বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিগবাজির রাজনীতি: টলমল ভারতীয় গণতন্ত্র

  •    
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২০

বিধানসভার ভোট আসন্ন। জনগণ সত্যিই বিভ্রান্ত। কে কোন দলে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। দলগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট নয়। আরও বড় সমস্যা ভোটের পর কী হবে! আলু-পটলের মতো নেতারা বিক্রি হবেন না তো? এমন প্রশ্নও কিন্তু ট্রেন-বাস বা চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। আসলে রাজনীতিবিদদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা নেমে এসেছে একেবারে তলানিতে। এর ফলে গণতন্ত্রের প্রতিও ভারতীয়দের আস্থা তলানিতে নামবে না তো? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

নেতাদের ডিগবাজি বন্ধে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, প্রয়াত রাজীব গান্ধী জাতীয় সংসদে দলত্যাগবিরোধী আইন পাস করান। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়েছে বলে মনে হয় না। রাজ্যে রাজ্যে জনপ্রতিনিধিদের দলত্যাগ চলছেই। এক মেরু থেকে অন্য মেরুর রাজনীতিতে অবাধ যাতায়াত বন্ধ হয়নি মোটেই। বাম বা অতিবাম রাজনীতি থেকে ডান বা অতিডান রাজনীতিতে অবাধে যাতায়াত করছেন নেতানেত্রীরা। নৈতিকতা বা নীতি-আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তারা। দলবদল জলভাত হয়ে উঠেছে ভারতীয় রাজনীতিতে। এমনকি, একদলের টিকিটে জিতে অন্যদলকে সমর্থন জানাতেও তারা কুণ্ঠিত নন মোটেই। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে সেটা আরও প্রকট হয়ে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে ডিগবাজি মারাত্মক আকার নিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল ছেড়ে নেতারা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এতকাল যারা বিজেপিকে ‘সাম্প্রদায়িক দল’ বলে গালাগাল দিতেন, এখন তারাই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। জনগণ বুঝতেই পারছেন না, কে এখন কোন দলে। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে দলবদল শুরু হয়। অবশ্য তৃণমূলের জন্মই তো হয় কংগ্রেস ভেঙে। শুরুটা তো দলবদল দিয়েই।

২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে। তার আগে বাম ও বিভিন্ন দলকে ভাঙানোয় বিশেষ দক্ষতা দেখান তখন মমতার ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত মুকুল রায়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরও চলে সেই ‘দক্ষতা প্রদর্শন’। কংগ্রেসের কাঁধে ভর করে ক্ষমতায় এলেও শতাব্দীপ্রাচীন দলটির বিধায়ক ভাঙানোর খেলা চলতে থাকে। কংগ্রেসকে ছাড়াই ২০১৬ সালে ফের ক্ষমতায় আসেন মমতা। ক্ষমতায় এসেও চলতে থাকে দল ভাঙানো। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বহু বিধায়কই এখন তৃণমূল শিবিরে। বামদেরও কয়েকজন একই পথের পথিক। প্রথম দিকে অবশ্য দলত্যাগে সদস্যপদ ছাড়ার নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠেনি। কারণ সকলেই ভিড়েছিলেন শাসকদল তৃণমূলে। এখন অবশ্য ইস্তফা দিয়েই হচ্ছে দলবদল। কারণ, সামনে ভোট। উপনির্বাচনের ভয় নেই।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রেকর্ড পরিমাণ দলবদল হয়েছে। তৃণমূল ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১১ আসন জিতলেও এখন তাদের ২১৪ সদস্য। বহু তৃণমূল বিধায়ক দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন। ৭ বিধায়ক ছেড়ে দিয়েছেন সদস্যপদ। বিজেপি শিবিরের চিত্রও বেশ আশাব্যঞ্জক। মাত্র তিনটি আসনে তারা জিতেছিলেন। এই মুহূর্তে তাদের আছে ২৩ সদস্য। তাদের সমর্থনে আরও ৯ জন ইস্তফা দিয়েছেন। অন্যদিকে, বামদের বিধানসভায় সদস্যসংখ্যা ২৩ থেকে কমে ১৪ হয়েছে। কংগ্রেসের ৪৪ থেকে কমে ২৩ হয়েছে। এক সময়ে বাম-কংগ্রেসের সম্পর্ক অহি-নকুল হলেও এখন অবশ্য তারা বন্ধু।

