বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারি টাকার অপচয় রোধে কমিশন করুন

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:১৬

অপচয় রোধ নীতিমালা তৈরি করুন। দরকার হলে অপচয় রোধ কমিশন বানান। জনগণের প্রতিটি টাকার হিসাব দিন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়কারীদের শূলে চড়ান।

প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একটি সরকারি চিঠি গেল রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দপ্তরে। বাদামি খাম থেকে আলতো করে চিঠিটা বের করে বঙ্গবন্ধু পড়লেন। বঙ্গবন্ধু চিঠির জবাব তৈরি করার নির্দেশ দিলেন তার সচিবকে। জবাব লিখে এনে সচিব বঙ্গবন্ধুকে পাঠ করে শোনালেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘জবাবটা আজই পাঠিয়ে দিন।’

সচিব রুম থেকে বের হচ্ছিলেন, এমন সময় বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘খামটা ফেলে যাচ্ছেন কেন? ঠিকানা আলাদা কাগজে লিখে আঠা দিয়ে সেটে ফিরতি জবাবটা এই খামেই ভরে পাঠান। আরেকটা নতুন খাম নষ্ট করার কী দরকার?’ বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘মাত্র দেশটা স্বাধীন হয়েছে, এত অপচয় করলে চলবে না।’

এতক্ষণ যা পড়লেন, পুরোটাই কাল্পনিক।

কাল্পনিক হলেও অবাস্তব কিন্তু নয়। সদ্য স্বাধীন দেশে এই রকম ব্যবস্থাই চালু ছিল। তখন রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহৃত খাম আকারে ছোট হতো এবং ঠিকানা আলগা কাগজে লিখে তা সেঁটে দিয়ে একেকটি খাম একাধিকববার ব্যবহার করা হতো।

বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের চিঠিগুলোর খামও নিশ্চয় এমন বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু যে টাকার অভাব বা গরীব দেশ বলে একই খাম চার-পাঁচবার ব্যবহার হতো, তা নয়। বিষয়টা অপচয় রোধের। রাষ্ট্রীয় কাজে ওই খামের কোনো গুরুত্ব নেই। চিঠিটি আর্টপেপার না অফসেট পেপারে লেখা হলো কিনা, সেটাও দেখার বিষয় নয়। কে লিখেছেন আর কী লিখেছেন সেটাই বিবেচ্য। খামের ভেতর চিঠির ভাষ্যই মূল।

‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই’ গানটার কথা ধরা যাক। এই গানের শেষ তিন লাইন গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার লিখেছিলেন হাওড়া স্টেশনে একটা সিগারেটের প্যাকেটের উল্টো পিঠে। তো গানটা যে কালজয়ী হলো, সে কি ওই সিগারেটের প্যাকেটের কল্যাণে?

আমরা বাঙালিরা নাগরিক জীবনে কিংবা রাষ্ট্রিয়ভাবে অপচয় করতে করতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছি, এখন অপচয় রোধে জাতীয় কমিশন গঠনের বিকল্প দেখছি না। আবার এই কমিশনের খরচটাই অপচয় হয় কিনা সেই প্রশ্ন ওঠার মতো পরিস্থিতিও বিরাজমান। অতীত অভিজ্ঞতা সেরকমই। তাই বলে ভালো কাজ শুরু হবে না তা তো নয়। কমিশনের পাশাপাশি অপচয়কারীকে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করতে আইনও সংশোধন করা দরকার। প্রচলিত আইনে দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপচয় ও অপব্যয়কেও অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দেখে আসছি শুধু গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-তেল এসব ক্ষেত্রে অপচয় রোধে সচেতনতামুলক বাণী প্রচার করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বারবার অপচয় কমানোর নির্দেশন দিচ্ছেন। গত ১০ বছরে কম করে হলেও ১০০ বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রতিটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় তিনি বলেন, ‘শুধু অর্থ খরচের চিন্তা থেকে প্রকল্প না নিয়ে বরং অপচয় রোধ করে সঠিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। সেখান থেকে কতটুকু দেশের উন্নতি হবে আর এর সুফল মানুষ কতটুকু পাবে, সে হিসাবটা মাথায় রাখতে হবে। সে সঙ্গে দেখতে হবে কষ্টার্জিত অর্থের অপব্যবহার যেন না হয়।’

