× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

তারুণ্য
Obscene debates surrounding the Radhag festival dance in JU
google_news print-icon

জাবিতে র‍্যাগ উৎসবের নাচ ঘিরে ‘শ্লীল-অশ্লীল’ বিতর্ক

জাবি
এই নাচটি নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের বিতর্ক চলছে। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম আবর্তনের র‍্যাগ উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে দুই শিক্ষার্থীর নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এই নাচে অশালীনতার অভিযোগ তুলছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে আরেক অংশের দাবি, অশ্লীলতার অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক।   

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২তম আবর্তনে (ব্যাচ) র‌্যাগের আয়োজন নিয়ে চলছে তুমুল তর্কবিতর্ক। ক্যাম্পাসের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিতর্কে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের নৃত্যানুষ্ঠানে অশালীনতার অভিযোগ তুলছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাংস্কৃতিক মান’ ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।

তবে এর বিরোধিতা করে আরেকটি অংশ বলছে, বিতর্ক ছড়ানো হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। একটি সাধারণ নাচকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মানসিক সংকীর্ণতার পরিচয় দেয়া হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম আবর্তনে র‌্যাগের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অনুষ্ঠানে একটি হিন্দি গানের সঙ্গে দুই শিক্ষার্থীর নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মূল পরিবেশনাটি একটি হিন্দি গানের সঙ্গে হলেও পরে সেটি একটি বাংলা গানের সঙ্গে যুক্ত করেও প্রচার হচ্ছে।

ট্যাঙ্গো নাচের ভঙ্গিমায় এই নৃত্যায়োজনে নারী শিক্ষার্থীর পোশাক ও ধারণ করা ভিডিও নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। ভিডিওতে দেখা যায়, যুগল নাচে নারী শিক্ষার্থীর পরনে ছিল ফ্রক ও স্কিন কালার টাইটস।

জাবিতে র‍্যাগ উৎসবের নাচ ঘিরে ‘শ্লীল-অশ্লীল’ বিতর্ক

এ ধরনের আয়োজনে চরম ক্ষুব্ধ ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মারুফ মল্লিক। ২৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে রুচিশীলতার চরম অধঃপতন ঘটছে। এটা শিক্ষক, শিক্ষার্থী সবার জন্যই প্রযোজ্য। যে ভাষায় এখন শিক্ষার্থীরা কথা বলে, আনন্দ প্রকাশ করে বা শিক্ষকদের যেসব কীর্তির কথা শুনি তা স্পষ্টতই মানসিক বিকারগ্রস্ততার প্রমাণ।’

মারুফ মল্লিক বলেন, ‘অনলাইনে সরাসরি র‌্যাগ উৎসব দেখলাম। মান দেখে আমি খুবই আহত হইছি। আমরাও র‌্যাগ করছি। আমাদের সময় নানা ধরনের সংকট ছিল। কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মান বজায় রাখতে।’

‘গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উপলক্ষে যা দেখছি তা খুবই হতাশাজনক। একটা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ করে জাবিয়ানদের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না। অশ্লীলতা, মানহীন কথোপকখন কখনই আনন্দ প্রকাশের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে না।’

হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ৪০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মাজেদ সীমান্ত লিখেছেন, ‘র‍্যাগের প্রোগ্রামে অনেকগুলো সিঙ্গেল, কাপল, দলীয় নাচ হয়েছে। ভিডিওতে দেখলাম, বেশ সুন্দর হয়েছে। যে নাচটা নিয়ে কথা উঠেছে সব জায়গায় সেখানে নিশ্চয় সমস্যা হয়েছে বলেই কথা উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তবুদ্ধির চর্চা হবে সেটাই স্বাভাবিক। ৯০ শতাংশ মানুষের কাছে যেটা অপসংস্কৃতি/অশ্লীল সেটা আপনাদের ১০ জনের কাছে শ্লীল হইলেই হয়ে যাবে কি?’

