করোনা মহামারিতে লকডাউন ও বিশ্ববাণিজ্যে স্থবিরতা নামার কারণে অনেক অভিবাসী শ্রমিক হারিয়েছেন নিয়মিত চাকরি ও চুক্তিভিত্তিক কাজ, যার প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্স-প্রবাহে। যদিও বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বিগত ২০২১ সালে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৈশ্বিকভাবে ৭.৫% কমে যাবে এবং যার প্রভাব বাংলাদেশের মতন অভিবাসী শ্রমিক প্রেরণকারী দেশের ওপর বিরূপভাবে পড়ার কথা। আশ্চর্যজনকভাবে, বাংলাদেশে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী যে পরিমাণে কমার কথা ছিল, তা কিন্তু কমেনি; বরং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে।
বিগত ২০২০ সালে করোনা মহামারির ক্রান্তিকালেও বাংলাদেশ ২১.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করেছে, যা ছিল রেকর্ড পরিমাণ (সূত্র: বিএমইটি, ডিসেম্বর ২০২০)।
অনেক অভিবাসন ও রেমিট্যান্স বিষেশজ্ঞ মনে করেন, করোনাকালে অবৈধ বা হুন্ডি মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণের সুযোগ অনেকাংশে কম থাকায় এবং সরকার প্রদত্ত ২% প্রণোদনার কারণে দেশে বেশি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে এসেছে। অথচ আগে দেখা গিয়েছে যে, অনেক অভিবাসী শ্রমিকই ব্যাংকিং মাধ্যমের চেয়ে হুন্ডি বা অন্য অবৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আবার, অনেকে স্বজনদের জন্য ভিসা ক্রয় বা প্রসেসিংয়ের জন্য যে অর্থ সঞ্চয় করেছিল- তাও দেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যার কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে গিয়েছে।
বিএমইটির পরিসংখ্যান মতে, ২০২০ সালে মাত্র ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৯ জন শ্রমিক বিদেশে গিয়েছেন, যেখানে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৬-৭ লাখ শ্রমিক বিদেশে যান। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালে ও অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগে দেশভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা বা ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি প্রেরণ সীমিত হয়েছে, যার দরুন অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজারে সৃষ্টি হয়েছে চাপ। অনেক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে চাকরি হারিয়ে ফেরত এসেছেন এবং দেশে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন। তারা না পারছেন বিদেশে পুনরায় যেতে, না পারছেন দেশে কিছু করতে। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে দেখা যায়, ২০২০ সালে দেশে ফেরত আসছে প্রায় সাড়ে চার লাখের বেশি অভিবাসী শ্রমিক, যার ভিতর ৪৯ হাজারই নারী শ্রমিক।
স্বল্পকালীন অবস্থানের পরে যারা এসেছেন তারাও পড়েছেন নানা অর্থনৈতিক সংকটে, হিমশিম খাচ্ছেন অভিবাসন ব্যয়ের ঋণ পরিশোধ করতে। যদিও সরকার ইতোমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার সহজশর্তে ঋণের ব্যবস্থা করেছেন বিদেশফেরত অভিবাসীকর্মীদের জন্য, কিন্তু সামষ্টিকভাবে আমাদের অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবার যারা গ্রামে থাকে, তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির হার দুর্বল ও রেমিট্যান্সের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের ওপরও খুব একটা মনোযোগী থাকেন না। ফলে মুখোমুখি হতে হয় নানা ধরনের প্রতিকূলতার।
মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ ও স্মার্টফোনের ব্যবহার গ্রামীণপর্যায়ে সহজলভ্য ও জনপ্রিয় হওয়াতে সম্প্রতি একদিকে যেমন অভিবাসী শ্রমিকরা সহজ ও স্বল্প খরচে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে, তেমনি ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেনও সম্পন্ন করতে পারছেন। এই করোনার সময়ে সেজন্য ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন, ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। তাই দেখা গিয়েছে অনেক প্রবাসী শ্রমিকই বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মাধ্যমগুলো বেশি ব্যবহার করছেন।
