হুয়াওয়ে ক্লাউডে প্রথম ভার্চুয়াল মানুষ ইয়ুনশেং যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড ও হুয়াওয়ে কনজ্যুমার ক্লাউড সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট ঝ্যাং পিংয়ান।
এ ছাড়া হুয়াওয়ে ক্লাউড স্ট্যাক ৮.১সহ নতুন ১০টি সেবা সম্প্রসারণের ঘোষণা এসেছে হুয়াওয়ে কানেক্ট ২০২১ সপ্তাহে।
সারা বিশ্বে হুয়াওয়ের কর্মপরিধিতে আরও দু’টি অঞ্চলের ব্যাপারেও ঘোষণা আসে এই অনুষ্ঠানে।
ঘোষণা বলা হয়, চার বছরে হুয়াওয়ে ক্লাউডে ২৩ লাখ ডেভেলপার, ১৪ হাজার কনসাল্টিং পার্টনার, ৬ হাজার টেকনিক্যাল পার্টনার যুক্ত হয়েছেন। ক্লাউড থেকে সাড়ে চার হাজার মার্কেটপ্লেস সংশ্লিষ্ট পণ্য উন্মোচন করা হয়েছে।
যা ডিজিটাল রূপান্তরে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানসহ অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য হুয়াওয়ে ক্লাউড গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়ে ডিজিটালাইজেশনের পথে আরও এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানানো হয়।
হুয়াওয়ে ক্লাউডের ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোডাকশন লাইনের ওপর ভিত্তি করে হুয়াওয়ে ক্লাউডে যুক্ত হতে প্রথম ভার্চুয়াল মানুষ– ইয়ুনশেং তৈরি করেছে।
অন্যদিকে দ্রুতগতিতে ইমেজ রেন্ডারিংয়ের ক্ষেত্রে দশ হাজার কোর কম্পিউটিং পাওয়ার সক্ষমতার বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেন্ডারিং বেজ হুয়াওয়ে ক্লাউডে যুক্ত হয়েছে নতুন দুই রিজিওন – উলানকাব ও মেক্সিকো।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ১৭০টির বেশি দেশে ২৭টি ভৌগলিক অঞ্চলে ৬১টি অ্যাভাইলেবিলিটি জোনে (এজে) কার্যক্রম পরিচালনা করবে হুয়াওয়ে ক্লাউড ও এর পার্টনাররা।
অনুষ্ঠানে অপ্টভার্স, এআই সলভার, পাঙ্গু ড্রাগ মলিকিউল মডেল, ব্লকচেইন সার্ভিস ও ফাংশনগ্রাফ ফাংশন কম্পিউটিং সার্ভিসের মতো নতুন প্রযুক্তি উন্মোচন করা হয়।
ঝ্যাং বলেন, ‘৩০ বছরে, পৃথিবীকে সংযুক্ত করে হুয়াওয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ৩০ বছরে ইন্টেলিজেন্ট ভবিষ্যতের জন্য আমরা ক্লাউড ফাউন্ডেশন তৈরি করছি, যেখানে বিশ্বজুড়ে সবার সুযোগ বাড়াতে সেবা হিসেবে কাজ করবে অবকাঠামো, উদ্ভাবনে সেবা হিসেবে কাজ করবে প্রযুক্তি এবং এক সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সেবা হিসেবে কাজ করবে দক্ষতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনে অনেক সুযোগের সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমরা সবাইকে ক্লাউড নেটিভ হিসেবে কাজ করার ও ভাবার আহ্বান জানাই। সবকিছুকে সেবা হিসেবে পেতে ডিজিটাল ও এর সম্ভাবনা উন্মোচন করতে হবে।’
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর অনলাইনে হুয়াওয়ে কানেক্ট আয়োজন করছে হুয়াওয়ে। ‘ডাইভ ইনটু ডিজিটাল’ প্রতিপাদ্যে এ বছর এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হুয়াওয়ে কানেক্ট আয়োজনে ক্লাউড, এআই ও ফাইভজি সকল শিল্পখাতে ব্যবহারে এবং কীভাবে এ প্রযুক্তিগুলো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও কার্যকরী করে তোলার মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার তাদের অষ্টম বার্ষিকী উদযাপন করছে।
ঢাকায় ২০১৬ সালের নভেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার দেশের পরিবহন খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ধীরে ধীরে তাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করে তারা মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়েছে।
উবার বাংলাদেশ গত আট বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্ল্যাটফর্মটি ৭২ লাখেরও বেশি যাত্রীকে সেবা দিয়েছে এবং সাড়ে ৩ লাখ ড্রাইভার-পার্টনারের জন্য আয়ের সুযোগ তৈরি করেছে।