এর পরেও প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হয় অমুক প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হয়েছে ৫০ শতাংশ, তমুক প্রকল্প শুরুই করা যায়নি, অমুক প্রকল্পে বাজেট বেড়েছে এত কোটি টাকা। উন্নয়নশীল এই দেশে যদি প্রকল্পগুলো মনিটর করা যেত আর প্রকল্পের কর্মকর্তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা যেত, তাহলে খরচের বড় একটা অংশ যে বেঁচে যেত, তা বলতে গবেষক হতে হয় না।

প্রতি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা বসে। আর প্রায় প্রতিটি সভায় প্রধানমন্ত্রী নানা প্রকল্পের অযথা ব্যয় বৃদ্ধি বা সময়মতো প্রকল্প শেষ না করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আজকাল এগুলো আর তেমন কোনো খবরও নয়। বারবার একই রকম ঘটনা ঘটলে খবরের আবেদন কমে যাওয়াই স্বাভাবিক।

গত মাসে এরকমই এক একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী বলেছেন সেটা তুলে ধরেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন:

‘ওই সভায় “কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ” প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করে সংশোধনের জন্য এদিন একটি প্রস্তাব বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তখন প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “প্রকল্প তো শেষ হওয়ার পথে, সময় আরও দুই বছর বাড়াচ্ছেন কেন? ৬৮ কোটি টাকাকে ১০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে সময় বাড়ানোর জন্য।”’

বৈঠকে সংশোধনের জন্য তোলা ‘চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প নিয়েও প্রধানমন্ত্রী ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেন।

২০১৭ সালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া ও মঠবাড়িয়া উপজেলা এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার সড়ক প্রশস্ত করতে ১০৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।

এখন প্রকল্পের ব্যয় ১৪৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় উন্নীত করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

ড. শামসুল আলম বলেন, ‘প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য উপস্থাপনের সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “২০১৭ সালে এক বছরের জন্য এই প্রকল্প নিলেন। এই প্রকল্প তো এতদিন লাগা উচিত হয়নি। এটা তো পুরনো সড়ক ছিল। চাইলেই এটা আপনারা করে ফেলতে পারতেন। এতদিন সময় কেন লাগল? আবার রিভাইজ (সংশোধন), আবার টাকা বাড়ানো… এগুলো বন্ধ করেন। এ ধরনের যে খাত, এটা আপনারা বন্ধ করেন। প্রকল্পের জন্য যে সময় নেবেন, সে সময় শেষ করা উচিত। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে আসেন আর ব্যয় বাড়িয়ে নিয়ে আসেন, এটা আর হতে পারে না।”

‘প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকল প্রকল্প যেন যথাসময়ে শেষ হয় সেই ব্যবস্থা নিন। এবং কেন দেরি হচ্ছে, সেই কারণ অনুসন্ধান করুন।”’

এই যে প্রধানমন্ত্রী বললেন কারণ অনুসন্ধান করুন। এই তদন্তটা করবেন কারা?

এর আগে এরকমই একটি বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর একটি সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে যাওয়া কর্মকর্তাদের অবকাশ যাপনের জন্য বিলাসবহুল একটি ডাকবাংলো নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটিও ডাকবাংলোটি নির্মাণে ছাড়পত্র দেয়। প্রকল্পের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় ডাকবাংলো নির্মাণের প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রী নিজেই তা বাদ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীকে এত ক্ষুদ্র বিষয়ও দেখতে হয়!

এসব কারণে মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের এক বৈঠকে মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল প্রকল্পের কেনাকাটার অতিরিক্ত ব্যয় এবং অপচয় রোধ করা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রকল্প প্রস্তাব যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো যাবে না। একনেকে অনুমোদনের সুপারিশের আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রকল্পে ব্যয়ের বিভিন্ন খাত যাচাই-বাছাই করতে হবে। এরকম নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও দিয়ে রেখেছে।

কিন্তু কাজীর গরু কেতাবেই আছে!

কারণ এরপরেও আমরা রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থের অপচয় দেখতে পাই সরকারি ভবনে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার, দুর্বল আর্টিকুলেটেড বাস কেনা, ডেমু ট্রেন কেনার আগে তার উপযোগিতা যাচাই না করা বা করোনাকালে ঘরে বসে জুম মিটিং করে আপ্যায়ন ব্যয় ৫৭ লাখ টাকা বিল ধরিয়ে দেওয়া। আর রোগীকে আলাদা করার জন্য হাসপাতালে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় পর্দা কেনা কিংবা ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা মূল্যে বালিশ কেনার কথা নতুন করে না-ই বললাম। এরকম উদাহরণের অভাব নেই।

এ কারণেই এতদিন পরে হলেও আমরা জানতে পারছি কানাডায় ‘বেগম পাড়া’ তৈরির পেছনে সরকারি কর্মকর্তাদের অবদানই সবচে বেশি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি সে কথা বলে না ফেলতেন, তাহলে হয়তো জানাই যেত না যে বাংলাদেশ থেকে শুধু রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীরাই টাকা পাচার করেন না, সরকারি কর্মকর্তাদের একটা অংশও এ কাজটি করে যাচ্ছেন।

টাকা পাচার রোধে যাদের দায়িত্ব ছিল, তারা করছেনটা কী। পুরো বিষয়টিই তো তদন্তের আওতায় আনা উচিত।

কিন্তু তদন্ত করবেন কারা?

