× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

তারুণ্য
Former student of IUB received NASA grant
google_news print-icon

নাসার অনুদান পেলেন আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী

নাসার-অনুদান-পেলেন-আইইউবির-সাবেক-শিক্ষার্থী
আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী মো. ওয়াহিদুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত
ওয়াহিদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছি, সেটি একদমই নতুন। এখনও প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে, তবে সকল পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত সাফল্য যদি অর্জন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ে, বিশেষ করে পরিবহন খাতে এই প্রযুক্তি ব্যপক ভূমিকা রাখতে পারবে।’

মহাকাশে ব্যবহার উপযোগী নতুন প্রজন্মের ব্যাটারি প্রযুক্তি গবেষণায় নাসার সাড়ে সাত লাখ ডলারের অনুদান পেয়েছেন আইইউবির সাবেক শিক্ষার্থী মো. ওয়াহিদুল হাসান ও তার দল।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এসটাবলিশড প্রোগ্রাম টু স্টিমুলেট কম্পিটিটিভ রিসার্চ (ইপিএসসিওআর) কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা মাইনস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলটিকে এই অনুদান দেয়া হয়।

নতুন এই প্রযুক্তিতে ভুট্টার ডাঁটার অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করে ব্যাটারির অভ্যন্তরীণ রসায়নে পরিবর্তন ঘটিয়ে জনপ্রিয় লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির তুলনায় বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ ক্ষমতা দ্বিগুণ বাড়াতে প্রাথমিক সাফল্য পেয়েছেন তারা।

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া ওয়াহিদ ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা মাইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন সলিড স্টেট লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি এবং ইলেকট্রোকেমিক্যাল এনার্জি স্টোরেজ বিষয়ে পিএইচডি করতে। পিএইচডি গবেষণার পাশাপাশি সেখানে তিনি গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত।

২০২১ সালে গবাদিপশুর মূত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্পের জন্য এলসিভিয়ার ফাউন্ডেশনের ‘কেমিস্ট্রি ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছিলেন তিনি।

নাসার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, সাউথ ডাকোটা স্কুল অফ মাইনস বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুদানটি দেয়া হয়েছে নতুন ধরনের লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করার জন্য, যা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। এই প্রযুক্তি নাসার পাওয়ার রকেট এবং অন্যান্য মহাকাশযানে চড়ে চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ বা অবস্থানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।

ওয়াহিদ বলেন, ‘সাম্প্রতিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর দিকে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা যে প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছি, সেটি একদমই নতুন। এখনও প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি রয়েছে, তবে সকল পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত সাফল্য যদি অর্জন করা যায়, তাহলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ে, বিশেষ করে পরিবহন খাতে এই প্রযুক্তি ব্যপক ভূমিকা রাখতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সালফার একটি জৈবিক মৌলিক পদার্থ, যা প্রকৃতি থেকেই সরাসরি প্রচুর পরিমাণে আহরণ করা যায়। এর সাথে যেহেতু আমরা ভুট্টার ডাঁটার অবশিষ্টাংশ ব্যবহার করছি, সুতরাং সব দিক বিবেচনায় এটি একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানিনির্ভর প্রযুক্তি। তাই এটি একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধবও বটে।’

পিএইচডি এবং লিথিয়াম-সালফার ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং ব্যাটারির বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণক্ষমতা বাড়ানোর ওপর উন্নততর গবেষণার ইচ্ছা আছে ওয়াহিদের। এ ছাড়াও বাংলাদেশে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করতে চান ওয়াহিদ, যেখানে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করবেন তরুণ প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন:
ভেঙে পড়েছে সূর্যের বিশাল খণ্ড, বিস্মিত বিজ্ঞানীরা
নাসার অ্যাপোলো সেভেনের সবশেষ মহাকাশচারীর মৃত্যু
এক বছরে প্রায় আড়াই শ গ্রহের সন্ধান
চন্দ্রাভিযান শেষে পৃথিবীতে নাসার ওরিয়ন
চন্দ্রাভিযান শেষে পৃথিবীতে ফিরছে নাসার ওরিয়ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