৪৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আখলাক হোসেন লিখেছেন, ‘৭টা বছর ক্যাম্পাসে আছি, ১০ তারিখ রাতের মতো নোংরা আর সস্তা কন্টেন্টের প্রোগ্রাম দেখি নাই। ৪২ ব্যাচের বড় ভাই আপুরা সেরা, আমার দেখা অন্যতম সেরা ব্যাচ। কিন্তু যেই স্ট্যান্ডার্ডের প্রোগ্রাম তারা ডেলিভার করলেন, তা পরবর্তী প্রোগ্রামগুলোর জন্য হুমকিই বলবো। সেক্সুয়াল কন্টেন্ট আর্ট হতেই পারে। কিন্তু সেটা যদি সেভাবে ফুটিয়ে তোলা যায় তবেই এ রকম একটা মঞ্চে মঞ্চস্থ হতে পারে। আপনারা যা করলেন ভাই, তা আর্ট ও হয় নাই, সেক্স ও হয় নাই। মানে কোনো দিক দিয়ে এটা মজারও ছিলো না আবার **** সুরসুরিও দেয় নাই।’

তবে ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের আয়োজনকে সমর্থন করেও ফেসবুকে ঝড় তুলেছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।

জাবিতে র‍্যাগ উৎসবের নাচ ঘিরে ‘শ্লীল-অশ্লীল’ বিতর্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাজু নুরুল লিখেছেন, ‘ধরেন, জাহাঙ্গীরনগরের মুক্তমঞ্চে ওখানকার ছেলেমেয়েরা না, নাচছে ভারতের নোরা ফাতেহী। আবার এইটা বইলেন না যে, নোরা ফাতেহীকে চিনেন না! টিকেটের মূল্য জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা। আজ সেই একই মুক্তমঞ্চে কি তিল ধারনের জায়গা থাকতো? বুকে হাত দিয়া বলেন তো? সিনিয়র থেকে জুনিয়র - পারলে কিডনি বেচে হলেও মুক্তমঞ্চের সিট বুকিং দিতে ঝাপাইয়া পড়তো না?

‘তাইলে কি দাঁড়াইলো ব্যাপারটা? নোরা ফাতেহী ভারত থেকে আইসা কয়েক কোটি টাকা সম্মানি নিয়ে, মোটামুটি প্রেসিডেন্ট লেভেলের নিরাপত্তা বেস্টনিতে থাইকা, প্রায় কিছু না পরে মুক্তমঞ্চে নাচতে পারবে, ওইটা আন্তর্জাতিক মানের হাই ক্লাস শিল্প, কিন্তু জাহাঙ্গীরনগরের রর‌্যাগে, ৪২ ব্যাচের ছাত্রী তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে স্কিন কালারের লেগিংস আর স্লিভলেস ফ্রক পইরা নাচতে পারবে না? সেই নাচ দেইখা আপনার নিচের দিকে ধুকুরপুকুর শুরু হয়ে যাবে? দেশের সংস্কৃতি রসাতলে চলে গেল বলে হায় হায় রব উঠে গেল? কামডা কি ঠিক হইলো বাবাজি?’

তিনি আরও লেখেন, ‘অথচ একই মঞ্চে কম পোশাক পরে একটা ছেলে যখন নাচছে, একটা ছেলে ঠিক না, অনেকগুলো ছেলে যখন নাচলো, ওদের মাসলড শরীরের উপরের দিকে প্রায় সামান্য পোশাক, ওইটা নিয়া আপনার কোনও আপত্তি নাই৷ তার মানে কি এইটা যে, সেক্স ব্যাপারটা শুধু ছেলেদের ডিপার্টমেন্ট? মেয়েরা সেক্সুয়ালি আপিলড হয় না? আর আপনি কিনা দাবি করছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন কিংবা পড়েছেন? স্যরি, নিতে পারলাম না ভাই। কারণ আপনার দাবিখানার সাথে মামুনুল হকদের দাবির যে সঙ্গতি খুঁজে পাচ্ছি আমি? ঠিক এইটাই ওনাদের দাবি না? বহুদিন ধইরা?’

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৩০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ফারদীন ফেরদৌস লিখেছেন, ‘না দেখে বলতে পারছিলাম না। এখন দেখলাম। কোনো সমস্যা দেখছি না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ এর শিক্ষা সমাপনী উৎসব (র‌্যাগ) উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে নাচ হয়েছে। নাচের মতোই নাচ হয়েছে। অবশ্যই নাচটি সমকালীন ও আনন্দকর হয়েছে। সংকীর্ণমনাদের কাছে কোনো নাচই ভালো ঠেকবে না।

‘কিন্তু তারা সবাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওই ড্যান্সটা দেখতেও থাকবে। ইউটিউব/ফেসবুকে সোরগোলও তুলবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘৪২ এর ব্যাপারে আমাদের বাতুলতা খাটে না এইজন্য যে, ওরা ওদের জন্য শিল্পের পসরা সাজিয়েছিল। অন্যদের জন্য নয়। শিল্পের স্বরূপ লক্ষণ হলো আনন্দ। শিল্পবস্তু (কনটেন্ট) যাই হোক না কেন তা থেকে রস আহরণ করাই হল রসিকের কাজ-রসিকজনার বৃত্তি। আমরা যারা মুক্তমঞ্চের ড্যান্স থেকে অশান্তি কুড়াচ্ছি তারা রসিক তো নই-ই, শিল্পকর্মের রসোপলব্ধিতে সহৃদয় সামাজিক মানুষও নই।’

জাবিতে র‍্যাগ উৎসবের নাচ ঘিরে ‘শ্লীল-অশ্লীল’ বিতর্ক

গণিত বিভাগের ৩৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী কৌশিক আজাদ প্রণয় লিখেছেন, ‘আশি বা নব্বই দশকের বাংলা মুভিকেও আমরা সুস্থ বিনোদন বলি। যদি একজন নায়ক ও নায়িকার নাচের দৃশ্যকে সহজভাবে নিতে পারি আর নন্দন সংস্কৃতির আধুনিকতা মানতে পারি, তাহলে এ রকম নন্দন শিল্পের প্রকাশকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেতিবাচক ভাবে দেখার মানে কী?

‘৪২তম ব্যাচের র‍্যাগ উদযাপনে একটা নাচের দৃশ্য দেখলাম। যতদূর দেখলাম ছেলে মেয়ে দুজন তো খারাপ কোরিওগ্রাফি করেনি। আমি জানি না বাকি প্রোগ্রামের কী অবস্থা। যদি কোনো কথা বার্তা বা অন্য কিছুতে অশ্লীলতা থাকে তা সমর্থনযোগ্য নয়। তবে নাচের মূদ্রা বা পোশাককে এভাবে নেতিবাচকভাবে খুঁটিয়ে না দেখে ওদের নির্মাণশৈলীকে বাহবা দেয়া উচিত। আমাদের এই দুই চোখই কিন্তু একই গানে সেলুলয়েড স্ক্রিনে- স্যাটেলাইটে এইরকম কোরিওগ্রাফিকে নান্দনিকভাবেই গ্রহণ করে।’

যার ধারণ করা ভিডিও নিয়ে এত আলোচনা

মুক্তমঞ্চের নৃত্যানুষ্ঠানের আলোচিত ভিডিওটি ছড়িয়েছে একটি ফেসবুক লাইভ থেকে। লাইভটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম আবর্তনের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম জাহিদ।

জাহিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ৪২-এর অনেক বন্ধুরা চাকরি, দেশের বাইরে থাকার কারণে প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতে পারেনি। তারা পুরো প্রোগ্রাম লাইভ করার জন্য রিকোয়েস্ট করেছিল। তাই আমি করেছি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘একটি ভূঁইফোঁড় নিউজপোর্টাল উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার প্রোফাইল থেকে বিনা অনুমতিতে ভিডিওটির একটি অংশ কেটে নিয়ে সস্তা বি গ্রেডের বাংলা গান যুক্ত করে দেয়। সেই ভিডিওটি পরে ভাইরাল হয়।’

জাবিতে র‍্যাগ উৎসবের নাচ ঘিরে ‘শ্লীল-অশ্লীল’ বিতর্ক

৪২তম আবর্তনের র‌্যাগ উৎসবের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক কমিটি ক্যাম্পাস ছাড়াও ক্যাম্পাসের বাইরের এবং দেশের বাইরের দর্শকদের কথা চিন্তা করে এমন আয়োজন করেছিল। আমাদের দর্শকরা মুক্তমঞ্চে পুরোটা সময়ই আগ্রহের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

‘আমাদের প্রোগ্রামের নাচের একটি অংশ এডিট করে বিনা অনুমতিতে প্রচার করা হয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনিগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছি। তারা আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে।’

আলোচনার কেন্দ্রে থাকা শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ

যে নাচটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল বিতর্ক চলছে তাতে অংশ নেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিগার সুলতানা তৃষা ও চারুকলা বিভাগের আসিফ আল নূর রাতুল।

‘পেয়্যার কি ইয়ে কাহানি সুনো’ গানের সঙ্গে নাচে অংশ নেন তারা। এরপর ফেসবুকে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমালোচনা এবং অন্য গানের সঙ্গে ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় তৃষা বেশ ক্ষুব্ধ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রোগ্রাম নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। তবে যারা ভিডিওটি ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

