এবারের নির্বাচনের দিনটি সম্ভবত শান্তিপূর্ণই কাটবে। তবে গৃহযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত শহুরে পাণ্ডাদের দিনগুলোতে নির্বাচন মানেই ছিল দাঙ্গা-হাঙ্গামা। দেশজুড়ে বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে মারামারি, ঘুষ এবং ভোটারদের ভয় দেখানো ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা।
যে কোনো সংকটে, নির্বাচনে ভোটের ব্যবধান যখন খুবই কম অথবা সংস্কার আন্দোলনে শহুরে পাণ্ডাদের এই চক্র যখন হুমকিতে পড়ে, তখনই উভয় পার্টির নেতারা যথাযথ পদক্ষেপ নিতেন। সান ফ্রান্সিসকোতে স্লটের দক্ষিণ থেকে পিটসবার্গের স্ট্রিপ পর্যন্ত, ক্যানসাস সিটির উত্তর পাশ থেকে শিকাগোর দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত তারা সেলুন, ফ্লপহাউস এবং জুয়ার আড্ডা থেকে লোকজন সংগ্রহ করতেন এবং তাদের শুরুর আগেই ভোট দিতে কখনও কখনও ব্যালট ছাপিয়ে বাক্সগুলো ভরে রাখতেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ন্ত্রণাধীন ভোটকেন্দ্র গুড়িয়ে দিতে পাঠাতেন।
ভোট জালিয়াতিতে ব্যবহার করা কৌশলগুলোর মতো আর কোনো বিখ্যাত আমেরিকান অকৃত্রিম জিনিস খুঁজে পাওয়া দুস্কর ছিল। নির্বাচনী কারচুপির প্রথম কৌশলটি ছিল স্থানীয় নেতা এবং দুর্নীতিবাজ নির্বাচন কর্মকর্তাদের দিয়ে ভোটার তালিকায় ভুয়া ভোটার ঢোকানো। ভুয়া নাম এবং ঠিকানা ব্যবহারে তাদের কল্পনাশক্তি যে কাউকে খাবি খাইয়ে দিতে সক্ষম। জেলে, হাসপাতালে ভর্তি এবং গোরস্থানে থাকা লোকজনকে তো বটেই এমনকি অস্তিত্বহীন লোকজনদেরও মারাত্মক দক্ষতার সাথে ভোটার তালিকায় যুক্ত করত তারা।
ফিলাডেলফিয়ার বিক্ষুব্ধ একটি পত্রিকা একবার ভোটার তালিকাভুক্ত একটি কুকুর এবং একটি চার বছর বয়সী ছেলের ছবি ছাপিয়েছিল। (প্রখ্যাত সাংবাদিক) লিংকন স্টেফেন্স একবার ফিলাডেলফিয়ার এক রাজনীতিকের নির্বাচনী প্রচারণার গল্প করছিলেন। ইনডিপেনডেন্স হল তার ওয়ার্ডে পড়েছে জানিয়ে ভদ্রলোক উপস্থিত জনতাকে স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষরকারীদের নাম পড়লেন। তারপর বললেন, ‘তারা, আমাদের স্বাধীনতার জনকেরা, এখানে একবার ভোট দিয়েছিলেন এবং’, কটাক্ষপূর্ণ হাসি দিয়ে যোগ করলেন- ‘তারা এখনও এখানেই ভোট দেন।’ কারচুপির নির্বাচনের পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল ভূতুড়ে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য লোক নিয়োগ করা, যাদের বলা হতো রিপিটার। বিশেষ করে শিকাগোর এক নম্বর ওয়ার্ডের হোঁদল কুতকুতে চোখের ‘সেলুনমালিক’ ‘হিংকি ডিংক’ কেন্না (মাইকেল কেন্না) এবং ‘হামামখানা’ জন কফলিন ছিলেন এই কাজে সেরা। এ কাজে তারা ডানিংয়ের মানসিক হাসপাতালের রোগীদের নিয়ে আসতেন। জনশ্রুতি আছে ডেমোক্রেট হিংকি ডিংক তাদের বিজ্ঞ রিপাবলিকানদের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে বেশি দূরদর্শী মনে করতেন।