তারুণ্য
Dhaka University admission test result announcement of all units

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল ঘোষণা বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। ছবি: নিউজবাংলা
পাসের হার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে ১০ দশমিক ০৭; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ১৩ দশমিক ৩৩; বিজ্ঞান ইউনিটে ৮ দশমিক ৮৯ এবং চারুকলা ইউনিটে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।

ফল ঘোষণার শুরুতে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। ফল প্রকাশের পর তা ওয়েবসাইটে দেখা যাবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ।

এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন গভর্নমেন্ট এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী মণ্ডল। তার স্কোর ১০৫ দশমিক ৭৫।

‌আর ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। ১ হাজার ৫০ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী। পাস করেন ৯ হাজার ৭২৩ শিক্ষার্থী। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে অথৈ ধর। তিনি চট্টগ্রামের গভর্নমেন্ট কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার প্রাপ্ত স্কোর ১০৫ দশমিক ৫০।

বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১ মার্চ। ১ হাজার ৮৫১টি আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী। পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। পাসের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তার স্কোর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ৯ মার্চ। ১৩০ আসনের বিপরীতে অংশগ্রহণ করেন ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী। আর পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছে বাঁধন তালুকদার। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬।

যেভাবে ফল জানা যাবে

ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরে মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

তাছাড়া যেকোনো মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS , বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI , ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের জন্য DU BUS , চারুকলা ইউনিটের জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো

উত্তীর্ণ ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করবেন।

বিষয় পছন্দক্রম অনলাইনে দেয়ার সুবিধার্থে ১ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা তার ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা ওয়েবসাইট থেকে নামাতে পারবেন। তালিকাটি প্রিন্ট করে তাতে পছন্দক্রম আগে লিখে রাখলে পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদানে ভুল এড়ানো যাবে।

উত্তীর্ণ বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে কোটার ফরম সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিস থেকে সংগ্রহ এবং যথাযথভাবে তা পূরণ করে ডাউনলোডকৃত বিষয় পছন্দক্রমের কপিসহ ওই সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিনের অফিসে জমা দিতে হবে।

ফল নিরীক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের অফিসে এক হাজার টাকা ফি প্রদান সাপেক্ষে ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অফিস চলাকালীন আবেদন করা যাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর ট্রান্সজেন্ডার কোটায় কোনো শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। আর প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ বছর থেকে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে।

আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক্সটেনশন ভবনটি আগামী জুনের শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে পাবে। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান করা হবে। এতে কিছুটা কমবে আসন সমস্যা।

আরও পড়ুন:
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

মন্তব্য

তারুণ্য
DUs admission test results will be released on Thursday

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। ফাইল ছবি/পিয়াস বিশ্বাস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে সব ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হবে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট; বিজ্ঞান ইউনিট; ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রকাশ করা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।

এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা। বিভিন্ন ইউনিটের পরীক্ষা চলে ৯ মার্চ পর্যন্ত।

ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বর এবং মাধ্যমিক (এসএসসি) বা সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ওপর ২০ নম্বর বরাদ্দ দেয়া ছিল।

মন্তব্য

তারুণ্য
Saturday weekend may be canceled in educational institutions

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে ফাইল ছবি।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা যাবে। সে লক্ষ্যে আমরা একটি পরিকল্পনা করব, যাতে এটা নিয়ে কেউ আদালতকে মিথ্যা বুঝিয়ে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় মানববন্ধন করতে না পারে।’

দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাভাবিক নিয়মে সপ্তাহে দু’দিন শুক্র ও শনিবার ছুটি থাকছে। তবে আগামী বছর থেকে সাপ্তাহিক ছুটি কেবল শুক্রবারে সীমিত করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে শনিবার স্কুল খোলা রাখার এই ছুটি রমজানে স্কুল বন্ধ রেখে সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় এমন তথ্য জানান।

মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল হতে পারে
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে নানা ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এ বছর বিষয়টি এভাবে এসেছে, আগামীতে আমরা বিষয়টি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, ‘বছরে ৫৩ সপ্তাহে ৫২টি শনিবার রয়েছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রাখি, তাহলে রমজানের ক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের সেই অপপ্রয়াস বন্ধ করা যাবে।

