তাড়াহুড়া করে চা, কফি পান কিংবা স্যুপ খেতে গিয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা নিয়মিতই ঘটে। জিভ পুড়লে একটা জ্বালা ভাব থাকে। সেই সঙ্গে লাগে অস্বস্তিও।
এ সময়টাতে খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। একটু মসলাদার বা ঝাল খাবার হলেই জিভ জ্বলতে থাকে।
এ ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলে অতি চিন্তিত না হয়ে সহজ কিছু ব্যবস্থা নেয়া যায়।
ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলি
জিভ পুড়ে গেলে প্রথমেই মুখে ঠান্ডা পানি নিয়ে কুলি করুন। চাইলে কিছুটা সময় পানি মুখে নিয়ে এমনিই রেখে দিতে পারেন। তাতে জিভে আরাম বোধ করবেন। চাইলে বেশ কয়েকবার এ রকম করতে পারেন।
বরফ দেয়া
পুড়ে যাওয়া জিভে বরফ ঘষলে উপকার পাবেন। বরফের ছোট টুকরা নিয়ে ওই পোড়া অংশে চেপে রাখুন। একটানা কিছুক্ষণ রেখে ফেলে দিন। দেখুন জ্বলা কমেছে কি না। প্রয়োজনে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন।
মধু পান
মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এ ছাড়াও মধু জ্বালাপোড়া ভাব দূর করে। সেই সঙ্গে মুখে ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবকেও প্রতিহত করে। আর তাই পুড়ে গেলে জিভে মধু লাগিয়ে নিতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলের প্রলেপ
ব্যথা কমানোর গুণ আছে অ্যালোভেরার। তাজা অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল বের করে পোড়া অংশে লাগান। দিনে দুবার ব্যবহার করলে অল্প সময়ের মধ্যে জ্বালা চলে যাবে।
আরও পড়ুন:জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, এ আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারায় অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। যা ভবিষ্যতে কার্যকারিতা ও প্রশাসনিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে। তাই কমিশনকে আরও কার্যকর বা স্বাধীন হতে হবে।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ-২০২৫’ বিষয়ক পরামর্শ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কমিশনের নানান দিক তুলে ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু অ্যাকশন নেওয়ার যে মেকানিজমগুলো আছে, তা গুরুত্ব দিয়ে করার জন্য বা সরাসরি মামলা করতে পারবেন; সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ বা বিধান আইনে রাখা হয়নি।
মানবাধিকার কমিশন আইন খসড়ার ধারা-৫ নিয়ে তিনি বলেন, এ ধারায় বলা হয়েছে কমিশনের মধ্যে কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ নারী ও একজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সদস্য হতে হবে। কিন্তু আধুনিক যুগে নারীকে অনগ্রসর বা অধীনস্ত হিসেবে দেখা ঠিক নয়। এখানে অনেকের সঙ্গে আমার দ্বিমত হবে। তাই কমিশনের সদস্য নির্বাচনে সর্বসম্মত মতামত বা কনসেন্স থাকা উচিত। কারণ আইনে নির্ধারিত বিধান হিসেবে নারী বা নৃগোষ্ঠী সদস্যদের নির্দিষ্ট কোটায় বাধ্যতামূলক রাখলে উপগোষ্ঠী হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে ধারণা জন্ম নিতে পারে। তবে এটা আমরা নিজস্ব ধারণা।
আসাদুজ্জামান বলেন, ধারা-৬ অনুযায়ী কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্যদের নিয়োগ, মেয়াদ ও পদত্যাগের নিয়ম নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের উচ্চপদস্থ পদে আবেদন জমা নেওয়ার পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। মানবাধিকারে কাজ করা স্বাধীনচেতা ও নীতিবান ব্যক্তি কি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন কিনা এটি পুনর্বিবেচনার বিষয়। এছাড়া উপধারা (৫) অনুযায়ী কমিশনের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণের প্রক্রিয়া স্পষ্ট নয়। এটি আরও পরিষ্কার হওয়া দরকার। ধারা ১৩ অনুযায়ী কমিশনের কার্যাবলীতে গবেষণা ও সুপারিশের কথা থাকলেও প্রোঅ্যাকটিভ মামলা দায়েরের ক্ষমতাও স্পষ্ট নয়। তাই সবকিছু বিবেচনা করে মানবাধিকার কমিশনকে আরেকটু শক্তিশালী করা দরকার।
ধারা-১৬ ও ধারা ১৯(১) নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ধারা ১৬ অনুযায়ী এক বা একাধিক ব্যক্তিকে মধ্যস্থ সমঝোতার জন্য নিয়োগ করতে পারবে কমিশন। কিন্তু কমিশন নিজেই একটি স্বাধীন সংস্থা। যদি এখানে আলাদা মিডিয়েটর নিয়োগ বা তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন নেওয়া হয়, তাহলে কমিশনের ক্ষমতা ও মিডিয়েটরের ক্ষমতার মধ্যে বিরোধ দেখা দিতে পারে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বা জরিমানা প্রদানের নির্দেশনা কমিশন করবে, নাকি মিডিয়েটর—এ নিয়েও আইনে স্পষ্টতা নেই। এসব বিষয় আরেকটু বিবেচনা করা দরকার। ধারা ১৯(১) এর ‘গ’ অনুযায়ী বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তলব করতে পারবে কমিশন। যদি কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে চলে যায়, তখন তাকে কি না ডেকেই এক্সনারেট (দায়মুক্ত) করে দেওয়া হবে; এটিও স্পষ্ট নয়। এসব ধারা-উপধারার আইনি অস্পষ্টতা দূর না করলে কমিশনের কার্যকারিতা সীমিত হয়ে যাবে।
দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীকে আটক করলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ একটি চুরি, সেভ ইস্টিক নামক একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়।
১০ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের পূর্বে সোনাইমুড়ী বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গোলালের বাড়ির পাশে এই ঘটনা ঘটে।
এই নিয়ে ১১ অক্টোবর (শনিবার) সকালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস পত্রিকার নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন সুমন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গ্রামের মৃত সরাফত উলার পুত্র সাংবাদিক মোশারফ হোসেন সুমন দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার মোস্তফার পোল নামক স্থানে ভাড়া বাসা থাকেন। ওই বাসায় গত ১৩ই মে ২০২৪ ইং তারিখ সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের সালা উদ্দিন ভূঁইয়ার পুত্র আহছান বিল্লাহ সবুজ(৩৫) সহ ৩-৪ জন সহযোগী দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এক পর্যায়ে ওই সাংবাদিকের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) জুমার নামাজের সময় সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের বারাহিনগর গোলালের বাড়ির পাশে ওই সাংবাদিককে একা পেয়ে আহছান বিল্লাহ সবুজ কয়েকজন সহযোগী গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি মারতে থাকে। পরে ধারালো ছুরি নিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা এসে রক্ষা করে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানার এস আই মিজান ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারী আহছান বিল্লাহ সবুজকে আটক করে। তার ব্যবহারিত মোটরসাইকেল (নোয়াখালী - ল ১১-৮৯১৫, মোবাইল ফোন,একটি চুরি,
সেভ ইস্টিক নামক একটি লাঠি উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা ভুক্তভোগীকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
সাংবাদিক মোশারফ হোসেন সুমন জানান, চিহ্নিত সন্ত্রাসী আহছান বিল্লাহ সবুজ চাঁদাবাজি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা রয়েছে। সে বিগত ৫ আগস্ট এর পর তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।প্রকাশ্যে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে করেছে।এখন তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, হামলার পরপরই স্থানীয় জনতা ও পুলিশের সহায়তায় প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দেন হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান, নোয়াখালী কথার সম্পাদক মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন, সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি এবং ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে নওগাঁয় জেলা বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন এলাকায় এই লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে নেতৃত্বদেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসলাম ধলু, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন, সাবেক সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর-ই আলম মিঠু ও খায়রুল আলম গোল্ডেন, পৌর বিএনপির সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। লিফলেটে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দাবির মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরা হয়।
নেতাকর্মীরা পথচারী, দোকানদার ও এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষের হাতে হাতে লিফলেট পৌঁছে দেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আহ্বান জনগণের কাছে পৌঁছে দেন। জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি তুলে ধরতেই এই প্রচার কার্যক্রম। আমরা এই ৩১ দফার মাধ্যমে দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের পথ দেখাতে চাই। জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি সুশাসনের সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে।
শেষযাত্রায় সহযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হলেন লেখক ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। তাকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেও কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ছুটে যান তার সহকর্মী শিক্ষক, ছাত্র, সরকারের উপদেষ্টা, লেখক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিত্বরা।
