পৃথিবী সৌরজগতে সূর্য থেকে দূরবর্তী তৃতীয় গ্রহ। অন্যসব গ্রহের মতোই এটি নিজ অক্ষের ওপর ঘুরছে। প্রাণের বিকাশ ঘটা গ্রহটির আকার কমলালেবুর মতো, অর্থাৎ বৃত্তাকার দেহের মেরু দেশ কিছুটা চাপা। এটা একেবারে ছেলেবেলার বিজ্ঞান বইয়ের জ্ঞান।
মজার বিষয় হলো, বিশ্বে এমন অসংখ্য লোক আছেন যারা বিশ্বাস করেন, পৃথিবী গোল নয়, ফ্ল্যাট বা সমতল। তাদের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ হলো, বিজ্ঞান ও আধুনিক মিডিয়া চক্রান্ত করে কখনও দেখাবে না যে, পৃথিবীর আকৃতি আসলে সমতল। এই মত সমর্থন করা তাত্ত্বিকদের নিয়ে দুনিয়া জুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ‘ফ্ল্যাট আর্থারস সোসাইটি’।
এই ফ্ল্যাট আর্থারদের উদ্ভট দাবি যদি সত্যি হতো, অর্থাৎ পৃথিবী যদি সত্যিই সমতল হলে কেমন হতো? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজেছে বিজ্ঞানবিষয়ক জনপ্রিয় সাইট সায়েন্স অ্যালার্ট। পাঠকদের তারা একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছে, সমতল পৃথিবীর বৈশিষ্ট্য কেমন হতো তা নিয়ে।
১. বিদায় নিত অভিকর্ষ
বৃত্তাকার পৃথিবীতে সব জায়গায় সব বস্তুর ওপর অভিকর্ষ বলের প্রভাব সমান। সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষের কোনো প্রভাব থাকতো না। কারণ অভিকর্ষ থাকলে সেটার টানেই পৃথিবী বৃত্তাকার হয়ে যেত।
১৮৫০ এর দশকে গণিতবিদ জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল হিসাব করে দেখান, সত্যিকার অভিকর্ষ বলের ক্ষেত্রে সমতল পৃথিবীর ধারণাটা টেকে না। যে কারণে সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষ বল কাজ না করার সম্ভাবনাই বেশি।
অথবা চাকতি আকৃতির সমতল পৃথিবীতে অভিকর্ষ সবকিছুকে কেন্দ্র বা উত্তর মেরুর দিকে টানবে। তেমনটা হলে, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লামোন্ট-ডর্টি আর্থ অবজারভেটরির ভূতত্ত্ববিদ জেমস ডেভিসের মতে, উত্তর মেরু থেকে আপনি যতটা দূরে থাকবেন আপনার প্রতি চাকতির কেন্দ্রের দিকে সমান্তরাল অভিকর্ষের প্রভাব ততটা বেশি থাকবে। বিশ্বজুড়ে এটা একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
তবে লং জাম্পের বিশ্বরেকর্ড খুব সহজেই ভাঙা যাবে (যদি আপনি উত্তরের দিকে মুখ করে লাফ দেন)।
২. বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব থাকত না
অভিকর্ষ বল না থাকলে চাকতি পৃথিবী এর চারদিক ঘিরে রাখা গ্যাসের স্তর যা বায়ুমণ্ডল নামে পরিচিত, তাকে ধরে রাখতে পারত না। অভিকর্ষের কারণেই এই আবরণটি আমাদের গ্রহকে ঘিরে থাকে। এই সুরক্ষা বলয় ছাড়া পৃথিবীর আকাশের রঙ হবে কালো। কারণ সূর্যের আলো পড়ার পর প্রতিসরিত হওয়ার আর কোনো মাধ্যম থাকবে না, যার কারণে আমাদের বহু পরিচিত নীল আকাশ আর দেখা যাবে না।
বিবিসির সায়েন্স ফোকাসে প্রাণিবিদ লুইস ভিলাজোন লিখেছেন, বায়ুমণ্ডলের চাপ না থাকায় মহাকাশের শূন্যতায় উন্মোচিত হবে গাছ ও সব জীব। নিঃশ্বাস নিতে না পারার কারণে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করবে সব প্রাণি ও উদ্ভিদ।
গ্রহের চারদিকে বায়ুমণ্ডল না থাকলে, পৃথিবীপৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভূত হয়ে মহাশূন্যে উড়ে যাবে। কারণ এর বাষ্পের চাপ পৃথিবীর বায়ুচাপের সমান হলে পানি ফুটতে শুরু করে। নিম্ন বায়ুমণ্ডলের চাপ মানে, পানির স্ফূটনাঙ্কও কমে আসবে।
গ্রহকে উষ্ণ রাখার মতো বায়ুমণ্ডল চারদিকে না থাকলে, ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে ও অবশিষ্ট পানি জমে যাবে।
তবে সবই যে খারাপ হবে তা কিন্তু নয়। গভীর সমুদ্রের কিমোসিন্থেটিক ব্যাকটিরিয়ার মতো অনুজীব, যাদের বেঁচে থাকতে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না, তারা টিকে থাকবে। সে ধরনের ব্যাকটিরিয়াগুলো মহাকাশে যাত্রা করেও ফিরে এসেছে।
৩. বৃষ্টি হতো আনুভূমিক
পৃথিবীর চাকতির কেন্দ্র বা উত্তর মেরুর দিকে যদি অভিকর্ষ বল কাজ করে, তাহলে বৃষ্টিও সেদিকে হবে। এর কারণ হচ্ছে, অভিকর্ষের জন্যে বৃষ্টি পৃথিবীতে পড়ে। একই কারণে অভিকর্ষের টান সবচেয়ে শক্তিশালী যেদিকে হবে, সেদিকেই বৃষ্টিপাত হবে।
একমাত্র চাকতির কেন্দ্রেই বায়ুমণ্ডল আমরা সাধারণ পৃথিবীতে যেমনটা দেখি তেমন আচরণ করবে, অর্থাৎ বৃষ্টি ওপর থেকে নিচে পড়বে। কেন্দ্র থেকে যতটা দূরে যাওয়া যাবে, বৃষ্টি ততটা সমান্তরাল হতে থাকবে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লামোন্ট-ডর্টি আর্থ অবজারভেটরির মতে, নদী এবং সমুদ্রের পানিও উত্তর মেরুতে প্রবাহিত হবে। যার অর্থ বিশাল সমুদ্রগুলো গ্রহের কেন্দ্রস্থলে জমা হবে ও প্রান্তের দিকে কার্যত কোনো পানি থাকবে না।
৪. আমরা সবাই পথ হারিয়ে ফেলতাম
পৃথিবী চাকতির মতো হলে এর কোনো স্যাটেলাইট থাকবে না, কারণ কোনো কক্ষপথ থাকবে না তাদের। জেমস ডেভিস বলেন, ‘আমাদের সামাজিক জীবন নির্ভর করে এমন অনেক স্যাটেলাইট কাজই করবে না। সমতল পৃথিবীতে জিপিএস কীভাবে কাজ করবে সেটা আমার জানা নেই।’
সুপারমার্কেটের একেবারে তরতাজা প্রোডাক্ট পাওয়ার জাস্ট-ইন-টাইম থেকে শুরু করে ভ্রমণের তথ্য ও জিপিএস সার্ভিসের জন্য আমাদের নির্ভর করতে হয় গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেমস (জিএনএসএস) এর ওপর। আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে ইমার্জেন্সি সেবাগুলো জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে কলারের অবস্থান যাচাই করে। এর অর্থ, জীবন বাঁচাতে স্যাটেলাইট যোগাযোগ-ব্যবস্থা ভূমিকা রাখছে।
জিপিএসহীন একটি পৃথিবী কল্পনা করা সহজ নয়। বলাই বাহুল্য আমরা হারিয়ে যাব।
৫. কিছু যাত্রা শেষ হতে সারাজীবন লেগে যেত
ভ্রমণের সময় বেড়ে যাবে, এটা কেবল জিপিএস না থাকার কারণেই নয়, যে দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে সে জন্যেও। সমতল-পৃথিবীর বিশ্বাস অনুসারে, আর্কটিক গ্রহের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত, আর অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর চারপাশে একটি বিশাল বরফের প্রাচীর গঠন করেছে। এই প্রাচীরটি আক্ষরিক অর্থে মানুষকে পৃথিবী থেকে পড়ে যেতে বাধা দেয়। তবে কেউ যদি উড়তে অক্ষম হন ও বিশ্বজুড়ে উড়ে ভ্রমণ করতে বাধ্য হন তবে ভ্রমণের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
উদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়া থেকে (যা ফ্ল্যাট-আর্থ মানচিত্রের একপাশে) অ্যান্টার্কটিকার ম্যাকমারডো স্টেশনে (ফ্ল্যাট-আর্থ মানচিত্রের অন্যদিকে) যেতে, আপনাকে পুরো আর্কটিক, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে হবে।
অ্যান্টার্কটিকার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়াটাও মুশকিল হয়ে পড়বে কারণ, চতুর্দিকের বরফের প্রাচীর ভ্রমণকে বাধা দেবে।
৬. অরোরা থাকত না, আমরা পুড়ে যেতাম
নাসার মতে, বৃত্তাকার পৃথিবীর ভেতর লোহার তৈরি কেন্দ্রকে ঘিরে ঘুরতে থাকা গলিত ধাতব পদার্থের ঘূর্ণনের জন্য বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি হয়। এটি পৃথিবীর এক মেরু থেকে আরেক মেরু পর্যন্ত উপস্থিত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র সৃষ্টির মূল কারণ।
সমতল পৃথিবীতে, কোনো নিরেট কেন্দ্র থাকবে না ওইরকম একটা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে সুরক্ষা দেয়াল বা ম্যাগনিটোস্ফিয়ার সৃষ্টি করার জন্য। যার কারণে থাকবে না অরোরাও।
নর্দার্ন লাইটস নামে পরিচিত এই আলোক ছটাগুলো আসলে সূর্য থেকে আসা চার্জযুক্ত কণা ম্যাগনিটোস্ফিয়ারে উপস্থিত অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের কণায় ধাক্কা খাওয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া এনার্জি।
তবুও, অরোরার অভাবের চেয়ে বড় মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়াবে সৌর বায়ু থেকে অরক্ষিত হয়ে পড়া পৃথিবী। নাসার মতে, পৃথিবী ও এর পৃষ্ঠের সবকিছুর উপর ক্ষতিকারক সৌর বিকিরণের বর্ষণ হবে। যার কারণে প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহের মতো একটি বন্ধ্যা গ্রহে পরিণত হবে পৃথিবী।
৭. আমাদের সবার আকাশ একরকম হতো
সমতল পৃথিবীতে বর্তমান বৃত্তাকার পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল বিভক্ত থাকবে না। ফলে উত্তর গোলার্ধ বা দক্ষিণ গোলার্ধে আছি কিনা সেটার ওপর নির্ভর করে দিন বা রাতের তারতম্য হতো না। আর চাকতি আকৃতির গ্রহের যেকোনো জায়গা থেকেই শুধু রাতের আকাশ দেখা যেত।
আমরা যদি রাতের আকাশের একটা অংশই সবসময় দেখতাম তাহলে ভূ-পৃষ্ঠের অনেক আবিষ্কার, যেগুলো পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান মহাবিশ্বে আমাদের ৩৬০ ডিগ্রি দেখার সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে, হতো না। আমাদের শুধু মহাকাশ-নির্ভর টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাবিশ্বের দিকে তাকাতে হতো।
৮. ঘূর্ণিঝড় বা হারিকেন হতো না
প্রতিবছরই সাইক্লোন, বা হারিকেনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। ২০১৭ সালে হারিকেন হার্ভি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ১২৭ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছিল। এই সাইক্লোনের ঘূর্ণন তৈরি হয় পৃথিবির কোরিওলিস এফেক্ট থেকে। উত্তর গোলার্ধে সাইক্লোনের ঘূর্ণন ঘড়ির কাঁটার দিকে আর দক্ষিণ গোলার্ধে কাঁটার বিপরীতে।
সমতল পৃথিবীতে কোনো কোরিওলিস এফেক্ট থাকবে না। যার অর্থ কোনো, হারিকেন, টাইফুন বা সাইক্লোনও থাকবে না। নাসার মতে, এই একই কারণে আমরা বিষুবরেখার ৫ ডিগ্রি উত্তর বা দক্ষিণে কখনই এই ধরনের ঝড় দেখি না, কারণ বিষুবরেখা বরাবর কোরিওলিস এফেক্ট শূন্য।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র্যাডার ইউনিট বগুড়ায় বুধবার (১৮-৬-২০২৫) নব স্থাপিত জিএম ৪০৩এম আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন করেন।
বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও যুদ্ধোপকরণ সংযোজন চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই অঙ্গীকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নতুন অন্তর্ভুক্ত র্যাডারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, অত্যাধুনিক এ র্যাডারটি বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ঈদুল আজহায় তরুণ নির্মাতা, পরিবার ও ভ্লগারদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের প্রাণবন্ত ও উষ্ণ পরিবেশকে আরও বেশি উৎসবমুখর করে তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে ‘অপো হাটে কী?’ ক্যাম্পেইন।
৩০ মে থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি যেকোনো গরুর হাটে গিয়ে বিশেষ মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করার অনুরোধ জানিয়েছে অপো। হোক সেটা নিখুঁত গরু খোঁজা, দরকষাকষি, হাস্যরসাত্মক কোনো ঘটনা বা পছন্দের গরু বা ছাগলের সাথে মজার কোনো মুহূর্ত! যেখানে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অংশ নিতে আপনার নিকটস্থ ‘হাটে’ যান। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে আসা স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করতে, টিকটকের ফিল্টার অপশন থেকে ‘অপো হাটে কী’ সার্চ করে অপোর এক্সক্লুসিভ ঈদ এআর ফিল্টার ব্যবহার করুন। হাটে আপনার অভিজ্ঞতা ছবি, রিল বা স্টোরি আকারে ধারণ করুন। আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #HaateKi ব্যবহার করুন এবং @OPPOBangladesh ট্যাগ করে পোস্ট দিন।
আপনার ঈদের আনন্দ উদযাপনকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবচেয়ে সৃজনশীল, আবেগঘন ও বিনোদনপূর্ণ এন্ট্রিটি জিতে নিবে অপোর আকর্ষণীয় স্মার্টফোন।
এটি কেবল কনটেন্ট তৈরির ব্যাপার নয়; একইসাথে, ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সাথে যুক্ত করার একটি প্রচেষ্টা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা অপোর এই ক্যাম্পেইনে সবাই তাদের সংস্কৃতি, গল্প ও উৎসবকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “ঈদুল আজহার প্রকৃত অনুভূতি তুলে ধরতেই ‘অপো হাট ডায়েরিজ’ নিয়ে আসা হয়েছে, যেন আনন্দ, ঐতিহ্য ও স্মরণীয় মুহূর্তগুলো মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের সৃজনশীল অভিজ্ঞতাকে বিকশিত করতে চাই, যেখানে সংস্কৃতি আর প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটবে। স্মৃতিময় মুহূর্ত ও একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ নিয়ে এসেছে এ উৎসব।”
তাই, এবারের ঈদুল আজহায় আনন্দ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলুন অপো’র সাথে। ক্যামেরা হাতে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করুন, আর ঐতিহ্যকে রাখুন প্রাণবন্ত; কারণ, অপো’র সাথে প্রতিটি মুহূর্তই যেন হয়ে ওঠে অনন্য সৃষ্টি!
ডিজিটাল যুগে পণ্য কিংবা সেবা খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স প্রতিষ্ঠান ‘সার্ভিসিং২৪’ নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক ও সমন্বিত আইটি অবকাঠামো সমাধান—‘ইনফ্রাস্ট্যাক’ ও ‘এইচসিআই’। আরে এতে খরচ কমবে প্ইরায় ৭০ শতাংশ। ইনফ্রাস্ট্যাক হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও স্ট্যাক এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যেটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সমন্বিত অবকাঠামোগত আইটি সেবা প্রদান করা হবে। আর ‘এইচসিআই’ এর অর্থ হাইপার কনভারজড ইনফ্রাস্টাকচার এটি স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয়ে সফ্টওয়্যার-ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ও কম্পিউট ফ্রেমওয়ার্ক।
সার্ভিসিং২৪ বলছে, এই ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই সল্যুশনে গ্রাহকরা মোট ৪টি মডেলে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর এর কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে- সার্ভার রেন্টাল সার্ভিস, হার্ডওয়্যার রেন্টাল সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিস এবং বান্ডেল রেন্টাল সার্ভিস।
গ্রাহকদের জন্য আরো সুখবর হলো- পুরো সল্যুশনটি সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স হওয়ায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত লাইসেন্সিং খরচ প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি মাসিক ভাড়া-ভিত্তিক সেবার ফলে বড় অংকের প্রাথমিক বিনিয়োগও লাগবে না। এই সাশ্রয়ী প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশনটি বিশেষভাবে উপযোগী ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, মূলধন সীমাবদ্ধ সরকারি সংস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বড় শহরের ডেটা সেন্টার এবং পরিবেশবান্ধব আইটি প্রকল্পগুলোর জন্য।
এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪ এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক আইটি সল্যুশন নিশ্চিত করা। ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই এর মাধ্যমে তা সম্ভব। এটি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত খরচ সাশ্রয় করবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর হতে ‘সার্ভিসিং২৪’ বাংলাদেশের আইটি সাপোর্ট সার্ভিস ল্যান্ডস্কেপের অন্যতম শীর্ষ উদ্ভাবক-এ পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিখাতে বেড়ে চলা চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, এন্টারপ্রাইজ আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। কোম্পানিটি হার্ডওয়্যারের লাইফ বর্ধিত করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘সার্ভিসিং২৪’-এর প্রধান প্রধান সেবাগুলো হচ্ছে, থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), এন্টারপ্রাইজ সার্ভার অ্যান্ড স্টোরেজ সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, আইটি ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার মনিটরিং, এএমসি অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড সল্যুশন্স অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, আইটিএসএম সফ্টওয়্যার অ্যান্ড মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইলস, এফএমসিজি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং অন্যান্য কোম্পানিকে আইটি সেবা দিয়ে থাকে।
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং কাজ, বিনোদন ও স্বাস্থ্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি। এসব কাজে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, হ্যাং না করে এবং দীর্ঘক্ষণ কার্যকর থাকে—এই সবকিছু মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
স্মার্ট ব্যাটারি: আধুনিক চাহিদার সমাধান
আগে ভালো ব্যাটারি মানে ছিল উচ্চ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতা। কিন্তু এখন ব্যাটারি মূল্যায়নে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। অ্যাডাপটিভ পাওয়ার এলোকেশন, ইউজার বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ—এই আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ব্যাটারির পারফরম্যান্সকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যারা বাইরে দীর্ঘ সময় থাকেন, ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া বা নেভিগেশনের মতো ব্যাটারি-নির্ভর কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এসব প্রযুক্তি কার্যকর সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
এআই: শক্তির নতুন চালিকাশক্তি