বিষয়টি নিয়ে ৪২ আবর্তনের ‘র‌্যাগ রাজা’ সিফাত আল রাব্বানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নাচটি পরিবেশনের সময় এবং নাচ শেষ হওয়ার পর মুক্তমঞ্চের দর্শকরা কোনো ধরনের বাজে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। এরপর ভিডিওটি যারা প্রকাশ করেছেন তারা ভিডিওটিতে কারসাজি করেছেন, এমনকি গানও পরিবর্তন করেছেন। এটি ক্যাম্পাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে একটি বাজে ভাইব তৈরি করেছে।’

আরও পড়ুন:
ঢাবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে এসবি সদস্য বরখাস্ত
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ২৭ মার্চ থেকে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক কারাগারে
ফেসবুক থেকে আয় হারাল রুশ মিডিয়া
ফেসবুক-টুইটারকে দমাতে এলো ট্রাম্পের ‘ট্রুথ সোশ্যাল’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

তারুণ্য
Eid reunion of 2011 batch at Saitshaila High School

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী ঈদের পরদিন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
ঈদুল ফিতরের পরদিন সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১১ এর শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ঈদুল ফিতরের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সকাল ১১টায় গান-বাজনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে নানা অনুষ্ঠান। দুপুরে ছিল ভুরিভোজের আয়োজন। বিকেলে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান।

সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ ব্যাচের ঈদ পুনর্মিলনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাইটশৈলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম হোসেন। সভাপতিত্ব করেন নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাহবুব উল আলম খান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষিকা রেহেনা জাহান খান, সিনিয়র শিক্ষকমণ্ডলী এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অনেকে।

প্রসঙ্গত, ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাইটশৈলা গ্রামে বিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। এটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও সময় পরিক্রমায় প্রয়োজনের তাগিদে এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

মন্তব্য

তারুণ্য
Eid card making competition

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা

ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা শনিবার মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিযোগিতায় মাগুরা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

‘ঈদ কার্ড বানিয়ে খোলা উদ্যানে, শৈশবে ফিরে যাই নব উদ্যমে’ স্লোগান নিয়ে মাগুরায় ঈদ কার্ড তৈরি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘পরিবর্তে আমরাই’ নামক একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মাগুরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও মাগুরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার মজুমদার।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শফিক, চিত্রশিল্পী আবুল আজাদ ও মনিরুল ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এ প্রতিযোগিতায় শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষও অংশগ্রহণ করেন।

‘পরিবর্তে আমরাই’ সংগঠনের পরিচালক নাহিদুল রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সপ্তম বার্ষিকীতে এ আয়োজন। মাগুরাতে এ সংগঠন বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ নানা উৎসবে আমরা সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছি। মাগুরাতে আমরাই বির্তকের নানা কলাকৌশল শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে থাকি। আগামী দিনে মাগুরায় আরও ভালো কিছু সৃজনশীন কাজ আমরা করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন:
শুনানিতে কমিশনের প্রশ্ন- কোন ধানে কোন চাল
চালের ব্যবসা না থাকার দাবি বসুন্ধরার
বাজার কারসাজি: শীর্ষ আরও ৩৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
র‍্যাম্পে হাঁটায় বদলি ৫ পুলিশ সদস্য
বর্ষা নিয়ে ফাউন্টেন পেন কালচারের প্রতিযোগিতা

মন্তব্য

তারুণ্য
The Iftar of the DU Journalists Association united the Chhatra League Chhatra Dal

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় শুক্রবার ইফতার মাহফিলে পাশাপাশি ছাত্রলীগ (বাঁয়ে) ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়সহ সব দল-মতের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গিয়ে কম হামলার শিকার হতে হয়নি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে। তবে শুক্রবার ছিলো ভিন্ন দিন। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রায় ২০০ নেতাকর্মী প্রবেশ করলেও তারা কোনো বাধার মুখে পড়েননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ইফতারে যোগ দিতে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছেন নির্বিঘ্নে।

এই ইফতার এক ছাদের নিচে এনেছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠনকে। ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেই ফেললেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই দায়িত্ব ছিলো এ ধরনের আয়োজন করার। আর সেই দায়িত্ব পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এজন্য সাংবাদিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানাই।’