শনিবার (১১অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে তার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সেখানে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় বরেণ্য এই শিক্ষাবিদদের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন তার দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধারা। সবাই একবাক্যে তাকে নির্লোভ, সৎ ও বিনয়ী মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, অন্যের মতামতকে সম্মান করার পাশাপাশি নতুন লেখকদের তিনি উৎসাহ দিতেন।
সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘তিনি ছিলেন অসম্ভব জ্ঞানী, বিনয়ী ও নির্লোভ মানুষ ছিলেন। তিনি এক ধরনের বিশ্বাস লালন করলেও অন্যদের মতামতকেও শ্রদ্ধা করতেন। অসাধারণ মনের এ বড় মানুষটি সব সময় নতুন লেখকদের উৎসাহ দিতেন।
বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিনি ছিলেন সবার শ্রদ্ধার পাত্র। তার ব্যক্তিগত অবস্থান স্পষ্ট ছিল। তবে ভিন্নমতকেও সম্মান করতেন। আমরা মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ জাতি একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষককে হারালো। তিনি সব সময় মানুষের সম্মানের পাত্র হিসেবে থাকবেন।’
ইমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চিত্রকলা ও নন্দনতত্ত্ব, ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চা করতেন। নাট্যচর্চাও করতেন নিয়মিত। সব সময় নতুন ভাবনায় ছিলেন। তাকে কখনও বিষণ্ন দেখিনি। তিনি সব সময় কাজে ছিলেন। তার কাজ ও দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
শ্রদ্ধা নিবেদন করলো যেসব সংগঠন
শহীদ মিনারে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যক্তিত্বরা। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক মো. হেলাল, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষে এমডি সাওয়াল খানম, অন্যদিন ও অন্য প্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি মোহন রায়হান, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান ফোরাম, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, এটি এন বাংলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১৯৯৩ ব্যাচ, রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদের পক্ষে কবি দিলারা হাফিজ, কবি তুষার দাস, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, ছোট বোন সাইয়েদা সাত্তার বেবি ও এথিকস ক্লাব বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন।
শহিদ মিনার থেকে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সেখানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজিন আজিজ চৌধুরী, ইংরেজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, সংগীত বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে মনজুরুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লাহরদর্গা হাটে খাস ইজারার নামে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা চাঁদাবাজি। সরকারিভাবে কোনও ইজারা না থাকলেও, ইজারাদারের পরিচয়ে বহিরাগতরা এ হাটে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে আসছে। এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
হাটের নিয়মিত ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই একটি স্থানীয় চক্র হাট ইজারার নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতি হাটবারে বাধ্যতামূলক ও ইচ্ছামতো টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।
সরজমিনে দেখা যায়, ইমামুল নামে , এক ব্যক্তি তার বাড়ির পালিত কবুতর ৮০০ টাকায় এক পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় ইজারাদার পরিচয়ে রানা নামের এক ব্যক্তি তার কাছে ৫০ টাকা ইজারা বাবদ দাবি করেন। এত বেশি টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, রানা উত্তেজিত হয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দেন এবং আটকানোর ভয় দেখান। ভয়ে তিনি ৫০ টাকা পরিশোধ করেন। রশিদ চাইলে রানা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, ফলে ওই ব্যক্তি ভয়ে রশিদ না নিয়েই স্থান ত্যাগ করেন।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানা নামের ওই ব্যক্তি জাকির হোসেন নামের এক কথিত ইজারাদারের পক্ষে টাকা আদায় করে থাকেন।
এই ঘটনায় হাটের ইজারাদার পরিচয় দানকারী জাকির হোসেন বলেন, আমরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করি না, শতকরা ৫ টাকা হারে ইজারা নিয়ে থাকি।
এ ঘটনায় সাচ্চু নামে আরেক ইজারাদার বলেন, এ সকল অভিযোগ মিথ্যা, যে অভিযোগ দিয়েছে তাকে নিয়ে আমার কাছে আসেন।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল্লাহরদর্গা হাট সরকারিভাবে কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি। এই টাকা আদায়ের দায়িত্ব এখন তহশিলদারের।
