শীর্ষ গ্লোবাল স্মার্টফোন কোম্পানি শাওমি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বাজারে তাদের দুটি স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে। 'শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি' এবং ফ্যানদের জন্য ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ফটোগ্রাফি ফোন 'রেডমি নোট ১১এস'।
শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘উৎপাদনশীলতা, উদ্ভাবন ও স্টাইল-এই তিনটি বিষয়কে সবসময় শাওমি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সে কারণেই বাংলাদেশের বাজারে আমাদের ফ্যানদের জন্য দুটি শক্তিশালী স্মার্টফোন আনতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের প্রত্যাশা, শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি হতে পারে প্রফেশনাল চয়েজ, যাতে রয়েছে টার্বো চার্জিং সক্ষমতা এবং রেডমি নোট ১১এস ফোনটি তরুণদের জন্য একটি স্টাইলিশ সংযোজন।’
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ফোনটি রয়েছে ১২০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি, যা ৪৫০০ এমএএইচের ব্যাটারি মাত্র ১৫ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ করতে পারবে। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে বড় মাপের ৬.৬৭ ইঞ্চির ১২০ হার্জ অ্যামোলেড ডটড্রপ ডিসপ্লে, যা সাপোর্ট করে ১২০০ নিট ব্রাইটনেস। শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ফোনের স্ক্রিনের সুরক্ষা দিতে রয়েছে গরিলা গ্লাস ৫।
হাইপারচার্জ ডিভাইসটিতে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রো-গ্রেড ক্যামেরা সেটআপ, যা স্বল্প আলোতেও অসাধারণ সব ছবি উপহার দেবে। এ ছাড়া সব অসাধারণ মুহূর্ত ধরে রাখতে সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
ফোনটিতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটির ৯২০ প্রসেসর। ফাইভজি এক্সপেরিযেন্স দিতে এতে দেয়া হয়েছে ৬ ন্যানোমিটার প্রযুক্তি, যাতে সাপোর্ট করে ৮টি ব্যান্ড।
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজির ডুয়েল সেমেট্রিক্যাল স্পিকারের সঙ্গে ডলবি অ্যাটমসে দেবে অসাধারণ অডিও অভিজ্ঞতা, যা আপনাকে পুরোপুরি বিনোদনে ডুবিয়ে রাখবে। ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং ৩৬০ হার্জ টাচ স্যামপ্লিং রেট দেবে অসাধারণ ডিসপ্লে ও দেখার অভিজ্ঞতা।
রেডমি নোট ১১এস
রেডমি নোট ১১এস রয়েছে দুর্দান্ত ৬.৪৩ ইঞ্চির অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন অসাধারণ স্ক্রলিং। রয়েছে অক্টা-কোর মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৬ প্রসেসর, ফলে রেডমি নোট ১১এস দেবে স্মুথ পারফরম্যান্স।
ডিভাইসটিতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী ৫০০০ এমএএইচের ব্যাটারি, সঙ্গে ৩৩ ওয়াটের প্রো চার্জিং। যা ডিভাইসটিকে অল্প সময়ে চার্জ করার পাশাপাশি দেবে দীর্ঘ সময় চার্জ ধরে রাখার সুবিধা। স্টাইলিস নোট ১১এস ফোনে রয়েছে দুর্দান্ত ইভল ডিজাইন। যা স্মুথ ও হাতে ধরে রাখেত কমফোর্ট দেয় অনেকখানি।
রেডমি নোট ১১এস ডিভাইসটিতে পাওয়া যাবে ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের ফটোগ্রাফি, সঙ্গে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ, যা দিয়ে নেয়া যাবে অবিশ্বাস্য সব শট ও ছবি।
১০৮ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরার পাশাপাশি এতে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা যা দেবে ১১৮ ডিগ্রি ভিউ অ্যাঙ্গেল, রয়েছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেফথ সেন্সর যা দেবে ন্যাচারাল লুক প্রোর্ট্রেইট এবং একটি ২ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা, যা দেবে ডিটেইলসহ ক্লোজ ছবি নিতে দেবে। আর সামনে দেয়া হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের ক্লিয়ার অ্যান্ড ক্রিপস সেলফি ক্যামেরা।
কবে পাওয়া যাবে, দাম কত
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে তিনটি কালার- স্টেলথ ব্ল্যাক, ক্যামো গ্রিন এবং প্যাসিফিক পার্ল । অন্য দিকে রেডমি নোট ১১এস পাওয়া যাবে তিনটি অসাধারণ স্পেস ব্ল্যাক, পোলার হোয়াইট এবং হরাইজন ব্লু কালারে। দেশে শাওমির অথরাইজড শাওমি স্টোর এবং পার্টনার স্টোরে ফোনগুলো পাওয়া যাবে।
শাওমি ১১আই হাইপারচার্জ ফাইভজি ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৩৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্ট ৪২ হাজার ৯৯৯ টাকা । আর রেডমি নোট ১১এস ৬+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের ২৭ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।
আরও পড়ুন:অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে ভোলার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের কালীকীর্তি গ্রামের এক কিলোমিটারের বেশি রিংবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করছেন।
পাউবো কর্তৃপক্ষ বলছে, রিংবাঁধটি জরুরি সংস্কার করতে যে বরাদ্দ দরকার, তা প্রকল্প আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে; তাই এই মুহূর্তে জরুরি কোনো বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব নয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, রিংবাঁধটি শিবপুর ইউনিয়নের পুলেরগোড়া বাজার থেকে কালীকীর্তি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে আবুল কাশেম ডাক্তার বাড়ির সামনে মূল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সঙ্গে মিশেছে। প্রায় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁধটির চারটি স্থানে এক কিলোমিটারের বেশি বাঁধ জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাউবো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ক্ষতি ঠেকাতে স্থানীয়রা নিজেরাই বালির পরিবর্তে বস্তায় মাটি ভরে বাঁধে ফেলছেন।