আরো একটা বিষয় হট কেকের মতো চলছে। তা হলো সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের হিড়িক। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশ সফর দরকার হয়। কোনো কোনো সময় সেটা আবশ্যকও হয়ে উঠে। কিন্তু বিষয়টি অনেক সময় এতোটাই হাস্যকর পর্যায়ে চলে যায় যে, যত দরকারি প্রশিক্ষণই হোক না কেন আসল উদ্দেশ্যটা হারিয়ে যায়। আর এটা শুরু হয়েছে প্রকল্প তৈরির সময় প্রশাসন ক্যাডারের কর্তাদের ‘বিদেশ সফর’ বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার অলিখিত নিয়ম চালু হওয়ায়। যেমন প্রশিক্ষণটা কৃষি বিষয়ক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত বা কারিগরি কোনো বিষয়ের হলেও প্রশাসন ক্যাডারের লোকজনকে সেখানে অন্তর্ভুক্ত করতে হচ্ছে। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে বিদেশ সফরের প্রয়োজনই নেই। কিন্তু প্রকল্পে সেটা অন্তর্ভুক্ত করতে হচ্ছে শুধু কর্তা ব্যক্তিদের ভ্রমণের ব্যবস্থা করার জন্য।

এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীকে বারবার বলতে শুনি, বিদেশ সফরের সংখ্যা এবং বরাদ্দ কমাতে হবে। আর সংশ্লিষ্ট লোকজন ছাড়া বাইরের কাউকে যেন বিদেশ পাঠানো না হয়। তিনি কটাক্ষ করে এমনও বলেছেন, বিদেশ ভ্রমণের উপরি সুবিধা যুক্ত না হলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ফাইলই তোলা হয় না একনেক সভায়।

একটা পুরনো খবর আবারও তুলে ধরা প্রাসঙ্গিক মনে করছি। গত বছর তাসের (কার্ড) বিশ্বকাপের আসর বসেছিল চীনের উহানে। বাংলাদেশের ছয় খেলোয়াড় অংশ নেন সেই বিশ্বকাপে। এই দলের সঙ্গে সরকারি খরচে চীন ভ্রমণ করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব), যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পিএস (উপসচিব) এবং যুব ও ক্রীড়া সচিবের পিএস।

তারা কেন গেলেন? জবাবটা চমকপ্রদ! এই কর্মকর্তারা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কেমন তাস খেলেন সেটা পর্যবেক্ষণ করবেন। সেইসঙ্গে তাদের 'ভালো খেলার প্রেরণা' দেবেন।

এই যে প্রধানমন্ত্রী অদরকারি বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশনা বারবার দিয়ে যাচ্ছেন, তা শুনছেন কে?

সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে একটি খবর এসেছে: স্মার্ট এনআইডি কার্ড সরবরাহ করতে প্রবাসীদের তথ্য সংগ্রহে ৪০টি দেশে যাবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। এ জন্য একশ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নির্ধারিত সফটওয়ারে ডাটা এন্ট্রি, আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ সংগ্রহ করা, এসব ডাটা বাংলাদেশে যার যার ঠিকানায় গিয়ে তদন্ত করা, এরপর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য ডেডিকেটেড টিমের দরকার হয়তো আছে, কিন্তু সেখানে কর্তা ব্যক্তিদের কোনো কাজই নেই। খবর পাচ্ছি নির্বাচন কমিশনের এই কাজটির ভাগ চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আবার পাসপোর্ট অধিদপ্তরও চায় কাজটা যেন তাদের দিয়ে করানো হয়। বোঝা গেল তো কাজটার প্রতি এতো আগ্রহ কেন?

তাই বলছি, অপচয় রোধ নীতিমালা তৈরি করুন। দরকার হলে অপচয় রোধ কমিশন বানান। জনগণের প্রতিটি টাকার হিসাব দিন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়কারীদের শূলে চড়ান। নয় তো প্রকল্পের খরচ আর সময় বাড়তেই থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর