বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণহত্যা নিয়ে কথা বলার কিছু অভিজ্ঞতা

  •    
  • ৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:১৪

‘এত শত উৎসবের মাঝে আমরা যেন ভুলে না যাই ২০২১ সালে ৩০ লাখ মানুষের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীও আসছে। তাই আমরা যেন শহিদের ভুলে না যাই। আমাদের স্মরণে যেন গণহত্যা থাকে!’

বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ। একইসঙ্গে বাঙালি জাতির জীবনের সবচেয়ে বেদনার সময়ও সম্ভবত ১৯৭১ সালের নয়টি মাস। এই নয় মাসে চালানো নির্মম হত্যাযজ্ঞে শহীদ হন ৩০ লক্ষাধিক মানুষ! অনেক সময় বলা হয়ে থাকে, গত শতকে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বনিম্ন সময়ে সর্বোচ্চ মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে।

আমি ছিলাম প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্র। আমাদের স্কুল-কলেজ জীবনে ২০০৮-২০১০ এই সময়কালে বাংলা ব্লগে একটা জোয়ার বয়ে যাচ্ছিল। ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে-বিপক্ষে চলত তুমুল সব বিতর্ক। প্রচুর ব্লগ পড়তে পড়তে একসময় ব্লগ লিখতে ইচ্ছে করত। অল্পবিস্তর লেখালেখি শুরু করলাম। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বর্ষে অধ্যয়নকালে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়লাম। তখনই মনে হতে থাকে বাংলাদেশের গণহত্যার ইতিহাসকে মানুষের কাছে তুলে ধরার আর যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার ঐতিহাসিক দায়িত্ব আমাদের এই প্রজন্মের কাঁধে এসে বর্তেছে।

এই সময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আমার আগ্রহের বিষয় হিসেবে বেছে নেই এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও তথ্যসংকলন করার চেষ্টা করতে থাকি। ২০১৫ সালে স্নাতক শেষ করার পর থেকেই বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই পাঁচ বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যেতে পেরেছি। ১৯৭১ সালে সংগঠিত গণহত্যার ডিজিটাল ম্যাপিং-এর কাজের সুবাদে বেশ ক’টি জেলার গণহত্যার স্থান, গণকবর, বধ্যভূমি ভ্রমণ করার সুযোগ হয়েছে, একইসঙ্গে হয়েছে প্রচুর সাক্ষাৎকার গ্রহণের সুযোগ।

এছাড়া ২০১৫ সালে আমার প্রথম বই ‘ত্রিশ লক্ষ শহিদ: বাহুল্য নাকি বাস্তবতা’ প্রকাশিত হবার পর দেশব্যাপী বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। সেই সুবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে যেতে হয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই এই প্রজন্মের চিন্তার সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিত হবার সুযোগ ঘটেছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে সব বয়সের মানুষদের ভাবনাকে জানার সুযোগ হয়েছে।

আমার বিশেষায়িত কাজের জায়গাটি যেহেতু ১৯৭১ সালে সংগঠিত গণহত্যায় শহিদের সংখ্যাতাত্ত্বিক বিতর্ক নিয়ে- তাই যেখানেই যাই আমার লক্ষ্য থাকে এই গণহত্যা সম্পর্কে মানুষের ভাবনা কী তা জানা এবং কেউ ভুল জেনে থাকলে তাদের সংশোধন করে দেয়া। গত পাঁচ বছরে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মফস্বল কিংবা শহরাঞ্চল, টং দোকান থেকে সেমিনার, রেডিও, টেলিভিশন, লাইভ, রেকর্ডেড, টেক্সট, অডিও, ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ইমেজ কনটেন্ট যা কিছু বলেন। একেবারে খাস রাজনৈতিক প্রোগ্রাম, অরাজনৈতিক কালচারাল প্রোগ্রাম, এমনকি কারও গায়ে হলুদের প্রোগ্রামেও যদি দুই-তিনজন, এমনকি একজনও যদি আমার কাছে এসে একাত্তরের গণহত্যা সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, আমি কমবেশি বলার চেষ্টা করেছি।

