একাডেমিতে আমি সবচেয়ে ছোট ডর্মে থাকতাম যার সদস্যসংখ্যা ছিল মাত্র ছয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সেই ২০১২ সালে পাসিং আউটের পর এই ৯ বছরে আমরা ছয় জন ডর্মমেট এখনও একত্র হতে পারিনি। চার বা তিনজন একসঙ্গে বসতে পেরেছি বেশ কয়েকবার কিন্তু ছয়জনের একসঙ্গে বসার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।
জাহাজিদের একটা বড় অপ্রাপ্তি হলো কাছের মানুষের সঙ্গে সম্মিলিত হতে না পারা, সামনাসামনি দেখা করার সুযোগ না পাওয়া। একবার জাহাজি জীবন শুরু করলে নিজেদের গেট-টুগেদারের সুযোগ থাকে না বললেই চলে।
একাডেমিতে আমি সবচেয়ে ছোট ডর্মে থাকতাম যার সদস্যসংখ্যা ছিল মাত্র ছয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, সেই ২০১২ সালে পাসিং আউটের পর এই ৯ বছরে আমরা ছয়জন ডর্মমেট এখনও একত্র হতে পারিনি। চার বা তিনজন একসঙ্গে বসতে পেরেছি বেশ কয়েকবার কিন্তু ছয়জনের একসঙ্গে বসার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।
অথচ প্রায় দুই বছর ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত ওদের সঙ্গেই ২৪ ঘণ্টা কাটিয়েছি। নাশতা, লাঞ্চ, ডিনার থেকে শুরু করে একসঙ্গে কত পিটি, প্যারেড, ফ্রন্ট রোল, সাইড রোল দিয়ে ঘাম ঝরিয়েছি! আজ আমি জাহাজে তো আরেকজন ডাঙায়, আমি চিটাগাং তো আরেকজন ঢাকায়, আমি এশিয়ায় তো আরেকজন আফ্রিকার কেনিয়ায়! এই দেশ-বিদেশের দুষ্টচক্র থেকে জাহাজিদের রেহাইও মেলে না, দেখাও হয় না।
উপরের ছবিটি ২০১২ সালে একাডেমি থেকে কক্সবাজার এক্সকারশনে গিয়ে তোলা। আমি নিশ্চিত এই ছবির এক-তৃতীয়াংশ ব্যাচমেটকে আর একত্র করা সম্ভব হবে না। অন্তত আগামী ১৫ বছরে তো না-ই। ফেসবুক আর ফেসবুক গ্রুপের কল্যাণে মোটামুটি সবার আপডেট পাওয়া যায় এটাই সান্ত্বনা। অন্য কোনো প্রফেশনের ব্যাপারে ঠিক কতটা জানি না, তবে মেরিনারদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রিয় ব্যাচমেট, জুনিয়র, সিনিয়রদের অবস্থা-অবস্থান জানতে ফেসবুকের মতো যোগাযোগমাধ্যমের বিকল্প নেই আমাদের যাযাবর জাহাজিদের জীবনে।
আমি মাঝে মাঝে ৩০-৪০ বছর আগের মেরিনারদের কথা ভেবে শিউরে উঠি। কীভাবে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়া তারা জাহাজে কাটিয়েছেন। পোর্টে এলে এজেন্ট দিয়ে দেশে চিঠি পাঠানোর নাকি সুযোগ ছিল তখন। এমনও শুনেছি যে, অনেকে জাহাজ থেকে পাঠানো চিঠি নিজে দেশে আসার পর রিসিভ করেছেন! আল্লাহর বিশেষ রহমত যে, এখন যোগাযোগ করা অনেক সহজ, দুনিয়া অনেক ছোট। আগের মতো জাহাজে জয়েন করলে একেবারে বিচ্ছিন্ন হতে হয় না।
এই ছবিতে আমাকে খুঁজে পেলাম না। ছবির একদম ডান দিকে মিরাজ, মাসুদ, নাজমুল আর বামে মুনতাসির, নকীব, শাওন। ছবিতে সবাই এত কাছাকাছি অথচ আজ একে অন্যের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে। কে জানে এই ছবিতে না থাকারাই আমাদের ছেড়ে যাওয়া প্রথম ব্যাচমেট সজীবের পরপারের প্লাটুনে আগে যোগ দেবে কি না!