উবার চালকরা গত আট বছরে ১২২ কোটি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন, যা পৃথিবী থেকে চাঁদে প্রায় ৩ হাজার বার যাতায়াত করার সমান।
দেশে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে উবার ১৬ কোটি ৬ লাখ ট্রিপ সম্পন্ন করেছে। এতে বোঝা যায় দেশজুড়ে উবার ব্যবহারকারীদের একটি বিপুল ও ক্রমবর্ধমান সংখ্যা রয়েছে।
একই সঙ্গে সাড়ে তিন লাখ ড্রাইভার-পার্টনার উবার প্ল্যাটফর্ম থেকে আয় করেছেন।
উবার বাংলাদেশ তাদের অষ্টম বার্ষিকী উপলক্ষে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অংশ হিসেবে ‘থ্যাংক ইউ’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের আওতায় উবার শীর্ষ ড্রাইভার-পার্টনার, যাত্রী ও হিরো পার্টনারদের স্বীকৃতি প্রদান ও উদযাপনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রাপথে চালক ও যাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য অন-ট্রিপ থ্যাংক ইউ টোকেন প্রদান।
উবার টপ ড্রাইভার-পার্টনারদের জন্য দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প আয়োজন করেছে। পাশাপাশি শীর্ষ যাত্রীদের জন্য বিশেষ লাইফস্টাইল ভাউচার প্রদান করা হয়েছে।
এই উদ্যোগগুলো কমিউনিটির প্রতি উবারের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। এ বিশেষ স্বীকৃতি উবারের সেবায় সবসময় এগিয়ে থাকা হিরো-পার্টনারদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস বলেন, ‘গত আট বছরে উবার বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। উবার যাত্রীদের চালকদের সাথে সংযুক্ত করে, যারা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মেরুদণ্ড। আমরা আমাদের কমিউনিটির জন্য সেবা উন্নত করতে ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বছরজুড়ে উবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিআরটিএর মতো রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করেছে।
নিরাপদ সড়ক সপ্তাহের অংশ হিসেবে সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উবার একাধিক উদ্যোগ চালু করা করেছে, যা কমিউনিটির প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গভীর দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (সি-মি-উই-৪ বা এসএমডব্লিউ৪) চেন্নাই ও সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এ কারণে রোববার দিবাগত রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১ ডিসেম্বর রোববার রাত ৩টা থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের কাছে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই সময়ে এসএমডব্লিউ৪-এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
গ্রাহকদের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে আইন পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেনেটে পাস হওয়া এই আইন কার্যকর হলে ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুরা টিকটক, ফেসবুকের মতো প্লাটফর্মগুলো ব্যাবহার করতে পারবে না।
অস্ট্রেলিয়ার হাউজে বুধবার ১০২-১৩ ভোটে পাস হওয়ার পর সেনেটে বিলটি ৩৪-১৯ ভোটে পাস হয়।
দেশটির হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভোটে পাস হওয়া এই বিলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা মানতে ব্যর্থ হলে টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, রেডিট এবং এক্স-এর মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ৩৩ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হতে পারে।
বিলটি সমর্থনকারী দলের মধ্যে আছেন দেশটির লিবারেল পার্টির নেতারাও। দলটির সেনেটর মারিয়া কোভাচিচ বলেছেন, ‘বিলটি সরল ও স্পষ্ট। এটি বাস্তবায়নের জন্য সামাজিক মাধ্যম কোম্পানিগুলোকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের শনাক্ত ও তাদের অ্যাকাউন্টগুলো নিজ নিজ প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর আরও অনেক আগেই এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল।’