এই ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে যেটা বুঝতে পারি তা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের জাতির আগ্রহ আছে এটা সত্যি কিন্তু এই যুদ্ধটা সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের বিষয়ে আমাদের আদৌ কতটুকু আগ্রহ আছে সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ বিষয়। কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করা যায়:

ঘটনা এক:

একটা বেসরকারি টেলিভিশনে গিয়েছিলাম একবার। সকালের সংবাদ। এই টেলিভিশনের নিউজরুম ছিল পেছনের দিকে খোলা। নিচে যারা কাজ করছেন তারাও সব দেখতে পারেন। তো আমার অংশ শেষ হবার পর আমি মাইক-টাইক খুলে নেমে এসেছি। কয়েকজন উঠে এসে খুব উষ্ণভাবে কথা বলছিলেন। একজন একটু বেশিই উষ্ণ।

আমাকে হাত ধরে নিজের ডেস্কের কাছে নিয়ে গিয়ে বললেন- ‘আরিফ ভাই আপনার বই আমি পড়েছি... তিরিশ লাখ লোক মারা গিয়েছে ঠিক আছে... আসলে পাকিস্তানিরা তো সবাইকে মারে নাই... মানে গুলি করে তো মারে নাই... যা মারা গেছে সব ভারত...।’

আমি এরপর বেশ কিছুক্ষণ বাৎচিত করলাম। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম এই সাংবাদিক ভদ্রলোক পাকিস্তানের হাতে ‘বেশি মানুষ মারা যায়নি’ বলে বলে গণহত্যার দায়টা ভারতের কাঁধে তুলে দিতে সচেষ্ট! তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম কিছু মানুষ যে শরণার্থী শিবিরে ডায়রিয়া, কলেরাসহ নানা রোগে মারা গেছে এটা সত্য, কিন্তু আমাদের তো বুঝতে হবে এই মানুষগুলো ইন্ডিয়া গেল কেন? ভদ্রলোকের ঘুরেফিরে একই কথা ‘মারসে সব ইন্ডিয়া...।’

ঘটনা দুই:

শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছি। একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছিলেন। এরপর আমিও গণহত্যার কিছু দলিলাদি প্রদর্শন করার সুযোগ পেলাম। আমি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সংক্রান্ত ড. রহমতুল্লাহ ইমনের গবেষণা দেখিয়ে বলার চেষ্টা করলাম ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালে আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ভয়ংকর ভাবে হ্রাস পায়! ড. ইমন দাবি করেছেন এই সময়ে স্বাভাবিকের চাইতে ৭৬ লক্ষ মানুষের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে! এই বিরাট ঘাটতির মূল কারণ ১৯৭১ সালের গণহত্যা!

আমার বক্তব্য শেষ হবার পর স্টেজ থেকে নামতেই কমান্ডার ভদ্রলোক চেপে ধরলেন- ‘তুমি যেই পপুলেশন স্টিমেইট দেখাচ্ছ সেটা তো ফল্টিও হতে পারে, সেই সময় কি গণনা এত ঠিক ভাবে করা যেত? আদমশুমারির রিপোর্ট এত সিরিয়াসলি নেয়া উচিত না।’

আমি তর্কে গেলাম না। কারণ আমার ঘণ্টাব্যাপি বক্তব্যে ড. ইমনের গবেষণার পাশাপাশি আরও বহু গবেষণাপত্র কোট করেছি। আমি বললাম- ‘এই রিপোর্টে অবশ্যই ভুল থাকতে পারে স্যার। আমি নিজেই এই বক্তব্যেই বলেছি যে এটাই একমাত্র উপায় না গণহত্যার সংখ্যা নিরূপণের, আমাদের অনান্য ফ্যাক্টরগুলোও তো দেখা দরকার, কয়েক হাজার বধ্যভুমি, এতগুলো গণকবর, লাখ লাখ লোক শরণার্থী শিবিরে অসুস্থ হয়ে মারা গেল। এসব বিবেচনায় আনলে তো সংখ্যাটা কম হবে না।’

উনি বললেন ‘সেটা সবই ঠিক আছে... কিন্তু পপুলেশন... নাহহ্ এত হবে না... সব মিলিয়ে তিরিশ লাখ কখনোই হবে না...’!