কালীকীর্তি নতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনির উদ্দিন বলেন, ‘এই রিংবাঁধের মধ্যে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মসজিদ, তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস ছাড়াও মাছঘাট ও কয়েকটি বাজার রয়েছে। গত কয়েক দিনে মানুষের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। পাউবোর কোনো সহযোগিতা না পেয়ে, স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে তিন দিন ধরে বাঁধটি সংস্কারের চেষ্টা করেছেন।’
বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. ইউসুফ মাস্টার বলেন, ‘কয়েক বছর আগে জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে সব কিছু প্লাবিত হয়ে যায়। তখন কয়েক মাস স্কুল বন্ধ ছিল। সেই আশঙ্কায় গ্রামবাসী মিলে প্রায় এক কিলোমিটার রিংবাঁধ সংস্কার করেছে।’
অভিভাবক আব্দুল হাই বলেন, ‘স্থানীয়রা বস্তায় মাটি ভরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে ফেলেছে। তারপরও আশঙ্কার মধ্যে আছে। পাউবো যদি বালুভর্তি বস্তা বাঁধের গায়ে ফেলত, তাহলে মানুষ নিশ্চিন্তে রাত কাটাতে পারত।’
ক্ষতিগ্রস্ত রিংবাঁধ পরিদর্শন করেছেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে পূর্ণিমা, নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে শিবপুরের রিংবাঁধের ক্ষতি হয়েছে সত্য। এ বাঁধটি শিবপুর ইউনিয়নের মূল বন্যা-জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে। এতে বালুভর্তি বস্তা ফেলে সংস্কার করতে কোটি টাকার দরকার।’
জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করতে এই মুহূর্তে এত টাকার বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দ আনতে নকশা করে প্রকল্প পাঠাতে হবে। সেই প্রকল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাস করাতে হবে। তাই আপাতত কোনো বরাদ্দ পাউবো করতে পারবে না।’
ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জোয়ারের তোড়ে ভোলার বিভিন্ন এলাকার বন্যা-জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ক্ষতি হয়েছে। শিবপুরে সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বক্স গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের জন্য এক কোটি করে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খান বুধবার জনস্বার্থে রিটটি করেন।
রিটকারী আইনজীবী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উত্তরায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যেকের জন্য ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা চেয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজের শুরু থেকে কতটা নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারা দেশে যেখানে এ ধরনের নির্মাণকাজ হচ্ছে, তাতে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সেটি জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।’
রিটে সড়ক ও জনপথ সচিব, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জাকারিয়া খান। দুপুর ২টায় রিটের পক্ষে শুনানি করবেন আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম।
গত সোমবার বিকেলে উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের বক্স গার্ডার ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন।
গাড়িটি থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউ ভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউ ভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ছয় বছর বয়সী শিশু জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়ার।
জামালপুরে মঙ্গলবার রাতে নিহত চারজনের দাফন হয়েছে। আর বুধবার সকালে মেহেরপুর সদরের রাজনগর গ্রামে দাফন হয় রুবেলের।
ওই ঘটনায় গত সোমবার রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরনা বেগমের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
মামলায় ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ নানা ইস্যুতে সরকারবিরোধীদের রাজপথে একের পর এক কর্মসূচির মধ্যে এবার মাঠে নামছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আগস্টে শোকের কর্মসূচি ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি সচরাচর পালন না করলেও একই দিনে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়নে জমায়েত করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। উপলক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার প্রতিবাদ।
বুধবার সারা দেশে এই বিক্ষোভে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ফাইল ছবি
কেন্দ্রীয়ভাবে বিকেল ৪টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করবে দলটি। মৎস্য ভবন-কদম ফোয়ারা-প্রেস ক্লাব ও জিরোপয়েন্ট হয়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে সেটি।
এতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন।
আওয়ামী লীগের এই কর্মসূচি দৃশ্যত রাজপথে সংগঠনকে সক্রিয় করার পদক্ষেপ।
লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে বিএনপি ও সমমনারা যখন একের পর এক বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে, সে সময় নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে রাজপথে নামার তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ১১ আগস্ট এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এই কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘এভাবে চলতে পারে না। আমরা রাজপথ থেকে ক্ষমতায় এসেছি। তারা যেভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে আমরা রাজপথ ভুলে গেছি। আমরাও আছি, অচিরেই রাজপথে দেখতে পাবেন।’
