করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। প্রথম কিছুদিন সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম একেবারে বন্ধ ছিল; যখন বোঝা গেল, সহসাই এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ মিলবে না, তখন নানা ভাবনাচিন্তা করে অনলাইনে ক্লাস এবং পরে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। এরপর থেকে এভাবেই চলছে।
করোনা সংকটের সমাধান হয়নি; এর মধ্যেই অনেকে অস্থির হয়ে উঠেছেন, সরকার কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিচ্ছে না? সাম্প্রতিক আলোচনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এ পরিস্থিতিতে কয়েকটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, সাক্ষাৎকার, মতামত বা টকশোসহ নানা সূত্রে করোনার সময়ে শিক্ষা নিয়ে দেশের গণমান্য ব্যক্তিবর্গের বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া শুরু থেকেই লক্ষ করছি। তাদের অনেকেই শুরুর দিকে তথাকথিত উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই শ্রেয়। কেননা, শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা আগে। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দেখছি, তাদের অনেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতি বেশ বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ এমনও বলছেন, সরকার শিক্ষাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। অনেকের দাবি, সরকার দেশের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে দিতে চায় না।
আমি একজন শিক্ষক; সরকার নয়, সরাসরি শিক্ষার্থীদের স্বার্থের পক্ষ নিয়েই আমার ভাবনা প্রকাশ করতে চাই:
উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষামূলকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে বটে, তবে এতে শিক্ষা কতটা বেড়েছে জানি না কিন্তু করোনা সংক্রমণ যে বেড়েছে, তা সবারই জানা। ফলে ওইসব দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরপরই আবার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।
যারা এরপরও নানা সময়ে খুলেছে বা এখনো খোলা রেখেছে, অনেক ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা নেয়ার পরও ওইসব দেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
আরেকটি বিষয় হলো, বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে ক’টি স্কুল বা কলেজে পর্যাপ্ত শৌচাগার রয়েছে, সে খবর কি আমাদের অজানা?
এই বাংলাদেশে এখনও অনেক মেয়েকে স্কুলের পড়াশোনা চিরতরে ছেড়ে আসতে হয়, কেবল স্কুলে কোনো শৌচাগার নেই বা মেয়েদের উপযোগী কোনো শৌচাগার নেই বলে; তাহলে এই করোনার সময়ে তাদের সার্বিক চিত্রটি কি আমরা ধরতে পারছি?
করোনাভাইরাস নির্মূল হয়নি। নিশ্চিতভাবে কার্যকর টিকা এখন পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থীও পায়নি। কোনো শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মী বা কর্মচারীরও কেউই টিকা পায়নি। সহসাই তারা টিকা পাবে, এমন তথ্যও আমাদের জানা নেই। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে স্কুল খুলে দেয়ার জন্যে এই ব্যাকুলতা কেন?
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে- এমন তো নয়; অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করছে, অন্যান্য মূল্যায়নে অংশ নিচ্ছে। তাহলে এখন এত বিচলিত হওয়ার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি?
অনেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি শিক্ষক তাই আমি নিজেও জানি, শ্রেণিকক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ আর অনলাইনে পাঠদান ও পাঠগ্রহণের মানে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ কারণে কি শিক্ষার্থী তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে আসতে বলা খুব কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় হবে? বা এটি কি এই সময়ে সত্যিই অনিবার্য হয়ে পড়েছে?
অনেকের মতে, এখন যেভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও ফল নির্ধারণ করা হচ্ছে, তাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা যদি ভেবে দেখি, স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে এসেও আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কোনো যৌক্তিক কাঠামোতে আসতে পারেনি; বিদগ্ধজনেরা বরাবরই দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্র ও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন করে আসছেন। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও মান সবসময়ই বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ।
প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে আমরা জড়িত থাকতে দেখেছি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকদেরও। এত বছরে এত সমস্যার কোনোটিরই সমাধান করা যায়নি; এত বছর ধরে কি তাহলে শিক্ষাব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি? আর এখন এই বৈশ্বিক দুর্যোগের সময়ে দু’একটি বছরের দু’চারটি পরীক্ষার ফল যদি খুব ‘মানসম্মত’ না-ই হয়, কেবল তাতেই কি জাতি হিসেবে আমরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো?