‘সে লক্ষ্যে আমরা একটি পরিকল্পনা করব। যাতে এটা নিয়ে আবারও কেউ আদালতে গিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে রায় নিয়ে এসে অপচেষ্টা করতে না পারে, রাস্তায় এসে মানববন্ধন করতে না পারে। আমরা সংবেদনশীলতার জায়গায় শ্রদ্ধাশীল। আমরা আলেম-ওলামার সঙ্গেও আলোচনা করব। তাদেরও একটা অবস্থান আছে এটা নিয়ে।’

মহিবুল হাসান বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে অন্য পাবিভিন্ন ধর্মের মানুষও রয়েছে। এদের মধ্যে এক ধরনের মানুষ রয়েছে যারা অবিশ্বাস, সহিংসতামূলক ও শ্রেষ্ঠত্বমূলক মনোভাব সৃষ্টি করে বিভিন্ন সময়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। পাঠক্রম থেকে শুরু করে পাঠ্যবইকেও ওসিলা বানিয়ে তারা এসব অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।

‘আমরা অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা আমাদের অনেক উপদেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ কোনো ধরনের বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস না পায়। আমরা সব বিষয় আরও কেয়ারফুলি দেখব।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন ধরনের ইঙ্গিত পেলেও সেটার নিরসন করা হবে। এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা শিক্ষাব্যবস্থাকে একধরনের গোঁড়ামির দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা। আর এটা দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যমান।’

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার।

সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় রমজানে ১০ দিন এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৫ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে।

আরও পড়ুন:
৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে
মাধ্যমিক স্কুল খোলা ২৫ মার্চ পর্যন্ত, ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাইমারি
রোজায় স্কুল খোলা থাকবে
রমজানে স্কুল বন্ধের আদেশ বহাল, আপিল শুনানি মঙ্গলবার
রমজানে বন্ধ থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল

মন্তব্য

তারুণ্য
Dissent of 6 teachers including vice president of Aandh Ibishis against the group

গুচ্ছের বিপক্ষে ইবির সাত শিক্ষক, পক্ষে ছয়জন

গুচ্ছের বিপক্ষে ইবির সাত শিক্ষক, পক্ষে ছয়জন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা
নোট অফ ডিসেন্টে বলা হয়, গুচ্ছ কার্যক্রমের আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ইবিসহ ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব বিবেচনায় নিয়ে ছয়জন মনে করেন, বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

ভর্তি পরীক্ষায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে অংশ নেয়া নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ইবিশিস)।

সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় শনিবার এ মতানৈক্য দেখা দেয়।

সভায় ১৫ সদস্যের ইবিশিস কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক ছাড়া সাতজন গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে এবং ছয়জন গুচ্ছের পক্ষে মত দেন।

এমন পরিস্থিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গুচ্ছে না যাওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত হলে গুচ্ছে আগ্রহী শিক্ষকরা সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ‘নোট অফ ডিসেন্ট’ দেন।

সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় জানা যায়, আগের সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গুচ্ছে না যাওয়ার মত ছিল শিক্ষক সমিতির, তবে ইউজিসি ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সভায় এজেন্ডা আকারে আলোচনা হয়। এতে আগের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে গুচ্ছের পক্ষে থাকেন শিক্ষক সমিতির সহসভাপতির নেতৃত্বে ছয়জন সদস্য।

নোট অফ ডিসেন্টে উল্লেখ করা হয়, ২৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের প্রতি তারা শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। ছয়জন শিক্ষক মনে করেন, যেহেতু এরই মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি আবেদনকারী ইবিকে গুচ্ছের কেন্দ্র হিসেবে চয়েজ দিয়েছেন, সেহেতু গুচ্ছে থাকা উচিত।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃপক্ষ মতবিনিময় সভার আহ্বান করে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষক প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত পত্রে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত না হতে পারার জন্য কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।

নোট অফ ডিসেন্টে বলা হয়, গুচ্ছ কার্যক্রমের আহ্বায়ক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে ইবিসহ ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দিতে শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব বিবেচনায় নিয়ে ছয়জন মনে করেন, বর্তমান পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

গুচ্ছের পক্ষে থেকে নোট অব ডিসেন্ট দেয়া শিক্ষকদের নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি ও ইবির প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদৎ আজাদ বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কিন্তু ওই সভার পরে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ইউজিসি, সরকারের বিভিন্ন মহল ও গুচ্ছের আহ্বায়ক যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি স্যারের বক্তব্য হতে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকারের অভিপ্রায় রয়েছে।

‘এ বছরে ১৫ হাজারের বেশি ভর্তিচ্ছু কেন্দ্র হিসেবে ইবিতে আবেদন করেছেন। তাই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের দূরদুরান্তের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা নিরসনে আমি মনে করি এই বছরের মতো গুচ্ছের বাইরে গিয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির নামে কালক্ষেপণের আর সুযোগ নেই।’

ইবিশিসের সভাপতি নোট অফ ডিসেন্টকে সমর্থন জানালেও সাধারণ সম্পাদক বলেছেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তের কথা।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘দ্বিমত পোষণ গণতান্ত্রিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এটা সিদ্ধান্তের অংশ নয়। সিদ্ধান্ত হয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে।

‘ছয়জন বিরোধিতা করেছে। তার মানে ধরে নিতে হবে বাকি ৯ জন সিদ্ধান্তের পক্ষে। এ অবস্থায় প্রশাসন গুচ্ছে গেলে আমরা কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করব না।’

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ে যেকোনো কিছু হতে পারে। তবে মহামান্য আচার্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিংবা শিক্ষা মন্ত্রীর এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো অভিপ্রায় এখনও নেই।’

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে আজও গুচ্ছে যাবে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। আমাদের প্রবেশপত্র, আসন বিন্যাস সবকিছু সম্পন্ন হয়েছে।

‘সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অংশ নিয়ে যে সমস্ত কাজ করতে হয়, পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রশ্ন করা, প্রশ্নের মান নির্বাচন, সবকিছুই এখন কমপ্লিট। এ বছর তাই ইবিসহ কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আর গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই।’

‘শুধু ইবি প্রশাসন নয় আমার শিক্ষক সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি বলেছেন গুচ্ছে যাবে। এখন যদি কেউ এ পদ্ধতিতে না যেতে চায় তবে তা হবে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হবে।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকায় সভাপতি হিসেবে আমি কোনো পক্ষে মত দিতে পারি না। নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ মতই সিদ্ধান্ত, তবে একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং গুচ্ছে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে গুচ্ছে অংশ নেয়া উচিত।’

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘তারা শুরু থেকে না যেত, এটা ঠিক ছিল, কিন্তু পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। তারা কার্যক্রমও শুরু করেছে, বিভিন্ন মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এখন গুচ্ছে না যাওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।

‘আমি মনে করি এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতির জন্য শুভকর নয়। কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের কষ্ট লাঘবের জন্য গুচ্ছ পরীক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছিল। যেহেতু তারা গত বছরগুলোতে অংশগ্রহণ করেছে, এ বছরও তাদের অংশ নেয়া উচিত। মূলত এ বিষয়টি নৈতিকতার ব্যাপার।’

রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ের বিষয়ে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান আরও বলেন, ‘চিঠি এভাবে উনাদের কাছে দেয় না, এটা ইউজিসিকে দেয়া হয়, যা বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় এসেছে। গত বছর রাষ্ট্রপতি গুচ্ছে থাকার বিষয়ে সরাসরি নির্দেশনা দিয়েছেন।

‘রাষ্ট্রপতি তো আর ওইভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন না যে, আমি সিদ্ধান্ত দিলাম, আপনারা মেনে নেন। উনারা শিক্ষক সমাজ। উনাদের অনুরোধ করেই চিঠি দেয়া হয়েছে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “গত বছরগুলোতে আমরা গুচ্ছে অংশগ্রহণ করলেও এ বছর আমরা গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তে ছিলাম, কিন্তু এরপর যখন চিঠিটা আসল, তখন সরকার বলল যে,. এখন আর গুচ্ছের বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

“এর আগে আমরা তাদের জানিয়েছিলাম আমরা যাচ্ছি না। জানানোর পর কিন্তু গুচ্ছওয়ালারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করল। আমি তখন তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আমাদের কেন যুক্ত করেছেন?’ তখন তিনি বললেন, ‘আমি আদিষ্ট হয়ে দিইনি। সরকার থেকে আমাকে বলা হয়েছে যুক্ত করার।’”