হিংকি ডিংক এবং হামামখানা জন নারীদের ভোটাধিকারের সুযোগও নিয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন তাদের ডান হাত ‘রগচটা’ উইলসন এবং জন (গলাভাঙা) জনসন মিলে বিভিন্ন পতিতালয় থেকে দলে দলে নারীদের নিয়ে আসতেন, এমনকি তখনও তাদের কাজের পোশাক পরা থাকত।
পাণ্ডাদের এই কাজে অভিবাসীরা ছিল সহজলভ্য কর্মী, কেননা তাদের রাজনৈতিক অজ্ঞতা এবং পুরানো কুসংস্কারের কারণে পাণ্ডারা তাদের কাছে আবির্ভূত হতো আশীর্বাদ হিসেবে। নিউ ইয়র্ক শহরে ট্যামানি সোসাইটির (ডেমোক্রেট পাণ্ডাদের ঘাঁটি) নেতা টিম ক্যাম্পবেল তার আইরিশ মহল্লায় দেওয়া একটি ধ্রুপদি বক্তৃতায় এটা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন (তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রিনালদো নামে এক ইতালীয়)।
ক্যাম্পবেল ঘোষণা করেছিলেন ‘দেশের সামনে এখন দুটি বিল রয়েছে- একটি মিলস বিল এবং ম্যাককিনলে; মিলস বিল হচ্ছে সবকিছু মাগনা এবং মুক্ত বাণিজ্য, আর ম্যাককিনলে হচ্ছে সুরক্ষা কিন্তু কিছুই মাগনা পাবেন না। আপনারা সবকিছু মাগনা চান নাকি সবকিছুই কিনে উপভোগ করতে চান?’
‘জাতীয় ইস্যুটা তো বুঝলেন, এবার আমি স্থানীয় বিষয় নিয়ে কথা বলবো- কে এই দাগো রিনালদো? তিনি একজন ইতালীয়। আমি একজন আইরিশ। আপনি কি ইতালির পক্ষে না আয়ারল্যান্ডের পক্ষে?
‘স্থানীয় ইস্যুটাও আশা করি বুঝাতে পেরেছি, মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। আমি এখন বিদায় নিচ্ছি।’
ট্যামানির আরেক পাণ্ডা বিগ টিম সুলিভান ওরফে ডলার শুকানো সুলিভান (একদা তিনি বিয়ারের ব্যারেলে পাওয়া একটি রেভিনিউ স্ট্যাম্প এমনভাবে শুকাচ্ছিলেন যেন তা একটি ডলারের নোট) তো রিপিটারদের অবশ্যই দাড়ি থাকা উচিত:‘যখন তোমার গালভর্তি দাড়ি নিয়ে ভোট দেওয়া শেষ, তখন তুমি নাপিতের কাছে যাবে, থুতনির দাড়ি ফেলে দিয়ে তুমি দুই গালের দাড়ি এবং গোঁফ নিয়ে ভোট দেবে। তারপর আবার নাপিতের কাছে গিয়ে গাল পরিষ্কার করে আসবে এবং শুধু গোঁফ নিয়ে ভোট দেবে। তারপরও যথেষ্ট ভোট কাটা হয়নি এবং বাক্স কিছুটা খালি রয়েছে মনে হলে গোঁফ ফেলে দিয়ে ক্লিন শেভড হয়ে ভোট দেবে। এভাবে নির্বিঘ্নে চারটি করে ভোট দিতে পারবে।’
কখনও কখনও রিপিটাররা সত্যিকারের ভোটারদের নামেই ভোট দিয়ে দিত এবং তারা ভোট কেন্দ্রে এসে শুনতেন, ‘মি. অমুক- আপনি তো ভোট দিয়ে ফেলেছেন’।
একজন নির্বাচন কর্মকর্তা এক রিপিটারের গল্প করছিলেন, ভোটকেন্দ্রে একবার নাম জানতে চাইলে নিজেকে প্রখ্যাত যাজক উইলিয়াম ক্রসোয়েন ডোয়ান বলে পরিচয় দিয়েছিল সে।‘দূর হও’ কর্মকর্তাটি বলেছিলেন, ‘তুমি তো বিশপ ডোয়ান নও!’অশ্রাব্য গালি দিয়েছিল সেই ভোটার।
পাণ্ডাদের প্রতারণার আরেকটি অস্ত্র ছিল পানশালার গুণ্ডারা, যাদের কাজ ছিল প্রকৃত ভোটারদের হুমকি দেওয়া এবং ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলা। এভাবে কোনো ভোটার যদি ‘ভুল’ প্রার্থীকে ভোট দিতে যাচ্ছেন মনে হয়, তবে তিনি নিজেকে আবিষ্কার করবেন রাস্তায় নিক্ষিপ্ত অবস্থায়। একজন পর্যবেক্ষক তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন, ‘তিনি আমাদের স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সৌন্দর্য নিয়ে কয়েক মুহূর্ত ধ্যান করতে পারেন এবং মন খারাপ করে স্থান ত্যাগ করতে পারেন- বিগ্ধ লোক না হলে।’