বিকেল ৩টা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দিতে নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।’
দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যত মাঠে শক্তি প্রদর্শনের জন্য নামছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা গরম বক্তব্য দিচ্ছেন, হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। একাধিক কর্মসূচি নিয়ে রাজপথেও নেমেছে। পাশপাশি অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও রাজপথে সরকারবিরোধী কর্মসূচি পালন করছে। আওয়ামী লীগ এসবের জবাব দিতে চায়।’
কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ নিউজ বাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর আওয়ামী লীগ এ কর্মসূচি পালন করে থাকে। তবে এবার এ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালন করার জন্য সাংগঠনিক ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের মশাল মিছিল। ফাইল ছবি
‘দল থেকে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর, উপজেলা পর্যায়ে সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শোকের মাসে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে না। কিন্তু অনেকের হুমকি-ধমকি অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। তাই আমরা আগস্ট শেষে রাজপথে নামব। আর আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালনের জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় রুবেল হোসেনের দাফন নিজ বাড়ি মেহেরপুরে হয়েছে।
সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
নিহত এই চারজনের দাফন মঙ্গলবার রাতে জামালপুরে সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় চারজনের দাফন হয়েছে নিজ বাড়ি জামালপুরে।
মেলান্দহ উপজেলার আগ পয়লা গ্রামে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝরনা বেগম এবং তার দুই শিশুসন্তান জাকারিয়া ও জান্নাতের দাফন সম্পন্ন হয়।
ইসলামপুর উপজেলার লাউদত্ত গ্রামে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে কনের মা ফাহিমা বেগমকে নিজ বাড়ির আঙিনায় দাফন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল নীল বাতির সঙ্গে সাইরেন বাজিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি এগিয়ে এলে ভিড় জমায় শত শত উৎসুক জনতা। আর অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় স্বজনদের চিৎকার। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। হঠাৎ এমন মৃত্যুতে হতবাক নিহতদের স্বজনসহ এলাকাবাসীও।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট ছিটকে প্রাইভেট কারে পড়ে দুই শিশুসহ পাঁচ আরোহী নিহত হন। দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন ২৬ বছর বয়সী হৃদয় ও ২১ বছর বয়সী রিয়ামনি, যাদের বিয়ে হয়েছে গত শনিবার। সোমবার ছিল বউভাত।
হৃদয়ের বাড়ি রাজধানীর কাওলায়। বউভাত শেষে কনের বাড়ি আশুলিয়ায় যাচ্ছিলেন তারা। ছেলের বাবা রুবেল গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
রুবেল ছাড়াও যারা মারা গেছেন তারা হলেন কনের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝরনা বেগম, ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও দুই বছর বয়সী জাকারিয়া।
আরও পড়ুন:প্রশাসনের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে মধ্যরাতে হলে ফিরে গেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
হল থেকে রাইস কুকার ও রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম সরানোর নির্দেশনা বাতিলসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু করেন অপরাজিতা হলের ছাত্রীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে অবস্থান নেন তারা। সেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও।
রাত দেড়টার দিকে শিক্ষর্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে লিখিত দেন অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা নুসরাত রিম্মি। পরে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজিতা হলের টয়লেটে গিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় বঁটি চালান। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় অপরাজিতা হলে দা, বঁটি, চাকু এমনকি রাইস কুকারও নিষিদ্ধ করে হল কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের রুমে রুমে গিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। সবাইকে ডাইনিংয়ের খাবার খেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরাজিতা হলের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ। তার মধ্যে রাইস কুকার নিষিদ্ধ করা হলো। রান্নার সব সরঞ্জামও হলে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।’
লীমা নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে আসতে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। আমরা হলের দুটি তালা ভেঙে নেমেছিলাম।’
আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন এসেছিলেন। তবে তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে ফিরে যান।
পরে রাত দেড়টায় প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে লিখিত দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. রাইস কুকার ও হলের রান্নার সরঞ্জামাদি ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
২. সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্টের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার কারণে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও পারিবারিক শিক্ষা তুলে কথা বলায় ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. হলে প্রয়োজনে অভিভাবক ও মহিলা আত্মীয়দের থাকার অনুমতি প্রদান করতে হবে।
৪. পানির পোকা ও খাবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
৫. প্রভোস্ট তার নিজ ডিসিপ্লিনের স্টুডেন্টদের ডেকে নিয়ে ব্যক্তিগত এবং অ্যাকাডেমিক বিষয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে ও ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
৭. যেকোনো পরিস্থিতিতে সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করতে হবে।
৮. যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের ছাত্রীদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে।
৯. হলের মিল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
১০. আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি দেয়া যাবে না।
১১. এ দাবিগুলো না মানলে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ করতে হবে।
আরও পড়ুন:দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বছর আজ। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নামের জঙ্গি সংগঠন পরিকল্পিতভাবে দেশের ৬৩ জেলায় একই সময়ে বোমা হামলা চালায়।
মুন্সীগঞ্জ ছাড়া সব জেলায় প্রায় পাঁচ শ পয়েন্টে বোমা হামলায় দুজন নিহত ও অন্তত ১০৪ জন আহত হন।
পুলিশ সদর দপ্তর ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার পরপরই সারা দেশে ১৫৯টি মামলা করা হয়।
এর মধ্যে ডিএমপিতে ১৮টি, সিএমপিতে ৮টি, আরএমপিতে ৪টি, কেএমপিতে ৩টি, বিএমপিতে ১২টি, এসএমপিতে ১০টি, ঢাকা রেঞ্জে ২৩টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ১১টি, রাজশাহী রেঞ্জে ৭টি, খুলনা রেঞ্জে ২৩টি, বরিশাল রেঞ্জে ৭টি, সিলেট রেঞ্জে ১৬টি, রংপুর রেঞ্জে ৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ৬টি ও রেলওয়ে রেঞ্জে ৩টি।
সংবাদ সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে।
এসব মামলার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয় ১৪২টি মামলায়। বাকি ১৭টি মামলায় ঘটনার সত্যতা থাকলেও আসামি শনাক্ত করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি।
এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ১৩০ জন। গ্রেপ্তার করা হয় ৯৬১ জনকে। ১ হাজার ৭২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলার মধ্যে ৯৪টির বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব মামলায় ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এখন ৫৫টি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা হচ্ছে ৩৮৬ জন।
এই সিরিজ বোমা হামলার রায় দেয়া মামলাগুলোর ৩৪৯ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেয়া হয়। এর মধ্যে ৮ জনের ফাঁসি ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
এসব মামলায় খালাস পেয়েছে ৩৫৮ জন, আর জামিনে রয়েছে ১৩৩ জন আসামি। এ ছাড়া ঢাকায় বিচারাধীন ৫টি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণের শেষপর্যায়ে রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার জন্য ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ ছয় জঙ্গি নেতা শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, চিন্তাবিদ আব্দুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ ও সালাউদ্দিনকে ফাঁসি দেয়া হয়।
বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে (২০০১ থেকে ২০০৬) সরকারি এমপি-মন্ত্রীদের সরাসরি মদদে সারা দেশে শক্ত অবস্থান তৈরি করে জঙ্গিরা।
২০০৫ সালের পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ধারাবাহিক বোমা হামলায় বিচারক ও আইনজীবীসহ ৩০ জন নিহত হন। আহত হন ৪ শতাধিক।
ওই বছরের ৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের আদালতে জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত এবং বিচারকসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
এর কয়েক দিন পর সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক বিপ্লব গোস্বামীর ওপর বোমা হামলার ঘটনায় তিনি এবং তার গাড়িচালক আহত হন।
১৪ নভেম্বর ঝালকাঠিতে বিচারক বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। এতে নিহত হন ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের বিচারক জগন্নাথ পাড়ে এবং সোহেল আহম্মদ। এই হামলায় আহত হন অনেক মানুষ।
সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির লাইব্রেরি এবং চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে। গাজীপুর বার লাইব্রেরিতে আইনজীবীর পোশাকে প্রবেশ করে আত্মঘাতী এক জঙ্গি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলায় আইনজীবীসহ ১০ জন নিহত হন। আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিও নিহত হয় ।
একই দিন চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে জেএমবির আত্মঘাতী জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে রাজিব বড়ুয়া নামের এক পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন পথচারী নিহত হন। পুলিশসহ প্রায় অর্ধশত আহত হন ।
১ ডিসেম্বর গাজীপুর ডিসি অফিসের গেটে আবারও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে নিহত হন গাজীপুরের কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন আহত হন।
৮ ডিসেম্বর নেত্রকোনায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নেত্রকোনা শহরের বড় পুকুরপার উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গিরা। সেখানে স্থানীয় উদীচীর দুই নেতাসহ ৮ জন নিহত হন। শতাধিক আহত হন ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য