শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি)। আগ্রহী প্রার্থীকে ১১ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
-
১. পদের নাম: উপব্যবস্থাপক
বিভাগ: হেলথ, সেফটি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড কোয়ালিটি
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ৭০,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: পরিবেশ বিজ্ঞান / এভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর অথবা বিএসসি ইন এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
অভিজ্ঞতা: ৫ বছর
-
২. পদের নাম: উপব্যবস্থাপক
বিভাগ: হিসাব / অর্থ / অডিট
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ৭০,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ফিন্যান্স / অ্যাকাউন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর অথবা এমবিএ (ফিন্যান্স / অ্যাকাউন্টিংয়)
বয়স: সর্বোচ্চ ৩৫ বছর
অভিজ্ঞতা: ৫ বছর
-
৩. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী
পদের সংখ্যা: ৭টি
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: ইইই / ইইসিএম / এমই বিষয়ে স্নাতক
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
অভিজ্ঞতা: উল্লেখ নেই
-
৪. পদের নাম: সহকারী প্রকৌশলী
বিভাগ: আইসিটি
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ৫২,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সিএসই / আইটি বিষয়ে স্নাতক
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
অভিজ্ঞতা: উল্লেখ নেই
-
৫. পদের নাম: উপসহকারী প্রকৌশলী
বিভাগ: আইসিটি
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ৪০,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: কম্পিউটার টেকনোলজি / কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
অভিজ্ঞতা: উল্লেখ নেই
-
৬. পদের নাম: কেয়ারটেকার (গ্রেড-৪)
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ২৩,০০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি / সমমান
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
অভিজ্ঞতা: উল্লেখ নেই
-
৭. পদের নাম: কুক
পদের সংখ্যা: ১টি
মূল বেতন: ১৪,৫০০ টাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জেএসসি / সমমান
বয়স: সর্বোচ্চ ৩০ বছর
অভিজ্ঞতা: ৩ বছর
-
প্রাথমিকভাবে প্রার্থীদের ৩ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে।
২০২২ সালের ৩১ আগস্ট প্রার্থীর বয়স উল্লেখিত সীমার মধ্যে হতে হবে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-পোষ্যদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রার্থীকে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ করতে এখানে ক্লিক করুন।
ফরম পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ১ থেকে ৫ নং পদের জন্য ৮০০ টাকা এবং অন্যান্য পদের জন্য ৫০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল সংযোগের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করতে সমস্যা হলে টেলিটক মোবাইল থেকে ১২১ নম্বরে অথবা যেকোনো অপারেটর থেকে ০১৫০০-১২১১২১ অথবা [email protected] অথবা [email protected] মেইলে যোগাযোগ করা যাবে। মেইলের সাবজেক্টে প্রতিষ্ঠানের নাম, পোস্ট, ইউজার আইডি এবং কন্টাক্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন:চাকরি স্থায়ী করতে মামলা করেছিলেন উচ্চ আদালতে। আর সেই মামলায় জিততে তৈরি করেছিলেন ভুয়া নথি। সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল ৩৭ জনের চাকরি জীবনে। প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ওই ৩৭ জন চতুর্থ শ্রেণির মাস্টাররোল কর্মীকে চাকরিচ্যুত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
সোমবার দুপুরে কেসিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয়েছে মঙ্গলবার।
সানজিদা বেগম জানান, এসব কর্মচারী কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্প্রে-ম্যান, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও গাড়িচালকসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। তারা চাকরি স্থায়ী করার জন্য উচ্চ আদালতে একটি মামলা করেন। সেখানে তারা বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি আবেদনের কাগজ সিটি করপোরেশনের রিসিভ করা কপি হিসেবে তারা জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই কাগজপত্র সিটি করপোরেশন কখনোই রিসিভ করেনি।
তিনি বলেন, ‘ওই কাগজপত্রে সিটি করপোরেশনের যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে তা ভুয়া। প্রতারণার এই অভিযোগ তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ। ইতোমধ্যে সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন শুরু হলেও ঈদের আগে খুব একটা সময় পাওয়া যাবে না। চলতি সপ্তাহ ছাড়া আগামী সপ্তাহে মাত্র দুদিন সময় পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কয়েকটি জেলা থেকে উত্তরপত্র ঢাকায় পাঠাতে দেরি হবে।
‘ফলে ঈদের আগে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আশা করছি, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পরপরই তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে পারব।’
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুই বিভাগের ৪১৪টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে তিন বিভাগের ২২ জেলায় লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার ফল ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে। তাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০ হাজার ৬৪৭ জন প্রার্থী।
তারও আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রথম ধাপে ২ হাজার ৪৯৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে যাওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় ওই নিয়োগ আটকে গেছে। ইনস্টিউটটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স এই নিয়োগ আটকে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেন। উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন লাউঞ্জে সোমবার বিকেল ৩টায় এই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠা ওই শিক্ষকের নাম সাজু সাহা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। বিভাগেরই এক সাবেক ছাত্রী এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
সম্প্রতি সাজু সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রভাষক পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারের সভাপতিত্বে হওয়া নিয়োগ বোর্ড সাজু সাহাসহ চারজনকে নিয়োগের জন্য মনোনীত করে।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিজি (বোর্ড অফ গভর্ন্যান্স) বোর্ডে এটি পাস হওয়ার কথা ছিল। এর আগের দিন রোববার সাজু সাহার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে সংবাদ প্রকাশ করে নিউজবাংলা।
বিজি বোর্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়নি। এটি এখন রিভিউ করার জন্য সিলেকশন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।’
সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘বিষয়টি আজ বোর্ড অফ গভর্ন্যান্সে উঠেছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সেখান থেকে এটি আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য।’