নিউ ইয়র্ক সিটির ১৮৫৬ সালের দাঙ্গাপূর্ণ নির্বাচনে ভোটারদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তার চেয়ে অন্তত ভালো এটা। তখন তো ট্যামানির বিপক্ষে ভোট দিলে নাক উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল (শোনা গেছে, একজন তাকে এই বলে সান্তনা দিয়েছিল যে, নাক ছাড়া তাকে এখন কম কুৎসিত দেখাচ্ছে)।
আর ছিল নারীরা, মোটাচামড়া মাগ, ছাগল স্যাডি, চোট্টা কেট বার্নস- নিউইয়র্কের চ্যাম্পিয়ন সব ব্রিক হোলার খেলোয়াড় ছিল নির্বাচনী গোলযোগের জন্য বিশেষজ্ঞ। দাগি হেল-ক্যাট ম্যাগি তার সামনের দাঁতগুলো তীক্ষ্ম করে নিয়েছিল আর আঙ্গুলে পিতলের তৈরি লম্বা কৃত্রিম নখ পরেছিল। সে একটি ভোটকেন্দ্রে হুঙ্কার দিয়ে কামড়ানো এবং খামচানো শুরু করলে সাহসী পুরুষরাও ভড়কে গিয়েছিল। ম্যানহাটনের হেল কিচেন এলাকার নয়নের মণি গাট্টাগোট্টা হিংস্র অ্যানি ছিল আরেকটি ত্রাস। তার একটি রক্তপিপাসু নারী গ্যাং ছিল যাদের ডাকা হতো ব্যাটল রো ল্যাডিস সোসাল অ্যান্ড অ্যাথলেটিক ক্লাব।
রিপিটার, আদালত, পুলিশ এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের ওপর পাণ্ডাদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ কখনও কখনও ত্রাসের চরম সীমায় পৌঁছে যেত- ফলাফল ভোটের দিনে গণহত্যা। চলতি শতাব্দীতে এর সবচেয়ে রক্তাক্ত উদাহরণ দেখা গেছে কানসাস শহরে, যা ‘রক্তাক্ত মঙ্গলবার’ নামে চিহ্নিত।
১৯৩৪ সালের ২৭ মার্চ ভোট গ্রহণ শেষ হওয়া মাত্র মেশিনগানের গুলি, পিস্তলের আঘাত এবং মারামারি শুরু হলে চারজন নিহত, ১১ জন মারাত্মকভাবে আহত এবং ২০০-এর বেশি লোক আঘাতের শিকার হয়। ফলাফল: টম পেনডারগাস্ট ঊনষাট হাজার ভোটের ব্যবধানে আবার নির্বাচিত হন। সান ফ্রান্সিসকোর পাণ্ডা বাকলে একে সুন্দর করে বলেছেন, ‘রাজনীতির খেলা রবিবারের ফ্রি স্কুল ব্যবসা নয়।’
শিল্পীর তুলিতে আমেরিকার প্রথম যুগের ভোট চিত্র
ভোট চলার সময়কার প্রতারণা একটা দিক, কিন্তু এটা ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শেষ হয়ে যেত না। ভোট গণনার সময় গণিতের নিয়মকেও রাজনৈতিক প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মেলাতে হতো। পাণ্ডারা নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ দিতেন নাগরিক দায়িত্বের প্রতি দায়বদ্ধতার চেয়ে তাদের রাজনৈতিক আনুগত্য বিবেচনায় নিয়ে। যেমন, ফিলাডেলফিয়ার এক কর্মকর্তা তার কেন্দ্রে ২৫২টি ভোট পড়েছে বলে দেখিয়েছেন, যদিও সেখানে নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন মাত্র একশ। সম্ভবত কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাশিত ধরে নিয়েই নিউ ইয়র্কের পাণ্ডা টুইডের নিয়োগ করা নির্বাচন কর্মকর্তারা নিজেদের নৈতিকভাবে রক্ষা করেছিলেন বাইবেলের বদলে ওলেনডর্ফের লেখা নিউ মেথড অব লার্নিং টু রিড, রাইট অ্যান্ড স্পিক ফ্রেঞ্চ বইয়ে হাত রেখে শপথ নিয়ে।