বর্তমান বাজারের বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এটি অ্যাপ প্রিডিকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সীমিতকরণ এবং স্ক্রিন-অফ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন কিংবা ব্যাটারি কমে গেলে ‘আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মোড’ চালু করতে পারেন। ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডিভাইস ব্যবহারে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণও বাড়ে।
চার্জিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব
শুধু ব্যাটারি ব্যবস্থাপনাই নয়, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তিতেও এসেছে দারুণ অগ্রগতি। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার চার্জিং ক্ষমতা ৪৫ ওয়াট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াট পর্যন্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি-ভিত্তিক ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা।
চার্জিং প্রযুক্তিতেও ব্যবহৃত হয়েছে এআই, যা চার্জিং স্পিড ও ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা
নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব এআই♾️ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে ডিভাইস পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা এবং এআই নয়েস মিউট।
এছাড়া রয়েছে বায়ো-এক্টিভ হ্যালো লাইট নোটিফিকেশন—যা কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়।
সব মিলিয়ে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ শক্তিশালী ব্যাটারি, কার্যকর চার্জিং প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন এক অভিজ্ঞতা উপহার দিচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর আধুনিক চাহিদা পূরণে সক্ষম।
অ্যাস্টন মার্টিন ফরমুলা ওয়ান টিমের সাথে আজ যুগান্তকারী তিন বছর মেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিলো রিয়েলমি। আর এই সহযোগিতার মাইলফলক হিসেবে জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের আকর্ষণীয় কো-ব্র্যান্ডেড সংস্করণ নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
এ বিষয়ে রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, “অ্যাস্টন মার্টিন আরামকোর মতো কিংবদন্তি রেসিং টিমের সঙ্গে সহযোগিতা, আমাদের জন্য উদ্ভাবনের সীমানা অতিক্রম করে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেবল আমাদের নিখুঁত পণ্যগুলোই টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করে। আমরা আমাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কাছে অসাধারণ ডিজাইন ও প্রিমিয়াম কারিগরি দক্ষতা নিয়ে যেতে চাই।”
এ বিষয়ে অ্যাস্টন মার্টিন আরামকো ফর্মুলা ওয়ান টিমের হেড অব লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজ ম্যাট চ্যাপম্যান বলেন, “আমাদের প্রথম কো-ব্র্যান্ডেড ফোন উন্মোচনের পাশাপাশি, রিয়েলমিকে টিমে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। জিটি ৭ ড্রিম এডিশনে উচ্চ সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী ডিজাইনের সমন্বয় রয়েছে; আগামীর মডেলগুলোতে একযোগে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি।”
বৈশ্বিকভাবে দ্রুতবর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি, বিশ্বজুড়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ভুল প্রকৌশল, অসাধারণ কর্মদক্ষতা ও অনন্য ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত অ্যাস্টন মার্টিন ফর্মুলা ওয়ানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রিয়েলমি আগামী প্রজন্মের জন্য অনবদ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়েলমি জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের মতো একটি অসাধারণ কো-ব্র্যান্ডেড সিরিজ উন্মোচন করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটি কেবল রিয়েলমি’র জিটি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই নয়; একইসাথে, এতে আইকনিক দুই পাখার ডিজাইন ও অ্যাস্টন মার্টিনের বিশেষ গ্রিন কালার রয়েছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে, দু’পক্ষ প্রতিবছর দুইটি মডেল একযোগে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রত্যাশিত করে তুলেছে।