ঘটনা তিন:

ল্যাব এইড হাসপাতালে এক আত্মীয়কে নিয়ে গেছি ডাক্তার দেখাতে। বিখ্যাত ডাক্তার, আবার মুক্তিযোদ্ধাও। সেই আত্মীয় আমার বইয়ের বিষয়টা তুলে পরিচয় করিয়ে দিলেন। ডাক্তার সাহেব জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তোমার কি ধারণা? কত মানুষ মারা গ্যাছে...?’ বললাম- ‘তিরিশ লাখের চাইতেও অনেক বেশি।’

উনি বললেন, ‘শেখ মুজিব ভুল করে তিন লাখ বলতে গিয়ে তিন মিলিয়ন বলছিলেন।’ আমি বরাবরের মতো মুখস্ত একাত্তরের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জেলে থাকা অবস্থার দেশের পত্রিকার রিপোর্টগুলার কথা বললাম, স্বাধীনতার আগের বিদেশি পত্রিকায় উল্লেখিত হতাহত মানুষদের কথাও বললাম।

ভদ্রলোক ক্রুর হাসি হেসে বললেন, ‘আমি নিজে যুদ্ধ করসি, আমাকে তুমি কি প্রমাণ দিবা...?’

ঘটনা চার:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান অনুষদে আমার মাঝে মাঝে যাতায়ত আছে। একদিন সেই অনুষদের একটা প্রোগ্রামে দেশের খুব বড় একজন সমাজবিজ্ঞানী আসলেন। ওনার বক্তব্য শুনে আমিই ফ্যান হয়ে গেলাম। যাই হোক প্রোগ্রামের পর আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পরিচিত হলাম। আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধে শহিদের সংখ্যার কথা উঠতেই তিনি সেই ‘লাখকে মিলিয়ন’ বলার কথাটা তুললেন। তারপর তিনি শহিদ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাওয়ার এপ্লিকেশন না পড়ার গল্প বললেন। ওনার কাছে রেফারেন্স চাওয়াতে ভদ্রলোক বিরক্ত হলেন এবং সরকার হতাহত নিরুপণের জন্য তখন কেন কোনো কমিটি করে নাই সেটা নিয়ে গোস্বা করলেন।

আমি ধীরে ধীরে তাকে জানালাম ১৯৭২ সালের শুরুতেই হতাহতের সংখ্যা নিরুপণের জন্য প্রণীত ‘গণহত্যা কমিশন’-এর রিপোর্টের কথা বলার চেষ্টা করলাম। বললাম সেই রিপোর্টে আংশিক  হিসেবেই দেশের ভেতরেই ১২ লক্ষ ৫০ হাজার হতাহত মানুষের কথা বলা হয়েছে। সেখানে প্রতিটা জেলা, থানা হিসেব করে গণকবর, চিহ্নিত মৃতদেহ আর খুলি ধরে যে হিসেব করা হয়েছে তাও বললাম। কমপক্ষে আমার তিনগুণ বয়সের একজন মানুষের সঙ্গে অনেকক্ষণ তর্ক চালিয়ে গেলাম। শেষমেশ আমাকে ‘আরও অনেক পড়তে হবে...’, ‘মাত্র তো শুরু...’ ইত্যাদি উপদেশ দিয়ে তিনি জানালেন, পাঁচ লাখ পর্যন্ত ওনার কোনো আপত্তি নাই।

এটা তো গেলো বড়বড় মানুষদের ঘটনা। সবার মন খারাপ করিয়ে এই লেখা শেষ করব না। ছোট ছোট মানুষদের দুটো ঘটনা বলে শেষ করি-

ঘটনা পাঁচ:

আমার বই দ্বিতীয়বার যখন ভিন্ন প্রকাশনী থেকে বের করছি তখন একজন ভদ্রলোক টাইপের কাজ করতেন। সেই ভদ্রলোক সেইরকম ভাবে-সাবে চলা মানুষ, একটু এদিক সেদিক হলেই বিরাট ঝাড়ি মারতেন। আমিও নীরবেই সহ্য করতাম, কাচুমাচু হয়ে কাজটা করতাম, বইটার কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার।

