বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজয়ের মাস গৌরবের মাস

  • মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ   
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৫৭

সারা বিশ্ব যখন করোনার কারণে জীবন-জীবিকার কঠিন অবস্থার মধ্যে তাদের সময় পার করছে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিসহ সকল ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। ঠিক তখনই এ দেশের মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মৌলবাদীদের আস্ফালন। এই ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন, ব্যথিত এবং প্রতিবাদী।

সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির হৃদয়ের স্পন্দন বিজয়ের মাস, গৌরবের মাস ডিসেম্বর সমাগত। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেছিল পাক হানাদার বাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে অভ্যুদয় ঘটে বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

বিজয়ের অনুভূতি সবসময়ই আনন্দের, সেই সঙ্গে বেদনারও। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিত মা-বোনদের, যাদের আত্মত্যাগে আজ আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ দেশের মানুষ ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকলের সম্মিলিত রক্তস্রোতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।

এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন অভিন্ন লক্ষ্যে অবিচল আত্মত্যাগকারী আস্থাভাজন ত্যাগী নেতা ও কর্মী।

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। যে নেতার জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। আমরা পেতাম না লাল-সবুজের পতাকা। স্বাধীনতার সেই মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি ৪৯তম বিজয়ের বার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ ৪র্থ বারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন উন্নয়নের অদম্য অগ্রযাত্রায়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিস্ময়, উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অর্থনৈতিক ও সামজিক উন্নয়নসহ তার বহুমাতৃক অবদান আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

এবারের দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এবং বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও তার সঠিক ও সময় উপযোগী সিদ্ধান্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ ভালো অবস্থানে আছে। বিজয়ের এ মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই অভিনন্দন।

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হলেও তাতে যেন পূর্ণতা ছিল না। সমগ্র জাতি অপেক্ষা করছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। ১০ই জানুয়ারি যখন তিনি দেশে ফিরলেন- লাখো মানুষের সমুদ্রের সুনামিতে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হলো বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রনায়ক হয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আবেগে শিশুর মতো কেঁদে ফেললেন।

পরে লাখো জনতার সামনে তিনি বললেন, ‘আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন হয়েছে, আমার জীবনের স্বাদ আজ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলার মানুষ আজ মুক্ত হয়েছে।’ একই সঙ্গে পূর্ণতা পেল আমাদের বিজয়ের আনন্দ।

বাঙালির জাতির ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক অগ্নি পুরুষের নাম। তারই নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে লাভ করে মহান স্বাধীনতা। বাঙালির অধিকার ও মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে এ দেশের মানুষকে দিয়েছেন একটি স্বাধীন ভূখণ্ড এবং লাল-সবুজের পতাকা।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল মানুষের কল্যাণের জন্য, বাঙালির মুক্তির জন্য। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনে সকলকে নিয়ে আত্মনিয়োগ করেন বঙ্গবন্ধু এবং মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি উন্নয়নের সকল পাটাতন (Foundation) প্রস্তুত করেন। ঠিক সেই সময়ই দেশি-বিদেশি কুচক্রী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ রুদ্ধ করে দেয়।

খুনিরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করে দেয় এবং তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ শুধু বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেনি, দীর্ঘ ২১ বছরের বিচারহীনতার সুযোগেই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রও করেছিল।

রাতারাতি বাংলাদেশ বেতার হয়ে যায় রেডিও বাংলাদেশ, জয় বাংলা স্লোগানকে নিষিদ্ধ করে, এমনকি রাজাকারি পোশাককে রাষ্ট্রীয় পোশাক হিসেবে প্রচলনের উদ্যোগ নেয়। এই সময় স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয় এবং রাজাকারের গাড়িতে তুলে দেয়া হয় লাল-সবুজের পতাকা।

লন্ডনে অবস্থানরত ছোটবোন শেখ রেহানার প্রতি অগাধ আস্থা ও ভরসায় ছেলে-মেয়েকে রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জীবনের মায়া ত্যাগ করে এ দেশের মানুষের কল্যাণে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ১৯৮১ সালের ১৭ই মে দেশে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সেদিন তার আগমনে নেতাকর্মীসহ প্রগতিশীল মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল। প্রচণ্ড বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত করে লাখো জনতা স্বাগত জানিয়েছে। এর পর দীর্ঘ ২১ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জেল, জুলুম ও মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চালিয়ে যান এবং ১৯৯৬ সালের ২৩শে জুন প্রথমবারের মতো সরকার গঠন করেন।

তিনি সরকার গঠন করে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে দেশকে মুক্ত করেন। উদিত হয় নুতন সূর্যের এবং প্রশস্ত হয় বঙ্গবন্ধু হত্যাসহ সকল রাজনৈতিক হত্যার বিচারের পথ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর একটি টার্ম ছাড়া তিনি ৪র্থ বারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪৯তম বিজয়ের মাসে আমরা দেখছি এক মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ, পৃথিবীতে মাথা উচু করে দাঁড়ানো এক সমৃদ্ধির বাংলাদেশ।

আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ ডলার ছাড়িয়েছে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ছাড়িয়েছে ৪১ বিলিয়ন ডলার। প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার হার প্রায় ১০০%, উচ্চ শিক্ষাসহ শিক্ষার হার ৭৪.৭৭%, বিদ্যুতের কভারেজ প্রায় ১০০ ভাগ, কর্ণফুলি টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল এবং স্বপ্নের পদ্মাসেতুসহ সকল মেগা প্রকল্পের কাজ করোনা মহামারির মধ্যেও এগিয়ে চলছে।

কৃষি ও শিল্প খাতে ভর্তুকিসহ প্রণোদনা প্রদান এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এই করোনার সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দুর্যোগপ্রবল দেশ হওয়া সত্ত্বেও সফলভাবে করোনা মোকাবিলায় সমর্থ হয়েছে। এ দেশে করোনায় কেউ না খেয়ে মারা যায়নি এবং অর্থনীতির চাকাও সচল রয়েছে।

IMF এর রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের GDP প্রবৃদ্ধি ৩.৮%। যদিও এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক বলেছে প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৮%। পৃথিবীর ২১৭টি করোনা মহামারি আক্রান্ত দেশের মধ্যে শুধু ২২টি দেশের GDP Positive,  যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি।

IMF তাদের Economic Outlook প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে, করোনা মহামারির পর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে আজ ই-কর্মাস, ই-ব্যাংকিংসহ সকল অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

বর্তমান মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর প্রদান, স্টুডেন্টদের অনলাইন ক্লাসের জন্য অ্যানড্রয়েড (Android) মোবাইল ফোন কেনার অর্থবরাদ্দসহ সকল সামাজিক সুরক্ষার কাজও থেমে নেই। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ মোকাবেলাসহ স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী পালনের প্রস্তুতি চলছে।

সারা বিশ্ব যখন করোনার কারণে জীবন-জীবিকার কঠিন অবস্থার মধ্যে তাদের সময় পার করছে তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিসহ সকল ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন। ঠিক তখনই এ দেশের মানুষ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মৌলবাদীদের আস্ফালন। এই ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন, ব্যথিত এবং প্রতিবাদী।

স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের কঠোর জবাব দিতে হবে। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি এবং ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তা এবং হাজার বছরের ঐতিহ্যে আঘাত হেনেছে।

ভাস্কর্য হচ্ছে একটি জাতির কৃষ্টি, কালচার এবং ইতিহাসের বর্ণনার প্রতিচ্ছবি। মিসরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারগণসহ বিশ্বের ইসলামি চিন্তাবিদগণ ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী নয় বলে অনেক পূর্বে মতামত দিয়েছেন। তাই আমরা সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ সকল মুসলিম দেশে ভাস্কর্য দেখতে পাই।

মনে রাখতে হবে ভাস্কর্য ইতিহাসের উপস্থাপন মাত্র, ধর্মীয় কোনো আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে এটি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। অথচ হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণকে বিভ্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশে আরও অনেক ভাস্কর্য আছে। সেগুলো নিয়ে তারা এতো দিন কথা বলেনি। অথচ মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে তারা আস্ফালন করছে।

পবিত্র কুরআন এবং ইসলামের হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ। কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠন এককভাবে ইসলামের হেফাজতকারী হতে পারে না। দেশের সকল সামাজিক, রাজনৈতিক এবং প্রগতিশীল আলোকিত মানুষসহ রাষ্ট্রের আজ দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে যারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদের চিরতরে স্তব্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিজয়ের মাসে এটিই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

৪৯তম বিজয়ের মাসে এসে আজ আমরা যদি মূল্যায়ন করি তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হতে পারতাম। তাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের অনেকটি বছর কেটে গেছে অবৈধ ক্ষমতা দখল, বিএনপি-জামাতের দুর্নীতি-দুঃশাসন, মৌলবাদের উত্থান এবং লুটপাটের রাজনীতির মধ্য দিয়ে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী। তিনি ভিশনারি নেত্রী। তার শাসন আমলেই সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে MDG এবং বর্তমানে সফল্ভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে SDG। সম্ভবত তিনিই বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান করেছেন এবং বাস্তবায়নের জন্য ডেল্টা কাউন্সিল গঠন করেছেন।

এ করোনার মধ্যে বাংলাদেশের সকল পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বে আজ আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এক সম্ভাবনাময় অর্থনীতির দেশ। মানবিক ও সামাজিক সেক্টরসহ সকল সেক্টরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল। এক অপার সম্ভাবনাময় বিস্ময়ের দেশ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকল ক্ষেত্রে আস্থার প্রতীক, ভরসার স্থল। সকল ধরনের ষড়যন্ত্র ও মৌলবাদ নির্মূল করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সৎ, যোগ্য এবং সঠিক সিদ্ধান্তে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবেন- এ প্রত্যাশা ডিসেম্বরের এই বিজয়ের মাসে ও গৌরবের মাসে।

লেখক: তথ্য এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব

এ বিভাগের আরো খবর