রিয়েলমি জিটি ৭ সিরিজের বৈশ্বিক উন্মোচন অনুষ্ঠান আজ ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে জিটি ৭ সিরিজ ও ড্রিম এডিশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত সব তথ্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশে তাদের বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে। ব্যবহারকারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়াতে প্রস্তুত ব্র্যান্ডটি। সীমিত সময়ের এ ক্যাম্পেইনটি কেবল বড় কিছু জেতার সুযোগই দিচ্ছে না, বরং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্যই নিশ্চিত করছে আকর্ষণীয় উপহার।
লটারির মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের জন্য ৪টি গ্র্যান্ড প্রাইজ নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। এতে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ১,০০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৬০,০০০ টাকা। তৃতীয় পুরস্কারে রয়েছে নির্দিষ্ট রিয়েলমি পণ্যের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) অফার এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে থাকছে রিয়েলমি টি২০০ লাইট এয়রবাডস।
এসব পুরস্কার ছাড়াও আরও কিছু নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে রিয়েলমি; যেন লটারি যারা জিতবেন না তারাও এ উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। ক্রেতাদের মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি সি৭৫ বা রিয়েলমি সি৭৫এক্স কেনার ক্ষেত্রে ২ বছরের বাড়তি ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।
রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ২,০০০ টাকার ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক; ফলে, ২৭,৯৯৯ টাকার এই ডিভাইসটি পাওয়া যাবে মাত্র ২৫,৯৯৯ টাকায়।
রিয়েলমি ১৪ সিরিজ কেনার ক্ষেত্রে রিয়েলমি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় টি-শার্ট পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি, ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়া সকল ক্রেতা বাংলালিংকের অংশীদারিত্বে বিশেষ অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
কেবল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করাই নয়, একইসাথে, ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়েলমি’র ধারাবাহিক প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই ঈদ ক্যাম্পেইন। উৎসবের এ সময়ে প্রত্যেক ক্রেতাই যেন নিজেকে বিজয়ী মনে করেন, তা নিশ্চিত করতেই দুর্দান্ত সব পুরস্কার ও নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
ক্যাম্পেইন ও এতে কীভাবে অংশ নিবেন, তা আরও বিস্তারিত জানতে রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ ও ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তরুণদের পছন্দের টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭১ নিয়ে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্স চাইছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি’র নতুন এই ফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, এআই-সক্ষম ফিচার ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লেসহ আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা, যা সারাদিন নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতা প্রদান করে। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে। একইসাথে, এই ব্যাটারি ও চার্জিং দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিন্ত রাখতে সহায়তা করে।
রিয়েলমি সি৭১-এর নান্দনিক ও প্রাণবন্ত ডিজাইন তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই। এর ‘লাইট পালস’ নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।
ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা।
পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি’র ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এছাড়া, এর আইপি৬৪ রেটিংয়ের ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স ও সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন প্রযুক্তি ফোনটিকে যেকোনো পরিবেশের জন্য সহনীয় ও টেকসই করে তোলে।
রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।
মন্তব্য