তবে শিশুদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হলে তা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার ওপর প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করছেন আইনটির সমালোচকরা। কারণ এই আইন কার্যকর করতে ব্যবহারকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে তাদের বয়স ১৬ বছরের উপরে।
বিলটির বিরোধিতা করা কয়েকজন সেনেটর বলেন, এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার জনগণকে বোকা বানাচ্ছে সরকার। নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্যই সরকারের এমন পদক্ষেপ।
শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে আইনটি পাস করা হলেও অনেক শিশু কল্যাণ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শক এর পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা অনেক শিশুকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
তবে প্ল্যাটফর্মগুলো কীভাবে নিষেধাজ্ঞাটি কার্যকর করবে তার নীতিমালা নিয়ে কাজ করার জন্য এক বছর সময় পাবে। এরপরই কার্যকর করা হবে জরিমানা।
তবে ভিপিএন বা অন্য কোনো মাধ্যমে শিশুরা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা শিশুদের জন্য কোনো শাস্তির বিধানও রাখা হয়নি আইনে।
দীর্ঘদিন ধরেই স্মার্টফোনের বাজারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে কে সেরা, তা নিয়ে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা, যার দৌড়ে আছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এ প্রতিযোগিতায় তারা হাঁটছে একটু ভিন্ন পথে।
সম্প্রতি বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ৫০ সিরিজ জেনজিদের মন জয় করতে স্টাইল, সৃজনশীলতা ও বিনোদনের ওপর জোর দিচ্ছে।
ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ এ প্রজন্মের পছন্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এমন সব স্মার্টফোন ডিজাইন করেছে, যাতে তারা ফ্যাশন ও প্রোডাকটিভিটির সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে পায়।
সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ মডেল ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বোল্ড ডিজাইন ও হাই পারফরম্যান্সের একটি দারুণ কম্বিনেশন। এর ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা থ্রিডি কার্ভড স্ক্রিন এটিকে শুধু একটি ফোনের চেয়েও বেশি একটি উচ্চমানের ফ্যাশন অনুষঙ্গে পরিণত করেছে।
ড্রিমি পার্পল, টাইটানিয়াম গ্রে এবং স্লিক ব্ল্যাকের মতো আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসা ডিভাইসটি ক্যাজুয়াল, স্পোর্টি বা এলিগ্যান্ট, যেকোনো লুককেই পরিপূর্ণ করে তোলে,
তবে নকশার ওপর জোর দিলেও ফোনটি স্থায়িত্বের সঙ্গে আপস করেনি।
টাইটান উইং আর্কিটেকচার ফোনটিকে হালকা ও মজবুত করেছে। কর্নিং গরিলা গ্লাস দিয়ে তৈরি স্ক্রিন স্ক্র্যাচ-প্রতিরোধী ও শক-প্রুফ।
জেনজির অ্যাকটিভ ও কনটেন্ট বেইজড লাইফস্টাইলের চাহিদা পূরণের জন্য ফোনটি ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে।
এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
সিরিজটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তির জন্যও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশনের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের কাছে ব্র্যান্ডটির নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারের জন্য স্মার্টফোনটিকে কার্যকর অপশনে পরিণত করে তুলেছে।
একই সঙ্গে এর টাইটান আর্মার প্রোটেকশন ও বিশ্বের প্রথম ৫ বছরের TÜV SÜD ফ্লুয়েন্সি সার্টিফিকেট নিশ্চিত করে যে এটি জেনজির সক্রিয় ও চলমান জীবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাসের সাফল্য হট ৫০ সিরিজের বাকি মডেলগুলোর প্রতিও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
ফোনগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো ।
বিভিন্ন দামে উন্নত ফিচার নিয়ে আসা সিরিজটি স্মার্টফোনকে জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য করে তোলার জন্য প্রশংসিত হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাসের দাম ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। অন্যদিকে হট ৫০ আই, হট ৫০ ও হট ৫০ প্রো বাজারে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকা দামে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:তরুণদের জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স ‘হট ৫০ প্রো প্লাস’ স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাসে সবচেয়ে স্লিম স্মার্টফোন এটি।
তরুণদের চাহিদা মেটাতে ডিভাইসে টাইটানউইং আর্কিটেকচার ডিজাইন যুক্ত করা হয়েছে। এটি এমন এক ডিজাইন, যা স্লিম ও টেকসই বিষয়টিকে একত্র করেছে।
মাঝারি বাজেটের ফ্ল্যাগশিপ অভিজ্ঞতা দিতে স্মার্টফোনটি বাজারে এনেছে ইনফিনিক্স।
ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস বিশ্বের সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি-কার্ভড স্ক্রিন নিয়ে এসেছে যা, ফেদারলাইট উইং ডিজাইনকে আরও উন্নত করেছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট ও কর্নিং গরিলা গ্লাস, যা ফোনটিকে করে তুলেছে সুরক্ষিত, স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী। ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন শক-প্রুফ অভিজ্ঞতা।
টাইটানউইং আর্কিটেকচারের মাধ্যমে ইনফিনিক্স স্লিমনেসের ক্ষেত্রে তৈরি করেছে নতুন মাত্রা। সুপার স্লিম ফোনটি তাই যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। এটি সম্ভব হয়েছে ফোনের কাঠামোটির ফেদারলাইট উইং ডিজাইন এবং টাইটান আর্মার প্রোটেকশনকে সমন্বিত করে তৈরি করার কারণে। ফলে ডিভাইসটি ওজনে হালকা-পাতলা হলেও যথেষ্ট মজবুত।
ভেতরের উপাদানগুলো সূক্ষ্মভাবে সাজানোর ফলে বড় ব্যাটারি ও উচ্চক্ষমতার সব ফিচার যুক্ত করার পর্যাপ্ত স্থান তৈরি হয়েছে।
হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে শক্তিশালী হেলিও জি১০০ প্রসেসর, যা গেমিং এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য দ্রুত ও কার্যকর পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
১৬ জিবি পর্যন্ত র্যাম ও ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সাথে টিইউভি এসইউডি সার্টিফিকেশন থাকায় এটি পাঁচ বছর পর্যন্ত ল্যাগ-মুক্ত পারফরম্যান্স দেবে।
৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারিসহ হট ৫০ প্রো প্লাস ফোনে রয়েছে ৩৩ ওয়াটের অ্যাডভান্সড ফাস্টচার্জ।
ব্যাটারির অবস্থা ভালো রাখার জন্য বাইপাস চার্জিং ও ওভারনাইট চার্জিং প্রোটেকশন সুবিধাও রয়েছে এতে। ব্যাটারিটি প্রায় চার বছর স্থায়ী হওয়ার মতো করে ডিজাইন করা হয়েছে, যা আধুনিক জীবনের চাহিদা পূরণে সক্ষম।
হট ৫০ প্রো প্লাস প্রতিদিনের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম করে ডিজাইন করা হয়েছে। আইপি৫৪ রেটিং প্রাপ্ত ডিভাইসটি ধুলা এবং পানি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ওয়েট ও গ্রিজি টাচ প্রিসিশন ফিচারটি ভেজা বা তৈলাক্ত অবস্থাতেও নির্ভুল টাচক্রিনের সুবিধা দেবে।
স্মার্টফোনটিতে ৫০ মেগাপিক্সেল মূল ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ১৩ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা রয়েছে। এআই নাইট মোড, এআই ফেস ডিটেকশন এবং এআই ভয়েস ক্যাপচারসহ এআইচালিত এসব ফিচার ছবি তোলা সহজ ও সৃজনশীল করেছে।
এআই ভয়েস ক্যাপচার ব্যবহারকারীদের কণ্ঠস্বর দিয়ে টাচ ছাড়াই ছবি তোলার সুবিধা দেয়, যা তাৎক্ষণিক মুহূর্তগুলো সহজে ধরে রাখতে সহায়তা করে।
হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি ইনফিনিক্সের উদ্ভাবনী ক্ষমতার সেরা নিদর্শন, যেখানে পারফরম্যান্স, টেকসই ও স্টাইল সবকিছুই একসাথে পাওয়া যায়।
টাইটানিয়াম গ্রে, ড্রিমি পার্পল এবং স্লিক ব্ল্যাক এই তিন রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।
দেশের বাজারে অফিশিয়াল রিটেইল স্টোর, ব্র্যান্ড স্টোর ও অনলাইনে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ২৩ হাজার ৯৯৯ টাকায়। পাশাপাশি হট ৫০ সিরিজের অন্যান্য মডেল হট ৫০ আই, হট ৫০, এবং হট ৫০ প্রো যথাক্রমে ১৩ হাজার ৯৯৯, ১৬ হাজার ৯৯৯ এবং ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:তন্বী একজন কর্মজীবী মা, যিনি সীমিত আয়ের ওপর নির্ভরশীল। রাজধানীবাসী এ নারী প্রতিদিন অফিস যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করেন, কিন্তু যখন তিনি শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, তখন বাসে যাতাতায় করা তার জন্য খুবই অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে তন্বী যেখানে থাকেন সেখানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পাওয়া দুষ্কর। অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর একটা অটোরিকশা পাওয়া গেলেও চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করেন। তাই তিনি তার সন্তানকে নিয়ে বাইরে বের হলে একটি সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায় খুঁজেন।
অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী মহসিন থাকেন রাজধানীর কল্যাণপুরে। তাকে প্রায়ই বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে যেতে হয়। ভিড় ঠেলে বাসে ওঠার ঝামেলা এড়াতে তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কিন্তু প্রায়ই তিনি তার প্রয়োজনের সময় বাজেটের মধ্যে অটোরিকশা পান না। তাই একরকম বাধ্য হয়েই তিনি কখনও বাসে ওঠেন, আবার কখনও রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরবাইক ব্যবহার করেন।
একজন সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে তিনি নিরাপদ ও কম সময়ে যাতায়াতের উপায় খুঁজছেন।
রাজধানীতে তন্বী ও মহসিনের মতো বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া লোকজনের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে উবার। এ কোম্পানি ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো বর্তমানে তুলনামূলক কম খরচে সিএনজিচালিত অটোরিকশা রাইড সেবা প্রদান করছে।
বাড়ি থেকে যেকোনো সময় রাইড বুক করা এই সার্ভিসটির সবচেয়ে সুবিধার দিক। এ ছাড়াও রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সব ইন-অ্যাপ ফিচার ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন।
রাইডশেয়ারিং সেবা সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেয়। নিরাপত্তা ফিচারগুলোর ভেতর রয়েছে ২৪/৭ জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং, নিরাপত্তা টুলকিট, হটলাইন, ও বিমার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর ফলে উবারের অটোরিকশা সার্ভিস ব্যবহারের সময় যাত্রীরা নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়ার চিন্তাও করতে হয় না।
আরও পড়ুন:যুব সমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
রোববার মোবাইল অপারেটর রবি ও গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে এই আহ্বান জানান তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, টেলিকমিনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
‘অন্তর্বর্তী সরকার ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আন্দোলন হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’
উপদেষ্টা নাহিদ এ সময় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পৃথক বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম এবং গ্রামীণফোনের নতুন চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য