উপাচার্য আরও বলেন, ‘১৫ হাজার ছেলে-মেয়ের জীবন নিয়ে জেদ করা কি ভালো হবে? আমি বিশ্বাস করি শিক্ষকদের ছাড়া একটি পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো যায় না এবং এটি উচিত না।

‘আমি শিক্ষকদের আহ্বান জানাব যে, আমরা শিক্ষক হলেও কিন্তু সরকারের লোক। আমাদের এর বাইরে চিন্তাভাবনা করার কোনো সুযোগ নেই।’

মন্তব্য

তারুণ্য
There will be no temporary examination of students till third class

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা হবে না

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা হবে না ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এসব পরীক্ষা আর থাকবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে।’

নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা থাকছে না। এর পরিবর্তে অ্যাপের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানান।

সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়নের লক্ষ্যে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্রুত মূল্যায়ন করতে পারে এ জন্য এনসিটিবি এই অ্যাপ করেছে।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিশু শিক্ষার্থীদের বইয়ের বোঝা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। সে কারণে ধারাবাহিক মূল্যায়ন হলো একজন শিক্ষার্থীর সামগ্রিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করা। এটি হল মূল্যায়নের মাধ্যমে মূল্যায়ন।

‘মূল কথা হলো প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক- এসব পরীক্ষা আর থাকবে না। মূল্যায়নের পদ্ধতি গতানুগতিক হবে না। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী থাকবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়। নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। এরই আলোকে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম।

মন্তব্য

তারুণ্য
Temporary expulsion of teacher Saheed Iman for sexual harassment

যৌন নিপীড়ন, জবি শিক্ষক সাহেদ ইমন সাময়িক বহিষ্কার

যৌন নিপীড়ন, জবি শিক্ষক সাহেদ ইমন সাময়িক বহিষ্কার প্রভাষক আবু শাহেদ ইমন (বাঁয়ে); অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিম। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীমকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকেও চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করায় বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

এর আগে ১৮ মার্চ শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন ও হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে অভিযোগ দেন শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম।

জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমন ও বিভাগের চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর ১৯ মার্চ একই অভিযোগে প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আবেদন করেন এই শিক্ষার্থী।

জবি’র ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এই ছাত্রী আবেদনে বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উপাচার্যের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে তিনি এখনও বিচার পাননি। তার বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। ওই শিক্ষকের সমর্থনে বিভাগের চেয়ারম্যান তাকে স্নাতক পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।

সহপাঠীদের কাছ থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। তারা মৃত্যুর হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন:
যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ জবি ছাত্রী মীম
জবিতে শিক্ষার্থীবান্ধব সক্রিয় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকরের দাবি

মন্তব্য

তারুণ্য
Schools of fewer than 50 students will be consolidated into adjacent elementary

৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে

৫০ জনের কম শিক্ষার্থীর স্কুল পাশের প্রাথমিকে একীভূত হবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে এমন তিনশ’ স্কুল পাওয়া গেছে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনেরও কম। তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে না। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা বিবেচনা করা হবে।’

কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী থাকলে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে। ইতোমধ্যে এমন তিনশ’ স্কুল পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, তবে ঢালাওভাবে সব স্কুল বন্ধ করে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে না। এক্ষেত্রে স্থানীয় বাস্তবতাসহ সব অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, ‘আমরা বিগত ১০ বছরের চিত্র দেখব। যেসব স্কুলে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করা হবে।

‘রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির একটি স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৪২ জন। বিগত কয়েক বছর ধরেই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একই রয়েছে। তারপরও ওই স্কুল আমরা একীভূত করব না। কারণ ওই ৪২ জন শিক্ষার্থী প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূর থেকে ওই স্কুলটিতে আসে। সুতরাং ঢালাওভাবে নয়, এসব ভেবে আমরা বিবেচনায় নেব।’

তিনি বলেন, ‘যেসব প্রাথমিক স্কুলে বিগত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী আছে, সেগুলো আমরা একীভূত করে দেব। এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।’

মন্তব্য

p
উপরে