তৃণমূলকে হারাতে জোটবদ্ধ সিপিএম ও কংগ্রেস। সেই লড়াই আজ অতীত। ভারতীয় রাজনীতিতে একটা নতুন ঘরানা শুরু হয়েছে। জোট রাজনীতির হাত ধরে চিরস্থায়ী শত্রুতার দিন বোধ হয় শেষ। কারণ মহারাষ্ট্রে হিন্দুত্ববাদী শিবসেনার সঙ্গে জোট করে চলছে কংগ্রেসের সরকার। আগে বিজেপির বন্ধু ছিল শিবসেনা। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি চিরকালই ছিল বাম ও কংগ্রেসের লড়াইয়ের উর্বর জমি। এখন সেখানে উভয়দলই নির্বাচনি শরিক। আবার মমতার তৃণমূল এখন বিজেপির বিরুদ্ধে কামান দাগলেও এক সময়ে বিজেপি জোটে ছিল তারা। মমতা নিজেও অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। অবশ্য তিনি তৃণমূল গঠনের পর কংগ্রেসের মনমোহন সিং মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। জোট রাজনীতিতে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস বা বামপন্থিদের সঙ্গে বিজেপির কোনো প্রত্যক্ষ জোট হয়নি। তৃণমূলও সিপিএমের সঙ্গে সরাসরি জোটের পথে হাঁটেনি এখনও। ভবিষ্যতে জোট হওয়ার সম্ভাবনা এখনকার পরিস্থিতিতে অসম্ভব মনে হলেও পুরোপুরি সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিতে নারাজ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

আসলে ভারতীয় রাজনীতিতে আদর্শগত পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। ভোটে একদলের প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর ভোট পরবর্তী সময়ে বিপরীত মেরুতে অবাধেই চলে যাচ্ছেন তারা। হর্স ট্রেডিং বা ঘোড়া কেনাবেচা এখন জলভাত। পশ্চিমবঙ্গে দলবদলে অন্যতম সফলব্যক্তিত্ব মুকুল রায় বছর তিনেক আগে নিজেই নাম লেখান বিজেপিতে। রাজনৈতিক জগতে তার পরিচয়ই ছিল মমতার ‘সেকন্ড-ইন-কমান্ড’। কিন্তু দলের সঙ্গে মতবিরোধে বিজেপিতে নাম লেখান তিনি।

মমতার হয়ে ২০১৬ সালেও বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ চালালেও ২০১৮ সাল থেকেই তিনি বিজেপির হয়ে মমতাবিরোধী প্রচারে অন্যতম প্রধানমুখ। এক সময় অন্যদল ভাঙিয়ে তৃণমূলে নিয়ে এলেও এখন তৃণমূল ভাঙানোর কাজে তিনিই সেরা অস্ত্র বিজেপির। তাই দল ভাঙিয়ে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির আসন ২ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করতে পেরেছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগেও তৃমমূল ভাঙছে। মমতা শিবিরের বহু নেতাই এতকাল মুকুল বিরোধিতা করলেও এখন বিজেপির জয়গানে ব্যস্ত।

রাজনৈতিক ডিগবাজির মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না মুকুল। তার মতে, ‘দলবদল গণতন্ত্রেরই অঙ্গ। মানুষের কাজ করতে গিয়ে কোনো দলে বাধাপ্রাপ্ত হলে সে অন্য দলে যেতেই পারেন। তৃণমূলে গণতন্ত্র নেই। বিজেপি মানুষের মঙ্গলের কথা ভাবে। তাই বিজেপির হয়ে বাংলার মানুষের মঙ্গলের চেষ্টা করছি।’ এই মুকুল রায়ই তৃণমূলের কল্যাণে ভারতের রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন। ছিলেন ভারতের জাতীয় সংসদের সদস্যও। অবশ্য দল ছাড়ার সময় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। মমতা তার এক সময়ের ছায়াসঙ্গীকে ‘গাদ্দার’ বলে কটাক্ষ করেন।

আরেক নেতা, রাজ্যে সাবেক মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলে থাকার সময় বিজেপির কড়া সমালোচক ছিলেন। দল তাকে মন্ত্রী করার পাশাপাশি বাবা ও দাদাকে করেছে জাতীয় সংসদের সদস্য। আরেক ভাই পুর-প্রশাসক ছিলেন। কিছুদিন আগে শুভেন্দু বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলতেন। স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘মোদি হঠাও, দেশ বাঁচাও’। এখন তিনিই ‘জয় শ্রীরাম’ বলে নিজের ফেলে আসা দলকে বলছেন, ‘তোলাবাজদের দল, পিসি-ভাইপোর প্রাইভেট কোম্পানি’। বামপন্থিরাও দলবদলে রয়েছেন। এই তো সেদিন, সিপিএমের বিধায়ক বিজেপির সাবেক সভাপতি, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন। সিপিএমের আরেক দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা লক্ষণ শেঠ বিজেপি হয়ে এখন কংগ্রেসে রয়েছেন। শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গেও তার দহরম। বিজেপির যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল ছিলেন বিজেপির সক্রিয় সদস্য। হঠাৎ করে তিনি চলে এলেন তৃণমূলে। বিয়েতে বিচ্ছেদ হতে চলেছে তাদের। তেমনি কলকাতার সাবেক মেয়র শোভন চ্যাটার্জি তার প্রেমিকা বৈশাখীকে নিয়ে নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। নিন্দুকেরা বলছেন, তার বিবাহিত স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জির সঙ্গে তৃণমূলের সুসম্পর্কই শোভন-বৈশাখীকে দল ছাড়তে প্ররোচনা দিয়েছে। কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন শঙ্কর সিং। নিজের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই তিনি এখন তৃণমূল দলের রাজ্য সহ-সভাপতি। বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছেন অনেকেই সংসদীয় আইনকে। সামনে ভোট বলে কেউ কেউ ইস্তফা দেয়ার নাটক করছেন। জানেন উপনির্বাচনে জেতার দায়বদ্ধতা আর নেই।

মানুষ বিভ্রান্ত। কারণ কে কোন দলে, সেটা বুঝে ওঠাই দায় হয়েছে। আজকে যিনি প্রচণ্ড ধর্মনিরপেক্ষ, প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে চলেছেন সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলে, কালকে তাকেই তো দেখা যাচ্ছে সেই বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে। দলগুলো একই পথের পথিক। ফলে নৈতিকতার দাম নেই। নেতাদের অবশ্য সাফাই আছে। তারাও আদর্শের কথা শোনান। যেমন, ‘রাজনীতিতে অচ্ছুতমার্গ চলে না।’ বা, ‘শত্রুর শত্রু আমার মিত্র’। আবার, ‘বৃহত্তর স্বার্থে সাময়িক জোট’। এ ছাড়া রয়েছে ‘কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম বা অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি।’ কথায় বলে না, ‘দুষ্ট লোকের ছলনার অভাব হয় না! নেতারা দুষ্ট কি না এটা সাধারণ মানুষ ভালোই বোঝেন। তবে তাদের যে ছলনার অভাব নেই, সেটা নিজেদের অভিজ্ঞতায় হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। কিন্তু কিছুই করার নেই। বিকল্পও তো বোধ হয় নেই তাদের সামনে।

আসলে জেতাটাই এখন মুখ্য লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জিততে হবে। নীতি-নৈতিকতা এখানে তুচ্ছ। দলগুলো তাই নীতি-আদর্শের বদলে ক্ষমতা দখলের জন্য আপোস করতে নীতি বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত। তাই বিজেপি ও তৃণমূলের আজ সখ্য, তো কাল বিরোধ। পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ বছরের বামশাসনে হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী হিংসার রাজনীতির বলি হয়েছেন বলে অভিযোগ। এখন সেই কংগ্রেসই জোট করেছে বামদের সঙ্গে। নেতারাও একই পথে চলছেন। বামভক্তরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে শ্রেণিহীন সমাজের স্বপ্ন ফেরি করার পর অনেকেই এখন রামভক্ত বিজেপির বুর্জোয়া অর্থনীতির প্রচারক। মোদিকে ফ্যাসিস্ট বলে গালি দিলেও অনেকেই আজ তাকে আদর্শ পুরুষ বলে গলা ফাটাচ্ছেন। এখানেও সেই জিততে হবে, এটাই আসল লক্ষ্য। জিতলেই মিলবে ক্ষমতা, প্রতিপত্তি বৈভব এবং অবশ্যই প্রচুর অর্থ। তাই এক সময় বিভিন্ন কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে একপক্ষ অন্যপক্ষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও তারাই আবার সাদরে বরণ করে নিচ্ছেন দলবদলদের। যেমন তৃণমূলের মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চ্যাটার্জিসহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা চলছে। বিজেপি’র সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ তাদের নাম করেও ভোট প্রচারে এসে চোর তকমা দিয়ে গিয়েছিলেন। এখন তারা শাহের দলের সম্পদ! তাই মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বিজেপির কোন ওয়াশিং মেশিনে তৃণমূলের কালোরা সাদা হয়ে যাচ্ছে?’ জবাব মেলেনি। তবে তৃণমূলের আরও কিছু নেতার বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। এখন দেখার বিষয় তারা ‘সাদা’ হওয়ার চেষ্টা করেন কি না।

বিধানসভার ভোট আসন্ন। জনগণ সত্যিই বিভ্রান্ত। কে কোন দলে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। দলগুলোর অবস্থানও স্পষ্ট নয়। আরও বড় সমস্যা ভোটের পর কী হবে! আলু-পটলের মতো নেতারা বিক্রি হবেন না তো? এমন প্রশ্নও কিন্তু ট্রেন-বাস বা চায়ের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। আসলে রাজনীতিবিদদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা নেমে এসেছে একেবারে তলানিতে। এর ফলে গণতন্ত্রের প্রতিও ভারতীয়দের আস্থা তলানিতে নামবে না তো? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

নেতাদের ডিগবাজি আর নৈতিক অধঃপতনকেই দায়ী করতে শুরু করেছেন মানুষ। ফলে নীতি-আদর্শের আরও অবক্ষয়ই বোধ হয় শুধু পশ্চিমবঙ্গেরই নয়, গোটা ভারতেরই ভবিতব্য!

লেখক: কলকাতা প্রতিনিধি, নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম

এ বিভাগের আরো খবর