আমাদের দেশে প্রতিবছরই একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় শহিদ দিবস হিসেবে। এটি আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার এক উজ্জ্বল বহিঃপ্রকাশ। এদিনে শহিদের স্মৃতিফলকে মাল্য দান করা হয়। চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, স্মরণসভা বক্তাদের ভাষণ ইত্যাদি। বিভিন্ন স্থানে পৃথক সভার মাধ্যমে চলে ভাষাসংগ্রামের শহিদদের বীরগাথা নিয়ে আলোচনা।
রাজধানী ঢাকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে শহিদ দিবস উদযাপিত হয়, একই সঙ্গে দেশের সর্বত্র দিবসটি গুরুত্বসহকারে পালিত হয়। পত্রপত্রিকা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ দিবসটি যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে দেশের বাইরেও বিভিন্ন স্থানে পালিত হয়ে থাকে।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধে ভাষা আন্দোলনকে সামনে রেখে অনেকেই আলোচনা করেন। বাংলা ভাষার সংকট, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন আলোচনা হয়, তেমনি সংগ্রামের ইতিহাস নিয়েও কথা হয়। কিন্তু বাংলা ভাষার সংকট, বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা কেবল বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনের গণ্ডিতেই আবদ্ধ থাকে। অথচ ভাষা আন্দোলনের খবর বাংলাদেশের বাইরে বলতে গেলে গোটা বিশ্বেই প্রচারিত।
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ছোট্ট হলেও রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার কারণে বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গনে বাংলা ভাষার স্থান অনেক উঁচুতে। এটা বিশ্বের বাংলাভাষীদের কাছে গৌরবের ব্যাপার। শেখ হাসিনা সরকারের আগের আমলে ও প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের সদর দপ্তর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এতে বাংলা ভাষাকে যথোচিত সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তাতে এ ভাষা ও দেশের মান এবং পরিচিতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি মানেই ফাল্গুন; আর ফাল্গুন মানেই বসন্ত। কৃষ্ণচূড়ার মাথায় ফোটে রক্তরাঙা পুষ্পরাজি, তা বাতাসে দুলিয়ে মনে করিয়ে দেয় একুশের ভাষাশহিদের কথা, ভাষাসংগ্রামের কথা।
১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে দেশভাগের প্রাক্কালে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উর্দুভাষী ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদ এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে, কংগ্রেস স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে হিন্দিকে গ্রহণ করার পর স্বাভাবিকভাবেই উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা উচিত। গিয়াস উদ্দিন আহমদের বক্তব্য খণ্ডন করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা নামে এক নিবন্ধ প্রকাশ করে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। নিবন্ধটি আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ২৯ জুলাই।
দেশ স্বাধীন ও ভাগ হলো। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কজন অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী ও ছাত্রদের উদ্যোগে ‘পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এরা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থান নেয়।
বাংলা ভাষার দাবির পক্ষে সুশীল সমাজের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রফুল্ল কুমার সরকারের ভূমিকা প্রাতঃস্মরণীয়। এই দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টি হলেও সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা সম্ভব হয়নি।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রশ্নে বেশ অসুবিধাজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেয়াওত খাঁ ছিলেন অবাঙালি। তিনি অবশ্য রাষ্ট্রভাষা বাংলার সমর্থক এবং রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্যও ছিলেন। অধ্যাপক খাঁর ভাষায়, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ সারা পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন। কাজেই বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ন্যায্য, স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত।
১৯৪৮ সালে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে গণপরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ অধিবেশনে ভাষা প্রশ্নে পূর্ব পাকিস্তানের বেশির ভাগ সদস্যই সরকারি প্রস্তাবের ওপর সংশোধনী বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, রাষ্ট্রভাষা সেই ভাষা-ই হওয়া উচিত, বেশির ভাগ সাধারণ মানুষ যে ভাষা ব্যবহার করেন। যদি ২৯ নং বিধিতে ইংরেজি ভাষা সম্মানজনক স্থান পেতে পারে- পরিষদের কার্যাবলি উর্দু এবং ইংরেজির মাধ্যমে চলতে পারে; তবে বাংলার ৪ কোটি ৪০ লাখ লোকের ভাষা কেন সম্মানজনক স্থান পাবে না? কাজেই এ ভাষাকে প্রাদেশিক ভাষা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হোক, প্রস্তাবটি সরকারি বেশির ভাগ সদস্যদের বিরোধিতার মুখে অগ্রাহ্য হয়।
এদিকে গণপরিষদে বাংলা ভাষার দাবি অগ্রাহ্য হওয়ার পর ঢাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আন্দোলন গড়ে তোলার। তমদ্দুন মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ সংবাদপত্রে বিবৃতির মাধ্যমে জনগণকে সংগ্রামে এগিয়ে আসার আবেদন জানান। গড়ে ওঠে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ও বাংলাভাষা প্রচার তহবিল। সংগ্রামের প্রয়োজনে পরিষদের কলেবর বৃদ্ধি করে ১৯৪৮-এর ৭ মার্চ ঢাকায় ধর্মঘট এবং ১১ মার্চ দেশের সর্বত্র সাধারণ ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ আন্দোলনের পরতে পরতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব লক্ষ্যে পৌঁছানোর ইতিহাস সুবিদিত। তার আত্মজীবনী, কারগারের জীবনকথা এবং পাকিস্তান সরকারের গোপন ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের রিপোর্ট ইতিহাসের অনন্য দলিল এবং এর সপক্ষের সাক্ষ্য।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তখন পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল। তিনি ১৯ মার্চ বিকেলে ঢাকায় আগমন করেন। ২১ মার্চ রেসকোর্সের ময়দানে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি ঘোষণা করেন- ‘একমাত্র উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে।’
বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ১১ মার্চ ১৯৪৮ আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশিষ্টজনদের কথায় ১১ মার্চের আন্দোলন না হলে ’৫২-এর আন্দোলন হতো না। ’৪৮-এর ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষার দাবি নিয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়- ’৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারিতে তা পূর্ণতা পায়।
ভাষা সৈনিকদের মতে, ’৪৮ সালের ১১ মার্চ ছিল ভাষা সংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম সংগঠিত গণবিক্ষোভ। সভা-শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ-মিছিল ছাত্র-ছাত্রীদের পিকেটিং এবং পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে ঢাকা শহর বিক্ষোভের নগরীতে পরিণত হয়। গ্রেপ্তার ও পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে ১২, ১৩ ও ১৪ মার্চ, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।
২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েও তিনি বলেন, ‘এটা আমার বিশ্বাস যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দু হওয়া উচিত।’ বছর চারেক পর ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি পল্টনের এক জনসভায় খাজা নাজিম উদ্দিন পুনরায় ঘোষণা করলেন ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।’ এ ঘোষণা ছিল প্রকৃতপক্ষে আগের চুক্তির খেলাপ।
পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব করেন। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ আলোচনার টেবিলে সাত দফা দাবির চুক্তিপত্রের খসড়া পেশ করে। আলোচনায় আরও একটি নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইত্তেহাদ তার সম্পাদকীয়তে লেখে এমন- বিরাট শক্তি আর দুর্জয় বিরোধিতার মধ্যে সংগ্রাম করে বাংলা ভাষা আন্দোলনকারীরা যে সাফল্য লাভ করেছে তা ইতিহাসে সোনার হরফে লেখা থাকবে।
১১ মার্চের চুক্তিকে স্মরণ করে তখন প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা দিবস উদযাপিত হতো। ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রভাষা দিবস উদযাপন কমিটির নেতৃত্বে নাজিম উদ্দিনের ঘোষণার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ ধর্মঘট ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের এক বৈঠকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন পরিচালনার প্রয়োজনে ৪০ জনেরও অধিক কর্মকর্তা নিয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয়।
সর্বদলীয় কর্মপরিষদের উদ্যোগে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। বিকেলে এক জনসভায় মুসলিম লীগ সরকারের চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের নিন্দা ও বাংলাভাষার দাবি প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট পালনের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
এদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে এক মাসের জন্য ঢাকার সর্বত্র ধর্মঘট-সভা, মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। একুশের সাধারণ ধর্মঘটকে সফল করে তুলতে ১৪৪ ধারা বাধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়। কর্মপরিষদ জরুরি আলোচনায় বসে। আলোচনা সভায় আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণের প্রশ্নে দেখা দেয় বিতর্ক। অবশেষে সভায় ১১-৪ ভোটে গণতান্ত্রিক উপায়ে ১৪৪ ধারা না ভেঙে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অপরদিকে ফজলুল হক ও সলিমুল্লাহ হলে ছাত্রদের দুটি সভায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা শহরের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় জড়ো হয়। দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় গাজীউল হকের সভাপতিত্বে সভার কাজ শুরু হয়। সর্বদলীয় কর্মপরিষদের পক্ষ থেকে শামসুল হক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করে ছাত্র-ছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালানোর আহ্বান জানান।
এদিকে আহ্বায়ক আব্দুল মতিন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ছেড়ে দেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদের চেতনায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্তে অটল থেকে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে অব্যাহতভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রতিবাদী মিছিল বের হতে থাকে। প্রতিবাদী মিছিলের গতি রোধ করতে চলে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাস, লাঠিচালনা আর গুলিবর্ষণ। ফলে শহিদ হন রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরও কজন। বাঙালির রক্তের বিনিময়ে রচিত হলো ভাষা আন্দোলনের অন্য এক নতুন অধ্যায়।
প্রকৃতপক্ষে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের উত্তাল জোয়ার ছিল ২১, ২২, ২৩ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি অবধি। পরে পুলিশি নিপীড়নে তা স্তিমিত হয়ে আসে। শুধু ঢাকা শহরেই এ জোয়ার ছিল না-ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী।
২১ তারিখের পর ২২ ফেব্রুয়ারি অধিক গুলিবর্ষিত হয় এবং সে দিনই বেশি লোক শহিদ হন।
বায়ান্নর পর থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা দিবস’ উদযাপনের মধ্য দিয়েই ভাষা আন্দোলন গণমানসে উদ্দীপিত ছিল। ’৫৩-’৫৪ সালে তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু না হলেও ’৫৫ সালে আন্দোলন বেগবান হতে শুরু করে। ’৫৪ সালের নির্বাচনের পর ফজলুল হক মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার ভেঙে দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসন জারি করে। গভর্নর হয়ে আসেন ইস্কান্দার মির্জা।
১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদমিনার ও মাজারে ফাতিহা পাঠ, আমতলায় ছাত্রসভা ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার প্রচেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা চলে, গ্রেপ্তার করা হয় দলে দলে ছাত্রদের। গ্রেপ্তারের আওতা থেকে ছাত্রীরাও রেহাই পাননি। এ বছরই ব্যাপক সংখ্যায় ছাত্র-ছাত্রী গ্রেপ্তার হন। ’৫৬ সালে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে শাসনতান্ত্রিক স্বীকৃতি লাভ করে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক