‘বন্ধু’। ছোট এ শব্দের মাঝে মিশে আছে যেন পৃথিবীর সব নির্ভরতা। বন্ধুত্ব মানেই জীবনের সবুজতম সম্পর্ক। বন্ধু মানে দুটি দেহের একটি প্রাণ। আরও সহজ করে বলতে গেলে আত্মার কাছাকাছি যে বাস করে, সেই বন্ধু। সুসময় কিংবা অসময়ের সঙ্গী। কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই বন্ধুত্বের কদর করেন। বলা হয়ে থাকে, যদি বন্ধু হও হাতটা বাড়াও। সেই হৃদয়ের আহবানে মিলেছে সব বন্ধুদের হাত। সত্যিকারার্থেই বন্ধুত্ব এক অদ্ভূত সম্পর্কের নাম। রক্তের হয়তো কোনো লেনদেন থাকে না এ ক্ষেত্রে, তবু সে সম্পর্কের চেয়েও বেশি আবেগের হয়ে ওঠে বন্ধুত্ব।
বন্ধু মানেই বিশেষ কিছু। বন্ধু মানে নির্ভরতা। বন্ধু মানে আনন্দ, প্রাণখুলে আড্ডা আর অম্লমধুর খুনসুটি। সবারই বন্ধু আছে আর বন্ধু থাকলেই দেখা হবে, কথা হবে, হবে অনাবিল আড্ডা। হৃদয়ের সবটুকু আবেগ নিংড়ে, সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে যে জায়গায় কথা বলা যায়, তা হলো বন্ধু। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা নানা কাজে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মধ্যেও মন চায় এই দিনটিতে বন্ধুর হাতে হাত রেখে হাঁটি, মন খুলে জমানো কথাগুলো খুলে বলি বন্ধুদের।
প্রতিবছর আগস্ট মাসের প্রথম রোববার সারা বিশ্বে বন্ধু দিবস পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশেও এখন বন্ধু দিবস পালন হয়। কিন্তু এই বন্ধু দিবসেরও রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ১৯৩৫ সাল থেকেই বন্ধু দিবস পালনের প্রথা চলে আসছে আমেরিকাতে। জানা যায়, ১৯৩৫ সালে আমেরিকা সরকার এক ব্যক্তিকে হত্যা করে। দিনটি ছিল আগস্ট মাসের প্রথম শনিবার। তার প্রতিবাদে পরের দিন ওই ব্যক্তির বন্ধুটি আত্মহত্যা করেন। এরপরই জীবনের নানা ক্ষেত্রে বন্ধুদের অবদান আর তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর লক্ষ্যেই আমেরিকার কংগ্রেস ১৯৩৫ সালে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
পৃথিবীর অসংখ্য দিবসের মাঝে রয়েছে বন্ধু দিবসও। বন্ধুত্বের গুরুত্ব নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে ‘বন্ধু দিবস’। সবাইকে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা। মানুষ স্বভাবতই আড্ডা ও বন্ধুপ্রিয়। পৃথিবীতে অল্পসংখ্যক লোক থাকতে পারে যারা আড্ডা পছন্দ করেন না। বন্ধুত্বের পরিপূরক সম্পর্কের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় যাপিত জীবনের রস। কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে বন্ধুত্বের স্বর্ণালি প্রহরগুলোকে আমরা ভুলতেই বসেছি।
প্রকৃত বন্ধু হলো সে যে অপর বন্ধুর দুঃখে সমব্যথী হয়, সুখকে সমানভাবে ভাগ করে নেয়। বন্ধুত্ব কোনো সূত্রের মাপকাটিতে মাপা যায় না। যে কথাগুলো গুরুজন বা পিতা-মাতাকে বলা যায় না, সে কথাগুলো আমরা প্রাণ খুলে বন্ধুর কাছে প্রকাশ করি। ভালো-লাগা, মন্দ-লাগা, সুখ-দুঃখের কথা বন্ধুর কাছে নির্ভয়ে মন খুলে বলা যায়। বন্ধুত্বের বন্ধনে কোনো স্বার্থ থাকে না। বন্ধুত্ব যতই পুরোনো হয়, ততই দৃঢ় হয়। জীবনের প্রয়োজনেই মানুষ বন্ধু খুঁজে নেয়। তবে এ কথাও ঠিক, সব বন্ধুর গুরুত্ব সমান হয় না। সত্যিকারের বন্ধুত্ব নিয়ে নানান মত থাকলেও একটি ব্যাপারে সবাই একমত- বন্ধু ছাড়া জীবন অসম্ভব।
একজন ভলো বন্ধু হচ্ছে জীবনের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়। ভাবনা, টেনশন, আবেগ, অনুরাগ সব কিছুই বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করা যায়। তুমি আমার পাশে বন্ধু হে একটু বসিয়া থাক...আসলেই এ গানের মতো করে বন্ধুর পাশে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করে দেয়া যায়, সময় কখন ফুরিয়ে যায় তা টেরই পাওয়া যায় না। বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন। এ বন্ধন যেন থাকে চিরকাল। বন্ধুদের সঙ্গে আজ মন হারিয়েছে অজানায়। বলা হয়ে থাকে বন্ধু ছাড়া জীবন কখনোই পূর্ণতা পায় না। সেলফি এখন আমাদের জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ। তাই প্রিয় মানুষদের কাছে পেলে সেলফি তোলা চাই-ই চাই। বন্ধুত্বের মাপকাঠি নিচে নামতে নামতে এতটাই সংকীর্ণ এক কানাগলিতে এসে ঘুরপাক খাচ্ছে, যেখানে বন্ধুত্ব বলতে বোঝায় কেবলই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ। বন্ধুত্বের এমন মধুর বন্ধন স্মৃতি থেকে যেন কখনোই হারিয়ে না যায়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক দিয়েই সেজে উঠুক আগামীর পৃথিবী।
শৈশবে স্কুল ছুটি হলে অনেকেই গাঁয়ের বন্ধুরা মিলে দল বেঁধে নদীতে ঝাঁপাঝাঁপি, বিকেল হলে লুকোচুরি, কানামাছি আর গোল্লাছুট খেলায় কাটিয়েছে। কলেজ জীবনে ক্যাম্পাস কিংবা করিডোরগুলোকে প্রতিদিনই মুখরিত করে রেখেছে নানান গুঞ্জনে। আধুনিকতার স্রোতে অনেকেই হারাতে বসেছেন প্রকৃত বন্ধুদের। বন্ধুত্ব এখন আটকে আছে কতিপয় অ্যাপসে। আজকের এই বন্ধু দিবসে শৈশবে খেলার ছলে বেড়ে ওঠা বন্ধুদের বেশ মনে পড়ছে। জীবিকার তাগিদে কর্মের সন্ধানে আজ কে কোথায়। শৈশবের অনেক বন্ধুই হারিয়ে গেছে। এমনি করেই শেষ হয়ে যায় বন্ধুত্ব।
আধুনিক যুগে বন্ধুত্ব ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে দূর তেপান্তরে। গোটা বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে এসেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারছে বন্ধুর সঙ্গে। ফলে বন্ধুত্বের পরিধি আজ বিশ্বময়। যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে বন্ধুত্বের ধরন পাল্টে গিয়েছে বহুলাংশে। যুগ পাল্টালেও বন্ধুত্বের বন্ধন আদি ও অকৃত্রিম। প্রকৃতির চিরন্তন নিয়মে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মানুষে-মানুষে, ছেলে-মেয়েতে, ছাত্র-শিক্ষকে, বাবা-মায়ে, পাড়া-প্রতিবেশীতে। জীবনের পথ পরিক্রমায় শৈশব, কৈশোর, ছাত্রজীবন, কর্মক্ষেত্রে, সংসার ও সমাজজীবনে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে অনেকের সাথে। প্রকৃত ও যোগ্য বন্ধু নির্বাচন একটি সঠিক সিদ্ধান্ত জীবনের জন্য প্রয়োজন। বন্ধু নির্বাচনে ভুল করলে জীবনে ছন্দপতন ঘটে। ছেলে-মেয়ে প্রত্যেকেরই উচিত সঠিক ও যোগ্য বন্ধু নির্বাচন করা। তবে কোনো বাঁধাধরা নিয়মে নয়, বন্ধুকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে হলে তাকে বন্ধুত্বের রাখিবন্ধন করে রাখতে হবে।
সব থেকে বড় কথা, এই বন্ধুত্বের মাঝে মানুষ আশায় রঙিন স্বপ্ন দেখে। কখনো মারাত্মক হতাশ হয়ে নিরাশার পাহাড় মাথায় নিয়ে উল্টে পড়তে বসে। পালিয়ে বাঁচতে চায় জীবন থেকে। তখন বন্ধুত্ব আর বন্ধু শব্দটাই কেন যেন অসহ্য মনে হতে থাকে। তাই মনে হয় সব থেকে কঠিন হচ্ছে বন্ধুত্বের বিষয় আর মাত্রাজ্ঞান। স্কুলজীবনে ধীরে ধীরে এই বন্ধুত্বের মাত্রা পরিবর্তন হতে শুরু করে। কিন্তু লক্ষ করলে খুব অবাকই লাগে কেননা একসময় সবাই বন্ধুত্ব করতে চেষ্টা করেছে ক্লাসের প্রয়োজনে। ঠিক কিছুদিন পর স্কুলজীবনের শেষে ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর আবার সেই স্কুলের মতো প্রয়োজনেই। কিন্তু সত্যি বলতে সেই বন্ধুত্ব বেশি দিন টেকেনি। আর বন্ধুত্বের লিঙ্গবৈষম্যের ক্ষেত্রে জটিলতাটা একটু মনে হয় বেশি। একটি ছেলে ও একটি মেয়ের বন্ধুত্ব খুব সুন্দরভাবে ততদিন ঠিকই এগিয়ে যায়, যতদিন তারা একে অপরের ওপর আস্থাশীল না হয়। বিষয়টি অবাক হওয়ার মতো হলেও সত্য। বিশেষ করে এখনকার সমাজে একটি ছেলে ও মেয়ে বন্ধু হতে পারে। কিছুদিন পর এই বন্ধুত্ব যখন আরও ঘনিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে, একসময় তা বর্ষকালের পরিপক্ব দোপাটি ফুলের মতো ফেটেছিটে যেতে সময় নেয় না।
সারা পৃথিবীতে দিবসটি নিয়ে মাতামাতি হলেও অনেক দেশ রয়েছে যেখানে বন্ধু দিবস হিসেবে কোনো আলাদা দিবস পালিত হয় না। তবে বন্ধুত্ব আর আড্ডা কেবল সময় নষ্ট আর বখাটেপনা নয়। এই বন্ধুত্ব হতে পারে নির্মল বিনোদনের উৎস। এই বন্ধুত্ব হতে পারে সৃষ্টিশীলতার সূতিকাগার। আর উন্নয়নের শপথ নিয়ে একুশ শতকের বিশ্বে এগিয়ে যেতে গেলে এ ধরনের বন্ধুত্বটা অনেক জরুরি। এখানে বয়স আর লিঙ্গগত সমতা আর চাহিদা থেকে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য যদি থাকে সৎ আর চিন্তাধারা যদি হয় সৃষ্টিশীল, তবে এই ধরনের বন্ধুত্ব নিজের দেশ ও দশের জন্য হবে মঙ্গলজনক। কিন্তু বিপরীত ধারায় চলতে গিয়ে সমাজের প্রচলিত রীতি ভাঙার কৃৎকৌশলে যদি কারও মূল চিন্তা হয়ে থাকে তবে তা ভিন্ন কথা। দিবস পালন হোক বা না হোক, বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হোক এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা। সবাই হানাহানি আর বৈরিতা ভুলে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করুক এই হোক একুশ শতকের অঙ্গীকার।
রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধারের পর একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। ওই বাড়িতে থাকা ‘ডক্টর ইংলিশ’ নামের একটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বাড়িটি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনীর ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির একটি দল।
অভিযানে সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর একটি সূত্রে জানা গেছে, ডক্টরস ইংলিশ নামের ওই প্রতিষ্ঠান থেকে দুটি বিদেশী এয়ার গান, একটি রিভালবার, একটি কার্তুজ, তিন বক্স ইয়ারগান শিশা, দেশীয় অস্ত্র, জিপিএস, ওয়াকিটকি, বাইনোকুলার, বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম, মাদকদ্রব্যসহ আরো বহু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত ৪০ ইস্ট বেঙ্গলির কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করেনি।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযান সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি কোন তথ্য জানেন না। তবে তারা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বিস্তারিত জানানো হবে।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমী আজ। দেশের হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাদের আরো বিশ্বাস, দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে-যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে নেমে আসেন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন।
এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
দিনটি উপলক্ষ্যে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে আয়োজিত গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করবেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মিশন। বিকেল ৩টায় পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন হবে। এই ঐতিহাসিক মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এছাড়াও নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এই ঐতিহাসিক মিছিল প্রতি বছরের মতোই জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, বঙ্গবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুরোনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
এদিকে পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আয়োজিত হবে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এ উপলক্ষে (১৪ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত) চার দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নাটক কীর্তন মেলা ।
খুলনায় কৃষি ব্যাংকের পূর্ব রূপসা শাখা থেকে লকার ভেঙে প্রায় ১৬ লাখ টাকা লুট করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে এ লুটের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ব্যাংক বন্ধ ছিল। রাতে পাহারাদার ছিল না। এরপর গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নিরাপত্তা প্রহরী ব্যাংকের কলাপসিবল গেটের তালা কাটা দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি বুঝে রূপসা থানায় জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
স্থানীয়রা বলছেন, ব্যাংকের ওই শাখায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে ১৬ লাখ টাকা গায়েব হয়ে গেছে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পর থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা ব্যাংক থেকে এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের কোনোপ্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতরাতে (বৃহস্পতিবার) ব্যাংকে কোনো প্রহরী ছিল না। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে।’
সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ কিংবা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বার্নামার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টা। সম্প্রতি মালয়েশিয়া সফরে গিয়ে বার্নামাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘না, আমি এমন লোক নই। আমার এমন কোনো সুযোগ নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, সংস্কারের যে লক্ষ্য নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে সেটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তার কাজ।
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে আমরা অনেকটা পথ এসেছি। এই আগস্টে আমরা আমাদের প্রথম বছর সম্পন্ন করেছি এবং আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, তার অন্যতম বড় অর্জন হলো ঐকমত্য কমিশন গঠন করা। যেটি ১১টি সংস্কার কমিশনের ওপর ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সংস্কার প্রতিবেদন এ মাসের শেষের দিকে দিতে পারে। যার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা গঠন করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এটির শেষ দিকে আসছি। সম্ভবত এ মাসের শেষ দিকে, আমরা ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদন পাব।’
এই ঐকমত্য কমিশনকে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর ও অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে সম্মতি আদায়েরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয়ে, আপনার একটি ঐকমত্য প্রয়োজন। সংসদ এককক্ষ বিশিষ্ট নাকি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট হবে— এটি নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।’
দেশ এখন সঠিক পথে যাওয়ায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তুত বলেও জানান তিনি। আর এবারের নির্বাচনটি আগের তিনটি ‘মিথ্যা’ নির্বাচনের চেয়ে ভালো হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বছর পর প্রথমবারের মতো, জনগণ একটি নির্বাচন পাবে। কারণ আগের নির্বাচন গুলো ছিল ‘মিথ্যা’ নির্বাচন। কেউ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মানুষ জানে না ভোটকেন্দ্রে কি হয়েছে।’
যেসব লাখ লাখ ভোটার হাসিনার আমলে ভোট দিতে পারেননি তাদের জন্য এবারের নির্বাচনটি অনেক বড় হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সিঙ্গাপুরভিত্তিক চ্যানেলনিউজএশিয়া (সিএনএ) টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আবার পুরোনো সমস্যাগুলো ফিরে আসবে।
সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন, সেগুলো অর্জনের কাছাকাছি পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচন যদি বৈধ না হয়, তাহলে এর কোনো অর্থ নেই। আমার কাজ হলো এমন একটি গ্রহণযোগ্য, পরিষ্কার ও আনন্দদায়ক নির্বাচন নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রায় আমাদের লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে গেছি। বহু বিষয় সংস্কার প্রয়োজন, কারণ যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছিল তা দুর্নীতিগ্রস্ত, অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগে ভরা।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আগস্টে হাসিনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান এবং তার অনুপস্থিতিতে বিচার শুরু হয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দমনে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বাংলাদেশ তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ করলেও দিল্লি সাড়া দেয়নি।
ইউনূস জানান, হাসিনা যেন বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ না পান, সে বিষয়ে ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা বলেছি, আপনারা তাকে রাখুন, আমাদের বিচার চলবে। কিন্তু তিনি যেন দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো সুযোগ না পান।
শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ছিল ঘনিষ্ঠ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আঞ্চলিক কূটনীতিতে ঢাকার অবস্থান কিছুটা বদলেছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত। মার্চে ইউনূস বেইজিং সফর করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, আমাদের পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক আছে, ভারতের সঙ্গেও আমরা ভালো সম্পর্ক চাই। এটা শুধু চীনের জন্য নয়—ভারত বা অন্য যে কেউ এর সুযোগ নিতে পারে।
বিপ্লবের পর নেতৃত্বে আসা ৮৫ বছর বয়সী ইউনূস জানান, প্রথমে তিনি দায়িত্ব নিতে চাননি। কিন্তু ছাত্রনেতাদের অনুরোধ এবং জনগণের ত্যাগ তাকে রাজি করায়। নির্বাচন শেষে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান।
শেষে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ আর পথভ্রষ্ট হবে না। যুবসমাজ যেন ভোট দিয়ে তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা ব্যালট বাক্সে তুলে ধরে। আমি চাই, একটি ভালো সরকার আসুক এবং তা গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলুক।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে ফুটবল খেলা কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার বিকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা বীরাঙ্গনা কাঁকন বিবির মেয়ের জামাই আব্দুল মতিন ও একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আকবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকালে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে আব্দুল মতিন ও আকবর গুরুতর আহত হন। এসময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন, তাদের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সিলেটের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাতেই জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল এ তথ্য নিশ্চিত করে। এতে জানানো হয়, গত দুই দিনে মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথরের অর্ধেক ইতিমধ্যে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পর্যায়ক্রমে সাদাপাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পাথর ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলে এসব লুট হওয়া পাথর লুকিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাটিচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়।
এর মধ্যে সাত ট্রাক পাথর ইতোমধ্যে সাদাপাথর এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা আজ শনিবার ফেরত পাঠানোর হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির।
এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন স্পট জিরো পয়েন্ট থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছে।
পিয়াইন নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পূনরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষে জাফলং জিরো পয়েন্টে নৌকা দিয়ে ফেলা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘জাফলংয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে বৃষ্টির মধ্যে কিছু পাথর সরিয়ে ফেলছিল। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নিই। এরপর থেকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ ও বিজিবির টহল অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখান থেকে যে পাথরগুলো সরানো হয়েছে আমরা সেই পাথরগুলো খুঁজে বের করে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি।’
তবে পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’
শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আজ (শনিবার) বন্ধ রয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
হিলি কাস্টমস সিএঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফেরদৌস রহমান জানান, আজ শনিবার সারা দেশে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন করছে। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামীকাল (রবিবার) থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রীরা বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচল করতে পারবেন।’
এ বিষয়ে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন জানান, সরকারি ছুটির কারণে আজ কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে। তবে আগামীকাল থেকে কাস্টমস অফিস খোলাসহ পণ্য আমদানি-রপ্তানিও পুনরায় শুরু হবে।
মন্তব্য