সম্প্রতি সজীবের একাকিত্ব ঘুচাতে ওয়াহিদ ওর সঙ্গে যোগ দিয়েছে, কাকতালীয়ভাবে ওয়াহিদ এই ছবিতে নেই! সজীব প্লাটুনের ইনচার্জ হওয়ায় ওর একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে আমাদের মধ্যে ও সবচেয়ে তরুণ চেহারার থাকবে। আমরা ওকে একবার দেখে চিনতে পারলেও সজীব হয়তো আমাদের কারও কারও দাঁত ছাড়া, কুঁচকানো চামড়ার ভঙ্গুর চেহারা দেখে চিনতে পারবে না। সেখানে নতুন করে একে অন্যকে সজীবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। আরে ওর কথা মনে নেই তোর? আমাদের ব্যাচের বেস্ট অ্যাথলেট মাসুদ! এ তো আমাদের ব্যাচের একমাত্র বডি বিল্ডার ইমতিয়াজ! ওকে চিনতে পারছিস না? ফোর টপের সদাহাস্যোজ্জ্বল ক্যাডেট ক্যাপ্টেন ইসতিয়াক...
ওপারের প্লাটুনে গিয়ে দেখা হবার আগে আরেকবার এসব আত্মার আত্মীয়দের সান্নিধ্যে আসার খুব ইচ্ছা। সবাই একত্র হয়ে আবারও গাইব সে গান যা শুনতে শুনতে বিদায় নিয়েছিলাম একাডেমি থেকে...
‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা; সে কি ভোলা যায়?
আয়, আরেকটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়
মোরা সুখের-দু:খের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়...’
লেখক: এক্স-ক্যাডেট, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (৪৭তম ব্যাচ)
মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের জন্য এ বছর ২ হাজার শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছে ভারত। এর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’-এর আওতায় বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করে। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়।
২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন এই প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষার্থী বাছাইয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।
শ্রেষ্ঠ হওয়ার পর শামিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশ স্কাউটসের সাথে যুক্ত থেকে সামাজিক সেবামূলক কাজ করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা কলেজে পড়ার পর পূরণ হয়েছে। আগামীতেও রোভারের সাথে যুক্ত থাকতে চাই।’
রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট হয়েছেন নওগাঁর শামিম আহমেদ। তিনি দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা শেষ বর্ষের ছাত্র।
শনিবার বিকেলে গাজীপুরের বাহাদুরপুরে রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৪৪তম বার্ষিক কাউন্সিল সভায় শ্রেষ্ঠ রোভার স্কাউট, ইনোভেটিভ ও পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
শামিম আহমেদ দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে সিনিয়র রোভার মেট, ২০১৮-২০১৯ সালে জেলা সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চলের রংপুর বিভাগীয় সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শ্রেষ্ঠ হওয়ার পর শামিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাংলাদেশ স্কাউটসের সাথে যুক্ত থেকে সামাজিক সেবামূলক কাজ করার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা কলেজে পড়ার পর পূরণ হয়েছে। আগামীতেও রোভারের সাথে যুক্ত থাকতে চাই।’
অ্যাওয়ার্ডের জন্য ১০ ক্যাটাগরিতে ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করে অ্যাওয়ার্ড সুপারিশ কমিটি তাকে মনোনীত করে। যার মধ্যে ছিল আপডেট লগবই, আপডেট আমার স্কাউট রেকর্ড বই সেবাদানের তথ্য, পূর্বে প্রাপ্ত অ্যাওয়ার্ড, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ক্রু-মিটিং কার্যক্রম, ইউনিট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, জেলা অঞ্চল ও জাতীয় পর্যায়ের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ, অন্যান্য সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলি ও ইনোভেটিভ কার্যক্রম।
এর আগে ২০১৮ সালে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৯ সালে নম্বর টু দ্য ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পান শামিম।
বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে দুই হাত বেঁধে রাখ হয় কিশোরের। ছবি: নিউজবাংলা
পরিস্থিতি দেখে যে কারও মনে হতে পারে, নির্যাতন করা হচ্ছে ওই কিশোরকে। তবে প্রশ্ন করে জানা যায়, এটা তার জন্মদিনের ‘উদযাপন’। রাত ১২টার পরই ১৫ বছরে পা দেবে সে, আর সেই উপলক্ষ উদযাপনে বন্ধুদের সঙ্গে এই আয়োজন।
রাজধানীর ধানমন্ডির শঙ্কর বাসস্ট্যান্ড। বুধবার রাত সাড়ে ১১টা। কয়েক গজ দূর থেকে দেখা যাচ্ছে ১৪ বছরের এক ছেলেকে ঘিরে হল্লা করছে একদল কিশোর।
কাছ থেকে দেখতে এগিয়ে যান নিউজবাংলার প্রতিবেদক। দেখা গেল বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে দুই হাত বাঁধা ওই কিশোরের। তাকে ঘিরে থাকা বাকি কিশোরেরা যে যার ইচ্ছেমতো গায়ে মেখে দিচ্ছে ডিম, ময়দা, পানি, এমনকি রাস্তার ধুলোবালি।
পরিস্থিতি দেখে যে কারও মনে হতে পারে নির্যাতন করা হচ্ছে ওই কিশোরকে। তবে প্রশ্ন করে জানা যায়, এটা তার জন্মদিনের ‘উদযাপন’। রাত ১২টার পরই ১৫ বছরে পা দেবে সে, আর সেই উপলক্ষ উদযাপনে বন্ধুদের সঙ্গে এই আয়োজন।
প্রশ্ন করে জানা যায়, এ ধরনের উদযাপন শুধু তারই হচ্ছে না, এর আগে তার বাকি বন্ধুদের জন্মদিনও পালন হয়েছে একইভাবে।
উদযাপন নিয়ে রাস্তার পাশে হাত বাঁধা বার্থডে বয় ধুলো, ময়দায় ঢাকা মুখে নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আমাদের সব বন্ধুদের জন্মদিন আসলে এমনটাই করা হয়।’
বন্ধুকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে কেন জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তার এক বন্ধুর বক্তব্য ছিল এ রকম, ‘জন্মদিনে বার্থডে বয়ের নড়াচড়া বা কথা বলতে নেই। সে যাতে আনন্দে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে সে জন্য তাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তারপর মজা আর মজা।’
কথায় কথায় জানা যায়, এসব কিশোরের সবার দিনরাত কাটে রাস্তারই ধারে, তাই জন্মদিনের আয়োজনেও নেই কোনো ‘ঘরোয়া’ বিশেষ উৎসব।
বার্থডে বয়-এর বন্ধু বলছিল, ‘শুধু আনন্দের জন্য আমরা এমনটা করি। অন্যদের মতো ঘটা করে কিছু করা আমাদের হয় না। তাই নিজেদের সামর্থ্যমতো মজা করি।’
দুর্ঘটনা ঘটলে কী হবে, প্রশ্ন করলে কিশোরের জবাব, ‘দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনা, কিন্তু মজা তো করতেই হবে।’
কমনওয়েলথের বিচারে এ বছর সেরাদের সেরা তরুণ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ফয়সাল ইসলাম। ছবি: সংগৃহিত
প্রান্তিক মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন থেকে ফয়সাল ইসলাম শুরু করেন তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স সেবা। গড়ে তোলেন সেইফহুইল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ফয়সালের তারুণ্যের শক্তিকে স্বীকৃতি দিল বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনৈতিক জোট কমনওয়েলথ।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মারা গেছেন প্রিয় বন্ধু। অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়নি তাকে, দেয়া যায়নি চিকিৎসা। এ ঘটনায় ভীষণ মুষড়ে পড়েন ফয়সাল ইসলাম। আর সেখান থেকেই আসে নতুন ভাবনা।
প্রান্তিক মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন থেকে শুরু করেন তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্স সেবা। গড়ে তোলেন সেইফহুইল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। নামমাত্র খরচে সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি মেডিক্যাল সেবা দিচ্ছে সেইফহুইল।
ফয়সালের তারুণ্যের শক্তিকে স্বীকৃতি দিল বিশ্বের প্রভাবশালী রাজনৈতিক জোট কমনওয়েলথ। তাদের বিচারে এ বছর সেরাদের সেরা তরুণ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের ফয়সাল।
বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেলে কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ‘কমনওয়েলথ ইয়াং পারসন অফ দ্য ইয়ার’ হিসেবে ফয়সালের নাম ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের ফয়সাল ইসলাম তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন। সেইফহুইল নামের তার প্রতিষ্ঠানে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা এখন ১০টি। গ্রামীণ জনপদে হাজারও মানুষকে নামমাত্র মূল্যে সেবা দিচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই তরুণ বলেন, ‘কমনওয়েলথের এই মর্যাদাপূর্ণ পদক জিতে আমি নিজেকে খুব সম্মানিত মনে করছি। এই স্বীকৃতি সেইফহুইলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