ঢাবি সাংবাদিক সমিতির ইফতার এক করল ছাত্রলীগ-ছাত্রদলকে
ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপাচার্যসহ শিক্ষকবৃন্দ অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়সহ সব দলমতের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ইফতার-পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ‘শিক্ষাঙ্গনে সংকট: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক, সমাজ বিশ্লেষক, রাষ্ট্রচিন্তক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মুজাহিদ মাহির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের মতানৈক্য দেখি। ক্যাম্পাসে তাদের সহাবস্থান সেভাবে লক্ষ্য করি না। তবে আজ ডুজার আয়োজনে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনকে আমরা এক ছাদের নিচে আনতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য একটা বিশেষ প্রাপ্তি।

‘ক্যাম্পাসে সবসময় রাজনৈতিক সহাবস্থান বিরাজ করুক, এটাই আমরা চাই। যাতে শিক্ষার্থীরা সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার সুযোগ পায়।’

আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজনের জন্য ডুজার সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘আমরা ডাকসু নির্বাচনকে অস্বীকার করি না। মাননীয় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে কখন ডাকসু নির্বাচন দেয়া যায় তা বিবেচনায় নেয়া হবে।’

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘এখানে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের সবার উপস্থিতি দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। এটি আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যিকার গণতান্ত্রিক চর্চার উদাহরণ।’

মূল আলোচনায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘১৯২১ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল এবং পাকিস্তান আমলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন আনা জরুরি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার উন্নয়ন এবং নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের অবাধ রাজনৈতিক চর্চায় ডাকসুর ভূমিকা রয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের অধিকারও। আমরা বিশ্বাস করি, ছাত্র রাজনীতিকে আরও স্মার্ট ও যুগোপযোগী করতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ভায়োলেন্স অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট, লাইব্রেরি সংকট ও অন্যান্য সমস্যা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়নের অনুরোধ জানান।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রশাসনকে ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক সংগঠনের নিরাপদ ও অবাধ বিচরণের সুযোগ প্রদানের দাবি জানান। তিনি বলেন, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে রাখা হয়েছে, যা আধুনিক যুগের ছাত্র রাজনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আমরা চাই, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডাকসুর নির্বাচন যেন অতিসত্বর দেয়া হয়।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিউজ্জামান ফরিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ডুজা সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তরুণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন যারা পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরছেন। এর সদস্যরা প্রত্যেকে মুক্তমনা, নিরপেক্ষ, অনুসন্ধানী মনোভাব ধারণ করে সাংবাদিকতার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সফলতা, অর্জন ও নানা ইতিবাচক কর্মকাণ্ড দেশ-জাতির সামনে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে সমাধানের উদ্দেশ্যে যৌক্তিক সমস্যাও তুলে ধরেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা এক অনন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে পাচ্ছি। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দল-মত খুবই কাছাকাছি ও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে অবস্থান করছেন। এটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের খুবই প্রত্যাশিত এক চিত্র। নিঃসন্দেহে এই শিক্ষাঙ্গনকে ঘিরে জাতির যে প্রত্যাশা সেটি আরও বাড়িয়ে দেবে।’

ইফতার-পূর্ব এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান, নীল দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ এবং সাংবাদিক সমিতির সাবেক সদস্য ও নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি (একাংশ) রাগীব নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি শাখার সাবেক আহ্বায়ক জাবির আহমেদ জুবেল, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সদস্য সচিব নাহিদ হাসানসহ সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

তারুণ্য
Protest mass iftar in Jabi

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার

জাবিতে প্রতিবাদী গণ-ইফতার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বুধবারের গণ-ইফতারে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন। ছবি: নিউজবাংলা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এই গণ-ইফতারের আয়োজন করা হয়।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি আয়োজন নিষেধের বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদ জানিয়ে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৪৯তম আবর্তনের (২০১৯-২০২০ সেশন) শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন।

গণ-ইফতার কর্মসূচি আয়োজকদের একজন গণিত বিভাগের ৪৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী শাফায়েত মীর বলেন, ‘দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় আবেগ ইফতার মাহফিল নিষিদ্ধ করার যে দুঃসাহস দেখিয়েছে তারই প্রতিবাদে আজকের এই আয়োজন। যারা অসাম্প্রদায়িক দেশে এমন সাম্প্রদায়িক আচরণ করেছে তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই।’

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সবাই মিলে উৎসবমুখর পরিবেশে যুগ যুগ ধরে ইফতার পার্টি হয়ে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেশের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সে রেওয়াজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মুসলিম উম্মাহর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা তারই প্রতিবাদ জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারের আয়োজন করেছি।

