমন অন্যকে গালাগাল করা নয়, তেমনি সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের দোহাই দিয়ে যা খুশি লেখার নামও স্বাধীনতা নয়। এখন প্রশ্ন হলো, আপনি যা লিখছেন, সেটি কতটা যৌক্তিক এবং যদি সেই কথাটি সঠিক হয়, সত্য হয়, তাহলে সেটুকু বলার মতো স্বাধীনতা আপনার রয়েছে কি না? সত্য হলেও শুধু ক্ষমতাকাঠামোর ভেতরে থাকা মানুষদের পছন্দ নয় বলে আপনি আক্রান্ত হবেন— এটি কাঙ্ক্ষিত নয়। আপনার নিজের যতটুকু পছন্দ, মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু ততটুকুই লিখবে— সেটিও বাস্তবসম্মত নয়। মানুষকে কথা বলতে ও লিখতে দিতে হবে— এটি যেমন রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনি নাগরিকরা, তাতে তিনি যে দলের ও মতেরই হোন না কেন, তিনি সেই লেখালেখিতে নাগরিক ভব্যতা, শিষ্টাচার কতটুকু মেনে চলছেন, সেটিও জরুরি।

ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ্যমাধ্যম হলেও অনেক সময় মূলধারার গণমাধ্যমের অনেক আগেই মানুষ এই বিকল্প গণমাধ্যমে খবর জেনে যায়। কারণ স্মার্ট ফোন আর ইন্টারনেট সহজলভ্য হতে থাকায় এখন যখন যেখানে যা কিছুই ঘটুক না কেন, মানুষ তৎক্ষণাৎ তা ফেসবুকে আপলোড করে দেয়। কখনো স্ট্যাটাস, কখনো ছবি, কখনো ভিডিও। যে কারণে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন একধরনের ব্রডকাস্টার বা সম্প্রচারকারীও।

ফলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একদিকে যেমন সামাজিক যোগাযোগের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এবং যোগাযোগের সীমানা বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি ফেসবুক এরই মধ্যে একটি শক্তিশালী সামাজিক প্রেসার-গ্রুপ হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কখনও কখনও এই শক্তি রাজনৈতিক শক্তি বা তারও চেয়ে অধিকতর কার্যকর।

কিন্তু ফেসবুক ও ব্লগে যেহেতু সরাসরি কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেই, যেহেতু এখানে সরকার সরাসরি নাক গলায় না, যেহেতু এখানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ কম, তাই নাগরিকরা নিজের প্রতিক্রিয়া কোনোরকম সম্পাদনা ছাড়াই এখানে প্রকাশের সুযোগ পান। যে কারণে অনেক সত্য বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা ও ভুল তথ্যও হামেশা প্রকাশিত হয়। এখানেই মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা বিকল্প গণমাধ্যমের তফাৎ।

বলা হয়ে থাকে, সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মুক্তচিন্তা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা অনেক সহজতর হয়েছে। কিন্তু মুক্তচিন্তা আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে অন্যের ব্যক্তিগত জানালায় টোকা দেয়া, অন্যকে হেয় করা, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া, সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়া ইত্যাদিও ঘটছে। ফলে মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে এর প্রধান পার্থক্য রচিত হচ্ছে দায়বদ্ধতায়, সম্পাদনায়।

মূলধারার গণমাধ্যমে একজন সাংবাদিক যা ইচ্ছে তাই লেখার বা বলার সুযোগ পান না। তাকে একটা নির্দিষ্ট গেট পেরিয়ে অর্থাৎ সম্পাদনার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একটি লেখা একাধিক হাত ঘুরে পাঠক ও দর্শক-শ্রোতার কাছে যায়। ফলে সেখানে যদি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া বা সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির মতো কিছু থাকে, সেটি বাদ দেয়ার সুযোগ থাকে; সোশ্যাল মিডিয়া বা বিকল্প গণমাধ্যমে এই সুযোগ নেই। নেই বলেই এখানে তথ্যের পাশাপাশি প্রচুর অপতথ্যও ঢুকে পড়ে। ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিষোদ্গার নিত্যনৈমিত্তিক। সুতরাং, এসব নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সেটি নিশ্চয়ই সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণের অর্থ যদি হয় সোশ্যাল মিডিয়াকে নিজেদের পছন্দমতো পরিচালনা বা চলতে বাধ্য করা—সেটি কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক নয়।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

এ বিভাগের আরো খবর