বিভিন্ন দেশও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন বা রেমিট্যান্স ট্রান্সফারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, যেমন: মালয়েশিয়া ‘ভ্যালইউ’ নামে এক অনলাইন মোবাইল মানি ওয়ালেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করতে কাজ করছে।
আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবার যদিও রেমিট্যান্স আনা বা প্রেরণে বৈধ ব্যাংকিং বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে বর্তমানে যথেষ্ট সচেতন হয়েছে বা হচ্ছে, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংকে সঞ্চয় বা ব্যবসা লগ্নিতে এখনও অসচেতন। আমাদের এই রেমিট্যান্স-যোদ্ধারা তাদের বেশিরভাগ প্রেরিত অর্থই ব্যয় করেন অভিবাসন ঋণ শোধে, জীবনযাপন খরচে বা ভোগবিলাসে।
গ্রামীণপর্যায়ে খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায় এর সঠিক লগ্নি, যদিওবা দেখা যায় তা ভূমি ক্রয় বা ঘর-বাড়ি নির্মাণের ভিতরই সীমাবদ্ধ থাকে।
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে আমাদের শ্রমিকরা বিদেশে যাওয়ার আগে প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণ (পিডিটি) বা ওরিয়েন্টেশন গ্রহণ করে থাকে যেখানে তাদেরকে দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ও রেমিট্যান্সের সঠিক বিনিয়োগের উপরে ধারণা দেয়া হয়ে থাকে। তারপরেও দেখা যায় তারা রেমিট্যান্সের সঠিক বিনিয়োগের ব্যাপারে খুব একটা উৎসাহী থাকে না, বরঞ্চ তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোগবিলাসিতার জন্য কিংবা বিদেশে কর্মসংস্থানের ভিসা ক্রয়ের জন্য রেমিট্যান্স বা অর্থ বেশি লগ্নি করে থাকে।
প্রবাসীদের জন্য সরকার বিশেষায়িত ব্যাংক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক চালু করেছে, যদিও তার সেবাপ্রাপ্তিতে অভিবাসী বা তাদের পরিবারের খুব একটা আগ্রহ নেই । তার উপরে সেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া অন্যান্য কমার্শিয়াল বা বেসরকারি ব্যাংকের মতনই শর্ত থাকে- যা অনেকাংশে তাদের নিরুৎসাহিত করে সেবাপ্রাপ্তিতে। আবার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বা সাব-এজেন্ট না থাকাতে গ্রামীণপর্যায়ে এর সেবাপ্রাপ্তিও অভিবাসীর পরিবারের জন্য দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিদেশ ফেরত বা প্রত্যাবর্তিত অভিবাসী শ্রমিকরা দেশে এসেই ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত হতে পারে না, কারণ তারা বিদেশে হয়তো ভিন্ন কোনো চাকরিতে কর্মরত ছিলেন। আবার দেশে ফিরে নতুন কোনো উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতন প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগের কথাও তার জানা থাকে না। পুনর্বাসন ঋণ নেয়াও অনেক ক্ষেত্রে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়। যেমন: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে পুনর্বাসন ঋণ নিতে তাকে চলমান ব্যবসা, ভবিষ্যৎ ব্যবসা পরিকল্পনা, ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হয়, যা একজন বিদেশফেরত অভিবাসীকর্মীর জন্য সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে দেখা যায়, অনেকে ব্যবসায় সুবিধা না করতে পেরে বা নিরুৎসাহিত হয়ে পুনরায় বিদেশে চলে যান । ফলে, তাদের দীর্ঘ দিনের শ্রমের দ্বারা সঞ্চিত রেমিট্যান্সের টাকার সঠিক বিনিয়োগ বা লগ্নি হয় না।
আমাদের আসলে মনে রাখতে হবে, প্রায় এক কোটি অভিবাসী কর্মীদের পরিবার যাদের উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৩-৪ কোটি মানুষ নির্ভরশীল প্রান্তিক পর্যায়েই বসবাস করে থাকে। গ্রামীণ পর্যায়ের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বা বাণিজ্য সম্প্রসারণে তাদের রয়েছে বিপুল সক্ষমতা ও সম্ভাবনা। তাদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্সের টাকার সঠিক ব্যবহার একদিকে যেমন পারে তাদের পরিবারে সচ্ছলতা আনতে, তেমনি পারে উচ্চশিক্ষিত মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান তৈরি করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে। দেশে ফেরত আসার পরে একজন সচেতন ও প্রশিক্ষিত অভিবাসীকর্মীই পারেন বিদেশে অবস্থাকালীন সঠিক বিনিয়োগের মাধ্যমে তার নিজের ও পরিবারের জন্য সহনশীল ও টেকসই অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে।