এ ব্যাপারে তহশিলদার আনিসুর রহমান জানান, সরকারিভাবে কাউকে হাটে ইজারা দেয়া হয়নি, তবে হাট প্রশাসনের নির্দেশে আমি পরিচালনা করছি। আমার লোকবল কম থাকায় বহিরাগতদের মাধ্যমে টাকা আদায় করে থাকি। শতকরা ৫ টাকা আদায় সম্পর্কে তিনি বলেন, এভাবে আদায় সম্পূর্ণ বেআইনি। আমরা এভাবে টাকা আদায় করি না। কেউ আদায় করলে ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, হাট কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি, সংশ্লিষ্ট তহশিলদারদের মাধ্যমে কালেকশন হচ্ছে। শতকরা ৫ টাকা আদায়ের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি হাটে বৈধ নথি বা টেন্ডার ছাড়া একদল প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় জনগণ ও সচেতন মহল আশা করছেন, দ্রুত এই অবৈধ চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে হাটের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল থাকে এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা নিরাপদে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে।
বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদে আনন্দবাজার মোড় হতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ১৩০০ জন কর্মী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সদস্যবৃন্দ ও ক্যাম্পাসসমূহের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ড্রেন, নর্দমা, ফুটপাত ও ক্যাম্পাসের জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মতো আমাদের ক্যাম্পাসসমূহ পরিচ্ছন্ন রাখতে বহিরাগত ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ থেকে আমরা একসাথে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবো।" এছাড়া, নাগরিকদের অভ্যাসগত পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সাফল্যের জন্য তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
ডিএসসিসি প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "জ্ঞানচর্চার অন্যতম প্রধান তিনটি প্রাণকেন্দ্র-ঢাবি, বুয়েট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস বিনির্মাণে সমন্বিত ভাবে কাজ করবে ক্যাম্পাস প্রশাসন ও ডিএসসিসি।" ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান থেকে অনেক কম উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন ডিএসসিসি এলাকায় প্রধান হাসপাতালসমূহ অবস্থিত হওয়ায় সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীরা ডিএসসিসি এলাকায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে আসেন। এছাড়া, হাসপাতাল এলাকায় সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও যানজট নিরসনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আর কোনো মুনাফালোভীদের অবৈধ ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন এ বিষয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে ডিএসসিসি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করবে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, ডাকসুর ভিপি মোঃ আবু সাদিক, বুয়েট ও ডিএমসি প্রশাসনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কাবির খান বলেছেন, দেশের স্বল্পমেয়াদি জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় এলপিজির দাম নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১২০০ টাকার বেশি হওয়ায় শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এর দাম ১ হাজার টাকা মধ্যে হওয়া উচিত।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি : অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, এলপিজির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দাম। বর্তমানে ১২০০ টাকা দামের সিলিন্ডার কিছু ক্ষেত্রে বাজারে ১৪০০–১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই দামের নিয়ন্ত্রণ, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং প্রাইভেট সেক্টরের কার্যকারিতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক মনোভাব ছাড়া দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রাথমিক জ্বালানির ঘাটতি কোনো স্বাভাবিক সংকট নয়। এটি একটি পরিকল্পিত অবস্থার ফল, যা ক্ষমতাসীন কিছু রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কারণে তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্যাস লাইনের পরিকল্পনায় গ্যাস সরবরাহের চাহিদা উপেক্ষা করা হয়েছে, ফলে শিল্প ও গৃহস্থালিতে বিপুলসংখ্যক অবৈধ সংযোগও হয়েছে।
ফওজুল কাবির খান বলেন, স্থানীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিবছর কমছে। প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট উৎপাদন কমছে, কিন্তু আমরা মাত্র ৭০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট নতুন গ্যাস সংগ্রহ করতে পেরেছি। এজন্য এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, যদিও এর উচ্চমূল্যের কারণে সমালোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এলএনজি আমদানিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া প্রয়োজন, তাই স্বল্পমেয়াদে ঘাটতি মোকাবিলায় এলপিজি কার্যকর বিকল্প হতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
মন্তব্য