অনেকের দুর্ভাবনা হচ্ছে, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফাঁকি দেয়ার সুযোগ রয়েছে। আমার অভিজ্ঞতা হলো, যে শিক্ষার্থীর ফাঁকি দেয়ার প্রবণতা রয়েছে, সে সশরীরে ক্যাম্পাসে উপস্থিত থেকেও ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতে পারে, কিংবা ক্লাসে উপস্থিত থেকেও পাঠ গ্রহণে অমনোযোগী হতে পারে। শিক্ষকের উপস্থিতিতে শ্রেণিকক্ষে পরীক্ষা দেয়ার সময়ও শিক্ষার্থীরা নতুন কৌশলে নকল বা এ ধরনের অনৈতিকচর্চার আশ্রয় নেয়।
একই কথা শিক্ষকদের বেলাতেও প্রযোজ্য; যে শিক্ষকের মধ্যে ফাঁকি দেয়ার বা দুর্নীতির প্রবণতা ও চর্চা রয়েছে, তিনি অনলাইন-অফলাইন সর্বত্রই তা করতে পারেন। দোষটা তাহলে অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষার কেবল নয়।
স্কুল-কলেজ খুলে দিতে হবে- এর পক্ষে কেউ কেউ যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন, সবাই ঘরের বাইরে বের হচ্ছে এখন; রেস্টুরেন্টে যাচ্ছে, ছুটি কাটাতে দেশের নানা স্থানে এমনকি দেশের বাইরেও যাচ্ছে- তাহলে সরকার স্কুল-কলেজ খুলে দিতে গড়িমসি করছে কেন? জীবিকার তাগিদে রেস্টুরেন্ট, পর্যটনকেন্দ্র বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সরকার খুলে দিয়েছে বটে কিন্তু আমরা যদি একটু স্মরণ করার চেষ্টা করি, স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার সময় থেকেই একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের নানা পক্ষ থেকে অভিভাবকসহ সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে, স্কুল-কলেজ বন্ধ মানে ‘ছুটি’ কাটানো নয়; বেড়াতে যাওয়া যাবে না, ঘরে থাকতে হবে এবং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে সরকার তো শিশুদের নিয়ে বেড়াতে যেতে বলেনি; আমরা অভিভাবকরা এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছি।
সরকার জমায়েত করতে নিষেধ করেছে, আমরা জমায়েত করেছি; সরকার ঘটা করে সামাজিক অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করেছে, এরই মধ্যে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করার দায়ে সরকারি কর্মচারীর চাকরি গেছে। তাই এসব ঘটনার দায় কেবল সরকারের ওপর চাপানো হলে তা অন্যায় করা হবে। করোনার কারণে সরকার স্কুলে আসা এবং বেড়াতে যাওয়া-দুটোই বন্ধ রাখতে বলেছে। তাই সবাই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে স্কুল-কলেজ খুলে দিলে তা বরং সরকারের অকল্যাণকর সিদ্ধান্তেরেই পরিচয় প্রকাশ পেত, যা তারা করেনি।
স্পষ্টভাবে বলতে চাই, করোনার টিকা পাওয়ার আগে কোনো শিক্ষার্থীকেই তার প্রতিষ্ঠানে সশরীরে আসতে বলার আমি পক্ষপাতী নই। তবু নিতান্ত প্রয়োজন বোধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া যেতে পারে, কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট পরিণত এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মতো জ্ঞান-বুদ্ধি বা সক্ষমতা তাদের রয়েছে।
এরপর পর্যায়ক্রমে কলেজগুলো খুলতে পারে। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীদের সবাই টিকা পাওয়ার আগে স্কুলে তাদের ডাকা একেবারেই অনুচিত বলে আমি মনে করি। টিকা বাজারে আসতে শুরু করেছে; সামনের দিনগুলোতে নিশ্চয়ই সহজলভ্য হবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের প্রায় সবাই স্বীকার করেছেন, কেবল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের লেকচার বা পাঠ্যবই থেকে তাঁরা জীবনের সব শিক্ষা পেয়েছেন, ব্যাপারটি এমন নয়; জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক শিক্ষাই তারা অন্যত্র পেয়েছেন। এখানে স্মর্তব্য, এই দুর্যোগের অনেক বছর আগে থেকেই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এবং