বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাক নতুন বছরেও

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪৩

করোনার মরণাঘাত থেকে রক্ষা পেতে ক্ষমতাধর থেকে কম ক্ষমতার অধিকারী সবাইকে হিমশিম খেতে হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেই নতুন বছর এসেছে। নতুন বছরে নতুন কিছুর প্রত্যাশায় বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে আছে। বাংলাদেশও বিশ্ব সম্প্রদায়ের বাইরে নয়। আমরাও ইংরেজি নতুন বছরে রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজ জীবনে নতুন ও ভালো কিছুরই আশা করছি।

২০২০ সালকে বিদায় দিয়ে বিশ্ববাসী ২০২১ সালকে বরণ করে নিয়েছে। বিদায়ী বছরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে এক দুঃসহ অবস্থা তৈরি করেছে এই ভাইরাস। এক কঠিন বাস্তবতার সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে মানবজাতিকে।

করোনার মরণাঘাত থেকে রক্ষা পেতে ক্ষমতাধর থেকে কম ক্ষমতার অধিকারী সবাইকে হিমশিম খেতে হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেই নতুন বছর এসেছে। নতুন বছরে নতুন কিছুর প্রত্যাশায় বিশ্ববাসী উন্মুখ হয়ে আছেন। বাংলাদেশও বিশ্ব সম্প্রদায়ের বাইরে নয়। আমরাও ইংরেজি নতুন বছরে রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজ জীবনে নতুন ও ভালো কিছুরই আশা করছি।

করোনার কারণে দেশের রাজনীতিতে তেমন কোনো উত্তেজনা বছরজুড়েই ছিল না। আন্দোলন করে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার হুংকার দিলেও বিএনপি বাস্তবে কোনো আন্দোলন করতে পারেনি। খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়েছেন সরকারের অনুকম্পায়। তিনি মার্চ মাস থেকে জেলের বাইরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও সরকারি শর্ত মেনে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় আছেন।

বিদায়ী বছরের শেষ দিকে এসে ভাস্কর্য বিতর্ক, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা ও ভাঙচুরের ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। হেফাজতে ইসলামসহ কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন আলোচনায় আসে। হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মওলানা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর সংগঠনটির নেতৃত্ব ও পরিচালনা নিয়ে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সরকারবিরোধী বলে পরিচিত ও বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিকভাবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা হেফাজতের নেতৃত্ব গ্রহণ করে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করতেই ভাস্কর্য ইস্যুকে সামনে আনে বলে মনে করা হয়।

অভ্যন্তরীণ সংকট ও নেতৃত্ব নিয়ে বিভেদ-কোন্দলে জর্জরিত বিএনপি সংগঠিতভাবে সরকারবিরোধী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এখন রাজনীতিতে ‘অপশক্তি’ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর ওপর ভর করে ‘কিছু একটা’ করার অপচেষ্টা বিএনপি নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে তীব্র হয়ে ওঠার খবর শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে দল পরিচালনায় শেখ হাসিনার সাফল্য দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট। তাই সরকারবিরোধী আন্দোলনের ডাকে মানুষের সাড়া ও অংশগ্রহণ না দেখে আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। দেশের মানুষের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মধ্যে ধর্ম নিয়ে আবেগ প্রবল। এই আবেগকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে দেখা গেছে অতীতেও। এবারও ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাস্কর্যবিরোধিতায় নেমে সেভাবে সুবিধা করতে না পেরে নতুন কোনো ফন্দি খোঁজা হবে বা হচ্ছে কি না, দেখার বিষয় সেটা।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শক্ত অবস্থানে থাকায় ষড়যন্ত্রকারীরা সুবিধা করতে পারছে না, পারবে না। তাই তাকে দুর্বল করার অপচেষ্টাও অব্যাহত থাকবে। দেশকে শেখ হাসিনার চেয়ে ভালোভাবে এগিয়ে নেয়ার মত কোনো নেতা কোনো দলে আছে বলে মানুষ মনে করে না। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেও প্রায় সব নেতাই নিজেদের ‘নিষ্ফলা’ হিসেবে প্রমাণ করেছেন। নেতৃত্বের এই সংকট সহজে কাটবে বলে মনে হয় না। তাই নতুন বছরেও রাজনীতিতে বড় কোনো ঝড় ওঠার আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা করছেন না।

এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০২১ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক শুভেচ্ছা বাণীতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নতুন বছর ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করুক, সব সংকট মোকাবিলার শক্তি দান করুক ও সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি, সেই প্রার্থনাও তিনি করেছেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আওয়ামী লীগ সরকার ধর্মীয় উগ্রবাদসহ যেকোনো সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করেছেন শেখ হাসিনা। হেফাজতকাণ্ড এবং ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের পটভূমিতে প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিজ্ঞা ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।

নতুন বছরে আমরা একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা মহামারি বিশ্ববাসীকে এক কঠিন বার্তা দিয়েছে। যতই উন্নত হোক না কেন, একা কোনো দেশ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই যেকোনো বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। সবাইকে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার পাশাপাশি তারুণ্যের শক্তি ও প্রযুক্তিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

মহামারির সংকট মোকাবিলা করে ২০২০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বিবৃতিতে বলেছেন, মহামারিকালেও বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, দারিদ্র্যের হার নেমে এসেছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু ৭১.৬ বছর। ৯৭.৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে।

পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসানো শেষ, মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যের কথাও উল্লেখ করেন।

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতিই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশও এই ধাক্কা থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা মোকাবিলায় কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এবং বিশ্বে ২০তম দেশ হিসেবে সফল হয়েছে।

শুধু তাই নয়, এই করোনাভাইরাসের মধ্যেও অর্থনীতি চাকা থেমে থাকেনি। অনেকে বিরোধিতা ও সমালোচনা করলেও কঠোর লকডাউনের পথে না হেঁটে পোশাক শিল্প সচল রাখার পক্ষে থেকে ভালো করেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাসের ভয়ে সবকিছু অচল করে না দিয়ে যে ঠিক করেছিলেন, এখন তা অন্যরা বুঝতে পারছেন। কথা বলা যতটা সহজ, কাজ করা ততটা সহজ নয়। শেখ হাসিনা কাজে বিশ্বাসী।

করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করেছেন। এমনকি করোনাভাইরাস ছড়ালে দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি হবে। এ দেশ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়েনি।

দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল যখন ঘরে বসে ছিল, তখন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোকেও তৎপর রাখতে চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। দলের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রী, এমপি করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারপরও নেতাকর্মীদের মানুষের পাশে থাকতে উৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।

৮ মার্চ প্রথম দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হন। ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় সাধারণ ছুটি, শেষ হয় ৩০ মে। গণপরিবহন চলাচল শুরু হয় ১ জুন। ৬৬ দিন পর সচল হয় ঢাকা। তবে সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যখাতের নানা দুর্বলতা-অব্যবস্থা-দুর্নীতির চিত্র সামনে এলেও তবুও নানা প্রতিকূলতা পার করে সামনে এগিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে তার বিবৃতিতে যেসব সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন, তা তার সমালোকদের পক্ষেও অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা হলে অবশ্য ভিন্ন কথা।

নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ‘দিন বদলের সনদ’ নামে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ছিল। ক্ষমতায় আসার পর সে অনুযায়ী কাজও শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। তবে কাজ শুরুর আগেই ওঠে দুর্নীতির কথিত অভিযোগ। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। বিদেশি অর্থায়ন নিয়ে চলে নানা জটিলতা। এক পর্যায়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ। পিছিয়ে পড়ে প্রকল্প।

ঋণচুক্তির পাঁচ মাসের মাথায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১১ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানেও থেমে থাকেন নি। বরং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার ঘোষণা দেন। যার ফলে গত ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সবার সামনে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে এতদিনের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের দৃঢ়তা, সাহসিকতা, দূরদর্শিতা, স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

করোনা সংকটের মধ্যে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা কষ্ট করে অর্থ পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রেখেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ যাবতকালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৩.১৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ এখন যে ধরনের অর্থনৈতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশটি হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতি।

ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ তাদের সর্বশেষ এক রিপোর্টে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। কিছু কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধমুখী হলেও ক্ষুধা ও অপুষ্টি দূরীকরণে গত এক বছরে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে এবার ১০৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭৫তম; যা গত বছর ছিল ৮৮তম। অর্থাৎ গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশ ১৩ ধাপ এগিয়েছে। কয়েক বছর ধরেই ক্ষুধা দূরীকরণে ধারাবাহিক উন্নতি করছে বাংলাদেশ। এই সূচকে প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে কয়েক বছর ধরেই। তবে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য আরও কাজ বাকি রয়েছে।

মানব উন্নয়ন সূচকেও দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। মানব উন্নয়ন সমীক্ষা-২০২০-এ গত বছরের চেয়ে আরও ২ ধাপ এগিয়ে ১৩৩তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশীয় আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। তবে পরিবেশের প্রভাবজনিত সমন্বিত মানব উন্নয়ন সূচক অনুযায়ী আরও ৯ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০-২০১৯ সাল পর্যন্ত মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০.৪ ভাগ বেড়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের সূচকের মান মধ্যম সারির দেশগুলোর গড় মানের চেয়ে বেশি ছিল।

যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। সুস্থ ধারার ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা বাড়লে, প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সমৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের কল্যাণ চিন্তাকে অগ্রাধিকার দিলে নতুন বছরটি বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি আশা-সঞ্চারী হয়ে উঠতে পারে।

২০২১ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বছর। নতুন বছরের যাত্রালগ্নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন যেন আর দীর্ঘকাল অপূর্ণ না থাকে সেই অঙ্গীকারই আমাদের করা দরকার।লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

এ বিভাগের আরো খবর