‘বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ইফতার আয়োজনে অংশ নিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে ধর্মীয় আবেগের ওপর হস্তক্ষেপ এদেশের মানুষ কখনোই পরোয়া করে না।’

আরও পড়ুন:
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
শ্রুতি লেখক পরিবর্তনের অভিযোগে জাবিতে ছয়জনের উত্তরপত্র বাতিল, গ্রেপ্তার ১
জাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার
যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত জাবি শিক্ষক জনি বরখাস্ত

মন্তব্য

তারুণ্য
Who won the Oscar

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

যাদের হাতে উঠলো অস্কার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অস্কার পুরস্কার হাতে সেরা অভিনেতা কিলিয়ান মার্ফি। ছবি: সংগৃহীত
আলোচিত সিনেমা ‘ওপেনহেইমার-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। একই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন কিলিয়ান মার্ফি। আর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। এই আয়োজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চলতি বছরে অস্কার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে।

সেরা ছবি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ‘ওপেনহাইমার’। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পেয়েছেন ‘পুওর থিংস’ সিনেমার এমা স্টোন।

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সম্মানজনক অস্কার জয় করেছেন ‘ওপেনহাইমার’ ছবির কিলিয়ান মার্ফি।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

সেরা অভিনেত্রীর অস্কার পুরস্কার জয়ী এমা স্টোনের প্রাপ্তির কান্না। ছবি: সংগৃহীত

একই ছবিতে অভিনয় করে সহ-অভিনেতা হিসেবে অস্কার পেয়েছেন রবার্ট ডাউনি জুনিয়র। এছাড়া সহ-অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতেছেন ‘দ্য হোল্ডওভারস’ ছবির দা’ভাইন জয় র‌্যান্ডল্ফ।

সেরা পরিচালক হিসেবে এ বছরের অস্কার পেয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান (ওপেনহাইমার)।

লাইভ অ্যাকশন শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য ওয়ান্ডারফুল স্টোরি অব হেনরি সুগারে’।

ধ্বনি ক্যাটাগরিতে অস্কার জিতেছে ‘দ্য জোন অফ ইন্টারেস্ট’-এর টার্ন উইলার্স ও জনি বার্ন।

অরিজিনাল স্কোর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছেন ‘ওপেনহাইমার,’-এর লুডভিগ গোরানসন।

এছাড়া মৌলিক সংগীত ক্যাটাগরিতে ‘হোয়াট ওয়াজ আই মেড ফর?’-এর ‘বার্বি’; ভিজ্যুয়াল এফেক্টস ক্যাটাগরিতে ‘গডজিলা মাইনাস ওয়ান’; চলচ্চিত্র সম্পাদনা ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’ সিনেমার জেনিফার ল্যাম; প্রামাণ্যচিত্র স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য লাস্ট রিপেয়ার শপ’; ডকুমেন্টারি ফিচার ক্যাটাগরিতে ‘২০ ডে ইন মারিউপোল’; সিনেমাটোগ্রাফি ক্যাটাগরিতে ‘ওপেনহাইমার’-এর হোয়েট ভ্যান হোয়েতেমা পুরস্কার জিতেছেন।

যাদের হাতে উঠলো অস্কার

অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ওয়ার ইজ ওভার! ইনসপায়ারড বাই দ্য মিউজিক অব জন ও ইয়োকো’; অ্যানিমেটেড ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’; মূল চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘অ্যানাটমি অব আ ফল’-এর জন্য জাস্টিন ট্রিয়েট ও আর্থার হারারি; অভিযোজিত চিত্রনাট্য ক্যাটাগরিতে ‘আমেরিকান ফিকশন’-এর জন্য কর্ড জেফারসন এবার অস্কার জয় করেছেন।

অন্যান্য ক্যাটাগরির মধ্যে মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলিং-এ ‘পুওর থিংস’-এর নাদিয়া স্টেসি, মার্ক কুলিয়ার ও জশ ওয়েস্টন; প্রোডাকশন ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংস’-এর জেমস প্রাইস, শোনা হিথ ও জুসা মিহালেক; কস্টিউম ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ‘পুওর থিংকস’-এর হলি ওয়াডিংটন পুরস্কার পেয়েছেন।

