বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য

  •    
  • ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:৫১

করোনা সংকটের প্রথম থেকেই সরকার সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চেয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে সরকার।

বঙ্গবন্ধুতনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহু সাফল্যের মুকুটে আরো একটি উজ্জ্বল পালক যুক্ত হলো করোনা মহামারিকালেও দেশের অর্থনীতি মোটামুটি সচল অবস্থাতেই রাখার জন্য। সেটাই তিনি বলেছেন চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে প্রবাসীরা কিছুটা সমস্যার মুখোমুখি হন এবং তাদের অনেককে দেশে ফিরে আসতে হয়। এ কারণে অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, কোভিড-১৯ বিশ্বমারির ফলে জাতীয় রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। কিন্তু কার্যত তার বিপরীত প্রবণতা দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বেড়ে গিয়ে এখন চার হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার রেমিট্যান্সের জন্য দুই শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও এখন ভালো অবস্থানে।

কয়েক বছর ধরে বাজেটের ঘাটতি পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও, পরিস্থিতির কারণে সরকার এবার বাজেটের ঘাটতি ছয় শতাংশ নির্ধারণ করেছে। প্রয়োজন হলে এটাকে দশ শতাংশ করার জন্যেও প্রস্তুত ছিল বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়, যদিও শেষ পর্যন্ত অতটুকুর আর প্রয়োজন হয়নি। করোনা সংকটের প্রথম থেকেই সরকার সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চেয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে সরকার।

গত কয়েক মাসে কোভিড-১৯ মহামারি ছাড়াও সরকারকে কিছু প্রাকৃতিক বিপর্যয়েরও মুখোমুখি হতে হয়েছে। সরকার সময়মতো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ায় এ সকল চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করাও সম্ভব হয়েছে। দেশে বন্যা এবং নদীভাঙন খুব খারাপের দিকে মোড় নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের সময়োচিত কিছু পদক্ষেপের কারণে এ সঙ্কট দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পাশাপাশি তার দল এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো দেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংকটের এ সময়ে জনগণকে সাহায্য করার জন্যে সরকারি কর্মকর্তা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের সর্বতোভাবে এগিয়ে আসার কথাও ভোলার নয়। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দুর্যোগের পূর্বেই ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়ার নজির বিরল।

আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, অন্য কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে তারা এ সংকটের সমাধানের চেষ্টা কতটুকু করতো সে তো পরের কথা, সর্বাগ্রে তারা এ সঙ্কটকে পুঁজি করে কিছু ফায়দা লোটারই চেষ্টা করতো। কিন্তু নেত্রীর নির্দেশে তার অনুসারীরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেছেন, এটাই আওয়ামী লীগের নীতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটাই শিখিয়েছেন।

সর্বাগ্রে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধুকন্যা তার পিতা তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের সব কর্মসূচি স্থগিত করে অত্যন্ত সীমিত করেছেন। এ ঔদার্য ও সুবিবেচনা কেবল জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই দেখানো সম্ভব। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা  নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। করোনা সংকট মোকাবিলায় দ্রুত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশংসিত হচ্ছেন শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ফোর্বস ম্যাগাজিনসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে।

বিগত ২৪ এপ্রিল এক আর্টিকেলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করে বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস। একইসঙ্গে প্রশংসা করা হয়েছে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেরও। শেখ হাসিনার গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ১৬ কোটির বেশি মানুষের বাস। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষতার সঙ্গে সংকট মোকাবিলা করা তার জন্য নতুন কিছু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা মোকাবেলায়ও তিনি নিয়েছেন দ্রুত পদক্ষেপ, যার প্রশংসা করেছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামও।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম আয়োজিত ‘এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনোমিকস’  শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে গণভবন থেকে যোগ দেন শেখ হাসিনা। এ সম্মেলনে বিশ্বকে এক হয়ে করোনা মোকাবিলা করার আহ্বান জানান তিনি।

১৫ মার্চ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ ঠেকানোর লড়াইয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে সার্ক নেতাদের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। ২৫ মে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সহায়তা প্রদান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শি জিনপিংয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী পরে চীন বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসেন। ০৪ জুন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) আয়োজিত ভ্যাকসিন সামিটে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি দ্রুত ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আহ্বান জানান এবং সংস্থাটির তহবিল বাড়াতে অনুদান দিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। এসব অনুষ্ঠানে প্রশংসিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

করোনা মহামারির এই সংকটে জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যতদিন না এই সংকট কাটবে, ততদিন তিনি এবং তার সরকার জনগণের পাশে থাকবেন। তিনি তার এই প্রতিশ্রুতি আজ অবধি পালন করে যাচ্ছেন অক্ষরে অক্ষরে। সরকার মানুষের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, একদিকে মানুষকে বাঁচানো, আবার মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা, চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা সেগুলো যাতে ঠিক থাকে সেদিকেও বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। সেজন্য দেশবাসীকে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যা যা নির্দেশনা সেগুলো মেনে চলে নিজের জীবনকে চালাতে হবে।

করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রতিমুহূর্তের করণীয় ঠিক করতে গত অনেকগুলো মাস ধরে দিনরাত বাড়তি কাজ করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সার্বক্ষণিক সবকিছুর খোঁজ-খবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর যাবতীয় নির্দেশনা দুটো বিষয়কেন্দ্রিক: মানুষের জীবন এবং জীবিকা। প্রথম থেকেই তার লক্ষ্য ছিল এই দুঃসময়ে স্বাভাবিক জীবন যাতে ব্যাহত না হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী সবকিছু সমন্বয় করছেন। সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। প্রতিদিনই তিনি বিভিন্ন জনের সঙ্গে বৈঠক করছেন, সবসময় আপডেট জেনে নিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

অর্থনীতি ও জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আছে: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত রাখা; অনলাইন, টেলিভিশনের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা; করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে অবধি সাধারণ ছুটি ঘোষণা; চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ করোনা যুদ্ধে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধাদের জন্য পিপিই-মাস্কসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করা; টেস্টিং কিট আমদানি, দেশের বিভিন্ন স্থানে ল্যাব স্থাপনসহ পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা; করোনা মোকাবেলার ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য ৫-১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বীমা এবং এর ৫ গুণ জীবন বীমা ঘোষণা; ২ হাজার ডাক্তার, ৫ হাজার ৫৪ জন নার্স, এবং ৫ হাজার স্বাস্থ্য টেকনোলজিস্ট নিয়োগ; স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শের জন্য ৩টি হটলাইন (১৬২৬৩; ৩৩৩ ও ১০৬৫৫) চালু; করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগ, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন; ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান; সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ১ এপ্রিল ৩১টি, ১৬ এপ্রিল ১০টি, ২০ এপ্রিল ১৩টি এবং ২৭ এপ্রিল ১০টি নির্দেশনা দেন; করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা (যা মোট জিডিপি’র ৩.৭ শতাংশ) ইত্যাদি।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, চলতি মাসে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা: একটি শক্তিশালী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিতকরণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলন (আসেম)-এর অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের চতুর্দশ সভার আয়োজক দেশ ছিল বাংলাদেশ। চলতি নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবারের সভাটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরী করতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে যত বিলম্ব হবে, ততই সমস্যা সৃষ্টি হবে। যত কম সময়ে এই করোনা মোকাবিলা করা যাবে, অর্থনীতিতে তত কম প্রভাব পরবে। আসেম অংশীদার ৪৫টি দেশের অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সভায় অংশ নেন। বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এশিয়া-ইউরোপ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় ভিডিও বক্তব্যের মাধ্যমে সকলকে স্বাগত জানান।

এ সভায় শুধু কোভিড নয়, এর প্রভাবে বিভিন্ন দেশের আর্থ সামাজিক স্তরে যেসব ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বৈঠকে বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীদের বক্তব্যে একটা কথা পরিষ্কার বোঝা গেছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে করোনা মহামারীকালে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে থাকলেও অন্যান্য অনেক দেশের অবস্থা খুবই খারাপ। সবাই চেষ্টা করছেন কত দ্রুত এই সমস্যা মোকাবিলা করতে পারা যায় এবং অর্থনীতিকে স্বাভাবিক স্তরে নিয়ে যাওয়া যায়। নিজে ভালোভাবে বাঁচতে হলে আগে অন্যকে ভালো ভাবে বাঁচাতে হবে- এ প্রতিপাদ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভাসূত্রে জানা গেছে, সভায় বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীরা বলেন, বর্তমান বিশ্বমারির ফলে সৃষ্ট উপদ্রুত অবস্থা ও অভূতপূর্ব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ও বৈশ্বিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে শক্তিশালী বহুপাক্ষিক সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশ্বের অন্যান্য এলাকার মতো এশিয়া ও ইউরোপ অঞ্চলের দেশগুলোও এ মহামারির ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা করছে, যা তাদের কর্মসংস্থান, আয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ জীবনের সকল পর্যায়ে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের অপ্রতিরোধ্য বিস্তারের কারণে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি)-এর বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ বর্তমানে অনেক আসেম অংশীদার দেশের উপর যেভাবে প্রভাব ফেলছে তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

মহামারির সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হ্রাস, জীবন, জীবিকা ও ব্যবসা-বাণিজ্য সুরক্ষা এবং কোভিড-১৯-এর কার্যকর প্রতিষেধক বের করাকে সবচেয়ে জরুরি সমষ্টিগত অগ্রাধিকার বলে সভায় একমত প্রকাশ করা হয়। এশীয়-ইউরোপ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করা, কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং পারস্পরিক সমঝোতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন অর্থমন্ত্রীরা। কোভিড-১৯ যে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে তা মোকাবেলা এবং একটি শক্তিশালী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক পুনর্গঠন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তারা একত্রিত হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় একটা কথা পরিষ্কার বোঝা গেছে যে, করোনা মহামারিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ এমন পথে এগুচ্ছে, যা বিশ্বের অনেক দেশের জন্যে দৃষ্টান্তস্বরূপ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে নিচের দিকে। করোনা মহামারি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার মোটামুটি ১ দশমিক ৩ শতাংশের মধ্যে সীমিত রয়েছে।

 

লেখক: কলামিস্ট, ফোকলোরিস্ট, শিক্ষাবিদ, ইংরেজির অধ্যাপক এবং উপউপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর