× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

প্রযুক্তি
শাওমি মি ১১ লাইট বছরের সবচেয়ে হালকা স্মার্টফোন
google_news print-icon

শাওমি মি ১১ লাইট: বছরের সবচেয়ে হালকা স্মার্টফোন

শাওমি-মি-১১-লাইট-বছরের-সবচেয়ে-হালকা-স্মার্টফোন
মি ১১ লাইট স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে জ্যাজ ব্লু, স্ক্যানি কোরাল এবং ভিনিল ব্ল্যাক তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটির ৬+১২৮ জিবি ও ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম যথাক্রমে ২৯ হাজার ৯৯৯ ও ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা।

চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শাওমি বাংলাদেশের বাজারে উন্মোচন করেছে ২০২১ সালের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ওজনের স্মার্টফোন মি ১১ লাইট।

নজরকাড়া ডিজাইনের এই ডিভাইসটি ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের পারফরম্যান্স দেবে বলে দাবি করেছে শাওমি। হালকা ওজনের পাশাপাশি ভালো পারফরম্যান্সের স্মার্টফোন খুঁজলে মি ১১ লাইট হতে পারে আপনার জন্য সেরা ডিভাইস।

স্মার্টফোনটির উন্মোচন উপলক্ষে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শাওমি ব্র্যান্ড হিসেবে উপলব্ধি করতে পারে মি ফ্যানদের জন্য প্রযুক্তি কতটা অপরিহার্য। সে কারণেই মি সিরিজের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য অর্থবহ উদ্ভাবন ও সেরা প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সকল চাহিদা পরিপূর্ণ করা।

'মি ১১ সিরিজটিও এর ব্যতিক্রম নয়। আগের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে, ফ্যাশনেবল তরুণদের জন্য হালকা-পাতলা ডিজাইন ও ফ্ল্যাগশিপ লেভেলের পারফরম্যান্স দিতে আমরা নিয়ে এসেছি মি ১১ লাইট। ফোনটির ওজন মাত্র ১৫৭ গ্রাম; মি ১১ লাইট ডিভাইসটিত আছে পাতলা ও প্রিমিয়াম ফিনিশ, প্রায় বেজেলহীন ৯০ হার্জ ডিসপ্লে এবং দারুন ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপে।’

ডিজাইন

যারা সবসময় নতুন ডিজাইন খোঁজেন তাদের জন্য আনা হয়েছে ২০২১ সালের সবচেয়ে পাতলা ও হালকা ওজনের স্মার্টফোন মি ১১ লাইট। এর পুরুত্ব ৬.৮মিমি এবং ওজন ১৫৭ গ্রাম।

ফোনটির সামনে পাঞ্চ-হোল ডিজাইনের ক্যামেরা ও বেজেলহীন ডিসপ্লে রয়েছে। যারা বড় স্ক্রিন চান তাদের জন্যই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। ফোনটির পাশে দেয়া হয়েছে কার্ভড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, যা খুব দ্রুত ও মসৃণভাবে ফোন আনলক করার অভিজ্ঞতা দিবে।

অ্যামোলেড ডিসপ্লে

মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেয়া হয়েছে স্পোর্টস ৬.৫৫ ইঞ্চির ১০-বিট অ্যামোলেড ডট-ডিসপ্লে। এই ক্যাটাগরির স্মার্টফোনের মধ্যে এটিই প্রথম যা এমন ডিসপ্লে দিয়েছে। ডিভাইসটি আসছে ১.০৭ বিলিয়ন অন স্ক্রিন কালারে, যা এর পূর্বসূরিদের থেকে ৬৪ গুণ বেশি (৮-বিট ডিসপ্লে)। ফোনটির ডিসপ্লেতে চমৎকার কালার গ্রাডিয়েশন থাকায় ফোনটি দিয়ে যেকোনো অ্যাঙ্গেল থেকে ছবি দেখার ক্ষেত্রে দেবে অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

ডিসপ্লের ফিচার হিসেবে আরও আছে ১০০ শতাংশ ডিসিআই-পি৩ কালার গামুট, যা উচ্চমানের ছবি, উচ্চ রঙের সুক্ষ্মতা এবং রঙ ধরে রাখার সক্ষমতা নিশ্চিত করবে। ডিসপ্লেতে ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ও ২৪০ হার্জ টাচ-স্যাম্পল রেট থাকায় টাচ হবে দুর্দান্ত, ফলে ব্যবহারকারীরা ডিসপ্লেতে কোনো ল্যাগ পাবেন না। ডিসপ্লের স্থায়িত্ব বাড়াতে সামনে ও পিছনে দেয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ এর সুরক্ষা।

মি ১১ লাইট ডিভাইসটি স্পষ্ট শব্দের সঙ্গে দেবে দুর্দান্ত সব ছবি। মি ১১ লাইট ফোনে রয়েছে ডুয়েল স্পিকার সেটআপ, সাপোর্ট করে হাই-রেস অডিও এবং সঙ্গে আছে হাই-রেস অডিও ওয়্যারলেস সার্টিফিকেশন, তৈরি করা যাবে সব মিডিয়ার জন্য কনটেন্ট।

ক্যামেরা পারফরম্যান্স

সরু ও হালকার মধ্যে মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেয়া হয়েছে ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। এর প্রাইমারি ক্যামেরা ৬৪ মেগাপিক্সেলের, আছে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স এবং তার সঙ্গে একটি ৫ মেগাপিক্সেলের টেলিম্যাক্রো ক্যামেরা। মি ১১ লাইট ফোনটিতে পাওয়া যাবে সেরা ক্যামেরা পারফরম্যান্স।

খুব সহজেই ফোনটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা প্রফেশনাল গ্রেডের ছবি তুলতে পারবেন। ওয়াইড শট নেয়ার জন্য সহায়তা করবে ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা-ওয়াইড সেন্সর, যেখানে সর্বোচ্চ ডিটেইলসহ কোনো বিষয়ের ছবি তুলতে সহায়তা করবে ৫ মেগাপিক্সেলের টেলিম্যাক্রো ক্যামেরা।

মি ১১ লাইট সামনে দিয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়ে দিন ও রাতের যে কোনো সময় স্পষ্ট ও আকর্ষণীয় সেলফি তুলতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। প্রাকৃতিক কালার ও গতিশীল ইমেজ প্রসেসিংসহ ৩০ এফপিএস-এ ফোরকে ভিডিও শ্যুট করা যাবে।

ক্যামেরা অ্যাপটি ২৩টি ডিরেক্টর মোডে এসেছে। অতিরিক্ত লেন্স ছাড়াই ফোনটিতে করা যাবে প্রো লেভেলের শ্যুট। মি ১১ লাইট ফোনে রয়েছে বেশ কিছু বিল্ট-ইন ফিচার, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাজিক জুম, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড, ভ্লগ মোড এবং আরও অনেক কিছু।

স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২ জি প্রসেসর

পূর্বসূরিদের মতো ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স দিতে মি ১১ লাইট ফোনটিতে দেওয়া আছে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৭৩২ জি প্রসেসর। এটি ৮ ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে তৈরি। প্রসেসরটি তৈরি করা হয়েছে গেইমিং

পারফরম্যান্সের জন্য, এ জন্য দেয়া হয়েছে আল্ট্রা-লাইট লিকুইড-কুল প্রযুক্তি, যা স্মার্টফোনটিকে গরম হতে দেয় না। মি ১১ লাইট ফোনটিতে মাল্টিটাস্কিং এ পাওয়া যাবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া থাকছে এলপিডিডিআর৪এক্স র‍্যাম এবং ইউএফএস ২.২, এটি ফোনটির পারফরম্যান্সকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

ব্যাটারি

স্মার্টফোনে শক্তিশালী পারফরম্যান্স দিতে প্রয়োজন শক্তিশালী ব্যাটারি। তাই মি ১১ লাইট ডিভাইসে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী ৪,২৫০ এমএএইচের ব্যাটারি। ফোনটি সাপোর্ট করবে ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং। শক্তিশালী ব্যাটারি যে কোনো ভারী কাজ করার পরও সারা দিন ব্যাকআপ দেবে। হালকা ও পাতলা ফোন হিসেবে এটাই প্রথম যেখানে এতো শক্তিশালী ব্যাটারি দেয়া হয়েছে।

দাম

মি ১১ লাইট স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে জ্যাজ ব্লু, স্ক্যানি কোরাল এবং ভিনিল ব্ল্যাক তিনটি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। ফোনটির ৬+১২৮ জিবি ও ৮+১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম যথাক্রমে ২৯ হাজার ৯৯৯ ও ৩১ হাজার ৯৯৯ টাকা।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

প্রযুক্তি
Sundarban crocodiles roam in Pirojpur with satellite tags

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানোর পর সুন্দরবনের খালে অবমুক্ত করা হয় কুমির। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু
গবেষণার জন্য চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের নদী ও খালে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনেই বিচরণ করছে। বাকি কুমিরটি মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। বুধবার সেটির অবস্থান ছিল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে।

সুন্দরবনের লোনা পানির চারটি কুমিরের শরীরে স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানোর পর দেখা যাচ্ছে, এর তিনটি সুন্দরবনে ফিরে গেলেও একটি বহু পথ ঘুরে এখন বরিশাল বিভাগের জেলা পিরোজপুরের নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কুমিরের আচরণ ও গতিবিধি জানতে সম্প্রতি চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি সুন্দরবনের বিশাল এলাকায় চলে যায়। তবে একটি কুমির বন ছেড়ে মংলা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকে পড়েছে।

মাত্র ১১ দিনে প্রায় একশ’ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে কুমিরটি। গায়ে বসানো স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুমিরটি বুধবার সকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার তুষখালির একটি নদীতে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের আশা, নির্দিষ্ট সময় পর আবারও সুন্দরবনে ফিরে আসবে। তবে আপাতত সে তার নিজের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজছে।

স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ১৬ মার্চ কুমিরটি অবমুক্ত করা হয়েছিল সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্টে। এরপর এটি মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে পিরোজপুরে ঢুকেছে।

বন সংরক্ষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত এই গবেষণার মাধ্যমে তাদের আচরণ ও বসবাসের পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করেছি। যে কুমিরটি বনের বাইরে গেছে সে হয়তো তার বসবাসের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছে।’

কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত করার কাজটি যৌথভাবে করছে বন বিভাগ ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন)। তাদের সহযোগিতা করছে, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (জিআইজেড)।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘সুন্দরবনের কুমির কোথায় কিভাবে বিচরণ করে তা নিয়ে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। সে কারণেই স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে গবেষণাটি করা হচ্ছে।’

বিশ্বে পাখি, কচ্ছপ, নেকড়েসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে তাদের আচরণ নিয়ে গবেষণার নজির রয়েছে। তবে বাংলাদেশের কুমির নিয়ে এভাবে গবেষণা এই প্রথম।

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
স্যাটেলাইট ট্যাগ লাগানো কুমিরগুলোর অবস্থান। ছবি: আইইউসিএন

গবেষণাটি যেভাবে শুরু

লোনা পানির মোট চারটি কুমিরের গায়ে ১৩ থেকে ১৬ মার্চের মধ্যে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়। এর মধ্যে দুটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী কুমির।

এদের মধ্যে পুরুষ কুমির ‘জুলিয়েট’ সুন্দরবনের করমজলে অবস্থিত দেশের একমাত্র সরকারি কুমির প্রজনন কেন্দ্রের পুকুরে ছিল। আর স্ত্রী কুমির ‘মধু’কে সম্প্রতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ির মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বাকি দুটি কুমির ফাঁদ পেতে ধরা হয় সুন্দরবনের খাল থেকে। এই চারটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ স্থাপন করে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনের খালে।

আইইউসিএন এই কাজের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে কুমির গবেষক ড. সামারাভিরা ও পল বেরিকে।

আইইউসিএন-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘গবেষক টিমের পরিকল্পনা ছিল মোট পাঁচটি কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যাগ বসানোর। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করি আমরা। তবে শেষ পর্যন্ত একটি বাদে মোট চারটি কুমিরের গায়ে বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।’

যেভাবে বসানো হল স্যাটেলাইট ট্যাগ

১৩ মার্চ সুন্দরবনের করমজলের কুমির প্রজনন কেন্দ্র থেকে বাছাই করা হয় জুলিয়েট নামের একটি কুমিরকে। সকালেই সেটির শরীরে ট্যাগ বসানোর কাজ শুরু হয়। ট্যাগ বসানো শেষে কুমিরটিকে ছেড়ে দেয়া হয় সুন্দরবনে করমজলের খালে।

যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা ‘মধু’ নামের কুমিরটি আনা হয়েছিলো আগেই। একই দিনে সেটির গায়েও স্যাটেলাইট ট্যাগ বসিয়ে ছাড়া হয় একই খালে।

গবেষক দল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াইল্ড লাইফ কম্পিউটার নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে এই স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার কিট। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে এটি পানির নিচে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

কুমিরের গায়ে বসানো এই ট্রান্সমিটার কিটটির মেয়াদ এক বছর। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রে থাকে একটি ক্ষুদ্র অ্যান্টেনা, যেটি সরাসরি যুক্ত থাকে স্যাটেলাইটের সঙ্গে। ট্যাগ লাগানোর পরই চালু হয়ে যায় এর লোকেশন অপশন। সেটি প্রতি ঘণ্টার আপডেট তথ্য ম্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করে।

গবেষক দলের সদস্য দীপু বলেন, ‘কিটটির মেয়াদ এক বছর হলেও চাইলে তা আরও বাড়ানো যাবে।’

এর পরের দুদিন রাতের অন্ধকারে সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা হয় আরও দু’টি কুমির। সেই দুটির গায়েও একইভাবে বসানো হয় এই স্যাটেলাইট ট্যাগ।

কুমিরের মাথার উপরের অংশে আঁশের মতো স্কেল থাকে। স্যাটেলাইট ট্যাগটি বসানোর জন্য সেখানে ছোট একটি ছিদ্র করতে হয়। ওই ছিদ্রের মধ্যেই বসানো হয় স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘এই ট্রান্সমিটার চিপ খুব হালকা। ওজন দুই গ্রামেরও কম। এ ধরনের চিপ বসানো হলে তাতে কুমিরের কোনো ক্ষতি হয় না।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর প্রস্তুতি। ছবি: আইইউসিএন

ট্যাগ বসানো কুমিরগুলো এখন কোথায়?

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের জুলিয়েট, যশোরের চিড়িয়াখানা থেকে আনা মধু এবং সুন্দরবনের খাল থেকে ফাঁদ পেতে ধরা আরও দুটি কুমিরের গতিপথ পর্যালোচনা করা হচ্ছে অবমুক্ত করার দিন থেকেই।

গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এর মধ্যে তিনটি কুমিরই আছে সুন্দরবনের মধ্যে। কিন্তু একটি কুমির অন্য পথে চলতে শুরু করেছে।

১৬ মার্চ যে কুমিরটিকে সুন্দরবনের জংলা খাল থেকে ধরে গায়ে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়, এর পরদিন থেকেই কুমিরটি সুন্দরবন ছেড়ে ছুটছে লোকালয়ের দিকে।

গত দশ দিনে গতিপথ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কুমিরটি সুন্দরবনের হারবাড়িয়া পয়েন্ট থেকে মংলা, রামপাল, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ হয়ে বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলায় পৌঁছেছে।

স্যাটেলাইট তথ্য বলছে, বাকি তিনটি কুমিরই এখন অবস্থান করছে সুন্দরবনের মধ্যে নদী ও খালে। এর মধ্যে জুলিয়েট ও মধু হারবাড়িয়া পয়েন্টের কাছাকাছি নদীতে রয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। অন্য কুমিরটিকে করমজল থেকে ধরে ট্যাগ বসিয়ে সেখানকার খালে ছাড়া হয়েছিলো। সেটি এখন আশপাশের খালেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তিনটি কুমির সুন্দরবনের মধ্যে থাকলেও একটি কেন এত পথ পাড়ি দিয়ে লোকালয়ের নদীগুলোতে ঢুকে পড়েছে সেটি নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন আছে গবেষক দলেরও।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলছেন, ‘লোনা পানির কুমিরগুলো আসলে কোন দিকে মুভ করে সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের এক গবেষণার ধারণাকে স্পষ্ট করছে।’

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিচের দিকে সমুদ্রের কাছে নদীতেও অনেক স্যালাইন থাকে। আবার কোনো কুমির যদি কম লবণাক্ততা পছন্দ করে, সে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে আশপাশের নদী-খালগুলোতে যায়।

বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘ওই এলাকার পানিতে লবণাক্ততা কম বলে হয়তো কুমিরটি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। কিংবা সে যা খায় সেগুলো হয়তো সে বেশি পাচ্ছে। আর সে কারণে কুমিরটি ওদিকে অগ্রসর হচ্ছে।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
কুমিরের গায়ে স্যাটেলাইট ট্যান্সমিটার বসানোর পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। ছবি: সারোয়ার আলম দীপু

কুমির নিয়ে এ ধরনের গবেষণা কেন?

বর্তমানে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। তারপরও এই পরিবেশে লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন খুব একটা হচ্ছে না।

আইইউসিএন-এর গবেষক দলটি বলছে, কুমির নিয়ে এর আগে কিছু গবেষণা হলেও বিশদ কোনো কাজ হয়নি। এ কারণেই কুমিরের অভ্যাস আচরণ জানার জন্য এই গবেষণা করা হচ্ছে।

গবেষক দীপু বলেন, ‘কুমির কোন অঞ্চলে ডিম পাড়ে, কোন অঞ্চলে স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা কেমন সেটা জানার জন্য এমন গবেষণার পরিকল্পনা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। এবার প্রথমবারের মতো তা শুরু হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞ ও বন কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন কিংবা লবণাক্ততা বাড়া-কমার কারণেও জীবন-জীবিকায় এক ধরণের প্রভাব পড়ছে। হুমকির মুখে পড়ছে এই বন্যপ্রাণীটি। কুমিরগুলোকে বাঁচাতে তাই এ ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

জিআইজেড-এর ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব সুন্দরবন ম্যানগ্রোভস অ্যান্ড দ্য মেরিন প্রোটেকটেড এরিয়া সোয়াস অফ নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি চলছে।

বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, ‘লোনা পানির কুমির নিয়ে এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে মিঠা পানির কুমির নিয়েও এভাবে গবেষণা করা দরকার বলে মনে করি আমরা।’

স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে পিরোজপুরে
রাতের অন্ধকারে কুমিরের গায়ে বসানো হচ্ছে স্যাটেলাইট ট্যাগ। ছবি: আইইউসিএন

কেন হুমকির মুখে কুমির?

বাংলাদেশে লোনা পানির কুমির সুন্দরবনের বাইরে দেখা যায় না। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রাণীর একটি তালিকা তৈরি করে। ‘আইউসিএন রেড লিস্ট’ নামে পরিচিত ওই তালিকায় লোনা পানির কুমিরকে বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কেবল সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশেই লোনা পানির কুমির দেখা যায়। এর বাইরে অন্য যেসব কুমির রয়েছে তার অধিকাংশই চিড়িয়াখানাগুলোতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন তেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

তাই কুমিরের প্রজনন বৃদ্ধি ও লালন-পালনের জন্য ২০০০ সালে সুন্দরবনের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে কুমির প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

কুমির প্রজনন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আজাদ কবীর বলেন, ‘এ পর্যন্ত কয়েক দফায় এই প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেয়া লোনা পানির দুই শতাধিক কুমির ছাড়া হয়েছে সুন্দরবনের খালগুলোতে। এর মধ্যে লোনা পানির কুমির ১০৭টি আর মিষ্টি পানির কুমির আছে মাত্র তিনটি।’

গবেষক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পানিতে লবণাক্ততা হ্রাস-বৃদ্ধি, নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরা, নৌযান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু কারণে সুন্দরবনে কুমিরের সংখ্যা দিন দিন কমছে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ইমরান আহমেদ বলেন, ‘আমাদের নদীগুলোর মধ্যে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে জাল ফেলে মাছ ধরা হয় না। মিঠা পানির কুমিরগুলো জালে ধরা পড়ে। অনেক কুমির এ কারণে হারিয়ে গেছে। একই কারণে হুমকিতে আছে লোনা পানির কুমিরও।’

বর্তমানে সুন্দরবনে কতগুলো কুমির আছে তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্য পাওয়া গেলেও এ নিয়ে সঠিক কোনো জরিপ বা তথ্য নেই বন বিভাগ কিংবা গবেষকদের কাছে। কেননা বিভিন্ন সময় যে গবেষণা হয়েছে সেসব তথ্যে বেশ গরমিল রয়েছে।

গবেষক সারোয়ার আলম দীপু বলেন, ‘একটি গবেষণা তথ্য বলছে সুন্দরবনে কুমির আছে দেড়শ’ থেকে দুশ’টি। আরেক গবেষণার তথ্য বলছে আড়াইশ’ থেকে তিনশ” লোনা পানির কুমির আছে সুন্দরবনে। সঠিক কোনো তথ্য কারও কাছে নেই।’

এই গবেষক একটি ধারণা দিয়ে বলেন, ‘সুন্দরবনে কুমির বসবাসের পরিবেশ ও ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী কুমির অনেক কম রয়েছে।’

তবে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তিনি বলছেন, ‘সুন্দরবনের নদী ও খালে বর্তমানে দুশ’র বেশি কুমির নেই।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘পর্যটক বৃদ্ধি, মাছ ধরাসহ নানা কারণে আস্তে আস্তে কুমির যে বন থেকে সরে যাচ্ছে তার একটি উদাহরণ হতে পারে এই গবেষণা। যেমনটি দেখা গেছে স্যাটেলাইটের তথ্যেও।’

আরও পড়ুন:
৩৮ কোটিতে কুমিরের খামার বেচে পি কে হালদারের ঋণ শোধের চেষ্টা
পালিয়ে যাওয়া ৭০ কুমির ধরতে অভিযান, ভয়ে বাসিন্দারা
নগরবাসীর সৌভাগ্য ফেরাতে কুমিরকে বিয়ে করলেন মেয়র
৭২ বছরের খামারির দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলল ৪০ কুমির
কুমিরের পেটে মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Infinix Note 40 series in domestic market with MagCharge technology

ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ

ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি নিয়ে দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের নোট ৪০ সিরিজ আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো। ছবি: ইনফিনিক্স
অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে ফোনগুলো।

তরুণদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে বদলে দিতে বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘নোট ৪০’ নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।

এ সিরিজে থাকছে দুটি মডেল ইনফিনিক্স নোট ৪০ ও ইনফিনিক্স নোট ৪০ প্রো।

অত্যাধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাজারে এসেছে শক্তিশালী এ ফোনগুলো।

ইনফিনিক্সের নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ম্যাগনেটিক চার্জিং। ম্যাগচার্জ নামক এই ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তিটি বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০-এর আওতায় এই প্রযুক্তি এনেছে ইনফিনিক্স। এর সাহায্যে যেকোনো পরিস্থিতিতে ও যেকোনো আবহাওয়ায় সহজেই ফোনে চার্জ দেয়া সম্ভব হবে।

নতুন প্রযুক্তিটির মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের যাত্রা শুরু করার মাধ্যমে সুবিধাজনক চার্জিংয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণে আরও এক ধাপ উন্নতি হলো বলে মনে করছে ইনফিনিক্স।

নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ ও রিভার্স চার্জের সুবিধা। ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় স্মার্টফোন চার্জ করা যাবে সুবিধাজনক, বহনযোগ্য ও শক্তিশালী এই ম্যাগচার্জ প্রযুক্তির মাধ্যমে।

নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজের সঙ্গে ক্রেতারা বিনা মূল্যে পাবেন ম্যাগকেস নামের ম্যাগনেটিক ব্যাক কাভার। এ ছাড়াও নোট ৪০-এর সঙ্গে উপহার হিসেবে থাকবে ম্যাগপ্যাড নামক ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড এবং নোট ৪০ প্রোর সঙ্গে থাকবে ম্যাগপাওয়ার নামক ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক।

ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজে আরও যুক্ত করা হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব তৈরি পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১।

ব্যাটারির ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এই চিপ। প্রচলিত চিপের চেয়ে চিতা এক্স১ এর সক্ষমতা ২০৪ শতাংশ বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৬ ন্যানোমিটারের মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে এই ফোনগুলো গেমার ও হেভি ইউজারদের দেবে অন্যরকম পারফরম্যান্স ও কার্যকারিতা।

সারা দিন ধরে ব্যবহারের সুবিধার জন্য নোট ৪০ এবং নোট ৪০ প্রো উভয় ফোনেই আছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জ ব্যাটারি।

৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোন চার্জে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে নোট ৪০ প্রো। তিনটি ভিন্ন চার্জিং মোডে ১৬ মিনিটেই শূন্য থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হবে এ ফোন।

অন্যদিকে নোট ৪০-এর ৪৫ ওয়াট অলরাউন্ড ফাস্ট চার্জ সব পরিস্থিতিতেই ফোনের ব্যবহারকে সহজ করে তুলবে।

ফোনের ডিসপ্লের ক্ষেত্রে এ সিরিজে নতুন কৌশল এনেছে ইনফিনিক্স। প্রাণবন্ত ভিজ্যুয়াল দিতে নোট ৪০ সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস অ্যামোলেড ডিসপ্লে। ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের রেসপন্সিভ টাচ স্ক্রিনে নিরাপত্তা জোরদারে দেয়া হয়েছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর। আর ফোনের ডিজাইনে আভিজাত্যের ছোঁয়া দিতে নোট ৪০ প্রোতে আছে বেজেলবিহীন থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে।

আলোকচিত্রপ্রেমীদের জন্য এ সিরিজের ফোনে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আধুনিক ইন-সেন্সর জুম প্রযুক্তির সাহায্যে নোট ৪০ সিরিজের ফোনে উন্নতমানের ইমেজ পাওয়া যাবে। ফোনটিতে ৩ গুণ জুমেও পরিষ্কার ছবি তোলা সম্ভব হবে।

এবারের নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ। এ ছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হেলো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি। চমৎকার অডিওর জন্য নোট ৪০ সিরিজের ডুয়েল স্পিকারে আছে জেবিএল-এর প্রযুক্তির সমন্বয়।

৮ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ প্রোর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ হাজার ৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‌্যাম ও ২৫৬ জিবি সংস্করণটির বাজারমূল্য ৩৪ হাজার ৯৯৯ টাকা। ভিন্টেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড রঙে মিলছে ফোনটি।

অন্যদিকে ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ মডেলটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। এ ফোন পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙে।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল রিটেইলার ও অনলাইনে পাওয়া যাবে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো।

আরও পড়ুন:
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো
ফ্ল্যাশ লাইট বনাম রিং লাইট: কোনটি বেশি উপযোগী
দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের দুই ল্যাপটপ

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Landmark lawsuit against Apple in the US

স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য: যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের নামে মামলা

স্মার্টফোন বাজারে একাধিপত্য: যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের নামে মামলা অ্যাপলের একটি কার্যালয়ে কোম্পানির লোগো। ফাইল ছবি
প্রতিযোগিতার পথ বন্ধ করা ও ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত মূল্যের ভার চাপানোর অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।

আইফোনের মাধ্যমে স্মার্টফোন বাজারে অবৈধ একাধিপত্যের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেক জায়ান্ট অ্যাপলের নামে মামলা করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।

প্রতিযোগিতার পথ বন্ধ করা ও ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত মূল্যের ভার চাপানোর অভিযোগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এ মামলা করা হয় বলে জানিয়েছে এএফপি।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মামলায় ক্রেতাদের অপেক্ষাকৃত কম দামের স্মার্টফোন ও ডিভাইসে যাওয়া কঠিন করে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে অ্যাপলের বিরুদ্ধে।

এ মামলার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটনের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হলো প্রায় অর্ধশতক ধরে মোটা দাগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কড়া নজরদারির বাইরে থাকা অ্যাপলের। স্টিভ জবসের হাত ধরে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল কোম্পানিটি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্য তিন টেক জায়ান্ট অ্যামাজন, গুগল ও মেটার নামে একই ধরনের মামলা হয় যুক্তরাষ্ট্রে।

এদিকে মামলার খবরে বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিটে অ্যাপলের শেয়ারের দরপতন হয় তিন দশমিক ৭৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটনের নতুন ‘নেক্সজি এন২৫’ সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে
বাংলাদেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ‘স্মার্ট ৮’
প্রাইভেটকারের ভেতর ২৯৭টি স্মার্টফোন
ভিভো ওয়াই২৭: চলছে প্রি-বুকিং, রয়েছে আকর্ষণীয় উপহার
ভারতে অ্যাপলের চিপ তৈরির কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা বাতিল

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Iftar sehri or Eid shopping travel hassle free

ইফতার সেহরি কিংবা ঈদ শপিং, যাতায়াত হোক ঝামেলামুক্ত

ইফতার সেহরি কিংবা ঈদ শপিং, যাতায়াত হোক ঝামেলামুক্ত রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
একাধিক জায়গায় গিয়ে কেনাকাটার জন্য বেছে নিতে পারেন রেন্টালস সার্ভিস। এ সার্ভিসের আওতায় ১০ ঘণ্টার জন্য রাইডশেয়ারিংয়ের গাড়ি আপনি নিজের সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন।

পবিত্র রমজান মাস শেষেই মুসলমানরা মেতে উঠবেন ঈদের আনন্দে। যার কেনাকাটাও শুরু হচ্ছে রমজান থেকেই।

বাংলাদেশে রমজান মাসের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার ও সেহরি করা, তবে ইফতারের সময় বা এর আগমুহূর্তে রাস্তার প্রচণ্ড জ্যামের মধ্যে গাড়ি খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হতে পারে। আবার, সেহরির সময় রাস্তা থাকতে পারে ফাঁকা, নিরাপত্তা নিয়েও থাকতে পারে চিন্তা।

এসব সমস্যার সহজ ও নির্ভরযোগ্য সমাধান হতে পারে উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো।

পুরান ঢাকায় ইফতার কিংবা মাওয়া ঘাটে তাজা ইলিশ দিয়ে সেহরি, আপনার পরিকল্পনা যাই হোক না কেন, এসব সার্ভিস আপনাকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে। সুবিধাজনক এসব সার্ভিস দিন রাতের যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গা থেকে বুক করা যায়।

দ্রুত ও একা চলাচলের জন্য আছে মটো সার্ভিস। দুই বা তিনজন যাতায়াতের জন্য সিএনজি সার্ভিস উপযুক্ত। পরিবার বা বন্ধুরা মিলে একত্রে কোথাও যাওয়ার জন্য এক্স বা প্রিমিয়ার চমৎকার। বড় দল নিয়ে বেরোতে চাইলে আছে এক্সএল সার্ভিস। আবার শহরের বাইরে কোথাও ইফতার বা সেহরিতে যেতে চাইলে বেছে নিন ইন্টারসিটি সার্ভিস।

রাউন্ডট্রিপ ফিচার ব্যবহার করলে এই গাড়ি আপনার সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ির মতোই অপেক্ষা করবে, আবার আপনাকে বাড়িতে ফেরতও নিয়ে যাবে।

ঈদের কেনাকাটার যাতায়াতে রাইডশেয়ারিং

মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর আসছে আর কিছুদিন পরেই। এ উপলক্ষে প্রিয়জনকে উপহার দিতে পছন্দ করেন সবাই। সেই সঙ্গে নিজের জন্যও অনেকে কেনাকাটা করেন। ব্যস্ত এ জীবনে প্রায় সবারই চেষ্টা থাকে একদিনেই যতটা সম্ভব কেনাকাটা সেরে ফেলার, কিন্তু ব্যক্তিগত গাড়ি না থাকলে বিভিন্ন শপিং মলে ঘোরাঘুরি করে কেনাকাটা করাটা বেশ ঝক্কির ব্যাপার।