আর আন্তর্জাতিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাটাগরিতে ‘দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট’ (যুক্তরাজ্য) অস্কার পুরস্কার জিতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন:
অস্কারে প্রতিযোগিতা করার জন্য সিনেমা আহ্বান
অস্কার কমিটিতে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কাজল-সুরিয়া
যার জন্য চড়কাণ্ড সেই স্ত্রীর সঙ্গেই স্মিথের বিচ্ছেদ!
অস্কারে ১০ বছর নিষিদ্ধ উইল স্মিথ
থাপ্পড়কাণ্ড: অ্যাকাডেমি থেকে পদত্যাগ ‍উইল স্মিথের

মন্তব্য

তারুণ্য
Science Festival begins at St Gregorys School

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বৃহস্পতিবার বেলুন উড়িয়ে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেন্ট গ্রেগরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসব। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে এই মেলা।

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের গ্রেগরিয়ান সায়েন্স ক্লাব এই আয়োজন করেছে।

বিজ্ঞান মেলায় সেন্ট গ্রেগরী উচ্চ বিদ্যালয়, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুল, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার্স, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

মেলার ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে অলিম্পিয়াড, সায়েন্স প্রজেক্ট ডিসপ্লে, বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়াল ম্যাগাজিন কম্পিটিশন ও প্রোজেক্ট আইডিয়া প্রেজেন্টেশন। প্রতিটি ইভেন্টের জন্য স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ৫টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির জন্য কিডস গ্রুপ, পঞ্চম-ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য জুনিয়র গ্রুপ, সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির জন্য ইন্টারমিডিয়েট গ্রুপ, নবম-দশম শ্রেণির জন্য সিনিয়র গ্রুপ এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য কলেজ গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেরা সি. এস. সি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোতোয়ালি থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারহানা শাহীন লিপি।

মেলায় প্রায় ২৫০-৩০০টি প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি আয়োজক কমিটি প্রায় ৩৩৫টি পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছে। প্রজেক্টগুলো মূল্যায়ন করবেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ জন শিক্ষক।

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলে বিজ্ঞান উৎসব শুরু

৯ই মার্চ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. শৌকত আকবর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক গ্রেগরিয়ান ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং সিএসআরএম-এর পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

মন্তব্য

তারুণ্য
Bangladesh is showing the way to the world to deal with the climate crisis

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে বাংলাদেশ’ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে বুধবার আলোচনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট। ছবি: নিউজবাংলা
ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট বলেন, ‘জলবায়ু সংকট থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

‘জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ যে সমস্যায় ভুগছে এবং তা থেকে উত্তরণে যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা আগামী দিনে গোটা বিশ্বের সামনে কার্যকর সমাধান হিসেবে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’

বুধবার রাজধানীতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির লেকচার থিয়েটারে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্র্যাক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জেরম ওবেরিয়েট এসব কথা বলেন।

‘টক উইথ স্টুডেন্টস: জেরম ওবেরিয়েট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে লেকচার সেশনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতারা অংশ নেন।

জেরম ওবেরিয়েট এই আলোচনায় বিশ্বের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাকের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন। সে সঙ্গে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পৃথিবীর উন্নয়নের জন্য এখন থেকেই তৈরি হওয়ার পরামর্শ দেন।

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশল নিয়ে কাজ করার বিস্তৃত অভিজ্ঞতা রয়েছে জেরোম ওবেরিয়েটের। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য কৌশলের উন্নয়ন, সম্পদের ব্যবহার এবং কর্মের উৎকর্ষ সাধনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন তিনি।

লেকচার অনুষ্ঠানে ‘এক্সপ্লোরিং ব্র্যাকস ডিসটিংটিভ অ্যাপ্রোচ টু ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যানিটারিয়ান এইড অ্যান্ড গ্লোবাল সলিডারিটি’ শীর্ষক বক্তব্যে ব্র্যাকের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্যক্রমসহ বিভিন্ন দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন জেরম ওবেরিয়েট।

তিনি বলেন, ‘ব্র্যাক এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের ১৬টি দেশে কাজ করছে। ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ এবং মানবিক ক্ষেত্রে একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে ব্র্যাক। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তৈরির মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর করেছে।’

জেরম ওবেরিয়েট তার বক্তব্যে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং প্রশমনসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠান শেষে জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

আলোচনা অনুষ্ঠানের পর জেরম ওবেরিয়েট ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর সৈয়দ মাহফুজুল আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারপাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি গ্রুপ ফটোসেশনেও অংশ নেন।

মন্তব্য

p
উপরে