এই লোক একদিনে দুইটা বইয়ের কাজ করা লোক, আমার বইয়ে ছবি আর রেফারেন্স বেশি। এজন্য তার বেশিদিন সময় দিতে হচ্ছে ইত্যাদি। একদিন সকালে অফিসে গেলাম কিছু ছবির কাজ করতে। ভদ্রলোক যেন কেমন একটু নরম সুরে কথা বলে আজকে। বললেন- ‘ভাই, আমিও ছোটবেলা থেকে জানতাম এত মানুষ মারা যায় নাই। আপনার বই টাইপ করতে করতে কিছু কিছু পড়সি। আমার ভিতরে আর কোনো সন্দেহ নাই... আহারে কতগুলা মানুষ...।’

ঘটনা ছয়:

আমার এলাকার খুব কাছের এক ছোট ভাই একদিন আমাকে বলে- ‘আপনি তো এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করেন, আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দেন। এত এত মানুষ মারা গেল, কিন্তু আমাদের নিজেদের গ্রামের বাড়িতে তো কোনো মানুষ মারা যায় নাই...?’

আমি বললাম- ‘‘ছোট ভাই, তোমারে একটা অনুরোধ করি, আজকে তোমাকে একটা ই-বুকের লিঙ্ক পাঠাব মেসেঞ্জারে। ‘বধ্যভূমির গদ্য’ নামের এই বইতে দেশের জেলায় জেলায় যত বধ্যভূমি গণ-কবর আছে তার একটা আংশিক তালিকা দেয়া আছে। বইটা আজকে রাতে একটু কষ্ট করে পড়ে ফেলো। তারপর আমাকে নক দাও...।’’

সেই ছেলে সেই রাতেই আমাকে আবার নক দেয়। নক দিয়ে যে কথাটা বলে সেটা আমার আজীবন মনে থাকবে...

‘ভাই, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি বুঝতে পারি নাই। আমি যে এই জিনিসটা নিয়ে জানার চেষ্টা না করেই আগে থেকে সন্দেহ করে বসে ছিলাম তাতে তো এই শহিদদের প্রতি একরকম অসম্মান করা হয়ে গেছে! এখন আমি কী করব? কার কাছে ক্ষমা চাইব?’

আমি জানি একাত্তরের তিরিশ লক্ষাধিক শহিদ এই ছেলেটাকে ক্ষমা করে দেবেন। যেই ছেলে বোঝে যে না জেনে, না বুঝে শুধু স্রোতে গা ভাসিয়ে অস্বীকারে কোনো কৃতিত্ব নাই। এতে অন্যায় হয়, অসম্মান হয়। সেই ছেলে লাইনে উঠে গেছে। কেউ আর তাকে পাল্টাতে পারবে না।

গণহত্যা নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় গণহত্যার জরিপ পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৩২টি জরিপ গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এই ৩২ জেলায় গণহত্যার স্থান পাওয়া গেছে ১১৭৫৬টি! এই জরিপটি শেষ হলে আর কেউ এই কুযুক্তি তুলতে পারবে না এই বলে যে ‘কই আমার এলাকায় তো কোন বধ্যভূমি নেই।’ কারণ সম্ভাবনা আছে ওই ব্যক্তি নিজের এলাকার গণহত্যা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন না।

২০২১ সাল হবে আমাদের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী। এই বছরটি আমাদের বিজয়েরও ৫০তম বার্ষিকী। বছরটি আমরা উৎযাপন করব নানান উৎসবের মধ্য দিয়ে। এত শত উৎসবের মাঝে আমরা যেন ভুলে না যাই ২০২১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীও আসছে। তাই আমরা যেন শহিদের ভুলে না যাই। আমাদের স্মরণে যেন গণহত্যা থাকে!

লেখক: অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, গবেষণা সমন্বয়ক, ফ্যাক্টস অ্যান্ড কন্টেক্টস

এ বিভাগের আরো খবর