এমন সমস্যার সহজ সমাধানে সহজ ও কম খরচে যাতায়াতের জন্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো চমৎকার। একাধিক জায়গায় গিয়ে কেনাকাটার জন্য বেছে নিতে পারেন রেন্টালস সার্ভিস। এ সার্ভিসের আওতায় ১০ ঘণ্টার জন্য রাইডশেয়ারিংয়ের গাড়ি আপনি নিজের সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন। কাজেই কেনাকাটা করতে আপনি নিউমার্কেট এলাকায়ই যান কিংবা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়ই যান, গাড়ি আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে, ঠিক আপনার ব্যক্তিগত গাড়ির মতোই।

তা ছাড়াও, নিরাপত্তাকে রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সার্বক্ষণিক জিপিএস ট্র্যাকিং, লাইভ লোকেশন শেয়ারিং, চালকের নাম, ছবি, রেটিং ইত্যাদি জানানো, সেইফটি টুলকিট, হটলাইন, ইন্স্যুরেন্স পলিসিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তার ফিচার এখানে রয়েছে। তাই নিজের নিরাপত্তা নিয়েও আপনি থাকতে পারেন নিশ্চিন্ত।

আরও পড়ুন:
‘২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার কর্মশক্তিতে যুক্ত হবেন ৩ লাখ নারী'
দেশে উবারের নতুন রাউন্ড ট্রিপ ফিচার চালু
সবচেয়ে বেশি উবার ট্রিপ ২১ ও ২৮ ডিসেম্বর, জনপ্রিয় মাস মে
রাজধানীতে সাশ্রয়ী মূল্যে অটোরিকশায় যাতায়াত করতে চান?
‘হ্যাকারদের হাতে’ উবার ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Waltons new series of smartphones NexG N9 in the market

ওয়ালটনের নতুন সিরিজের স্মার্টফোন ‘নেক্সজি এন৯’ বাজারে

ওয়ালটনের নতুন সিরিজের স্মার্টফোন ‘নেক্সজি এন৯’ বাজারে ওয়ালটনের ‘নেক্সজি এন৯’ স্মার্ট ফোন। ছবি: ওয়ালটন
ওয়ালটন মোবাইলের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন বলেন, ‘মিরর ব্ল্যাক, ক্রোম হোয়াইট ও মিস্টিক ছাইয়ান—এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে ফোনটি বাজারে এসেছে। ভ্যাট ছাড়া ফোনটির দাম পড়বে ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।’

‘নেক্সজি এন৯’ সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মোবাইল বিভাগ।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাশ্রয়ী মূল্যের ফোনটির মডেল ‘নেক্সজি এন৯’।

ফিচার

৫০ মেগাপিক্সেলের ট্রিপল এআই রিয়ার ক্যামেরার ফোনটিতে রয়েছে ১২ জিবি র‌্যাপিড মেমোরি, পাঞ্চ-হোল এইচডি প্লাস রেজ্যুলেশনের বিশাল ডিসপ্লে, সুপারসনিক সাউন্ড কোয়ালিটি, পর্যাপ্ত স্টোরেজ ও শক্তিশালী ব্যাটারিসহ অনেক অত্যাধুনিক ফিচার।

নতুন স্মার্টফোনে দেয়া হয়েছে ৬.৮২ ইঞ্চির এইচডি প্লাস পাঞ্চ-হোল ডিসপ্লে। রয়েছে ৯০ হার্টজের রিফ্রেশ রেট ও ১৮০ হার্টজের টাচ স্যাম্পলিং রেট। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে মোবাইল স্পর্শে অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহক।

এদিকে ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ, অটোফোকাস এবং পিডিএএফসহ এআই ট্রিপল ক্যামেরা, যার প্রধান সেন্সরটি ৫০ মেগাপিক্সেলের। এর পাশাপাশি আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ডিভাইসটিতে রয়েছে পাঁচ হাজার এমএএইচ হাই-ক্যাপাসিটি ব্যাটারি।

এ ছাড়াও নতুন এ ফোনে রয়েছে ব্রিদিং লাইট। ব্রিদিং লাইট এক ধরনের নোটিফিকেশন অ্যালার্ট সিস্টেম।

যা বলছে ওয়ালটন

ওয়ালটন মোবাইলের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন বলেন, ‘মিরর ব্ল্যাক, ক্রোম হোয়াইট ও মিস্টিক ছাইয়ান—এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে ফোনটি বাজারে এসেছে। ভ্যাট ছাড়া ফোনটির দাম পড়বে ১৭ হাজার ৯৯৯ টাকা।’

ওয়ালটন মোবাইল ব্র্যান্ডিং বিভাগের ইনচার্জ মাহবুব-উল হাসান মিলটন বলেন, ‘অ্যান্ড্রয়েড ১৩ ডিডো অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত এই ফোনে র‌্যাপিড মেমোরি টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহারকারী এতে ১২৮ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। গ্রাফিক্স হিসেবে আছে মালি-জি৫২ এমপি২, যার ফলে এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি হবে অনেক বেশি।

‘বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং, দ্রুত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা মিলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফোনটিতে হিলিও জি-৮৫ গেমিং প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ২৫৬ জিবি পর্যস্ত স্টোরেজ পাওয়া যাবে। ব্যাটারিসহ ফোনটির ওজন মাত্র ২১৯ গ্রাম হওয়ায় ফোনটি বহন করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের গোল্ড ট্রফি জয়
ওয়ালটন সার্ভিসেস কুস্তির উভয় বিভাগে চ্যাম্পিয়ন আনসার বাহিনী
ওয়ালটন ফ্রিজের ‘ড্রিমার্স ক্যানভাস’ প্রজেক্ট উদ্বোধন
ওয়ালটন ১২তম জাতীয় সার্ভিসেস কুস্তি প্রতিযোগিতা
ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট’ অনুষ্ঠিত

মন্তব্য

প্রযুক্তি
Infinix has launched magnetic charging technology in Android smartphones

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি আনল ইনফিনিক্স ম্যাগচার্জের মতো চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স। ছবি: নিউজবাংলা
ম্যাগচার্জের মতো চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এই প্রথম। এ প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।

শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স তাদের নতুন স্মার্টফোন লাইনআপে যুক্ত করেছে যুগান্তকারী নতুন ফিচার ‘ম্যাগচার্জ’।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার এফ-ওয়ান ইন্টারন্যাশনাল সার্কিটে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক আয়োজনে নতুন নোট ৪০ সিরিজ উদ্বোধন করে করে ব্র্যান্ডটি। সেই আয়োজনেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ম্যাগনেটিক চার্জিং ফিচারের যাত্রা শুরুর কথা জানায় ইনফিনিক্স।

ম্যাগচার্জের মতো চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে এই প্রথম। এ প্রযুক্তি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।

ম্যাগনেটিক চার্জিংয়ের সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে নোট ৪০ সিরিজের সঙ্গে আছে ইনফিনিক্সের ম্যাগকিট। এ কিটে ফোনের ব্যাককাভার হিসেবে দেয়া হয়েছে ম্যাগকেস। এর সঙ্গে আরও আছে ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড ম্যাগপ্যাড এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংক ম্যাগপাওয়ার।

ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০, নোট ৪০ প্রো, নোট ৪০ প্রো ফাইভজি এবং অত্যাধুনিক নোট ৪০ প্রো+ ফাইভজি স্মার্টফোনগুলোতে পাওয়া যাবে ম্যাগচার্জ ফিচারটি।

এবারের সিরিজটিতে দেয়া হয়েছে ইনফিনিক্সের অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০ প্রযুক্তি, ১০০ ওয়াট পর্যন্ত মাল্টি-স্পিড ফাস্টচার্জ এবং ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের চার্জিং মোড ব্যবহার করতে একটি কাস্টম চিপ দেয়া হয়েছে এ সিরিজের ফোনগুলোতে।

উন্নত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার জন্য নোট ৪০ সিরিজে আছে ১২০ হার্টজের প্রাণবন্ত থ্রিডি-কার্ভড অ্যামোলেড ডিসপ্লে। প্রধান ক্যামেরা হিসেবে সিরিজটিতে আছে ওআইএস সাপোর্টসহ শক্তিশালী ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা সিস্টেম। এ ছাড়াও ফোনের পেছনের অংশ থেকে বিশেষ ধরনের লাইটিংয়ের জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে অ্যাকটিভ হ্যালো লাইটিংয়ের মতো এআই প্রযুক্তি।

ইনফিনিক্সের নতুন এ স্মার্টফোন সিরিজ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ডিরেক্টর উইকি নিইয়ে বলেন, ‘ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ বাজারে আনার মাধ্যমে চার্জিং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতাকেই বদলে দেবে এই সিরিজ। ‘এ ছাড়াও আমাদের নিজস্ব চিপ চিতা এক্স১-এর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ। এখন এতে আছে মাল্টি-স্পিড চার্জিং এবং এক্সট্রিম টেম্পারেচার চার্জিংয়ের মতো ফিচার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবনী ম্যাগচার্জ অ্যাক্সেসরি কিট ফোন ব্যবহারকারীদের দেবে নিরবচ্ছিন্ন চার্জিং ইকোসিস্টেম। এসব অগ্রগতির ফলে ব্যবহারকারীরা সারা দিন যেকোনো পরিস্থিতি ও আবহাওয়ায় পাওয়ারড-আপ থাকতে পারবেন।’

গত বছর অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ প্রযুক্তিসহ নোট ৩০ সিরিজ বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে আসে ইনফিনিক্স। সিরিজটিতে আছে ৬৮ ওয়াটের ওয়্যারড চার্জিং এবং ১৫ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং প্রযুক্তি। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাদার বোর্ডে সরাসরি চার্জ নেয়ার জন্য এতে আছে বাইপাস চার্জিং এবং আইফোন সেভার হিসেবে পরিচিত ওয়্যারলেস রিভার্স চার্জিং প্রযুক্তি।

চার্জিং, লুক ও পারফরম্যান্সে অভূতপূর্ব আপডেট নিয়ে এখন বাংলাদেশের বাজারে আসার অপেক্ষায় আছে নোট ৪০ সিরিজ। নতুন এ নোট সিরিজের জন্য শুরু হয়ে গেছে প্রি-বুকিংও।

আরও পড়ুন:
যে তিন কারণে আলাদা ইনফিনিক্স ল্যাপটপ
বাজারে এলো ইনফিনিক্সের গেমিং স্মার্টফোন হট ৪০ প্রো
ফ্ল্যাশ লাইট বনাম রিং লাইট: কোনটি বেশি উপযোগী
দেশের বাজারে ইনফিনিক্সের ইনবুক সিরিজের দুই ল্যাপটপ
সিইএস ২০২৪: স্মার্ট ডিভাইস চার্জ হবে ৮ ইঞ্চি দূর থেকেই

মন্তব্য

p
উপরে