যদিও বর্তমান সরকার, বিদেশফেরত অভিবাসীকর্মীদের দেশে পুনর্বাসনের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাছাড়া বিদেশ থেকে দক্ষতা নিয়ে আসা কর্মীদের জন্য চালু করেছে বিশেষ দক্ষতা স্বীকৃতি সনদ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও তা বেশিরভাগ অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জ্ঞানবহির্ভূত।
গ্রামীণপর্যায়ে অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড ও খুবই অপ্রতুল। কিছু নির্দিষ্ট এনজিও ছাড়া সরকারিভাবে খুব কমই তৃণমূলপর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। যা-ও হয় তাও নির্দিষ্ট কিছু অভিবাসনপ্রবণ জেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকে। আবার গ্রামীণপর্যায়ে দেখা যায় অনেক সেবা দানকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন: ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান, সমবায় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অভিবাসী পরিবারের সদস্যরা লেনদেন করে থাকে, কিন্তু এই সকল প্রতিষ্ঠানও অভিবাসীদের জন্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে জানেন না। ফলে, ব্যাহত হয় সংযোগসেবা।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রয়েছে ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ক্রয় সুবিধা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক অন্যান্য অনুমোদিত ব্যাংকে রয়েছে এনআরবি সঞ্চয় বন্ড, যেখানে প্রবাসীরা ৫০০ থেকে ৫০ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড ক্রয় করতে পারবেন, যেখানে রয়েছে তাদের জন্য আকর্ষণীয় মুনাফা সুবিধা। এছাড়া দেশে বিনিয়োগে উৎসাহ জোগাতে সরকার প্রতিবছরই প্রবাসীদের দিচ্ছে সিআইপির মর্যাদা ও করমুক্ত আয়ের সুযোগ। দুৰ্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এই সকল সুযোগ-সুবিধা ও উদ্যোগ সম্পর্কে প্রবাসীরা বা অভিবাসীকর্মীরা কমই জানেন। প্রকৃতপক্ষে বিদেশ গমনের আগে এই বিষয়ে তাদের খুব একটা ওরিয়েন্ট বা প্রশিক্ষিত করা হয় না, ফলে তারা আর্থিক লগ্নি বা বিনিয়োগের জন্য দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের ওপরেই নির্ভর করে।
এছাড়া জেলা, উপজেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রশিক্ষণ বা কর্মসূচিগুলোতেও (যেমন: টিটিসির কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প- সেইপ (SEIP), STEP, B-SEP, বেসরকারি পর্যায়ে বি-স্কিলফুল, সুদক্ষ ইত্যাদি) অভিবাসীরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন না বা জানেন না। ফলে তারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি বিশেষ ট্রেডে বা বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগও পাচ্ছে না।
এ ছাড়া বিদেশফেরত নারী অভিবাসীকর্মীরা যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত বিভিন্ন দক্ষতা ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও জয়ীতা ফাউন্ডেশনের মতন উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করে স্বাবলম্বী হতে পারে, সেই সুযোগে সম্পর্কেও জ্ঞাত নয়। এই বিষয়টাও আমাদের বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। কারণ, শুধু প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ বা বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রশিক্ষণ, বা আর্থিক সহায়তার উপরে নির্ভরশীল না হয়ে, সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগে ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে যে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে তার সঙ্গে অভিবাসী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে, নীতিমালাতে অন্তর্ভুক্তি করতে হবে, এবং তা প্রাক- বহির্গমন বা প্রাক-সিদ্ধান্তমূলক প্রশিক্ষণ সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বমূলক উদ্যোগও গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই আমরা রেমিট্যান্সের সঠিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হবো।
লেখক : শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক ও উন্নয়নকর্মী