এর আগে রোববার নিউজবাংলায় প্রকাশিত সংবাদে ভুক্তভোগী সেই শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে বলা হয়, অধ্যাপক সাজু সাহা কাউন্সেলিং করানোর নামে তাকে নিপীড়ন করেছেন উল্লেখ করে সাবেক ওই ছাত্রী বলেন, ‘তিনি আমার গায়ে হাত দিয়েছেন। আমাকে তার সঙ্গে হুক-আপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ওনার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আমার পা পর্যন্ত ধরতে চেয়েছেন। এসবের ট্রমায় আমি এক সেমিস্টার ক্লাসেও নিয়মিত হতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘এসব আমি এতোদিন উপস্থাপন করার সাহস পাইনি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইরুজ অবন্তিকার ঘটনার পর আমি এগুলো সামনে আনার সাহস পাই।’
সাবেক ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘সাজু সাহা ভয়ে আছেন আমার অভিযোগের ব্যাপারে। কারণ তিনি তো জানেন, তিনি আমার সাথে এসব করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও উনি নিশ্চিত একই কাজ করবেন নারী শিক্ষার্থীদের সাথে। ওনার বিচার নিশ্চিত করেই ছাড়বো আমি, শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
এদিকে সোমবার এই শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট সেলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অপরদিকে এদিন দুপুরেই ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক সাজু সাহা।
আরও পড়ুন:সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
প্রভাষক হিসেবে একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে।
আবেদনের যোগ্যতা: সব ক্ষেত্রে ইউজিসির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা অনুযায়ী।
আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ বায়োডাটা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট কপি, মার্কশীট, রেফারেন্স লেটার (যদি থাকে) ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ রেজিস্ট্রার বরাবর দরখাস্ত পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বি-২০১/১, প্রগতি সরণি, ঢাকা-১২১২
প্রয়োজনে-০১৬৭৫৪৫৭৯১১। ইমেইল[email protected]
আরও পড়ুন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রহস্যময় ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী৷
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার,,, ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে উপাচার্যকে ফোন দিয়ে একটি অপরিচিত মেয়ে যোগাযোগ করতে চাচ্ছিল। উপাচার্যের সাড়া না পেয়ে মেয়েটি ম্যাসেজ পাঠায় যে, যদি তাকে চাকরি দেয়া হয় তাহলে ১০ লাখ টাকা দেবে।
‘এরপরই আমরা ইবি থানায় একটি জিডি করি যাতে ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি প্রকাশ হলেও কোনো সমস্যা না হয়।’
এ বিষয়ে ইবি থানার এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার মহোদয় একটি জিডি করেছেন। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বিষয়টি নিয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘এক নারী হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় তার পরিচয় কী? কী বিষয়ে কথা বলতে চান? এসব জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির বিষয়ে।
‘তখন আমি বললাম, চাকরির বিষয়ে আমি কোনো কথা বলি না। তখন তিনি বলেন, চাকরিটা তার খুব দরকার। পরে আমি ফোন কেটে দিলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দেন।’
উপাচার্য বলেন, ‘আমার ধারণা, এটা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। আমাকে ফাঁদে ফেলার জন্য তারা এটা করতে পারে। তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর যে তৎপরতা চালিয়েছে, এ ফোনকল তারই অংশ হতে পারে।
‘এরা আমার মানক্ষুণ্ণ করার জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে। আমি রেজিস্ট্রারকে তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করতে বলেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবারও বলছি, আমি কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমার সময়ে সকল নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে দিয়েছি, যে যোগ্য তাকে নিয়োগ দিয়েছি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে ১২০ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে তিন নারী ও ১৪ জন পুরুষসহ ১৭ জন পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনষ্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি পেয়েছেন।
ঝালকাঠি পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে শনিবার রাত ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে টিআরসি পদে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করা হয়।
চাকরি পাওয়া প্রত্যেকে আবেদনের সময় ব্যাংক ড্রাফটে ১২০ টাকা জমা দেন। বাছাই পরীক্ষায় তিন ধাপের পর নিজ যোগ্যতায় চূড়ান্ত পর্যায়ে টিআরসি পদে স্থান পেয়েছেন তারা। কোনো রকম অর্থ লেনদেন ছাড়াই মেধা যাচাই পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হন।
উত্তীর্ণদের পরবর্তী সময়ে করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং ও চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) আফরুজুল হক টুটুল।
এসপি বলেন, “‘চাকরি নয় সেবা’ স্লোগানে স্মার্ট পুলিশ তৈরি করতে মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হয়। পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। সন্তানের চাকরির জন্য অভিভাবকদের জমিজমা বিক্রি করতে হবে না।
“পুলিশকে আধুনিক ও মানবিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আইজিপির চেষ্টায় পুলিশের সব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মানোন্নয়ন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঝালকাঠি পুলিশের মানোন্নয়ন ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ১৭ জন যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছেন।’
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে আসা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ।
নিয়োগ সংশ্লিষ্ট বরাতে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফ্রেব্রুয়ারি ঝালকাঠি জেলার চার উপজেলা থেকে আসা ৬০৫ নারী ও পুরুষ পুলিশের টিআরসি পদের জন্য বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। প্রথম ধাপে বাছাইয়ে টিকে ১৮৯ প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। সেখান থেকে ৫২ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সব পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে কোটা নির্ধারণ করে যোগ্যতা অনুযায়ী তিনজন নারী এবং ১৪ জন পুরুষ প্রার্থীকে চাকরির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে উত্তীর্ণদের নাম ও রোল নম্বর ঘোষণার পর নিয়োগ পাওয়া ১৭ জনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ানো হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ, শুক্রবার। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনকারী প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।
তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো ধরনের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য