এই স্বীকৃতির জন্য মনোনীত তালিকার সবাইকেই যোগ্য মনে করেন ফয়সাল। পুরস্কার জয়ের পর বাবা, মা, বোন আর সেইফহুইল সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এ সময় ফয়সাল স্মরণ করেন তার প্রিয় বন্ধুকে, যিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন।
কমনওয়েলথ তার কাজকে এগিয়ে নিতে দিয়েছে পাঁচ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। আর সঙ্গে আছে পদক ও সম্মাননা।
এই পুরস্কারের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের মধ্যে ৪৩ দেশ থেকে এক হাজার আবেদন পড়ে। যাচাইবাছাইয়ের মধ্য দিয়ে ২০ জনকে নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা করে সংস্থাটি।
এশীয় অঞ্চল থেকেও সেরা তরুণ হয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন ফয়সাল। আর আফ্রিকা অঞ্চল থেকে সেরা হয়েছেন সিয়েরা লিওনের জেরেমিয়া থোরোঙ্কা; ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে গ্রানাদার বেভন চ্যাডেল চার্লস; ইউরোপ ও কানাডা অঞ্চল থেকে যুক্তরাজ্যের সিয়েনা কাস্টেলন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামোয়ার মাসেলিনা লুটা।
তাদের প্রত্যেককে তিন হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড করে দিয়েছে কমনওয়েলথ।
এদের বাইরে সেরা বিশে আরও ছিলেন এশিয়া থেকে ভারতের এলিনা আলম, পাকিস্তানের সৈয়দ ওমর আমির ও মালয়েশিয়ার মোগেশ সাবাবাথির।
আফ্রিকা অঞ্চল থেকে ছিলেন কেনিয়ার আব্দুলরেহমান আলউই, নাইজেরিয়ার ওয়াদি বেন- হিরকি, জাম্বিয়ার নাওয়া জো সিলিশেবো।
ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে ছিলেন বার্বাডোসের তাহির বুলবুলিয়া, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডউসের চার্লস ও গায়ানার জুবিলান্তে কাটিং।
ইউরোপ ও কানাডা অঞ্চল থেকে সাইপ্রাসের দিয়াগো আরমান্দো অ্যাপ্রিকিও, যুক্তরাজ্যের, ব্র্যাডলি হেসলপ ও ইলেনর ম্যাকলনটোশ ছিলেন তালিকায়।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে ছিলেন টোঙার ইলায়সেন লোলোহিয়া মানু, ফিজির শানাল সিভান ও অস্ট্রেলিয়ার টিম লো সুর্ডো।
এদের প্রত্যেকে পাচ্ছেন ট্রফি, সনদপত্র ও এক হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।
কমনওয়েলথের এই আয়োজনে এশীয় অঞ্চলের অফিশিয়াল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। নিজেদের ওয়েববসাইটে খবর প্রকাশের পাশাপাশি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে সংবাদ মাধ্যমটি।
এ বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত এশীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ তাদের প্রচারে ফ্লেয়ার্স, ব্রশিয়ার, প্রেসরিলিজ, ডিজিটাল মিডিয়ায় নিউজবাংলার লোগো ব্যবহার করবে।
গত বছরের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংবাদ পরিবেশনের ব্যতিক্রমী ধরন ও তাৎক্ষণিক তথ্যের নির্ভরশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল পাঠকের মনোযোগ কেড়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সেই সঙ্গে নানা ধরনের অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট অনলাইন এই সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।
সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি থেকে শুরু করে সবচেয়ে প্রান্তিক অবস্থানের মানুষটির জন্য তথ্য, বিশেষত ‘সংবাদ’ এর অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায় টিম নিউজবাংলা।
এই যাত্রায় পাঠক-দর্শকের আস্থা ও ভালোবাসাই নিউজবাংলার সবচেয়ে বড় শক্তি। সামনের দিনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ কনটেন্ট নিয়ে পাঠক-দর্শকের আরও কাছে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কর্মী।
৫৪টি দেশের আন্তর্জাতিক এ জোটের সঙ্গী হওয়াকে অসাধারণ অর্জন হিসেবে দেখছে নিউজবাংলার কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কমনওয়েলথের বৈশ্বিক কোনো কর্মসূচির প্রচার সহযোগী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই অর্জন নিউজবাংলার পেশাদার সাংবাদিকতার একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’