নির্বাচনী র্কমকর্তাদের ছল-চাতুরির বিষয়ে কল্পিত খ্যাতি ছিল। ব্যালট বদলে ফেলা হতো। নিউ ইয়র্কের এক নির্বাচনে এক কর্মকর্তা মেঝেতে ব্যালট ফেলে দিয়ে সেগুলোর বদলে পাশে থাকা আগে থেকে চিহ্ন দেওয়া ব্যালট তুলে দেয়। একজন ভোটার তার প্রতিবাদ করলে ওই কর্মকর্তা তাকে হুমকি দেন, একজন এসে তাকে লাথি মারে, আরেকজন মুখে ঘুষি মারে এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
নিউ ইয়র্কে কখনও কখনও ব্যালট বাক্সে অতিরিক্ত ব্যালট ভরে রাখা হতো। বোস্টনের এক রাজনীতিককে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার শহরে এমন কিছু ঘটে কিনা। তিনি সহমর্মিতার সাথে জবাব দিয়েছিলেন- ‘না, ব্যালট বাক্স কখনোই ভর্তি করা হয় না, যদি না তা অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে!’
ভোট বাতিলও করা হতো। শিকাগোতে ছোট-পেন্সিল নামে চটপটে কিছু লোক ছিল, যারা ভোট গণনার সময় প্রতিপক্ষের প্রতীকে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখত, এভাবে দুই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় ব্যালট বাতিল গণ্য হতো। আমেরিকার শহুরে পাণ্ডাদের দলে এক অসম্ভব ধূর্ত বদমাশ ছিলেন, যার রিপিটার বা অসৎ নির্বাচনী কর্মকর্তা দরকার হতো না। তিনি হলেন বোস্টনের আকর্ষণীয় করিৎকর্মা জেমন মাইকেল কার্লি।
থমাস এম জয়েসের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে বলা যায় তার মাস্টারপিস। কার্লি তার সমর্থকদের ভোটের দিন ভোরবেলা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘণ্টি বাজাতে নির্দেশ দেন। ত্যক্ত বিরক্ত ভোটাররা চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুলে কেন এই অসময়ে ডাকাডাকি জিজ্ঞেস করলে কার্লির ছেলেরা জানতে চাইত, তারা নিশ্চিত হতে চাইছে- তারা থমাস জয়েসকে ভোট দেবেন কিনা। সহজাত উত্তর হতো- ‘আমি ওই হারামির বাচ্চাকে ভোট দিতাম না যদি সে ….’ যেমনটা ক্যারি বলেছিলেন, ‘অন্যদের করো, নইলে ওরা তোমাকে করবে।’
আমেরিকার ভোটিং পদ্ধতিতে জালিয়াতি এখনও রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিকাগো, নিউ ইয়র্ক এবং ফিলাডেলফিয়াতে অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। এবং আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এমন কিছু ঘটা অস্বাভাবিক নয়। তবে ব্যাপক হারে কারচুপি আর জালিয়াতির দিন শেষ। গোপন ব্যালট, ভোটিং মেশিন এবং স্থায়ী ভোটার নিবন্ধন যদিও জালিয়াতি নির্মূল করতে পারেনি কিন্তু শহুরে পাণ্ডাদের পুরানো এবং বন্য পদ্ধতির ভাত মেরে দিয়েছে।
পুরনো সোনালি দিনের একটি স্মৃতিচারণে সেগুলো চলে যাওয়ার দুঃখ ফুটে উঠেছে। ‘নির্বাচন এখন একটি ছদ্ম বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ‘তিনি লিখেছেন- “কেউ আর মারা যায় না, অ্যাম্বুলেন্স আর পেট্রোল গাড়িগুলো গ্যারেজেই থাকে … ট্যামানি হলের দুর্নীতি বন্ধ এবং ব্যালটের পবিত্রতা রক্ষা করতে আমার লোকজন যেভাবে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তা দেখতে পাওয়াটা ছিল খুবই সুখের।”
নঈম তারিক: সাংবাদিক