মানের বিচারে বিশ্বের সেরা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন কোর্স চালু রয়েছে যেখান থেকে অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা বা মূল্যায়নের পাশাপাশি সার্টিফিকেট বা গুরুত্বপূর্ণ ডিগ্রি দেয়া হয়। এর মানে আমি শ্রেণিকক্ষে সশরীরে উপস্থিত থেকে শিক্ষকের লেকচারকে অদরকারি বলছি না; আমার বক্তব্য হলো, এই দুর্যোগের মধ্যেও তাহলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর সশরীরে উপস্থিতি একেবারে অনিবার্য নয়। একজন শিক্ষক চাইলে শ্রেণিকক্ষের বাইরেও শিক্ষার্থীদের জীবনে নানাভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন।
শিক্ষা নিয়ে যাঁরা ভাবেন, বিনয়ের সঙ্গেই বলছি, তারা খুব তাড়া বোধ করবেন না। অনেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা না করে কেবল রাজনৈতিক বিরোধিতার সূত্রে স্কুল খুলে না দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আগে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরতদের সবার টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার।
শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে- এই অজুহাতে যাঁরা গত কয়েক মাস ধরে এই করোনার মধ্যেও স্কুল-কলেজ খুলে দিতে বার বার তাগিদ দিচ্ছেন, তাদের কাউকে কখনো অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে কীভাবে আরও কার্যকর করে তোলা যায়, সে বিষয়ে কোনো পরামর্শ দিতে শুনিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মোবাইল ফোন অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে সবার জন্যে সহজলভ্য ও আরও ফলদায়ক করে তুলতে তাদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখলে বরং বেশি খুশি হওয়া যেত।
সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হিসেবে সরকার বলেছে, ক্ষেত্রবিশেষে কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে তাদের প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস করবে। স্কুলের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেলাতেও এমন হবে। আরও নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন গিয়ে পড়া বুঝে নিয়ে আসবে। কেউ না চাইলে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করার বাধ্যবাধকতা থাকছে না; তাদের জন্যে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া অর্থে বিষয়টি এ পর্যন্ত চলতে পারে; এর থেকে বেশি মরিয়া হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, সেই সময় এখনও আসেনি।
এটিও মনে রাখতে হবে, কেবল স্কুল বন্ধ রাখলেই হবে না, অভিভাবকদেরও তাদের সন্তানদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনসমাবেশে যাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্যে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। শিশুদের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যাতায়াত ঠেকাতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে।
সংকটের একটা বড় সময় আমরা পার করে এসেছি; সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ, আমরা সবাই আর একটু ধৈর্যধারণ করি। শিশুরা নিজেদের জীবন বা জীবনের নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না; এসব বিষয়ে তাই তারা অভিভাবকদের ওপর নিশ্চিন্তে নির্ভর করে। তাই বুঝে-শুনে ও নিশ্চিত না হয়ে কেবল তথাকথিত ‘পড়ালেখা’র অজুহাতে আমাদের শিশুদের বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়ার অধিকার আমাদের নেই।
নিশ্চয়ই স্কুল জরুরি, পড়াশোনা জরুরি; কিন্তু জীবনের চেয়ে বেশি জরুরি নয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।