যাত্রা শুরুর পাঁচ মাসের মধ্যেই নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম সঙ্গী হয়েছে বিশ্বের অন্যতম রাজনৈতিক জোট কমনওয়েলথের। জোটের এবারের ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে এশিয়ার সংবাদমাধ্যম হিসেবে মিডিয়া পার্টনার থাকছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমটি।
কমনওয়েলথের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্নোবার আব্বাসি রোববার নিউজবাংলাকে এক ইমেইল বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জোটের ওয়েবসাইটেও তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
৫৪টি দেশের আন্তর্জাতিক এ জোটের সঙ্গী হওয়াকে অসাধারণ অর্জন হিসেবে দেখছে নিউজবাংলার কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র বলেন, ‘কমনওয়েলথের বৈশ্বিক কোনো কর্মসূচির প্রচার সহযোগী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই অর্জন নিউজবাংলার পেশাদার সাংবাদিকতার একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।’
১০ মার্চ হবে এবারের কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২১ অনুষ্ঠান। তবে করোনার কারণে সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া প্রথমবার ভার্চুয়ালি হবে অনুষ্ঠানটি।
পুরস্কারের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত পাঁচটি অঞ্চলের ১৮টি দেশের ২০ তরুণের চূড়ান্ত তালিকা আগেই প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ। এর মধ্যে আছেন স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখা বাংলাদেশের ফয়সাল ইসলামও।
তালিকায় থাকা ২০ তরুণ উদ্ভাবক, অধিকারকর্মী, উদ্যোক্তা সবাইকে দেয়া হবে কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২১। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং নিজ সম্প্রদায়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় দেয়া হবে এ স্বীকৃতি।
এই পুরস্কারের জন্য কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের মধ্যে ৪৩ দেশ থেকে ১ হাজার আবেদন পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে ২০ জনকে চূড়ান্ত করে সংস্থাটি।
২০ জনের মধ্যে আবার আফ্রিকা, ক্যারিবীয়, ইউরোপ, কানাডা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজনকে আঞ্চলিক বিজয়ী ঘোষণা করবে কমনওয়েলথ। এর মধ্য থেকে একজনকে করা হবে ‘কমনওয়েলথ ইয়াং পার্সন অব দ্য ইয়ার-২০২১’।
২০ জনের প্রত্যেকেই পাবেন ট্রফি, সনদপত্র ও ১ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। আঞ্চলিক বিজয়ীরা পাবেন ৩ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড; আর সেরাদের সেরা পাবেন ৫ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।
বাংলাদেশের ফয়সাল ইসলাম তিন চাকার অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আলোচনায় আসেন। ‘সেইফহুইল’ নামের তার প্রতিষ্ঠানে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা এখন ১০টি। গ্রামীণ জনপদে হাজারো মানুষকে নামমাত্র মূল্যে সেবা দিচ্ছে তার প্রতিষ্ঠান।
এ ছাড়া কল্যাণমূলক কাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় পুরস্কার পাচ্ছেন ভারতের এলিনা আলম, পাকিস্তানের সৈয়দ ওমর আমির ও মালয়েশিয়ার মোগেশ সাবাবাথির।
ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে তালিকায় আছেন বার্বাডোসের তাহির বুলবুলিয়া, গ্রানাদার বেভন শ্যাডেল চার্লস, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ডাউসের চার্লস ও গায়ানার জুবিলান্তে কাটিং।
ইউরোপ ও কানাডা অঞ্চল থেকে আছেন সাইপ্রাসের দিয়াগো আরমান্দো অ্যাপ্রিকিও, যুক্তরাজ্যের সিয়েনা কাস্টেলন, ব্র্যাডলি হেসলপ ও ইলেনর ম্যাকলনটোশ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামোয়া থেকে আছেন মাসেলিনা লুটা, টোঙা ইলায়সেন লোলোহিয়া মানু, ফিজির শানাল সিভান ও অস্ট্রেলিয়ার টিম লো সুর্ডো।
কমনওয়েলথের এই আয়োজনে এশীয় অঞ্চলের অফিশিয়াল মিডিয়া পার্টনার হিসেবে নিউজবাংলার ওয়েববসাইটে খবর প্রকাশের পাশাপাশি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
এ বছরের ২০ মার্চ পর্যন্ত এশীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ তাদের প্রচারে ফ্লেয়ার্স, ব্রশিয়ার, প্রেসরিলিজ, ডিজিটাল মিডিয়ায় নিউজবাংলার লোগো ব্যবহার করবে।
গত বছরের ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংবাদ পরিবেশনের ব্যতিক্রমী ধরন ও তাৎক্ষণিক তথ্যের নির্ভরশীল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যেই বিপুল পাঠকের মনোযোগ কেড়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
সেই সঙ্গে নানা ধরনের অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট অনলাইন এই সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছে নতুন মাত্রা।
সমাজের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি থেকে শুরু করে সবচেয়ে প্রান্তিক অবস্থানের মানুষটির জন্য তথ্য, বিশেষত ‘সংবাদ’ এর অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায় টিম নিউজবাংলা।
এই যাত্রায় পাঠক-দর্শকের আস্থা ও ভালোবাসাই নিউজবাংলার সবচেয়ে বড় শক্তি। সামনের দিনে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ কনটেন্ট নিয়ে পাঠক-দর্শকের আরও কাছে পৌঁছাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি কর্মী।
দারুণ এক ট্যুইস্ট রেখেই অসমাপ্ত গল্পের প্রথম পর্ব শেষ করা হবে এবং দর্শকদেরকে পরবর্তী পর্বের গল্প নির্বাচনের জন্য ভোট দেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে।
নতুন ক্যাম্পেইনে ভোক্তাদের পছন্দের ‘ গল্প বলার (স্প্রাইট স্টোরি) বলার সুযোগ করে দিচ্ছে কোকাকোলার লেমন-লাইম স্বাদের জনপ্রিয় কোমলপানীয় স্প্রাইট।
‘ তোমার চয়েসে হোক স্প্রাইটের গল্প ’ শিরোনামে শুরু হওয়া ডিজিটাল ক্যাম্পেইনটির লক্ষ্য তরুণদেরকে সক্রিয়ভাবে ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহণের দারুণ এক সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে স্প্রাইটের সম্পর্ককে আরও জোরদার করা।
অসাধারণ এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে প্রথমে স্প্রাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে একটি চমকপ্রদ অসমাপ্ত গল্পের ভিডিও পোস্ট করা হবে।
এই ভিডিও স্টোরির মূল চরিত্রে থাকবেন বাংলাদেশে স্প্রাইটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ।
দারুণ এক ট্যুইস্ট রেখেই অসমাপ্ত গল্পের প্রথম পর্ব শেষ করা হবে এবং দর্শকদেরকে পরবর্তী পর্বের গল্প নির্বাচনের জন্য ভোট দেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তখন পছন্দের অপশনটিতে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দে অসমাপ্ত গল্পটির পরবর্তী পর্ব বাছাই করতে পারবেন স্প্রাইটের ভোক্তারা।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারীরা স্প্রাইটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের ম্যাসেঞ্জারেও নিজেদের উত্তর লিখে পাঠাতে পারবেন। আর এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের পছন্দের উত্তরের ভিত্তিতে নির্মিত হবে ভোক্তাদের ‘স্প্রাইট স্টোরি’।
এ বিষয়ে নিজের স্প্রাইটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘স্প্রাইটের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত এ ধরনের একটি চমৎকার ও অনন্য ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে আমি রীতিমত রোমাঞ্চিত।‘
‘এখন তরুণ ভোক্তারা এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে কিভাবে তাদের নতুন নতুন আইডিয়া, ভাবনা এবং সৃজনশীল কল্পনাশক্তি দিয়ে গল্পে চমকপ্রদ ট্যুইস্ট এনে দেয়, সেটাই দেখার জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।‘
কোকাকোলা বাংলাদেশের ডিরেক্টর অজয় বাতিজা বলেন, ‘স্প্রাইটের তারুণ্য নির্ভর জীবনীশক্তি কেবল তৃষ্ণা মেটাতেই সাহায্য করে না, উপরন্তু অভিনব আইডিয়া এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতেও ভোক্তাদেরকে উৎসাহিত করে।‘
কোকাকোলা নানা ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজকে শক্তিশালী করে তোলার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দু’টি কর্মসূচি হলো: ‘এভরি ড্রপ ম্যাটারস’ ও ‘ওয়াশ’।
এই দু’টি কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন বা পয়ঃনিষ্কাশন, হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের কার্যক্রম চলছে।
এছাড়া নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কোকাকোলা ‘উইমেন বিজনেস সেন্টার’ নামে ব্যতিক্রমধর্মী ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যা ২০২০ সালের মধ্যে দেশটির
এক লাখ নারীকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মন্তব্য